নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

পিছনে নয় সামনে তাকিয়ে এগিয়ে যান

ব্লগার ফারহান

আমি সবার, সবকিছুর জন্য লিখি আর তাইতো সবার দুঃখ আনন্দ আমার লেখাতে মাখি

ব্লগার ফারহান › বিস্তারিত পোস্টঃ

খালামনি ভালামনি

২৫ শে জুন, ২০১৪ দুপুর ২:২৯



৩.৫ বছরের বাবু আরাফ। মা ডাক্তার হওয়াতে নানী আর ছোট খালামনির কাছে আদর পায় বেশি। সারাক্ষণ পুতুপুতু আদর আর কার্টুন দেখে তার চলে যায় দিনের বেলা। ছোট খালামনির আদরের পুতুল আরাফ। আরাফও কেন জানি মা-বাবা হীন সময়টা ছোট খালামনির সাথেই বেশি উপভোগ করে।সে যখন সাইকেল চালায় তখন তার খালামনি ভ্রু ভ্রুম করে একটা অদ্ভুত শব্দ করে তার পাশে হাওয়াই সাইকেল চালায়। আরাফ তখন বলে, ''খালামনি এরকম শব্দ তো হুণ্ডা থেকে হয়, আমি তো এখনো সাইকেল চালাই'', আহ ! ভার্সিটি পড়ুয়া খালামনি লুতুপুতু এই বাবুটার কাছে বরফ হয়ে গেল। হবেই বা না কেন? আজকাল কার ছেলেমেয়েরা তো ছোট বেলা থেকেই বাবা-মায়ের কাছে ল্যাপটপ, স্মার্ট ফোন এসব দেখছে আর তথ্য প্রযুক্তির যুগে টিভির যে অনুষ্ঠান তাতে তারা অনেক আগেই অনেক পাকা হয়ে যায়।আরাফের ছোট খালামনি আরাফকে খাইয়ে দেয়, নরম গালে আদর করে, জন্মদিনে বিশেষভাবে উইস করে, জামা পালটিয়ে দেয়, মাঝে মাঝে গোসল করিয়ে দেয় আর সবসময় অপেক্ষা করে আরাফের সাথে দারুণ কিছু পজ দিয়ে ছবি তোলার। ভার্সিটি থেকে ফেরার পরে আরাফ ওর খালামনিকে এত সুন্দর করে স্বাগতম জানায় যা আসলে বলার মত নাহ। আর আরাফের খালামনিও মাঝে মাঝে ওর জন্য চকলেট ও গিফট নিয়ে আসে। সেদিন ওর জন্য একটা লাইট টয় নিয়ে এসেছিল যেটা রাতের অন্ধকারে জ্বলে। আরাফ সেটা দেখে যে একটা মায়াবী হাসি দিয়েছিল নাহ, সেটা না দেখলে বোঝা যাবেনা। তার খালামনি তখন তাকে বলল, ''উলে লে লে, পছন্দ হইছে? তাইলে একটা পাপ্পি দাও'', যেই বলা সেই কাম। ছেলেটার চুমু দেওয়ার হাতে খড়িটা আরও ভালভাবে রপ্ত হল সেদিন থেকে।খালামনির গালে ইয়া একটা চুমু খেলো গালে জিহবা লাগিয়ে।খালামনি তার চুমু খেয়ে তো বলে ''ইয়া বড় দুষ্ট হয়েছিস তুই'' আর আরাফও হে হে করে হেসে উঠল। ডাক্তার মা সকালে যায়, রাতে আসে। মাঝে মাঝে ঢাকার বাইরে গেলে আরাফকে থাকতে তার নানী ও খালামনির কাছেই। আরাফের বাবা ব্যবসার কাজে প্রায় সময়ই ঢাকার বাইরে থাকেন। ছোট খালামনি তাই তার একমাত্র বন্ধু, খেলার সাথী। ইদানিং আবার একটা নতুন শব্দ শিখেছে কার্টুন থেকে। ডার্লিং কিন্তু আরাফ এটাকে বলে ডালি। তো প্রথম প্রয়োগটা কাজে লাগাল খালামনিকে দিয়ে। ডালি ডালি। ভার্সিটি পড়ুয়া খালামনির শব্দটা শুনে ভচকে গেল।৩ দিন পরে বুঝতে পারল যে শব্দটা আসলে ডার্লিং। আর ঐ ৩দিন পর্যন্ত ছিল ডালি খালামনি। একটু হাস্যকর তো বটেই। আরাফ যেমন ওর খালামনিকে পছন্দ করে, ওর খালামনিও অকে খুব আদর করে। আর আরাফের তো মামা নেই, তাই আরাফের খালামনি ছোট ভাইয়ের অভাবটা আরাফকে আদর করে পোষায়। সামনে আরাফের ৪র্থ জন্মবার্ষিকী। ৩য় জন্মবার্ষিকীতে আরাফের ছোট খালামনি আরাফকে একটা রিমোট চালিত হ্যালিকপটার কিনে দিয়েছিল। টিউশনি থেকে যা পায় প্রতিমাসে, সে থেকে তার খালামনি আরাফের জন্য কিছুনা কিছু নিয়ে আসে। এরকম খালামনি ভালামনির ভালবাসার কাহিনী তো বলে শেষ করা যাবেনা।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.