নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মোহাম্মদ মইন উদ্দীন। ডাক নাম মাঈনু। কিছু কিছু ফ্রেন্ডের কাছে কিশোর। বাড়ি চট্রগ্রাম। পড়ালেখার কারণে ঢাকায় থাকি। কৌতুহল একটু বেশী, হয়তো বাড়াবাড়ি ধরনের ই বেশী। দূঃসাহসী, কিন্তু সাহসী কিনা এখনো জানতে পারিনি।

কিশোর মাইনু

কিছু কিছু জিনিস জানি। সেগুলা মানুষের সাথে share করার জন্য ব্লগে প্রবেশ। তাতে দুটো সুবিধে। প্রথমত, আমার জানার ভুলভ্রান্তিগুলো দূর হবে। দ্বিতীয়ত, নতুন কিছু জানার সুযোগ সৃষ্টি হবে। দুনিয়াতে জানার কোন শেষ নেই। এবং আমার আগ্রহের ও কমতি নেই। ইনশাল্লাহ কোনদিন হবে ও না।

কিশোর মাইনু › বিস্তারিত পোস্টঃ

বাহ আমার সোনার বাংলাদেশ

০৫ ই আগস্ট, ২০১৮ বিকাল ৪:৫৬


আমি তো স্বাধীন দেশের ই নাগরিক,তাই না?!?!?
বুঝতে পারছি না।
আসাদ গেট-ধানমন্ডি থেকে যখন হাত-পা ছিড়ে বাসায় আসলাম, তখন শুনলাম জিগাতলায় ৪টা মেয়েরে রেপ করছে, ৫জন মারা গেছে, ১৮জন মেয়েকে পার্টি অফিসে আটকায় রাখছে। একজনের চোখ উপরায় ফেলছে। শুনে যখন আবার মেস থেকে বের হব,ভাইয়ারা দিল বাইরে থেকে তালা মেরে। আব্বু-আম্মু ফোন দিয়ে কসম দিচ্ছে। অনেক ফোন দিয়ে ঘর থেকে বের হতে মানা করতেছে। এক বান্ধবী ফোন দিয়ে বলতেছে ঘর থেকে বের হলে ট্যাং ভাংগি দিবে, আরেকজন ফোন দিয়ে বলতেছে আমি একলা কিছুই করতে পারব না, আরেকজন বলতেছে ঘরে চুড়ি পড়ে বসে থাক। বড় আপু কয়েকটা ফোন দিয়ে হুমকি দিচ্ছে যেন বের না হয়। আরেক বড় ভাই বুঝাচ্ছে আপনি বাচলে বাপের নাম। আবার ১২-১টার দিকে দিকে শুনলাম ১৩টা মেয়ে রেপড, ৪০০+ ছাত্র হাসপাতালে ভর্তি, ১৪টা মেয়ে নিখোজ। তখন ও আল্লাহ-র কাছে দোয়া করছি সব যেন গুজব হয়। বড় ভাইয়া-আপুরা ও ফোন দিয়ে বোঝানোর চেষ্টা করছে এগুলো গুজব। গুজব ই যদি হয়, তাহলে আমাকে নিয়ে টেনশন করছেন কেন?!?!? ঘরে বেধে রাখছেন কেন?!?!?

৮/৯টার দিকে একটা ছবি দেখলাম ছেলে ১টার চোখে পতাকা বেধে ২জনে মিলে ধরে নিয়ে যাচ্ছে। আবার এক ভিডিওতে দেখলাম এক ছেলে কাদতে কাদতে ফিট হয়ে গেল ওর বান্ধবীদের রেপ করছে বলে। এগুলো ও কি অবিশ্বাস করব?!?!?
৮টার দিকে ৪টা মেয়ের লাশ পাওয়া গেছে শুনলাম, ফেসবুকে লাশের ছবি ও দেখলাম। ঘন্টাখানেক পড়েই দেখলাম সেগুলো ভুয়া নিউজ বলে পোস্ট দিয়ে কোথাথেকে সেই ছবিগুলো জোগাড় করা হয়েছে তার লিংক সহ দিল।

বাহ!!! চমৎকার, লীগ আমাদের ছাত্রদের উপর হামলা চালাও, আর দল সেইটাকে পুজি বানিয়ে নিজেরাও লীগের নাম দিয়ে হামলা চালাও। সরকার পতনের, নিজেরা ক্ষমতায় যাওয়ার চেষ্টা কর। চমৎকার আমার স্বাধীন বাংলাদেশ, এই দেশে ছাত্রদের রাস্তায় পিটানোর স্বাধীনতা আছে, মেয়েদের রেপ করে রাস্তায় ফেলে দেওয়ার স্বাধীনতা আছে, ছাত্রদের গাড়িচাপা দিয়ে মেরে ফেলার স্বাধীনতা আছে। শুধু আমাদের ছাত্রদের, আমজনতার বাক্স্বাধীনতা নেই, বিচারের জন্য আন্দোলনের স্বাধীনতা নেই।

হ্যা,মানলাম আমাদের নয় দফা দাবি ধুম করে বাস্তবায়ন সম্ভব না। একজন মন্ত্রীর পদত্যাগ এত সোজা নাহ, আমাদের নয় দফা দাবির কোনটায় ধুম করে করার মত না। কিন্তু তাই বলে এই পিচ্চি পিচ্চি ছেলেগুলোর উপর গুলি চালাতে হবে?!?!?বাহ!!! আমার বঙ্গবন্ধুর 'সোনার' বাংলাদেশ!!!

মন্তব্য ১৬ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১৬) মন্তব্য লিখুন

১| ০৫ ই আগস্ট, ২০১৮ বিকাল ৫:১২

রাজীব নুর বলেছেন:

০৫ ই আগস্ট, ২০১৮ বিকাল ৫:৫৫

কিশোর মাইনু বলেছেন: থাকো তোমরা গর্তে মুখ লুকিয়ে। খুব শীঘ্র ই তোমাদের ই স্বাধীন করারা দেশের নিষ্টুর পরিণতি দেখতে পারবে।

২| ০৫ ই আগস্ট, ২০১৮ বিকাল ৫:২৭

রাকু হাসান বলেছেন: এ সবের শেষ কোথায় ।

০৫ ই আগস্ট, ২০১৮ বিকাল ৫:৫৪

কিশোর মাইনু বলেছেন: মানুষের বিবেক যেদিন জাগ্রত হবে।

৩| ০৫ ই আগস্ট, ২০১৮ বিকাল ৫:৪৩

ঢাবিয়ান বলেছেন: আমি চিৎকার করে কাঁদিতে চাহিয়া করিতে পারিনি চিৎকার||
বুকের ব্যথা বুকে চাপায়ে নিজেকে দিয়েছি ধিক্কার

০৫ ই আগস্ট, ২০১৮ বিকাল ৫:৫০

কিশোর মাইনু বলেছেন: নির্মমতার কত দূর হলে জাতি হবে নির্লজ্জ?!?!?

৪| ০৫ ই আগস্ট, ২০১৮ বিকাল ৫:৫০

সোহানী বলেছেন: এর শেষ কোথায় কেউ কি বলতে পারবে?

০৫ ই আগস্ট, ২০১৮ বিকাল ৫:৫৩

কিশোর মাইনু বলেছেন: বাংলাদেশের সমাপ্তি নয়তো পুর্ণজাগরণ।
আর কোন কিছুর মধ্যে দিয়ে তো এর শেষ দেখছিনা।

৫| ০৫ ই আগস্ট, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:১৬

লায়নহার্ট বলেছেন: {ছাত্রলীগের উপর আজকে হালকা পাতলা ডোজ পড়লো, দুঃখজনক। স্বাধীনতার স্বপক্ষের শক্তি উপর এ আঘাত মেনে নেয়া যায় না}

০৫ ই আগস্ট, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৩৪

কিশোর মাইনু বলেছেন: স্বাধীনতার স্বপক্ষের শক্তি??? হাহ!!!

৬| ০৫ ই আগস্ট, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৩৭

ক্স বলেছেন: যেখানে ঘরে ঘরে ঢুকে 'গোপন বৈঠকের' অজুহাতে নারি পুরুষ নির্বিশেষে সবাইকে ধরে নিয়ে গিয়ে ১০/১২ জনের রিমান্ড দিয়ে দিচ্ছে, সেখানে রাস্তা অবরোধ করে অরাজকতা সৃষ্টি করলে, সব দাবি দাওয়া মেনে নেয়ার পরেও নাগ্রিক দুর্ভোগ তৈরি করার পরেও সরকার এ্যাকশনে যেতে পারবেনা এরা দুধের শিশু বলে, তাই না? তো যাদের শরীর নরম, তারা ঘরে বসে আন্দোলন করুক, রাস্তায় নেমেছে কেন?

০৫ ই আগস্ট, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৫৬

কিশোর মাইনু বলেছেন: আপনি আসলে বুঝাতে চাচ্ছেন কি???

অরাজকতা, নাগরিক দুর্ভোগ???
আমার আগের পোস্টটি পড়ার অনুরোধ করছি।

অ্যাকশন মানে কি ব্রো???

তারা রাস্তায় নেমেছে কারণ তাদের রক্ত গরম।

৭| ০৬ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ১২:৩৫

এটম২০০০ বলেছেন: Chatro League,
Have a look at the “children in movement for stopping murders by the drivers” on Bangladeshi road.

Do not try to commit any hard to them as per advise of your leader. It is a caution for you.

REMEMBER: They are the dearest sons and daughters of Bangladesh Military officials, Bangladesh Police officials, RAB personnel, Intelligence Department personnel, SSF officials, Bureaucrats and so on.

Do something to them, and you will face the consequences.

DEFINITELY THE Bangladesh Military officials, Bangladesh Police officials, RAB personnel, Intelligence Department personnel, SSF officials, Bureaucrats ARE WORRIED FOR THEIR CHILDREN ENGAGED IN JUST MOVEMENT. But they cannot say anything because they cannot breach discipline. But if any of their dear children are lost ....... they would see. .

০৬ ই আগস্ট, ২০১৮ দুপুর ১:৫৭

কিশোর মাইনু বলেছেন: Why do they have to awake after losing their children?!?!? Why not before?!?!? The government-police-Chattra League made these big mistakes. They have to enjoy the results.

৮| ০৬ ই আগস্ট, ২০১৮ সকাল ১০:৩৭

ক্স বলেছেন: অবশ্যই অরাজকতা। লাইসেন্স চেক করা, লেন ধরে গাড়ি চলতে বাধ্য করা - এগুলো রাজার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কাজ। এগুলো স্কুলের ছাত্ররা করতে গেলে তা অবশ্যই অরাজকতা।

দেশের মানুষ সব অন্যায় অত্যাচার সহ্য করতে পারদর্শী হয়ে গিয়েছিল - সেখানেই তারা পিসফুল স্লেভারি খুঁজে নিয়েছিল। জাবালে নূরের ঘটনার পর সবাই যদি তা হজম করে সরকারের উপর ছেড়ে দিত, তাহলে পরিবহণ সংকটে এতগুলো মানুষের দুর্ভোগ এড়ানো যেত। ছাত্রদের বাড়াবাড়ির কারণে খেটে খাওয়া মানুষের স্বাভাবিক জীবন যাপনে ছন্দপতন ঘটেছে - এটি অস্বীকার করার কোন উপায় নেই।

এ্যাকশন মানে কি বোঝেন না? স্কুলের কোমলমতি ছাত্ররা না নেমে বিশ্ববিদ্যালয়ের তরুণ যুবকেরা রাস্তায় নামলে পুলিশ ও ছাত্রলীগের প্রভুভক্ত প্রাণিরা যে কায়দায় লাঠি, চাপাতি, হাতুড়ি সহযোগে আন্দোলনকারীদেরকে আপ্যায়ন করে, উহার নামই এ্যাকশন।

রক্ত বেশি গরম হয়ে গেলে তা ঠান্ডা করার জন্যই তো পুলিশ এবং ছাত্রলীগ সদা দন্ডায়মান।

০৬ ই আগস্ট, ২০১৮ দুপুর ১:৫২

কিশোর মাইনু বলেছেন: হুম।।।
দেখা যাক কয়দিন চলে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.