নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সিসোর১

জীবনের পথে আপনাদের মতই বোহেমিয়ান...আর মত প্রকাশে একজন ব্লগার

সিসোর১ › বিস্তারিত পোস্টঃ

প্রগতিবাদীর দল বনাম ইসলামী জনতা এবং ভিক্ষার থালা হাতে আমি

১২ ই এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ১০:২৩

আজকে দেশে সমস্যা এক,দুই,তিন থেকে বহু মাত্রা ছাড়িয়ে গেছে । তবে নাস্তিক আস্তিকের প্রশ্ন আসলে শেষ পর্যন্ত একটি স্ট্যান্ড পয়েন্টে দাঁড়িয়ে গেছে । এই মুহূর্তে দেশের বুদ্ধিজীবী ( পড়ুন বুদ্ধি বেচা ) রা এসির বাতাসে ক্যামেরার সামনে বসে নীতির বুলি আর নিজের ইমেজ বাড়ানোর লড়াইয়ে গালি বর্ষণ করছেন । আবার আলেমদের দল সরকারের উপর বিষবাণ ছুড়ছেন । কে সঠিক ? আসুন তথ্যগুলো দেখি ।



১ । সম্পত্তি এবং নারী

এ সরকারের শুরু থেকেই প্রথম সমস্যা শুরু হয় সম্পত্তি আইন নিয়ে ( ২০১১ )। ইসলামী শরীয়াহর বরাবরের নীতির বিরুদ্ধে ভাইয়ের অর্ধেক নয় বরং সমান সম্পত্তি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় । এর বিরুদ্ধে আলেমদের দল প্রতিবাদ শুরু করলে প্রগতিবাদীর দল মানবাধিকার মানবাধিকার নিয়ে লাফাতে শুরু করে । কিন্ত এ ইসলামে স্ত্রীর ভরণপোষণের দায়িত্ব

সম্পূর্ণ স্বামীর উপর , তার স্ত্রীর আয়ের উপরও স্বামীরা কিছু বলতে পারবে না - এই জায়গাতে তারা চুপ হয়ে যান । বিয়ের সময় ছেলেদের বরং দেনমোহর দিতে হয় , তখন তাদের মানবিকতা আসলে কোথায় থাকে ? নাকি ছেলেদের অধিকার বলে কিছু নেই ? অনেকের দাবি এটা সব ধ র্মের জন্য , তাহলে আপনি আমাদের দেনমোহর আর স্ত্রীদের আয় নিয়ে আইন করে দিন । একটা আইন করবেন আরেকটা ছাড়বেন তাতো হয় না ।





আমার অভিজ্ঞতা ঃ সুশীল ব্যাক্তিদের কথা শুধু টেবিল পর্যন্ত । বাস্তবে ৯০ শতাংশ পরিবার প্রধানত গ্রামে কোন মেয়ে বাবার এক ছটাক সম্পত্তিও পায় না । দেনমোহর নারীদের অধিকার , এটা তাদের দুর্দিনে সহায় । কিন্ত এটা খালি কাগজে কলমে , বাস্তবে উল্টো যৌতুক দিয়ে চলতে হয় । পুরুষ জাতির একজন সদস্য হিসেবে আমি নারীদের কাছে ক্ষমা প্রার্থী । যারা এগুলো করেন , বলছি বের হয়ে আসুন ।



২ বৌদ্ধদের উপর হামলা

চটগ্রামের রামুতে এই হামলা হওয়ার সাথে সাথে সরকার বিএনপির দিকে অভিযোগ ঠেলে দিল । কিন্ত সেখানকার লোকদের সাক্ষ্যমতে যখন স্থানীয় আওয়ামীলিগের সম্পৃ্কক্ততার কথা জানা গেল , ওই মূহুর্তে দেশের মিডিয়ার সামনে থেকে উধাও হয়ে গেল গোটা বিষয়টি । ধর্মীয় উন্মাদনা নিয়ে স্যাবোটাজ খেলার দিক থেকে এই সরকার পাকা খেলোয়াড় । ওই বিহারের পরিচালক বর্তমানে কানাডার নিকট রাজনৈতিক আশ্রয় চেয়েছেন , যেখানে প্রধান হুমকি দাতা হিসেবে উঠে এসেছে ওই এলাকার আওয়ামী নেতাদের নাম



৩ যুদ্ধঅপরাধীদের বিচার



এই অধ্যায় নিয়ে না বললেই নয় । ইসলামের সোজা কথা খুনের বদলে খুন , তাই যারা এখনো যুদ্ধ অপরাধীদের বিচার চান না , ভেবে দেখুন , আপনি গত সপ্তাহে যার বাড়ীতে ছেলের মেট্রিক পরীক্ষার রেজাল্টের মিষ্টি পাঠালেন , পরের সপ্তাহেই তারা আপনাকে হানাদারের হাতে ধরিয়ে দিল , আপনার চোখের সামনে আপনার স্ত্রীকে ......আপনি ব্রাশফায়ার হলেন , তাদেরকে বাচাতে চান ? এজাতির আত্মশুদ্ধির জয়যাত্রা শুরু হোক এই বিচার থেকেই । এখানে প্রশ্নের কোন সুযোগ নেই । তবে আওয়ামী লিগ বিচারকে রাজনৈতিক হাতিয়ার হিসাবে ব্যবহার করছে - এ পুরোপুরি উড়িয়ে দেওয়া যায় না ( বিচারকের লিকড ভিডিও থেকে ) , আবার বিএনপি নিজের শরিক দল জামাতের কিছু নেতা এর আওতায় থাকায় তারাও বিষয়টা নিয়ে জল ঘোলা করছে ।



৪ জামায়াত নিষিদ্ধ



প্রথমেই বলে নেওয়া ভালো ধর্মীয় রাজনীতির পক্ষে আমি । রাজনৈতিক দল একটি মতাদর্শের উপরগ ঠিত হয় , আওয়ামী লিগ বঙ্গবন্ধুর আর বিএনপি জিয়াউর রহমানের আদর্শের ভিত্তিতে প্রতিষ্ঠা লাভ করেছে । জামাত ইসলামের নীতিকে নিজেদের প্রধান ভিত্তি মেনে দল বানিয়েছে । কিন্ত সমস্যা হল জামাতের মাথায় বেশ কজন নামকরা যুদ্ধ অপরাধীরা বসে আছেন । তাদেরকে ডিফেন্ড করার জন্য একটি দল হরতাল ডাকলে , মিছিল-হামলা করলে তাদেরকে জিইয়ে রাখার মানে হয় না । অন্যদিকে রাজশাহী , চাঁপাইনবাবগঞ্জ , দিনাজপুরের ফুলবাড়ি , নোয়াখালি , পাবনার ঈশ্বরদী ,কক্সবাজার , চট্টগ্রামে এদের ত্রাসের রাজত্ব । তাই এদেরকে নিষিদ্ধ করা হোক , কারণ নীতিগত সিদ্ধান্তে যাদের গলদ তাদের অস্তিত্বের প্রশ্নই আসে না । সেই সাথে তাদের অর্থের উৎসও বন্ধ করেতে হবে



আমার অভিজ্ঞতা ঃ অনেকে আমাকে প্রশ্ন করেছেন , জামাতের মত বিএনপি বা আওয়ামীলীগও কোন নীতির ধার ধারে না । তাহলে ওদের কেন নিষিদ্ধ করা হবে না ?

একটি সুন্দর প্রশ্ন । কথাটি সত্য । কিন্ত আপনি কি ভাবেন জামাতকে নিষিদ্ধ করলে তারা বসে থাকবে ? পরদিনই জামাতের লোকজন আরেকটি নতুন নামে দল গঠন করবে , দরকার হলে নিজেদের মূলনীতি বদলিয়ে তারা একটি দল করবে । অনেক লোক নিজেদের জীবনের একটা বিশাল অংশ রাজনীতি করে এসেছে , তারা আর সেটা ছাড়তে পারবেন না ।আবার উল্টাদিকে জামাত-শিবিরের কর্মীদের নাম শুনলে অনেকেই আবার থুতু ছিটান , তাদেরকে বলছি , মাঠ পর্যায়ে অনেক বিএনপি বা আওয়ামী লিগ কর্মীর দল বঙ্গবন্ধু বা জিয়ার কথা চিন্তা করে কাজ করে , তেমনি ইসলামের খিদমত ভেবে অনেকেই জামাত শিবির করে । এরা ওই জল্লাদ নেতাদের মত নন বরং আপনার চেয়েও শান্তিপ্রিয় এবং চরিত্রবান । না মিশে খালি পেপারে ছবি দেখে আর টিভির তোতাপাখির বুলি শুনে যারা লাফান , মাটিতে নেমে আসুন । উপরোক্ত জায়গা ছাড়া খুব কম জায়গায় উগ্র জামাত কর্মী পাওয়া ভার , এমনকি নিজের এলাকার আওয়ামী বা বিএনপি নেতাদের কথা চিন্তা করে দেখুন , তারা অনেক বেশি দূর্নীতিবাজ ও উগ্র ।



৫ এবং গণজাগরণ মঞ্চ



এটি নিয়ে কথা না বললেই নয় । এর শুরু ব্লগারদের হাত ধরে , সারা বাংলার সাথে আপনি আমি সবাই ছিলাম শাহবাগের চত্বরে । শুরুটা ব্লগারদের হাত ধরেই । পরে বাম রাজনীতিবিদরা আর আওয়ামীলিগের ছাত্র নেতারা এটাকে বানিয়ে ফেললেন তাদের মঞ্চ । মুক্তিযুদ্ধের বিষয়টি আওয়ামী লিগ নিজেদের সম্পত্তি মনে করে , তার বলি হল এ আন্দোলন , স্বঘোষিত ব্লগার এবং স্বাচিপের ঘুষ দিন বদলী নিন এর নেতা ইমরান হোসেন সরকার হয়ে গেলেন এর প্রধান নেতা । অনেকই বলবেন আমি কেন ধর্ম

বিষয়টি এর সাথে জড়িত করছি - এর মূল কারণ রাজীব হত্যা । রাজীব মারা যাওয়ার সাথে সাথে তাকে বলা হল দ্বিতীয় মুক্তিযুদ্ধের প্রথম শহীদ , তার জানাজা করা হল লাইন ছাড়া , ওজু ছাড়া , ছেলেমেয়ে একসাথে । তার এভাব মারা যাওয়া কখনই কাম্য নয় । ব্যাক্তিগতভাবে তিনি একজন নাস্তিক মৌলবাদী , তিনি ইসলামকে জঘন্যতম ভাষায় হামলা করেছেন । (এর বিরুদ্ধে যেসব প্রগতিবাদীরা কথা বলেন , তাদের জন্য প্রমান রাজীবের ফেসবুকের নোট ) প্রশ্ন , রাজীব কি নিজেও জানাজা চাইতেন । এরকম একজন নাস্তিক যে এই আন্দোলনের মূল মঞ্চে জড়িত ছিল না , তাকে কেন্দ্র করে নিজেদের ব্যর্থতা ঢাকতে গিয়ে এরকম সম্মান দেওয়া সাথে জানাজা পড়ানো আসলে এদেশের নব্বই শতাংশ মুসলিমের প্রতি অবমাননা । সরকারের আক্কেল সেলামীর সুযোগে নিয়ে সেখানে জামাতের লোকজন আপনই আমি শহরে বসে থেকে না দেখলেও , গ্রাম্য জনতাকে উত্তেজিত করতে সফল । বাম দলগুলো এটি দিয়ে নিজেদের উত্থান সাথে ধর্মকে সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টায় বিভোর ।এই মঞ্চ বিচারের উপকারের চেয়ে ক্ষতি করেই চলেছে বেশি ।



৬ হেফাজতে ইসলাম ও তের দফা দাবি



হেফাজতে ইসলাম নিয়ে প্রগতিবাদীদের অনেক ল্মফজম্ফ দেখলাম । বাংলাদেশ নাকি আফগানিস্তান হয়ে যাচ্ছে , শেষ বাংলাদেশ , এখন শুরু বাংলাস্তান এই নিয়ে যারা নাচছেন তারা একটু পুথিগত চিন্তা বাদ দিয়ে প্রাক্টিক্যাল চিন্তা করুন ।

এই কয়েকদিন আগেই দেশে দেড়শ লোক মারা গেল । রাজশাহী , চাঁপাইনবাবগঞ্জ , দিনাজপুরের ফুলবাড়ি , নোয়াখালি , পাবনার ঈশ্বরদী ,কক্সবাজার , চট্টগ্রামে জামাতের লোকজন উগ্র । অন্য এলাকায় এদের মিছিল আরেকটা বিএনপি বা জামাতের মিছিলের মতই । আইনের মতে আপনি একজন কনভিক্টেড আসামীকেও গুলি চালাতে পারবেন , যদি সে পালাতে থাকে এবং সেটা হাঁটুর নিচে হতে হবে । সেখানে দেড়শ লোক কিভাবে মারা যায় ? পুলিশের উপর হামলা বা পুলিশের মারা যাওয়ার ঘটনা আমি মানি , তবে যেখানে এদের সংখ্যা দশজনের কম আর পুলিশের দাবিমতে আন্দোলনকারীরা গুলি চালিয়েছিল , সেখানে এটা পরিষ্কার ক্ষমতার রাস্তা পরিষ্কার করতে এটা সরকারের কাজ । আবার এখন প্রগতিবাদীদের সেই কথা , তাহলে বাপু ধর্ম নিয়ে প্রশ্ন কেন ?



প্রশ্ন এই জন্য যে , যখন পুলিশ মাথা ঠেকিয়ে একজন নিরস্ত্র লোককে জামাতের লোকের কথা বলে মেরে ফেলে তখন আপনারা থাকেন না , ভিডিও দেখেন না । দাড়িওলা লোক আর কমদামী বেশভূষা দেখলেই পুলিশ এদেরকে জামাতের লোক বলে ধরে নিয়ে যায় , তাদেরকে দেখে মাইরা ল মাইরা ল চিৎকার করেন । একজন সাধারণ মানুষ , যে কিনা ব্লগই চিনে না , তকে জামাতের লোকজন নাস্তিকের বিরুদ্ধে আন্দোলনে ডেকে নিয়ে যায় । আর রাজপথে পড়ে থাকে পুলিশের আত্মরক্ষার (?) নামে ছোড়া গুলিতে রক্তে রঞ্জিত লাশ । মিছিল করলেই বুকে গুলি করতে হবে একেমন কথা ? এই জিনিসকে যদি আপনি একাত্তরের রাজাকারদের বিরুদ্ধে অভিযানের সাথে মিলিয়ে দেন , তবে বলতে চাই , আমাদের ভবিষ্যত অন্ধকার । এদেশের অধিকাংশ লোকই গরীব ,ধর্ম অধিকাংশের বেচে থাকার প্রথম সম্বল । এদেরকে সহজেই উত্তেজিত করা যায় , তাদেরকে ইচ্ছামত গুলি করে আন্দোলন দমন করা আসলেই উচিত নয় । আর অনেকেই সংখ্যালঘুদের উপর অত্যাচারের প্রশ্ন তুলেন , তারা কি আওয়ামী লিগ নেতাদের শহীদ মিনার ভাঙ্গা বা হিন্দুদের ঘরবাড়ি পুড়ানোর সময় ধরা খাওয়ার বিষয়টি দেখেন নি ? তদন্ত ছাড়াই আড়াল থেকে পাঞ্জাবী আর টুপি দেখে বানিয়ে দিলেন জামাতে লোক ? একজন জামাতের লোকের শেষ ভুল হবে হিন্দুদের মন্দির বাসা ভেঙ্গে নিজেদের পতনের শেষ রাস্তা তৈরী করা । আওয়ামী বা বিএনপির লোকজনকে কোন অভিযোগে ধরা হলে আপনারা প্রোপোগান্ডা বলে চালিয়ে দেন । আর দাড়ি টুপি থাকলেই শিবিরের লোক কেন চালিয়ে দেন ?

এভাবে নির্যাতনের শিকার হয়ে অবশেষে নিজেদের শেষ আশ্রয় হিসেবে এই মঞ্চকে বেছে নিয়েছে দেশের ইসলামী জনতা । এদের তের দফার অধিকাংশ দাবীর সাথে আমি একমত নই এবং এদের বিশাল জনতার মাঝে কিছু জামাতের লোকজন ঢুকে পড়াই বেশি স্বাভাবিক । তের দফা দাবি পূরণ করা এদের চিরন্তন দাবি , এই দাবি পূরণ হবে তারাও জানে । কিন্ত দাড়ি - টুপি থাকলেই মারা যাবে , শিবির বলে হয়রানি এমনকি হত্যাও করা যাবে সরকারকে এমন বিকৃ্ত মনমানসিকতা থেকে সরিয়ে আনার জন্য এই আন্দোলন । যারা টাকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন , নিজেকে জিজ্ঞাসা করুন এত বড় বিশ্ব ইজতেমা কিভাবে অর্থের যোগান পায় ? এই আন্দোলনকে যারা জামাত শিবির বলে চালাতে চান , তারা জেনে রাখুন এটার ভিত্তি হল কওমি মাদ্রাসা , যা্রা মাদ্রাসা বোর্ডের সিলেবাস মানে না বরং দেওবন্দ মাদ্রাসার অনুকরণে কুরআন , তাফসীর , হাদীস এগুলো নিয়ে পড়াশুনা । এদের জামাত শিবিরের সাথে সাপে নেউলে সম্পর্ক । তবে সরকারের হয়রানি এদেরকে বাধ্য করেছে মাঠে নামতে । এরা রাজনীতি চায় না , চায় নিজেদের নিরুদ্রুপ জীবনের অধিকার ।



এরকম মৌলবাদী আন্দোলন গ্রহণযোগ্য নয় । কখনো কি এদেরকে মূল ধারার ভিতরে আনার চেষ্টা করেছেন ? সাহায্যতো দূরে থাক , প্রগতিবাদীরা নরমাল মাদ্রাসার সাথে কওমি মাদ্রাসার পার্থক্যই বুঝেন না বরং নিজেদের উষ্মা প্রকাশেই ব্যস্ত । দশ লাখ লোকের সম্মেলনে এক নারী সাংবাদিকের উপর হামলা নিয়েই তারা উত্তেজিত । এটা আসলে আমাদের কাজ । এদেরকে নয় , সমস্ত বাংলাদেশের শিক্ষা ব্যবস্থাকে এক লাইনে আনতে হবে । খামাখা যারা এদের বিরুদ্ধে হামলা করে মানসিক তৃপ্তি নিতে চান , তারা এই গরিব অসহায় শিশুগুলির জন্য যারা এই মাদ্রাসায় বড় হয় , তাদের জন্য কি করেছেন প্রশ্ন করুন ।



৭ ব্লগার গ্রেফতার

ব্লগার গ্রেফতারের বিষয়টি রহস্যজনক । আমি নিজে এক আসিফ মহিউদ্দীনের ব্লগ ছাড়া কারোর ব্লগ পড়িনি । তিনি ইসলামের বিরুদ্ধে অনেক কিছুই লিখেছেন । বাকি তিনজন এর লেখা নিয়ে কিছুই জামি না । লিঙ্ক দিলে উপকৃ্ত হব । তবে কোন সতর্কবাণী ছাড়া এভাবে হুট করে ধরাটা উচিত হয়নি ,যতই তারা ধর্মের বিরুদ্ধে লিখুক না কেন । আর একই সাথে বাশের কেল্লা টাইপের পেজ বা নাস্তিকতার বিরুদ্ধে প্রতিহিংসা নিয়ে জঘন্য ভাষায় যারা লেখেন , তাদেরও গ্রেফতার করা উচিত বলে আমি মনে করি







পরিশেষে একটাই কথা বলব , এ সরকারের ধর্ম নিয়ে রাজনীতির , বিএনপির জামাতপ্রীতির আর জামাতের ইসলামের ভন্ড ছদ্মবেশ থেকে দূরে সরে আসুন । যেই দলই সমর্থন করুন না কেন , সব দলীয় মদদপুষ্ট পেপার বা টিভির চেয়ে নিজের নৈতিক ভিত্তি শক্তিশালী করতে চেষ্টা করুন ।

মন্তব্য ২ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ১২ ই এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ১১:০৫

পরাজিত মধ্যবিত্তের একজন বলেছেন: সব ঘটনার সঙ্গে দলের কেন্দ্রিয় হস্তক্ষেপ থাকে না। বিচ্ছিন্নভাবে অনেক ঘটনাই ঘটে যায়, যার সঙ্গে কেন্দ্রিয় নীতির কোনো সম্পর্ক নেই। কিন্তু এতে গুয়াডা মারা খায় দল বা সংগঠন। যেমন ধরুন হেফাজতের মিছিলে নারী সাংবাদিকের ওপর হামলা নিশ্চয় হেফাজতের কেন্দ্রিয় সিদ্ধান্ত নয়, বিচ্ছিন্নভাবে কেও ঘটিয়ে ফেলেছে। কিন্তু এতে সংগঠনের ওপরই মারাত্মক নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে। এরকম অনেক ঘটনাই বিচ্ছিন্ন।

আর কোনো সহিংস পরিস্থিতি মোকাবেলায় আমাদের পুলিশ মারাত্মক রকমের দুর্বল। আমার এক আত্মীয় পুলিশ কর্মকর্তাকে জিজ্ঞাসা করেছিলাম, গুলি কেন পায়ে করা হয় না?
তিনি আমাকে বললেন, জান বাঁচানোর ধান্দায় পাগল হয়ে যাই, আর তোমার গুলি কই করবো তা নিয়া চিন্তারই তো সময় থাকে না। পায়ে গুলি করার জন্যও তো লক্ষ্য ঠিক করার সময় লাগে।
আমাদের প্রয়োজনের অধিক সেনাবাহিনী থাকলেও পুলিশের সংখ্যা প্রয়োজনের তুলনায় অত্যন্ত কম। আর অনেক বিষয়েই আপনার সঙ্গে আমি একমত নই।
আমি মনে করি সভ্য জাতি হিসেবে নিজেদের প্রতিষ্ঠিত করতে হলে প্রয়োজন মানবিক বিবেক বোধ তৈরি করা। এই বোধই আসল। এই বোধ না থাকলে ধর্ম কোনো কাজেই লাগে না। (Click This Link)
আপনার একটা কথার সঙ্গে একমত। দেশে একটাই শিক্ষা পদ্ধতি থাকা উচিত। আমাদের দেশে যার টাকা আছে সে পড়ে ইংলিশ মিডিয়ামে। মধ্যবিত্ত শ্রেণীর বাচ্চারা পড়ে বাংলা মিডিয়ামে। আর দরিদ্র শ্রেণীর আশ্রয় হয় এতিম খানা বা মাদ্রাসায়।
আমরা একই দেশে তিনটি জাতি সৃষ্টি করছি। একটা মাদ্রাসার ছেলের সঙ্গে বাংলা মিডিয়ামের একটি ছেলের মিথস্ক্রিয়া সম্ভব নয়। আবার একটা বাংলা মিডিয়ামের সঙ্গে ইংলিশ মিডিয়ামের মিথস্ক্রিয়া সম্ভব নয়।
যাইহোক পৃথিবীতে শান্তির জন্য ধর্মের আবির্ভাব হলেও নির্মম সত্য হলো পৃথিবীর বড় বড় অশান্তির মূলেও রয়েছে ধর্ম । আপনাকে পড়ার আহবান জানাই।

Click This Link

২| ১২ ই এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৩:১৯

সাইদুল হক পাবেল বলেছেন: ভাই আমার মনের কথা বলছেন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.