নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সিসোর১

জীবনের পথে আপনাদের মতই বোহেমিয়ান...আর মত প্রকাশে একজন ব্লগার

সিসোর১ › বিস্তারিত পোস্টঃ

দ্বৈতস্বত্তা ( দ্বিতীয় অংশ )

১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ১১:৫৮

বাসায় কাজ করছিলাম । হঠাৎ সাইলেন্ট করা সেটে ওর মিসকল । কল ব্যাক করলাম কিন্ত ধরার নাম গন্ধ নেই । ভাবলাম , কয়েকদিন দেখা হয় না ,ওর কাছে যাই , কাজটা থেকে ব্রেকও নেওয়া হল । নামার সময় সিড়ির গোড়াতেই দেখতে পেলাম ওকে । যা দেখলাম এখনো মনে পড়লে রক্ত ঠান্ডা হয়ে যায় । ওর শরীর খিচুঁনীর রোগীর মত কাপছে , শক্ত হয়ে আছে ।চোখে মুখে দানবের সাথে যুদ্ধের ভঙ্গি ।ওকে কিভাবে নিজে তুলে নিচে নামালাম জানি না, এরপর রিক্সায় সোজা হসপিটালে

বিশ মিনিট পরের কথা । ইতিমধ্যে আন্টিকে ফোন দেওয়া শেষ । ওর অবস্থা কিছুটা নরমাল , মুখে অক্সিজেন মাক্স । ডাক্তার, আমি ,নার্স সবাই চুপ , খালি দূরে কোন রোগীর স্যালাইনের টুপ টুপ শব্দ । সাথে ফিনাইল আর কর্পূরের বাজে গন্ধ ,আর সবার ভাবলেশহীনমুখ দেখে পুরাই বিরক্ত আমি । কেউ কিছুই বলার প্রয়োজন মনে করছে না । হঠাৎ নার্সকে কিছু বলে আমার দিকে ডাক্তার বললেন ,"আপনি গার্জিয়ান ?"
আমি অস্পষ্ট সুরে হু বললাম । উনি বললেন ," আপনাদের মত কেস লাইফে আরেকবার পেয়েছি । নিজে বড় ভাই বলে কি ছোটজনকে পাত্তা দেন না ? নাকি ওর সমস্যার জন্য ওকে পছন্দ করেনই না ? আপনারা কোন ডাক্তারের কাছে শুনে হরমোন দিয়েছেন ? ওভারডোজে পুরা নার্ভ সিস্টেমের চাপ বেড়ে গিয়ে টেম্পোরারি শকে চলে গেসে ।"
"হরমোন মানে ?"
"আরো কোন হরমোনের ড্রাগস নাকি ? জানেন তো সেক্স হরমোন পিউবার্টির এত পড়ে দিলে কি কি প্রব্লেম হতে পারে ? ওর ডাক্তার কে ? "
এই একটি কথার পর এতদিনের রহস্যর কুহেলিকা চোখের সামনে থেকে নিমেষে সরে গেল । আমি এত দিন কিছুই বুঝতে পারি নি !!!
"আমি ওর নিজের ভাই না। আর পুরো বিষয়টা ওর মা জানে । উনি আসুক ।"
সাত পাঁচ ভাবতে ভাবতেই ওর আম্মা চলে আসল । কিছুক্ষন পর ওর অক্সিজেন মাক্স খুলে দেওয়া হল । ওকে দেখলাম , জানলা দিয়ে শূন্য দৃষ্টিতে বাহিরে তাকিয়ে আছে । সেখানে বর্ষার কালোমেঘের জমাট বাধা হতাশা । ওকে ডিস্টার্ব করার ইচ্ছা হল না ।আমি বসে মোবাইলে অযথাই গুতোচ্ছিলাম , স্মার্ট ফোন দিয়ে আর কিছু না হোক ,ব্রেন এনগেজ রেখে আশপাশ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। আন্টি ফেরত আসলেন । উনার চোখমুখ কান্নার ছাপ , অবশ্য রেস্টরুম থেকে চোখমুখ ধুয়ে এসেছেন বোঝা যায় ।
“ওর কি অবস্থা ?”
“খেল একটু । এখন ঘুমাক । তুমি ওকে কিভাবে পেলে ?”
পুরো ঘটনা খুলে বললাম । উনি এক নাগাড়ে শুনে গেলেন । তারপর অখন্ড নিরবতা । দু জনেই হয়ত বলার কিছু পাচ্ছি না । আমি নিজে ভাবছি উনাকে কিভাবে দূর্জয়ের কথা জিজ্ঞেস করব , গত দু তিন মাসের খটকা এক ধাক্কায় ক্লিয়ার হয়ে যাওয়ার জিনিসটা নিজেই সামলাতে পারছি না ।
“বাবা , ডাক্তারের সাথে ত তোমার কথা হয়েছে । আমি জানি জিনিসটা হয়তো তোমার কাছে অদ্ভূত ঠেকেছে , হয়তবো আমারই আগে বলা উচিত ছিল । হাজার চেষ্টা করেও বলতে পারি নি ।যদি আসল সত্যটা জানার পর ওর কাছ থেকে দূরে সরে যাও ? তুমি দূর্জয়ের প্রথম বন্ধু , ও তোমাকে বড় ভাইয়ের মতই ভাবে , ওর কাছ থেকে তোমাকে আলাদা করার অধিকার কখনোই ছিল না। “
“আন্টি তবে কি ওর কোন হরমোনাল প্রব্লেম ? নাকি-“
“না বাবা । ও তোমাদের মতই । খালি দুটো সত্তা একসাথে । অর্ধেক মানব অর্ধেক মানবী ।“
উঠে যাব কিনা চিন্তা করলাম , কিন্ত সেটাও খারাপ লাগবে । এখন কি বলা উচিত আমার ? হঠাৎ আন্টি নিজের মনেই কথা বলতে লাগলেন । বলুক । ।বিশাল দায়মুক্তির ভার চেপে বসেছিল উনার উপর , কথাগুলো বলে নিজেও হাল্কা হতে চান ।
“ এলাকার আর দশটা মেয়ের মতই ছিল আমার জীবন । অনার্স পড়তে পড়তেই বিয়ে হয়ে গেল আমার । পাত্র ব্যাঙ্কে ভালো চাকুরী করে , বাবা মা সবাই খুশি , স্বামী একটু চুপচাপ হলেও স্বপ্নের মধ্য দিয়ে যেন ছ মাস কেটে গেল । একদিন টের পেলাম , আমার মধ্যে নতুন প্রাণ বাসা বেধেঁছে । আমাদের জীবনের সবচেয়ে আনন্দের দিন । এরপর হাজারো কল্পনার মধ্যে দিয়ে এক দিন দুই দিন করে ডেলিভারীর ডেট ঘনিয়ে এল । হাসপাতালে ভর্তি হলাম । নরমাল বাচ্চা । বাচ্চা ক্লিন করার পর ডাক্তার আমার কাছে নিয়ে আসলেন , আমি চুপচাপ ওর দিকে তাকিয়ে থাকলাম । এত ছোট বাচ্চাটা আমার পেটে ছিল কিভাবে ? এখন দূনিয়াতেই বা সে কিভাবে এসে মানিয়ে নিল ? অ্যান্সথেসিয়ার প্রভাব কিনা জানি না , একটা ঘোর লাগা অনুভূতির সাথে প্রথম নিজেকে সার্থক মনে হচ্ছিল ।যাক ও কথা । আমার হাসব্যান্ডের দিকে হঠাৎ চোখ পড়ল ,ও যখন কোন ঝামেলায় পড়ে ভ্রু এমনিভাবে কুচকে থাকে । তবে বাবুর কি কোন সমস্যা ? ডাক্তার কি কিছু বলেছে ? “ এভাবে কতক্ষ্ণ কেটে গেল মনে নেই । এক সময় ওর বাবা আমার কাছে এসে আসল কথাটা জানাল । আমার পায়ের নিচ থেকে যেন মাটি সরে গেল । না ও আমার দিকে তাকাতে পারছে না আমি ।
সেদিন রাতেই ডিসিশন হয়ে গেল , কাল সকালে ওকে হিজড়াদের হাতে তুলে দেওয়া হল। পুরো সময়টা চুপচাপ থেকে আমি স্বামী , বাবা মা , দেবর ,ভাই সবার আলোচনা শুনে গেলামব । আমাকে কেউ জিজ্ঞেসা করার জন্য একবারও ভাবল না । শুধু বাবুকে দুই হাত দিয়ে চেপে ধরলাম । আমি কি করে ওদের বিরুদ্ধে যাব ? আজকে যার জন্ম , কাল ও আরেকটা সমাজের অংশ হয়ে যাবে ? কখনও নিজের বাবা মাকে জানবে না , চিনবে না ? ও খাবে কিভাবে , ঘুমাবে কিভাবে ?
সেদিন তাড়াতাড়ি ঘুমিয়ে গেলাম । হঠাৎ রাতে ঘুম ভেঙ্গে গেল । হাত বাড়িয়ে খুঁজলাম , কিন্ত ওকে না পেয়ে মন কেমন যেন করে উঠল । তবে কি রাতের মধ্যেই আমাকে না জানিয়ে সব করে ফেলল ? নার্সকে ডাক দিলাম । ওকে নাকি ইনফেন্ট্রি ওয়ার্ডে নিয়ে যাওয়া হয়েছে । আমি ওর কাছে নিয়ে যাতে বললাম । নার্স বলল আমার সেলাই তখনও ভালোভাবে শুকোয়নি , যেতে পারব না । আমি জোর করে উঠলাম । উঠার পর হালকা ব্যাথা টের পেলাম , তবুও দেখার জন্য মন আকুপাকু করছিল । ধীরে ধীরে ওর হাত ধরে ওয়ার্ডের দিকে এগুলাম । সব রুমগুলো প্রায় অন্ধকার থাকলেও এই রুমে দিনের মতই লাইট জ্বালানো । একে একে ঘুরতে ঘুরতে ওকে পেয়ে গেলাম । চারিদিকে তোয়ালে দিয়ে মোড়ানো , উপরের দিকে ছোট দুটি চোখ নিয়ে তাকিয়ে আছে , আর কোন সাড়া নেই । ওকে কোলে তুলে নিলাম । এত বাচ্চার মাঝখানেও ও সবার থেকে আলাদা আমার কাছে । ওকে না দেখলে যদি মন এত অস্থির করে তাহলে ওকে কিভাবে দিয়ে দেব অন্যের হাতে ?ওকে রুমে নিয়ে এসে ঘুমিয়ে পরলাম ।
সকালে উঠেই জানলাম , দূর্জয়কে নেয়ার জন্য কয়েকজন চলে এসেছে । বিছানার এক পাশে আমার হাসব্যান্ড বসে , ওর চোখে পানি ।কোলে থাকা বাবুর দিকে তাকিয়ে দৃষ্টি আড়াল করছে যেন ।
বললাম, “আমি ওকে ছাড়ব না ।“
ও আবাক দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকল ।আমাকে বোঝানোর চেষ্টা করল । নিজের বাচ্চা ছেড়ে থাকলে কি ও নিজেও ভালো থাকবে? কিন্ত বাবু আমাদের সমাজের অংশ নয় , হতেও পারবে না ।ওকে কেউ স্বীকার করবে না ,ফ্যামিলীর কেউ রাজি হবে না এভাবে অনেক কিছুই শোনালো । কিন্ত আমি কেন ওকে আলাদা হতে দেব ? মানুষের কত বিকলাঙ্গ প্রতিবন্ধী বাচ্চা হয় তবুও তারা কি বাচ্চাদের আলাদা করে দেয় ? সেখানে আমার বাচ্চা পুরোপুরি সুস্থ , কোমরের নীচে একটু আলাদা বলে ওকে সারাজীবনের জন্য চোখের আড়াল করে ফেলব ?
এরপর যা হওয়ার তাই হল ।আমি আলাদা হয়ে গেলাম , একঘরে । প্রথমে শ্বশুরবাড়ি , পরে স্বামী । স্বামীর মনোভাব প্রথমে স্বাভাবিক ছিল , পরে সবার চাপে পড়ে আলাদা হয়ে যেতে বাধ্য হল ।
বাবার বাড়িতে এসে কখনো আগের ব্যবহার পাইনি । বাবা নাতিকে খুব ভালবাসতেন , অনেকেই হয়তো আমাকে মনে মনে সাপোর্ট দিত , অনেকে লুকিয়েও সাহস দিত, কিন্ত আশপাশের রক্তচক্ষুর ভয়ে কেউ সামনাসামনি এগিয়ে আসত না । এরপর থেকে মোটামুটি ও আমার জীবনের সবকিছু ।“
“আপনার স্বামী এরপর কখনোই কিছু করেন নি ? মানে নিজে থেকে বাবা হিসেবে ?”
“ক্লিনিক থেকে সোজা নিজেদের বাসায় গিয়ে উঠি । এরপর ওর বাড়ির হাজারো চাপে অনেকদিন ভালোই সাপোর্ট দিয়েছে । বাড়ির কেউ কিছু বললে চুপ করে থাকত , পরেরদিকে বাড়িতে যাওয়া বন্ধ করে দিয়েছিলো । এভাবেই মোটামুটি ভালই চলছিল ,খালি কেউ “ভাই , বাচ্চা কি ছেলে না মেয়ে ?” জিজ্ঞেসা করলে ওর মুখ কালো হয়ে যেত । ওকে ছেলে বলে অনেকদিন পরিচয় দিয়েছি । কিন্ত একবার ব্যাপারটা ফাঁস হয়ে গেল। বাড়ির চাপ আর আশেপাশের মানুষের আজব কথাবার্তা শুনে ও তখন প্রায় পাগলপারা ।এরপর ধীরে ধীরে সম্পর্ক ফিকে হতে লাগল । দূর্জয়কে ভুলে দুজনেই ঝগড়া আর ভবিষ্যত নিয়ে মেতে থাকতাম । আমি চাইতাম বিদেশে চলে যেত ,কিন্ত ও এখানে ওর ক্যারিয়ার ছেড়ে যেতে রাজি ছিল না ।
শেষে দুইজনই বিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত নিলাম । তখন দূর্জয়ের বয়স দুই । এরপর প্রায়ই মাঝে মাঝে ওকে দেখতে আসত । ও আবার একটা বিয়ে করল ।ঐ সংসারেও দুই মেয়ে আছে ।এখন খুব কম দেখতে আসে । অবশ্য আসলেও ওর দেখা পায় না ।ও বলে,’আমাকে আমার বোনদের সাথে দেখা করিয়ে দাও । তা না হলে আমাকে দেখতে আসবে না ।‘ বেচারার খুব বেশি দোষ নেই, দুর্জয়ের বোনদের নিয়ে আসতে চাইলেও এখনকার ওয়াইফের জন্য পারে না । শেষবার পুরো দিন ওর রুমের বন্ধ দরজার সামনে দাড়িয়ে ছিল ,তবুও খোলে নি । “
“ এরপর আমি সরকারী কলেজের লেকচারার পদে চাকুরী পেলাম । প্রতি বছর আমরা দুজন এক জায়গা থেকে আরেক জায়গায় ট্রান্সফার হয়ে যেতাম । না হলেও নিজেই করতাম ,এক জায়গায় বেশিদিন থাকলে যদি টের পেয়ে যায় । ও ধীরে ধীরে বড় হতে লাগল। স্কুলে ভর্তি হল । ওর চেহারার পরিবর্তন কিছুটা চোখে পড়ল সবার । সবচেয়ে বড় ব্যাপারটা হল কথা বলার স্টাইল আর দশটা ছেলের মত ছিল না । ক্লাস ফোর ফাইভে উঠে ছেলেরা টিজ করা শুরু করল । প্রথম প্রথম লুকিয়ে কাদত , পরে টের পেয়ে আমি সাহস দেওয়া শুরু করলাম ।এরপর ক্লাস এইটে উঠার পর একবার ক্লাসের ছেলেরা মিলে বাথরুমে নিয়ে যা করল আমার বলতেও লজ্জা করছে । ওই ঘটনার পর ছয় মাস ওকে রুম থেকে বের করে আনতে পারি নি । স্কুলে নালিশ দিলে কেউ কিছুই করে নি , বরং হেডমাস্টার ওকে সরিয়ে নিতে বললেন। ততদিনে ওই এলাকায় জানাজানি হয়ে গেছে । এলাকার হর্তাকর্তা আর সুশীলরা জানাল , আমার অদ্ভূত সন্তানের ছায়া তাদের ছেলেমেয়ের উপর পড়ুক তা তারা চায় না । এরপর ওই এলাকা ছেড়ে ট্রান্সফার নিলাম আরেক জেলা শহরে । সেখানেও একি অবস্থা ।আর ও ছেলেদের দেখলেই ভয়ে অস্থির হয়ে যেত ।পরে ওকে নিজে ইংরেজী শেখালাম । স্কুল না থাকায় আর আগ্রহ নিয়ে নিজেই রান্নাটা শিখে ফেলল । অফিস থেকে আসলে মা রান্না দেখে একটু হাসি দেবেন –এই জন্যই নিজে একাই সব তৈরী করত । বছরখানেক বাদে ঢাকায় ট্রান্সফার নিলাম এই ভেবে যে প্রাইভেটে ও লেভেল আর এ লেভেল দেওয়াবো । আর আঁকাআঁকি তো সাথে চলছেই । ঠিক করেছি , এ লেভেল শেষ হলে দেশের বাহিরে পাঠিয়ে দেব । অন্তত ঐ জায়গায়তো তো চেহারার আগে গুণ বিচার করে ।“
“আপনি একা থাকতে পারবেন ?”
“ কখনো মনে হয় পারব । কখনো মনে হয় সম্ভব না । নিজেও ওর সাথে যাওয়ার চেষ্টা করব । আর ও নিজেও তো কখনো আমাকে ছেড়ে থাকে নি । দেখা যাক সামনে । “
এরপর আমার দিকে মুখোমুখি তাকালেন ,” এখানে আসার পর বাবা তুমিই ওর জীবনের প্রথম বন্ধু । তার আগে কাছের বলতে আমাকে বুঝত । তোমার সাথে মিশে ও এখন অনেকটাই স্বাভাবিক । তোমাকে নিয়ে হাজারো গল্প তার। এমনকি ছেলে হওয়ার ইচ্ছা তৈরী হয়েছে ওর মধ্যে । এমনিতেও ছেলেদের বৈশিষ্ট্যই বেশি ছিল । এরপর ডাক্তারের কাছে নিয়ে যাওয়ার পর ওকে কিছু হরমোনের ঔষধ দেয় । দুবার সার্জারীও হয়েছে । কিন্ত এত বয়ে্সে হরমোন চেঞ্জ করতে গেলে কিছু সাইড ইফেক্ট পরবেই ,যেটা আজকে হয়েছে । বাবা , তুমি কিন্ত এখন ওর রোল মডেল । তোমার মতই হওয়ার স্বপ্ন দেখে ও । আজকে জানার পর তুমি ওকে ছেড়ে যেও না বাবা !! প্লিজ ওকে একটু সঙ্গ দাও । এরপর ওর নিজের পথ ও নিজেই খুঁজে নেবে ।”
চোখের জল যে কখন গালে এসে শুকিয়ে গেছে নিজেও টের পাইনি ।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.