![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত। লেখকের অনুমতি ব্যতীত যে কোন কবিতা, গল্প, ছড়া, ছবি পোস্ট করা হতে বিরত থাকবেন।
ছোট ছোট ফুল শিশুরা
সুর কলরব সুখ আনন্দ
বিদ্যালয়ের রুমের ভিতর,
তুলেছিল হাসির ছন্দ।
কেউ বা হাঁটছে বারান্দাতে
কেউ বা হাসে - বেঞ্চে বসে
কেউ বা দৌঁড়ায় সবুজ মাঠে,
বেড়ায় কেউ বা রুমে চষে।
হাসিগুলো মিলায় হাওয়ায়;
যেতে হবে গোরের ঘরে
ফুল শিশুরা জানতো কী আর,
কিয়ামত যে একটু পরে!
কেউ তো আহা, করেনি আঁচ,
কোথা হতে আসলো বিপদ
কে বা জানতো এখানে আর
ফুল শিশুরা নয় নিরাপদ।
পাখির মত ডানা মেলে
ফুল শিশুরা উড়তো মাঠে,
টিচার এসে বলতো বুঝি;
মনোযোগ দাও পড়া পাঠে।
কত শত দুষ্টুমি যে
বিদ্যালয়ের রুমে রুমে;
কেউ কী জানতো খানিক বাদে
যাবে তারা চির ঘুমে।
কী হাহাকার মা বাবাদের;
হাওয়ায় মিলায় শোক আর্তনাদ,
কত শত পরিবারে
পড়লো ধ্বসে বজ্র নিনাদ।
জান্নাতের ফুল ওগো প্রভু
রেখো তাদের জান্নাত ঘরে;
শোক ক্ষমতা মাতা পিতার
বুকে সাজাও থরে থরে।
©কাজী ফাতেমা ছবি।
৩১ শে জুলাই, ২০২৫ বিকাল ৪:০২
কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: ধন্যবাদ আপু
২| ২৩ শে জুলাই, ২০২৫ সকাল ৮:১৫
ডঃ এম এ আলী বলেছেন:
কবিতাটি যেন এক শোকবিহ্বল প্রার্থনার গুঞ্জন, যেখানে শব্দেরা চোখের জলের মতো ঝরে পড়ে হৃদয়ের পাতায়।
ঢাকা শহরের মাইলস্টোন কলেজের যে হৃদয়বিদারক বিমান দুর্ঘটনায় কতিপয় ফুলের মতো শিশু আমাদের ছেড়ে
চলে গেল, আপনি সেই মর্মান্তিক বিদায়ের মুহূর্তগুলোকে গভীর মমতায় ও ব্যথার করুন গাথায় এঁকে দিয়েছেন।
প্রথম কয়েকটি স্তবক আমাদের নিয়ে যায় একটি জীবন্ত দৃশ্যপটে বিদ্যালয়ের রুম, বারান্দা, মাঠে ছুটে বেড়ানো,
হাসিমাখা মুখগুলো, দুষ্টুমি, শিক্ষকের ডাক; সবকিছু যেন জীবনের স্বাভাবিক ছন্দ। শিশুরা ছিল জীবনের গান,
আনন্দের প্রতিচ্ছবি, যাদের উপস্থিতি ছিল প্রতিটি প্রাঙ্গণে প্রাণের ঝংকার।
কিন্তু হঠাৎ সব থেমে গেল, যেন একটি ভীষণ বজ্রপাত, যেন স্বপ্নের ভেতর ঢুকে পড়ল দুঃস্বপ্ন।
“হাসিগুলো মিলায় হাওয়ায়/ যেতে হবে গোরের ঘরে “ এই পঙক্তি কেবল বিষাদের বিবরণ নয়,
এটি এক নির্মম বাস্তবতার মুখোমুখি দাঁড় করায় আমাদের।
কবিতায় করা প্রশ্ন “কে বা জানতো এখানে আর/ফুল শিশুরা নয় নিরাপদ”এই প্রশ্ন শুধু শোক নয়, একটি সামাজিক
ও নৈতিক জিজ্ঞাসাও। আমাদের সমাজ, রাষ্ট্র, প্রযুক্তি, অব্যবস্থাপনা কোনো এক অদৃশ্য জালের ভেতর এই নিষ্পাপ
প্রাণগুলো আজ নিরাপদ নয়, এ উপলব্ধি আমাদের ব্যথিত করে।
শেষের দিকে কবিতায় আহ্বান“জান্নাতের ফুল ওগো প্রভু / রেখো তাদের জান্নাত ঘরে” এই পঙক্তি যেন আমাদের
সকলের মনের প্রার্থনা। আপনি শুধু শিশুদের জন্য দোয়া করেননি, সেই মাতাপিতার বুকে শোক বহনের শক্তি
দেওয়ারও আবেদন করেছেন আল্লাহর দরবারে।
এই কবিতাটি আমাদের শুধু কাঁদায় না, আমাদের সচেতন করে, আমাদের মনে করিয়ে দেয় জীবন কতটা অনিশ্চিত,
শিশুদের নিরাপত্তা কতটা গুরুত্বপূর্ণ, আর শোক কিভাবে একটি জাতির বিবেক নাড়িয়ে দিতে পারে। কবিতায় ঝড়ে
পড়া ব্যথা আমাদের সবার ব্যথা হয়ে ওঠেছে যেন।
এ কবিতা কেবল একটি করুণ ঘটনার স্মারক নয়, এটি হয়ে উঠেছে সময়ের এক নিঃশব্দ দলিল, একটি সমষ্টিগত
হৃদয় বেদনার ভাষ্য।
অনেক অনেক শুভেচ্ছা রইল
৩১ শে জুলাই, ২০২৫ বিকাল ৪:০৩
কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: অনেক সুন্দর মন্তব্য। এই মন্তব্যগুলা আমার জন্য অনেক অনুপ্রেরণামূলক। জাজাকাল্লাহ খইর ভাইয়া
আল্লাহ আপনাকে সুস্থ ও নিরাপদ রাখুন ফি আমানিল্লাহ।
৩| ২৩ শে জুলাই, ২০২৫ বিকাল ৩:২৩
সৈয়দ মশিউর রহমান বলেছেন: হৃদয় বিদারক।
৩১ শে জুলাই, ২০২৫ বিকাল ৪:০৩
কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: আসলেই। ভোলা যায় না
ধন্যবাদ
©somewhere in net ltd.
১|
২২ শে জুলাই, ২০২৫ বিকাল ৫:৪৯
সেজুতি_শিপু বলেছেন: ভালো কবিতা।