![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত। লেখকের অনুমতি ব্যতীত যে কোন কবিতা, গল্প, ছড়া, ছবি পোস্ট করা হতে বিরত থাকবেন।
বয়সের আগুনে পুড়ে একদা বিপদগামী হতেই পারে মানুষ,
কেউ শিক্ষা পায় প্রচন্ড শাস্তি পেয়ে,
আর কেউ শাস্তি পেয়ে বেঁচে গেলে, ফের উড়ায় পাপ আকাশে মোহ ফানুস
ফের যায় পাপের জলে নির্দ্বিধায় নেয়ে;
মানুষ ইহকালের সুখে নুয়ে পড়ে, কিছু অর্থ অবৈধ উপায়ে পেয়ে।
বিপদে পড়েই মানুষ টুপি মাথায়, গিয়ে দাঁড়ায় জায়নামাজে,
হাতে তছবি নিয়ে করুণাময়ের নাম করে জপ,
বিপদ হতে উদ্ধার পাওয়ার কত আকূতি জমা বুকের মাঝে,
সহসাই বুকের বাড়ীতে অনুতাপের বাতি জ্বলে উঠে দপ;
মহানুভবের করুনায় বিপদের এ যাত্রা পার করে মানুষ সুখী
ভুলে যায় পূর্বের অনুতাপ,
আবারও বিত্ত বৈভব নিজ করে পেতে সব, যাত্রা শুরু করতে হয় উর্ধ্বমুখি,
বিপদমুক্ত মানুষের মনে বেড়ে যায় অহংকারের উত্তাপ।
কেউ কেউ প্রভুর অনুরক্ত থেকে যায়, শুদ্ধ পথে চলার করে শপথ
অল্পতেই তুষ্টি, তাঁর প্রতি কৃতজ্ঞতা পড়ে নুয়ে,
ইবাদতে মশগুল হয়ে বলে প্রার্থনায়, প্রভু যেনো না মাড়াই আর ভ্রান্তির পথ;
বুক জমিনে কেউ কেউ পরবর্তী জীবনে শুদ্ধতাই রাখে রুয়ে।
যারা ফিরে না ভুল পথ হতে, জীবন তাদের নিয়ে যায় গহীন অচেনা পথে
যে পথ হতে ফেরার নেই উপায়, যে পথ ধ্বংসের পথ,
জরাজীর্ণ জীবন কাছে টেনে মানুষ, উঠে সহসা কষ্ট হাওয়ার রথে,
সব হারিয়েও মানুষের মন হতে সরে না হিংসা অহম, বেছে নেয় বিপথ।
©কাজী ফাতেমা ছবি
১৮/০৮/২৫
২| ১৮ ই আগস্ট, ২০২৫ সন্ধ্যা ৬:০৭
জুনায়েদ আহমেদ নেজাদ বলেছেন: উল্লাস আর সাঁতারের নির্যাসে যখন মানুষ দেখে তার বেঁচে থাকার অধিকার ফুঁড়িয়ে যাচ্ছে ঠিক তখনই সে অনুতপ্ত হওয়ার মুখোশ পড়ে। যার সময়সীমা খুবই সীমিত
৩| ১৮ ই আগস্ট, ২০২৫ রাত ৮:৪৭
বিজন রয় বলেছেন: আপা, অনেক দিন আগে আপনার কবিতা লেখার ধারা পরিবর্তনের কথা বলেছিলাম। বলেছিলাম অন্য কারো কথায় কান না দিয়ে নিজের মতো করে লিখতে থাকুন, একদিন পরিবর্তন আসবে।
এই কবিতায় সেই পরিবর্তনটা পাচ্ছি। এটা অনেক ভালো একটি ব্যাপার।
আপা, একটি অনুরোধ করবো যখন কবিতা লিখতে বসবেন রবীন্দ্রনাথের আমলের আগে বা পরের কবিতার ধারার কথা মাথা থেকে ঝেড়ে ফেলবেন।
“বয়সের আগুনে পুড়ে একদা বিপদগামী হতেই পারে মানুষ” ......... যদি কিছু মনে না করেন তো বলবো একদার স্থানে একদিন লিখলে আরো ভালো লাগত বলে মনে করি।
এই কবিতায় ওরকম ভাব আরো আছে। ওগুলো এড়াতে পারলে কবিতাটি একবারেই এই সময়ের মতো হয়ে উঠবে।
আপা লিখুন।
শুভকামনা।
৪| ১৮ ই আগস্ট, ২০২৫ রাত ৮:৫০
বিজন রয় বলেছেন: আপা, এই কবিতাটির মূলভাব অনুধাবন করে রবীন্দ্রনাথের পোস্টমাস্টার গল্পের শেষ কটা লাইন মনে পড়ল............................
"হায় বুদ্ধিহীন মানবহৃদয়! ভ্রান্তি কিছুতেই ঘোচে না, যুক্তিশাস্ত্রের বিধান বহুবিলম্বে মাথায় প্রবেশ করে, প্রবল প্রমাণকেও অবিশ্বাস করিয়া মিথ্যা আশাকে দুই বাহুপাশে বাঁধিয়া বুকের ভিতরে প্রাণপণে জড়াইয়া ধরা যায়, অবশেষে একদিন সমস্ত নাড়ী কাটিয়া হৃদয়ের রক্ত শুষিয়া সে পলায়ন করে, তখন চেতনা হয় এবং দ্বিতীয় ভ্রান্তিপাশে পড়িবার জন্য চিত্ত ব্যাকুল হইয়া উঠে।"
৫| ১৮ ই আগস্ট, ২০২৫ রাত ৯:১৬
কামাল১৮ বলেছেন: সবাই বদলায়। কেউ ভালোর দিকে কেউ খারাপের দিকে।কারণ পৃথিবীতে কোন কিছুই স্থির না।সব কিছু চলমান।পৃথিবী নিজেও স্থির না।
©somewhere in net ltd.
১|
১৮ ই আগস্ট, ২০২৫ বিকাল ৫:২০
লোকমানুষ বলেছেন: মানুষের স্বভাবের দ্বন্দ্ব বড় স্পষ্টভাবে ফুটে উঠেছে আপনার কবিতায়। সত্যিই যেন তাই, আমরা বিপদে পড়ে অনুতপ্ত হই, প্রার্থনায় ভেঙ্গে পড়ি, আর বিপদ কেটে গেলে আবারও সেই পুরোনো ভুলের পথে হাঁটতে শুরু করি।
আবার কিছু মানুষ অনুতাপে শুদ্ধ হয়, কৃতজ্ঞতায় নত হয়ে জীবন কাটায়।
শৈল্পিকভাবে পাঠকের ভাবনার আত্ম উপলব্ধি তৈরি করতে সমর্থ হয়েছে আপনার কবিতা।
ধন্যবাদ, কবিতাটি শেয়ার করার জন্য।