নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

চৌধুরী সাকিব

চৌধুরী সাকিব › বিস্তারিত পোস্টঃ

দুই সেট লোক তত্ত্ব !

০১ লা জুলাই, ২০১৪ বিকাল ৪:৫৯

সাপ্তাহিক ছুটির দিন যেকোনো অফিস,কল-কারখানার একটি স্বাভাবিক বৈশিষ্ট্য । বাংলাদেশে শুক্রবারই সাধারণত সাপ্তাহিক ছুটির দিন হিসেবে পালন করা হয় । অবশ্য বিভিন্ন ব্যাঙ্ক,স্কুল সহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে শুক্র-শনি ২ দিন সাপ্তাহিক বন্ধ দেখা যাই।

তবে বিভিন্ন বেসরকারী অফিস,মার্কেট বিভিন্ন স্থানে সোম,মঙ্গল অন্যান্য দিনেও সাপ্তাহিন ছুটির দিন হিসেবে পালন করা হয় । এতে জনসাধারণকে বিভিন্ন ভোগান্তিতে পড়তে দেখা যায়। অনেকে গুরত্বপূর্ণ কাজ করতে এসে দেখে প্রতিষ্টানটি খোলা নেই। ব্যাঙ্কসমূহ শুক্র-শনি ২ দিন বন্ধ থাকায় অনেক গুরুত্বপূর্ণ কাজ-কর্ম অর্থের অভাবে স্থগিত থাকতে দেখা যায় ।

সাপ্তাহিক ছুটির দিনগুলোতে দেশের জিডিপি ব্যাপক পরিমাণ কমে যায় । একটি দেশের লক্ষকোটি টাকা ব্যয়ে তৈরি অবকাঠামো কোন কাজে আসে না । কোটি কোটি টাকা দামের মেশিনারিস অলস পড়ে থাকে।

তাইবলে আমি দেশের মানুষকে প্রত্যেকটি দিন গাধার মত খাটানোর পক্ষপাতী নই। সারা সপ্তাহে অমানুষিক খাটুনির পর এই দিনগুলো মানুষের জীবনে বুস্ট হিসেবে আসে। তারা পরিবারের সাথে অনেকদিন পর সময় কাটাতে পারে, দুরের কোথাও ঘুরতে যায়, টিভি-সিনেমা দেখে , বেঁচে থাকার অর্থ খুঁজে পায়। কিন্ত এই সাপ্তাহিকদিনগুলোর ব্যাপক পরিমাণ অর্থনৈতিক ক্ষতির কথাও অস্বীকার করা যায় না।

এসমস্যার একটি সহজ সমাধান আছে। প্রত্যেকটি প্রতিষ্ঠান যদি ২ সেট লোক নিয়োগ করে তবে দেশের কোন অর্থনৈতিক কার্যক্রম স্থবির হয়ে থাকত না। তারা সপ্তাহে ৪ দিন , ৪ দিন করে কাজ করবে (৩ দিন ফুল,একদিন হাফ)। একসেট রবি,মঙ্গল,বৃহস্পতি ও শুক্রবার সকালে কাজ করলে , আরেকদল শনি সোম,বুধ ও শুক্রবার বিকেলে কাজ করবে।

এতে বিভিন্ন প্রকার সুবিধা আছে যেমন

১/ রিসোর্সের পূর্ণ ব্যবহার হবে।

২/ সময়ের পূর্ণ ব্যবহার হবে।

৩/ দ্বিগুণ পরিমাণ কর্মসংস্থান হবে।

৪/ সকলে আউটসোর্সিংসহ বিভিন্ন অর্থনৈতিক কাজকর্মে নিজেকে জড়িত রাখতে পারবে।

৫/ যারা অফিসের কারণে নিজেদের দোকানপাট ,ব্যবসা-বাণিজ্য দেখাশোনা করতে পারে না তারা উপকৃত হবে।

৬/ ছুটির দিনগুলোতে বিভিন্ন বিনোদনস্পটগুলোতে ভিড় কম থাকবে।

৭/ ট্রাফিক কিছুটা কমবে।

৮/ বিভিন্ন পরিবার আছে যেখানে স্বামীস্ত্রী দুইজনেই সারাদিন অফিস করে । ফলে তাদের বাচ্চাদের ঠিকমত দেখাশোনা করতে পারে না। আমার এক পরিচিত দম্পতি আছে যাদের বাচ্চার বয়স ৬ বছর পার হওয়ার পরেও কথা বলতে পারে না, শুধু কার্টুন দেখলে একটু হাসতে দেখা যায়। এধরণের হাজার হাজার পরিবার এতে উপকৃত হবে

৯/ মানুষ একসময় অন্যান্য প্রাণীর মত খদ্যনির্ভর প্রাণি ছিল। তাদের সকল কাজকর্মের প্রধান উদ্দেশ্য ছিল খাদ্যসংগ্রহ। সভ্যতার অগ্রগতির সাথে সাথে তারা বিভিন্ন শিল্প- সাহিত্যের অগ্রগতি করলেও বর্তমান কর্পোরেট লাইফ তাদের আবার রোবটে পরিণত করছে। এ পদ্ধতি চালু থাকলে তারা আবার বেশি করে বইপত্র পড়ার মাধ্যমে,সিনেমা দেখে নিজেদের মেধা ও জ্ঞান বৃদ্ধি করতে পারবে।

মন্তব্য ৩ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৩) মন্তব্য লিখুন

১| ০১ লা জুলাই, ২০১৪ বিকাল ৫:০৯

ইমাম হাসান রনি বলেছেন: দুঃখজনক হলেও সত্য বাংলাদেশে এটা সম্ভব না /:)

০১ লা জুলাই, ২০১৪ রাত ৯:২৬

চৌধুরী সাকিব বলেছেন: সম্ভব নয় কেন?

২| ০১ লা জুলাই, ২০১৪ বিকাল ৫:২০

চাদের আলোয় বলেছেন: ভালো তত্ত্ব

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.