নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

কারো কেউ নয়তো আমি,কেউ আমার নয়...

ডিজিটাল যাযাবর

প্রযুক্তিবিদ এবং প্রযুক্তি-উদ্যোক্তা ।মূলত কাজ করি অনলাইনে,পাশাপাশি সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং ও অনলাইনভিত্তিক উদ্যোক্তা হিসেবে বিভিন্ন প্রশিক্ষণ নিয়ে কাজ করে যাচ্ছি।চাইলেই ইঞ্জিনিয়ারিংকে পেশা হিসেবে বেছে নিয়ে স্বাচ্ছন্দ্যে জীবন পার করে দিতে পারতাম। কিন্তু যাযাবরের জীবন আমাকে টানে খুব। তাই সব ছেড়ে যাযাবরের মতো চষে বেড়াচিছ এক দেশ থেকে আরেক দেশ। আমি যখন যেদেশে আমার স্যুটকেস রাখি সেটাই তখন আমার দেশ,আমার ঘর-বাড়ি।আমি একজন বিশ্ব নাগরিক।এবং কোনো নির্দিষ্ট এলাকায় বেশিদিন থাকি না।।

ডিজিটাল যাযাবর › বিস্তারিত পোস্টঃ

প্রতিহিংসা !!

০৩ রা আগস্ট, ২০১৫ ভোর ৫:৩৫

আওয়ামী প্রতিহিংসা ভয়াবহ এক জিনিস। যে দ্বিজাতি তত্ত্ব প্রতিষ্ঠায় শেখ হাসিনার বাবা শেখ মুজিবুর রহমান নন্দিত,যে অভিযোগ থাকার পরও তার বিয়াই কুখ্যাত রাজাকার নুরু মিয়ার ছেলে এবং শান্তি কমিটির নেতা খন্দকার মোশাররফ মন্ত্রী, সেই একই অভিযোগে সালাউদ্দীন কাদের চৌধুরীর ফাসী !!
বিচারের নামে এই প্রহসন দেখে কেউ কেউ বলছেন.প্রেম আর বিয়ের প্রস্তাব ফিরিয়ে দিয়ে হাসিনা বুবুকে হাতে আংটি না পরানোর কারণেই সালাউদ্দীন কাদের চৌধুরীর ফাঁসি হচ্ছে !! যুদ্ধের সময় তিনি বাংলাদেশে ছিলেন না তো কি হয়েছে, তার বাপ তো বাংলাদেশে ছিলেন এবং মুসলিম লীগ নেতা ছিলেন। ঠিক যেন ঈশপের নেকড়ে আর মেষশাবকের গল্প।একবার নদীতে পানি খেতে থাকা নাদুসনুদুস এক মেষশাবককে দেখে নেকড়ের খুব লোভ হলো।অজুহাত খুজতে লাগলো এবং পেয়েও গেলো। তাকে বললো তুই পানি ঘোলা করছিস, সুতরাং তোকে আমি এখন খাবো। নিরীহ মেষশাবক বললো হুজুর আমি তো ভাটিতে দাঁড়িয়ে পানি খাচ্ছি, পানি আসছে আপনার ঐদিক থেকে। আমি কিভাবে আপনার পানি ঘোলা করলাম? 'তুই না করিস, তোর বাবা করেছে।আমার বাবার সময়তো এই খালই ছিল না? তাহলে তোর কোনো পূর্ব পুরুষ বা কেউ তো করেছে,' এই বলে মেষশাবকের উপর ঝাঁপিয়ে পড়ল নেকড়ে।এই হলো গল্প। আর তার উপদেশটি ছিল 'দুর্জনের অজুহাতের অভাব হয় না।'
সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর আইনজীবিরা দাবী করেছিলেন ১৯৭১ সালের ২৯ মার্চ পাকিস্তানে গিয়েছিলেন পড়ালেখার উদ্দেশ্যে। সেখানে তিনি পাঞ্জাব ইউনিভার্সিটিতে ভর্তি হন এবং মাস্টার্স পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে চলে যান বিলাতে।তিনি ১৯৭৪ সালের আগে আর কখনো বাংলাদেশে ফেরেননি।যুদ্ধের সময় কোন অপরাধ করে থাকলে তাঁর বাবা করেছিলেন। তাঁর বাবাকে জেলখানায় হত্যাও করা হয়েছে। কিন্তু সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর বিরুদ্ধে তখন কোন মামলা হয়নি। কোন থানায় জিডিও হয়নি। কারন তিনি দেশেই ছিলেন না। তিনি দেশে ফিরেছিলেন শেখ মুজিবুর রহমানের শাসনামলে ১৯৭৪ সালে। তখন দেশে ফিরতে তাঁকে বাংলাদেশের পাসপোর্ট নিতে হয়েছিল। এই পাসপোর্ট নিতে একজন সংসদ সদস্যের সুপারিশ ছিল। সেই সুপারিশ করেছিলেন আওয়ামী লীগ নেতা আবদুল কুদ্দুস মাখন।সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী এই দাবীর স্বপক্ষে তাঁর পাসপোর্ট এবং তাঁর ক্লাশমেট বর্তমানে হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি শামিম হাসনাইন এবং তাঁর ঘনিষ্ঠবন্ধু শেখ হাসিনার উপদেস্টা সালমান এফ রহমানকে সাক্ষ্য মেনেছিলেন। বিচারপতি শামিম হাসনাইন সাক্ষ্য দেয়ার জন্য প্রধান বিচারাতি এবং ট্রাইব্যুনালে চিঠিও দিয়েছিলেন। শামিম হাসনাইন ছিলেন পাঞ্জাব ইউনিভার্সিটিতে সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর ক্লাশমেট। এছাড়া সালমান এফ রহমানের সাথে পাকিস্তানে বার বার দেখা হয়েছে বলে দাবী করেছেন সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী। পাকিস্তানের সাবেক দু’জন মন্ত্রীকেও সাক্ষ্য মেনেছিলেন তিনি। তাদের বাংলাদেশে আসতে ভিসা দেয়নি পাকিস্তানে বাংলাদেশ হাইকমিশন। প্রশ্ন হচ্ছে ট্রাইব্যুনাল কেন তাঁর এই আবেদনের কোনটাই আমলে নিল না??
প্রায় একই প্রশ্ন ইংরেজি দৈনিক নিউ এজ-এর সাংবাদিক ডেভিড বার্গম্যান তার ফেসবুক স্ট্যাটাসে ছুড়ে দিয়েছেন-
১/ কেন সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর ২৯ মার্চ করাচী যাত্রা এবং সেখানে অবস্থানের পক্ষে দেয়া তার প্রমানকে আমলে নেয়া হয়নি?
২/ কেন সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর পক্ষে মাত্র ৫জনের বেশি সাক্ষীকে আদালতে উপস্থাপনের সুযোগ দেয়া হয়নি? যেখানে রাষ্ট্রপক্ষের ৪১জন সাক্ষীকে আদালতে উপস্থাপনের সুযোগ দেয়া হয়েছে।
৩/ আদালতে সাক্ষী উপস্থাপনের সুযোগ না পাওয়ায় সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর আইনজীবীরা ছয়জন সাক্ষীর এফিডেবিট আদালতে উপস্থাপন করেছিলেন, যারা নিশ্চিত করেছেন যে যুদ্ধচলাকালীন সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী পাকিস্তানে অবস্থান করছিলেন। সেই এফিডেবিটগুলোকে ট্রাইবুনাল খারিজ করে দেয়নি, কিন্তু যথাযথভাবে উপস্থাপন করা হয়নি এই অযুহাতে সেগুলো আমলে নেয়নি। কেন?
৪/ করাচীতে সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর সাথে নিয়মিত দেখা সাক্ষাৎ করা বাংলাদেশের বিশিষ্ট নাগরিক সালমান এফ রহমান এবং বিচারপতি শামিম হাসনাইনের সাক্ষ্য কেন গ্রহণ করা হয়নি, যেখানে ছয়জন সাক্ষী বলেছেন যে তারা করাচীতে সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর সাথে নিয়মিত যোগাযোগ রাখতেন? সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী দোষী হলে অবশ্যই তাকে শাস্তি দিতে হবে, কিন্তু তাকে আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ বঞ্চিত করে জুডিশিয়াল কিলিংকে সমর্থন করা যায় না।
ডেভিড বার্গম্যানের প্রশ্ন গুলোর সঠিক উওর কেউ দিতে না পারলেও অনেকেই অনেক কমেন্ট করেছেন। আওয়ামী মনা কেউ কেউ বলেছেন, একাত্তরের অপরাধের চেয়েও সাকা নিজেকে সাধারণ মানুষের কাছে সবচেয়ে বেশি ঘৃণার পাত্র হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছেন মূলত, তুচ্ছ্য -তাচ্ছিল্যতাপূর্ণ অশ্লীল অমানষীয় অঙ্গভঙ্গির মাধ্যমে। বর্তমান প্রধানমন্ত্রীকে প্রকাশের অনুপোযোগী অশ্লীল ভাষায় তুচ্ছ -তাচ্ছিল্য এবং অসম্মান করে।তার ফাসীই হওয়া উচিত।
তাই যদি হয় তাহলে অন্যকে অশ্লীল ভাষায় তুচ্ছ -তাচ্ছিল্য এবং অসম্মান করার দায়ে বর্তমান অবৈধ প্রধানমন্ত্রীর কত বার ফাসী হওয়া উচিত ?? হ্যা , সালাউদ্দীন কাদের চৌধুরী বেফাস কথা বলেছেন।তিনি বলেছেন,আঙ্গুল দেখাবেন না "ওই আঙ্গুলে রিং পরানোর কথা ছিলো ।'যখন তত্ত্বাবধায়ক নিয়ে একসঙ্গে আন্দোলন করেছিলাম, তখন আমি ছিলাম তার চাচাতো ভাই। কত ভালোবাসা! নিজের হাতে রান্না করে আমাকে খাইয়েছে। আর যেই আমি বিএনপিতে যোগদান করলাম, তখনই যুদ্ধাপরাধী হয়ে গেলাম। বিএনপিতে যোগ দেওয়া আমার জন্য কবিরা গুনাহ হয়েছে।'প্রধানমন্ত্রীর পরিবারের সঙ্গে তার ঘনিষ্ট যোগাযোগের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেছেন “ছাত্রজীবনে শেখ মুজিব আমার বাবার শিষ্য ছিলেন। আমি কোনো সংগঠনের সদস্য ছিলাম না। আমার দোষ হইল, আমি ফজলুল কাদের চৌধুরীর ছেলে।'
তিনি মিথ্যা বলেননি । অনেকেই জানে না আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলায় শেখ মুজিবুর রহমানের একজন আইনজীবি ছিলেন ফজলুল কাদের চৌধুরী। শেখ মুজিবুর রহমান তার কাছ থেকে নিয়মিত মাসোহারাও পেতেন। না আমি এ তথ্য দিয়ে ফজলুল কাদের চৌধুরীকে মুক্তিযোদ্ধা প্রমাণ করার চেস্টা করছি না কিন্তু সত্যিকার ইতিহাস মানুষকে জানাতে আওয়ামীলীগের এত অনীহা কেন? শেখ মুজিবুর রহমানের সাথে ফজলুল কাদের চৌধুরীর যে স্বাধীনতা উত্তর কালে সুসম্পর্ক ছিল সেটা শেখ মুজিবুর রহমান তার নিজের “অসমাপ্ত আত্মজীবনীর” বহুস্থানে লিখেছেন। ভাগ্যের নির্মম পরিহাস হলো যাকে আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা থেকে বাচাতে তিনি লড়েছেন,পৃষ্ঠপোষকতা দিয়েছেন আজ তার মেয়ের হাতেই তার ছেলের .....

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.