নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

কারো কেউ নয়তো আমি,কেউ আমার নয়...

ডিজিটাল যাযাবর

প্রযুক্তিবিদ এবং প্রযুক্তি-উদ্যোক্তা ।মূলত কাজ করি অনলাইনে,পাশাপাশি সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং ও অনলাইনভিত্তিক উদ্যোক্তা হিসেবে বিভিন্ন প্রশিক্ষণ নিয়ে কাজ করে যাচ্ছি।চাইলেই ইঞ্জিনিয়ারিংকে পেশা হিসেবে বেছে নিয়ে স্বাচ্ছন্দ্যে জীবন পার করে দিতে পারতাম। কিন্তু যাযাবরের জীবন আমাকে টানে খুব। তাই সব ছেড়ে যাযাবরের মতো চষে বেড়াচিছ এক দেশ থেকে আরেক দেশ। আমি যখন যেদেশে আমার স্যুটকেস রাখি সেটাই তখন আমার দেশ,আমার ঘর-বাড়ি।আমি একজন বিশ্ব নাগরিক।এবং কোনো নির্দিষ্ট এলাকায় বেশিদিন থাকি না।।

ডিজিটাল যাযাবর › বিস্তারিত পোস্টঃ

এতক্ষনে অরিন্দম কহিলো বিষাদে !!

৩১ শে আগস্ট, ২০১৫ সকাল ৯:০৬

জাফর ইকবাল স্যার আবার লেখায় চলে আসবেন, ভাবি নি। না ,স্যারের চৈতন্য হয়নি, স্যারের হুশ ফেরেনি।আর কত অপদস্থ,অপমান হলে তার হুশ ফিরবে তার চৈতন্য হবে , আল্লাহ মালুম !!

পোয়েটিক জাস্টিস বলে একটা কথা আছে । অবশ্য তিনি যদি বুঝতেন আওয়ামী বাকশালীদের অন্যায় অত্যাচার কতোদূর যেতে পারে, তাহলে সেই ১৯৭৪ এ যখন তাকে সহ তার পরিবারকে রক্ষীবাহিনী বাড়ি ছাড়া করেছিলো সে সময়ই তিনি বুঝতেন ।তিনি বুঝতেন ১৯৯৬ এর আওয়ামী লীগ সরকারের লুটপাট, গুন্ডামি দেখে , রেপের সেঞ্চুরী দেখে , প্রতিটা সিষ্টেমে আওয়ামী লীগের নষ্টামি ঢুকানো দেখে। স্বজনপ্রীতি আর দলীয় করন দেখে । তিনি বুঝতেন ২০০৮ এর আওয়ামী লীগ সরকারের ভন্ডামি,শেয়ার বাজার লুট,ব্যাংক লুট,ঘুষ,দূর্নীতি সহ হত্যা,গুম,খুন দেখে।তিনি বুঝতেন ৫ জানুয়ারীর অবৈধ নির্বাচনের মাধ্যমে তাদের অবৈধ সরকার গঠন দেখে আর সেই অবৈধ সরকার আর তার ছাত্র সংগঠনের দাপট দেখে। কিন্তু একচোখা নীতির কারনে তিনি দেখেও দেখেননি,বুঝেও বুঝেননি।বরং যখনই তার কলম সচল হয়েছে আওয়ামী ফ্যাসিবাদের সমর্থক হয়ে বাকশাল বিরোধীদের পিষ্ট করতে চেয়েছে।

তিনি যদি আগে থেকে সাদা কে সাদা আর কালোকে কালো বলার অভ্যাস করতেন", সোনার ছেলেদের প্রশ্রয় না দিয়ে মায়ের গর্ভের শিশু হত্যার প্রতিবাদ করতেন,শত শত মানুষ গুম ও খুন হতে থাকলেও নিশ্চল পানির মতো শান্ত না থাকতেন। বাতিঘর অধ্যাপক আনু মুহাম্মদের পা ভেঙ্গে দেওয়ার প্রতিবাদ করতেন,জাতির ক্রান্তিকালে ধ্যান মগ্ন পীরের ভূমিকা না নিতেন, ৬৯‘রের গণ অভ্যুত্থানের ছাত্রনায়ক অধ্যাপক মাহবুবউল্লাহকে টিএসসিতে পেটানোর প্রতিবাদ করতেন ,বুয়েট শিক্ষককে জয় বাংলা দিয়েই পিটানোর খুশিতে হাততালি না দিতেন, চেতনার ফিল্টার বানিয়ে এবং লিখে লিখে আওয়ামী লীগের সব অনিয়ম,অত্যাচারকে ভ্যারিফাই না করতেন, তাহলে হয়তো আজকের এই দিন তাকে দেখতে হতোনা। এই ঘটনার জন্য উপযুক্ত পটভূমি তিনি নিজেই তৈরি করেছেন। অপাত্রে মুক্তা ছড়িয়েছেন।

যাহোক, আওয়ামী বাকশালীরা মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বা আদর্শ কোনটাই ধারন করেনা।ধারন করার যোগ্যতাও রাখেনা। ফ্র্যানকেনস্টাইন বিবেক দিয়ে চলে না স্যার। আপনি যাকে তৈরি করেছেন, তার পথে আপনি কাঁটা হয়ে দাঁড়ালে সে আপনাকেও ছাড়বে না। আপনার জন্য সত্যি কষ্ট লাগছে ,স্যার। যাদেরকে সারা জীবন বুক দিয়ে আগলে রাখলেন ,শিক্ষকদের ওপর তাদের ন্যাক্কারজনক হামলার লজ্জায়,ঘৃণায়,শোকে আর জয় বাংলা স্লোগানের অপমানে আপনি নিস্তব্ধ নির্বাক হয়ে বসে আছেন ,নিসঙ্গ বৃষ্টিতে ভিজছেন। চোখের অশ্রু লুকানোর ব্যাথর্ চেষ্টা করছেন, গলায় দড়িও দিতে চেয়েছেন। এর চেয়ে বিব্রতকর পরিস্থিতি আর হতে পারে না। তবে কি স্যার ,পূর্বাহ্নের পাপকে প্রশয় দিলে অপরাহ্নে এরূপ কথা বলা ছাড়া উপায় থাকে না। এখনও হুশ ফেরান স্যার!! আপনাকে এই অবস্থায় দেখতে ভালো লাগেনা।আপনাকে এই অবস্থায় দেখলে আরাম আয়েশের জীবন ছেড়ে আর কোন মেধাবী এক বুক স্বপ্ন নিয়ে দেশে ফিরবেনা!! দেশে ফেরার সাহসও পাবেনা। আমাদের মুক্তিযুদ্ধ এখনও শেষ হয়নি স্যার।আমাদের চেতনা,আদর্শ ,দেশ, সম্মান, অধিকার সব লুট হয়ে গেছে স্যার। আপনি উঠে দাড়ান। আপনাকে আমাদের দরকার। ভীষন দরকার।

বিশ্ববিদ্যালয় হচ্ছে সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠ। বিশ্ববিদ্যালয় পার্টি অফিস নয়, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। এখানে শিক্ষক নিয়োগ হবে মেধার ভিত্তিতে। ভিসির নিয়োগও তাই হবে। মেধা এবং যোগ্যতার ভিত্তিতে। সারা পৃথিবীতে একমাত্র বাংলাদেশেই ভিসি হোন রাজনৈতিক যোগ্যতায়, দলীয় বিবেচনায়। ছাত্র রাজনীতির কথা আর নতুন করে বলার কিছু নেই। পৃথিবীর কোনো দেশে আমাদের দেশের মতো ক্যাম্পাস ও হল দখল করে মূলত ঠিকাদারি ব্যবসা নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে অর্থ কামানো আর রাজনৈতিক দলের লাঠিয়াল হিসেবে ছাত্ররা ব্যবহৃত হয় না। এমনকি আমাদের প্রতিবেশী দেশগুলোর দিকে তাকালেও এ রকম দেখা যায় না। পাকিস্তান আমলে ভাষা আন্দোলন, সামরিক শাসন বিরোধী আন্দোলন এবং আমাদের মুক্তিযুদ্ধে ছাত্ররা গৌরবোজ্জ্বল ভূমিকা রেখেছে। এই দোহাই দিয়ে কিছুসংখ্যক রাজনৈতিক নেতা ও বুদ্ধিজীবী এখনো ছাত্ররাজনীতি চালু রাখার পক্ষে সাফাই গান।অথচ বর্তমান প্রেক্ষাপটে যার কোনো ভিত্তি নেই। স্যার ,আপনার কলমটা একটু ছাত্র এবং শিক্ষক রাজনীতি ব্যবচ্ছেদ করার কাজে ব্যবহার করুন। ছাত্র রাজনীতি-শিক্ষক রাজনীতি সম্পূর্ণ বন্ধ বা কার্যকরভাবে নিয়ন্ত্রণ করার জন্য জনমত গঠনে কলম ধরুন। যদি আপনার লেখনীর মাধ্যমে শক্তিশালী জনমত ও জন আন্দোলন গড়ে তোলা যায় তাহলে দেশের তিন-চারটা মৌলিক সমস্যার অন্তত একটার সমাধান পাওয়া যেতে পারে।

আমরা জয় বাংলা স্লোগান দিয়ে আপনার সহধর্মিণী সহ শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের ওপর ছাত্রলীগের ন্যাক্কারজনক হামলার তীব্র নিন্দা জানাই ।

পুনশ্চঃ আমাদের আরেক কলামিস্ট আনিসুল হক এই অবৈধ আওয়ামী সরকারের আমলে বাংলাদেশের অর্জনের তালিকা নিয়ে কলাম লেখেন, তিনি এই ঘটনাটিও সাথে যুক্ত করতে পারেন! অসৎ প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে কখনও কোনো মহৎ লক্ষ্য অর্জিত হয়না। অসৎ প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে,যত মহৎ লক্ষ্যই হোক না কেন, তার ভিত থাকে দুর্বল, পায়ের তলায় মাটি থাকেনা। সেটা এক সময় তারই ভিত অসৎ চর্চার চ্যালেঞ্জের মুখে পড়ে এবং টিকে থাকতে হলে তখন সে সিস্টেমের অসৎ প্রক্রিয়াকে আর বদলানো সম্ভব হয়না, বরং মহৎ উদ্দেশ্যটাই বদলাতে থাকে, আর ক্রমাগত বদলাতে বদলাতে এক সময় পুরোপুরি অসৎ হয়ে যায়। এই সামান্য সত্যটা আমরা সবাই বুঝি, তারপরও নিজের গায়ে এসে পড়ার আগে আমাদের বোধোদয় হয়না, এই যা! আপনার গায়ে এলো বলে.........প্রিয় আনিসুল হক। সাবধান !

খবরের লিংক (ছাত্রলীগের হামলার প্রতিক্রিয়ায় জাফর ইকবাল-আমার গলায় দড়ি দিয়ে মরা উচিৎ) : http://banglamail24.com/news/103865

মন্তব্য ১৬ টি রেটিং +৪/-০

মন্তব্য (১৬) মন্তব্য লিখুন

১| ৩১ শে আগস্ট, ২০১৫ সকাল ৯:৩০

চোরাবালি- বলেছেন: কি সব কন এসব? উনার প্রাণপ্রিয়রা উনাকে একটু বৃষ্টি স্নানের সুযোগ করে দিয়েছেন। সারের সাধ ছিল বৃষ্টিস্নান কিন্তু বিভিন্ন প্রতিবন্ধকতায় সেটি পারছিলেন না। হায় কপাল আমাদের দেশের মিডিয়া!!!! এ ঘটনার মূল ঘটনা না বুঝেই প্রচার করে দিল ভিন্ন নিউজ

৩১ শে আগস্ট, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৪৮

ডিজিটাল যাযাবর বলেছেন: ঠিক বলেছেন, ভাই চোরাবালি । সব মিডিয়ার অপপ্রচার। আসলে শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন শিক্ষক ভিসির রুমের সামনে দাঁড়িয়ে ছিলেন, পড়াশোনা করতে উন্মুখ ছাত্রলীগের পোলাপান তাঁকে ক্লাসে নিয়ে যাওয়ার জন্য একটু টানা হ্যাচড়া করেছে।আর তাদের প্রাণপ্রিয় স্যারকে একটু বৃষ্টি স্নানের সুযোগ করে দিয়েছে। ছাত্র লিঙ্গ এর লিঙ্গরা খুবই ভালো ছেলে। এদের সম্বন্ধে কেও কোনো খারাপ কথা বলবেন না। :)

২| ৩১ শে আগস্ট, ২০১৫ সকাল ৯:৫৮

আমি আবুলের বাপ বলেছেন: শিক্ষক শুধু জাফর স্যার একাই? স্যার কি এসবের প্রতিবাদে বৃষ্টি স্নান করেছেন?
ছাত্রলীগের হাতে পাঁচ বছরে ৬৫ শিক্ষক লাঞ্ছিত।
http://www.rtnn.net/bangla//newsdetail/detail/3/44/118347#.VeSG3Cv-Q2k

৩১ শে আগস্ট, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:১১

ডিজিটাল যাযাবর বলেছেন: না,তিনি একাই নন। আর এসবের প্রতিবাদ করেননি বলেই হয়ত এই দিন তাকে দেখতে হল-আমি সে কথাই বলেছি।ছাত্রলীগের হাতে পাঁচ বছরে ৬৫ শিক্ষক লাঞ্ছিত,তথ্যটা আমার ঠিক জানা ছিলনা। খুবই দু:খজনক ঘটনা। তথ্যের জন্য আপনাকে ধন্যবাদ আবুলের বাপ।

৩| ৩১ শে আগস্ট, ২০১৫ সকাল ১০:৩৫

বিদ্রোহী সিপাহী বলেছেন: ভাই চরম লেখছেন।

কিন্তু উনাকে এসব বলে কিছু বুঝাতে পারবেন বলে মনে হয় না।

উনি সব জেনে বুঝেই অকালকুষ্মাণ্ডদের পক্ষে....

৩১ শে আগস্ট, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:১৫

ডিজিটাল যাযাবর বলেছেন: আপনাকে ধন্যবাদ। বলে বুঝাতে না পারলে আসুন আমরা তার জন্য দোয়া করি, আল্লাহ তাকে হেদায়েত দিন।আমীন।

৪| ৩১ শে আগস্ট, ২০১৫ সকাল ১১:৩২

মামু১৩ বলেছেন: "উনি সব জেনে বুঝেই অকালকুষ্মাণ্ডদের পক্ষে...."----কবে যে উনি রাজাকারদের পক্ষে আসবেন?!

৩১ শে আগস্ট, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৫১

ডিজিটাল যাযাবর বলেছেন: একজন শিক্ষক বা লেখকের পলিটিক্যাল অ্যাক্টিভিস্টের মতো ভূমিকা পালন করা উচিত নয়। তারা জাতির অভিভাবক। তাঁদের কথায়, লেখায় ও অন্যান্য সক্রিয় তৎপরতায় সব সময় সত্যের পক্ষে অবস্থান নেয়া উচিত। “বিদ্রোহী সিপাহী“র হয়ে উওরটা আমিই দিলাম “মামু“। আপনার মত্মব্যের জন্য ধন্যবাদ।

৫| ৩১ শে আগস্ট, ২০১৫ দুপুর ১:৪৪

ক্ষতিগ্রস্থ বলেছেন: ছাত্রলিগ একটা নামকাওয়াস্তে স্যরি-টরি বলবে আর উনি সুরসুর করে আবার লিগের ঢেরায় ঢুকে পরবেন। দালালি করলে মান-ইজ্জত ঝেড়ে ফেলে রেখেই করতে হয়, সেই মান-ইজ্জত আবার ফিরিয়ে আনার প্রশ্ন নেই, মাঝখানে একটু বিনোদনে ভরা নাটক হল আর কি!

৩১ শে আগস্ট, ২০১৫ রাত ৮:০৫

ডিজিটাল যাযাবর বলেছেন: আপনার কথাকে একেবারে উড়িয়ে দেওয়া যায়না। অতীতে এমনটা হয়েছে। আপনার মত অনেককেই তিনি আশাহত করেছেন।যাহোক, হেদায়েতের মালিক আল্লাহ । Let's hope for the best .“Hope is like a road in the country; there was never a road, but when many people walk on it, the road comes into existence.”

৬| ৩১ শে আগস্ট, ২০১৫ বিকাল ৪:০৭

কলাবাগান১ বলেছেন: যদি স্যার রাজাকারদের বিরুদ্ধে কলম ধরতেন, তাহলে এখানে কমেন্ট কারীরা এবং লেখকের গলার সুর হত সহানুশীল.. ঠাট্টা না। আপনাদের জ্বালাটা কোথায় সেটা সবাই বুঝে

৩১ শে আগস্ট, ২০১৫ রাত ৯:১২

ডিজিটাল যাযাবর বলেছেন: আপনি ভুল বলেছেন জনাব। স্যার রাজাকারদের বিরুদ্ধেই কলম ধরেন,তবে সেই রাজাকার যদি হয় আওয়ামী ফ্যাসীবাদ বিরোধী রাজাকার। স্যারের তৈরী চেতনার ফিল্টারে তাই কাদের সিদ্দিকী রাজাকার,জিয়াউর রহমান রাজাকার,এ কে খনদকার রাজাকার,মেজর জলিল রাজাকার,মাহফুজউল্লাহ রাজাকার , নূরুল কবীর রাজাকার , ফরহাদ মজহার রাজাকার,আসিফ নজরুল রাজাকার, পিয়াস করিম রাজাকার,তুহিন মালিক রাজাকার। অার নূরু মিয়া,নূরুল ইসলাম,মোশারফ,মুসা বিন শমসেররা বিরাট মুক্তিযোদ্ধা। ভাসুরের নাম যেমন মুখে আনতে মানা তেমনি এই বেয়াইদের বিরুদ্ধেও তার কলম ধরতে মানা।ঠান্ডা মাথায় একবার চিন্তা করে দেখুন তো,এসব করে তিনি যাদের পারপাস সার্ভ করছেন তারা কি আদৌ মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বা আদর্শকে ধারন করেন??!! না,করেন না। আর এটাই আমাদের মত সাধারন দেশপ্রেমিক মানুষকে পীড়া দেয়। স্যারকে আমি শ্রদ্ধা করি। যাকে শ্রদ্ধা করি ,ভালোবাসি তাকে নিয়ে ঠাট্টা করার প্রশনই আসেনা। স্যারের প্রতি সব সময় সহানুভুতিশীল ছিলাম ,আছি এবং থাকবো ইনশাআল্লাহ।মত্মব্যের জন্য ধন্যবাদ।

৭| ৩১ শে আগস্ট, ২০১৫ বিকাল ৫:৪০

মেঘ বালকের কথা বলেছেন: এই ব্যাটা জাফরইকবালের প্রধান সমস্যা হলো ও জামত-শিবির বিরোধি! ঐ ব্যাটা যদি একবার জামাতের পক্ষে ওর শক্তিশালি কলমটা ধরত তাহলে রেভুলুশন ছিলো অবিসম্ভাবি! যা ব্যাটা লীগের হাতে মাইর খা। বলদ এমিরিকা রাইখা বাংলাদেশে আইছে মরতে...

৩১ শে আগস্ট, ২০১৫ রাত ১০:০২

ডিজিটাল যাযাবর বলেছেন: না ,ভাই মেঘ বালক । জাফর ইকবাল স্যারের প্রধান সমস্যা হলো -তার চেতনা। আর এই চেতনা বড়ই পিচ্ছিল!! সত্য হোক -মিথ্যা হোক আম্লীগের বিরুদ্ধে গেলে সে খারাপ !! এই জাফর স্যার কি আমরা চেয়েছিলাম?? স্যারের এই চেতনা লইয়া আমরা কি করিব!! আমি আগেও বলেছি আবারও বলছি ,একজন শিক্ষক বা লেখকের পলিটিক্যাল অ্যাক্টিভিস্টের মতো ভূমিকা নেয়া উচিত নয়। বিশেষ কোন রাজনৈতিক দলের পারপাস সার্ভ করা উচিত নয় ,লেজুড়বৃত্তি করা উচিত নয়। তারা জাতির অভিভাবক। তাঁদের কথায়, লেখায় ও অন্যান্য সক্রিয় তৎপরতায় সব সময় সত্যের পক্ষে অবস্থান নেয়া উচিত। কিন্তু কোনো শিক্ষকের কথা ও কাজে রাজনৈতিক বা অন্য কোনো স্বার্থ ক্ষুন্ন হলেই তাকে ধরে পেটাতে হবে- এমন দুর্বৃত্তপনাকে এ সমাজ সমর্থন করে না। আমাদের সমাজ যথেষ্ট নষ্ট হবার পরেও সাধারণ মানুষ শিক্ষকদের একটা আলাদা সম্মানের চোখে দেখেন এখনো। এই সব বর্বর ভাবনা আমাদেরকে ঠেলে দিচ্ছে অনেক আগে ফেলে আসা অসভ্যতার কালে।আর অসভ্যতার পক্ষে কখনো কোনো যুক্তি বা অজুহাতই মানা যায় না। ধন্যবাদ।

৮| ৩১ শে আগস্ট, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:০৬

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: তিনি যদি আগে থেকে সাদা কে সাদা আর কালোকে কালো বলার অভ্যাস করতেন", সোনার ছেলেদের প্রশ্রয় না দিয়ে মায়ের গর্ভের শিশু হত্যার প্রতিবাদ করতেন,শত শত মানুষ গুম ও খুন হতে থাকলেও নিশ্চল পানির মতো শান্ত না থাকতেন। বাতিঘর অধ্যাপক আনু মুহাম্মদের পা ভেঙ্গে দেওয়ার প্রতিবাদ করতেন,জাতির ক্রান্তিকালে ধ্যান মগ্ন পীরের ভূমিকা না নিতেন, ৬৯‘রের গণ অভ্যুত্থানের ছাত্রনায়ক অধ্যাপক মাহবুবউল্লাহকে টিএসসিতে পেটানোর প্রতিবাদ করতেন ,বুয়েট শিক্ষককে জয় বাংলা দিয়েই পিটানোর খুশিতে হাততালি না দিতেন, চেতনার ফিল্টার বানিয়ে এবং লিখে লিখে আওয়ামী লীগের সব অনিয়ম,অত্যাচারকে ভ্যারিফাই না করতেন, তাহলে হয়তো আজকের এই দিন তাকে দেখতে হতোনা। এই ঘটনার জন্য উপযুক্ত পটভূমি তিনি নিজেই তৈরি করেছেন। অপাত্রে মুক্তা ছড়িয়েছেন।

অন্ধ হলেই প্রলয় বন্ধ হয় না!!!!!!!!!!!!!!!!

দেখা যাক সরকার এতবড় ন্যাক্কার জনক ঘটনার কি বিচার করে! শিক্ষ সমাজই বা তাদের বিবেক কে জাগাতে পারেন কিনা?

৯| ০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সকাল ৮:০৭

চাঁনপুইরা বলেছেন: "আওয়ামীলীগ কিংবা ছাত্রলীগের সমালোচনা = রাজাকারের প্রশংসা কিংবা রাজাকারের পক্ষাবলম্বন" এই মহান সুত্রের আবিষ্কর্তা কে , কেউ কি বলতে পারেন ?

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.