![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
প্রযুক্তিবিদ এবং প্রযুক্তি-উদ্যোক্তা ।মূলত কাজ করি অনলাইনে,পাশাপাশি সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং ও অনলাইনভিত্তিক উদ্যোক্তা হিসেবে বিভিন্ন প্রশিক্ষণ নিয়ে কাজ করে যাচ্ছি।চাইলেই ইঞ্জিনিয়ারিংকে পেশা হিসেবে বেছে নিয়ে স্বাচ্ছন্দ্যে জীবন পার করে দিতে পারতাম। কিন্তু যাযাবরের জীবন আমাকে টানে খুব। তাই সব ছেড়ে যাযাবরের মতো চষে বেড়াচিছ এক দেশ থেকে আরেক দেশ। আমি যখন যেদেশে আমার স্যুটকেস রাখি সেটাই তখন আমার দেশ,আমার ঘর-বাড়ি।আমি একজন বিশ্ব নাগরিক।এবং কোনো নির্দিষ্ট এলাকায় বেশিদিন থাকি না।।
একজন বলেছেন, মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষা বা প্রশ্নপত্র নিয়ে কিছু লিখলেন না যে !! ভাই,মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষা নিয়ে হোমপেজে আপনাদের অনেকের লেখাতেই আমার মনের কথাগুলো চলে এসেছে। তাছাড়া প্রশ্নপত্র ফাঁস হওয়া নিয়ে আগে আমি নিজেও অনেক লিখেছি। কিনতু কাজের কাজ কিছুই হয়নি। যে দেশের নীতি নির্ধারকরা নিজেরাই সামান্য জর বা সর্দি কাশির চিকিৎসার জন্য বিদেশে দৌড়ান, যে দেশের মন্ত্রী -এমপি, আমলা-গামলারা বিদেশের হাসপাতালে গিয়ে মরেন, যে দেশের ফার্মেসি দোকানী, নিজের নামের আগে ডাঃ লেখেন ! সেখানে মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্ন ফাঁস হলেই কি আর না হলেই কি । আম জনতার জন্য কলিকাতা হারবাল বা কবিরাজই কাফি।
তাছাড়া গরু ছাগল চিনলে যদি গাড়ি চালানোর লাইসেন্স পাওয়া যায় তাহলে ফাঁস হওয়া প্রশ্নের উত্তর দিতে পারলে চিকিৎসা করার লাইসেন্স পাওয়া যাবে না কেন? ডেথ সার্টিফিকেটে সাইন করতে জানলেই হবে। লাইসেন্স দিতে ড্রাইভার হোক বা ডাক্তার হোক, কোন শ্রেণীবৈষম্য এরা করবেনা। এটাই মরহুম আববাজানের স্বপ্ন ছিলো !!
যাহোক ,প্রশ্নপত্র নিয়েও নতুন কিছু বলার নেই । সবই চর্বিত চর্বন।একটা প্রশ্ন দেখলাম : নিচের কোন ব্যক্তি ক্রিকেট খেলোয়াড় নন (!!)?? A) ব্রায়ান লারা B) শেন ওয়ার্ন C) ডেভিড বেকহাম D) শচীন টেন্ডুলকার । জানতে পারলাম এটা মেডিকেল কলেজে ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্নপত্রের অংশ !!
এই প্রশ্ন‘র সাথে মেডিকেলে পড়া বা না পড়ার সমপর্ক কি বলতে পারেন ??!! মেধাবীর ডেফিনেশন কি -কারেন্ট ওয়ার্ল্ড মুখস্ত করা ??!! এটা এক ধরনের তথ্যগত ইনফরমেশন । জানা থাকলে ভাল, না থাকলে নাই ।মেধার মাপ কাঠি কি এই তথ্যগত জ্ঞান ??!! বিসিএস ক্যাডার হতে হলে , বড় আমলা হতে হলে দুনিয়ার মানুষের জন্ম সাল মুখস্ত করবে, কোন দেশের রাজধানীর নাম কি তা মুখস্ত করবে এবং তার দুদিন পর ভুলে যাবে !! এই যেখানে আমাদের প্রচলিত শিক্ষা ব্যবস্থা, সেখানে নতুন আর কিইবা বলার থাকতে পারে !!
বিজ্ঞানী আইনস্টাইন সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দিচ্ছেন । হঠাৎ এক সাংবাদিক প্রশ্ন করল- "স্যার, আপনি কি জানেন ১ মাইলে কত কিলোমিটার ?"
আইনস্টাইন বললেন - " না, আমি জানি না ।"
সাংবাদিকটি সবিষ্ময়ে বললো - " সেকি ! আপনি এত বড় বিজ্ঞানী অথচ এটাও জানেন না??"
উত্তরে আইনস্টাইন বললেন - " যে তথ্য রেফারেন্স বই ঘেটে দুই মিনিটের মধ্যে বের করা যায় সেই তথ্য মস্তিষ্কে জমা রাখতে যাব কেন ? আমি মস্তিষ্ক ব্যবহার করি চিন্তাভাবনার জন্য, অর্থহীন জ্ঞানের গুদাম হিসেবে নয় "।
এবার আমাদের দেশের অবস্থাটা একবার ভাবুন । লিবিয়ার মুদ্রার নাম কি কিংবা কোন দেশকে সাদা হাতির দেশ বলা হয় এইসব মুখস্থ করে করে আমরা কোথাও ভর্তি বা চাকরী লাভের জন্য নিজেদের যোগ্য করে তুলি । কিন্তু একটু ভাবুন তো, ভর্তি বা চাকরী ক্ষেত্রে সত্যিই কি লিবিয়ার মুদ্রার নাম কোন গুরুত্ব বহন করে ??!!
তাই কতৃপক্ষকে বলছি এসব কেন্দ্রীভূত মুখস্থ মার্কা সকল প্রকারের "ভর্তি" পরীক্ষা উঠিয়ে দিন। আর যদি পরীক্ষা নিতেই হয় তবে জয়েন্ট এন্ট্রান্স জাতীয় কিছুর প্রবর্তন করুন। পরীক্ষা নিন অনলাইনে। লাখ লাখ প্রশ্ন নিয়ে বিষয়ভিত্তিক কোয়েশ্চেন ব্যাংক ডেভেলপ করুন। কোয়েশ্চেন সাবমিট করবে শুধু শিক্ষকরা। প্রতিবছর শিক্ষকদের একটা কোটা থাকবে ব্যাংকে কোয়েশ্চেন সাবমিট করার জন্যে। কোয়েশ্চেন রিভিউ এর জন্যে আরেকজন শিক্ষক তার নিজের পোর্টালে শুধু "রিভিউ" নিডেড নোটিফিকেশন পেলে সেই প্রশ্নের কন্টেন্ট দেখতে পারবেন। কিন্তু এডিট করতে পারবেন না। তিনি আগের জনের কাছে ফেরত পাঠাবেন। তিনি আবার এডিট করে সেটা পুনরায় ব্যাংকে দিবেন। শিক্ষকদের প্রত্যেকের আরএসএ ক্রিপটোগ্রাফি বেইজড আইডেন্টিটি থাকবে। সেই পোর্টাল দিয়ে শুধুমাত্র সেই শিক্ষকই প্রশ্ন আপলোড করতে পারবেন। হাতে কোন প্রশ্ন সাবমিট হবে না।কোন রিলেশনাল ডাটাবেজও হবে না । প্রতিটা কোয়েশ্চেন এনক্রিপ্টেড অবস্থায় এনএসকিউএল ডাটাবেইজে জমা হবে। স্ট্রং এনক্রিপশন দিয়ে সার্ভারের হার্ডডিক্স পর্যন্ত এনক্রিপটেড করা থাকবে। এন্ড এন্ড টু এন্ড এনক্রিপশন থাকবে। সার্ভারের এডমিনরাও কোয়েশ্চেনের কন্টেন্ট কখনও দেখতে পারবেন না।পুরো জিনিসটি হবে অটোমেটেড। কোন আমলা-গামলা-হামলার এক্তিয়ারের বাইরে।
এই বলদ সরকারের দিকে না তাকিয়ে মেডিকেল কিংবা বিশ্ববিদ্যালয় কতৃপক্ষ এই সিস্টেমটা দয়া করে ইমপ্লিমেন্ট করুন। রেজাল্ট পাবেন হাতে নাতে। আপনারা (কতৃপক্ষ) চাইলে বিনা খরচে যে কোন টেকনিক্যাল সহযোগিতা দিতে রাজি আছি।
২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ১:১৭
ডিজিটাল যাযাবর বলেছেন: ধন্যবাদ ,তেজসনেত্র।
২| ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সকাল ৯:৩৭
তেজসনেত্র বলেছেন: এই বলদ সরকারের দিকে না তাকিয়ে মেডিকেল কিংবা বিশ্ববিদ্যালয় কতৃপক্ষ এই সিস্টেমটা দয়া করে ইমপ্লিমেন্ট করুন। দারুন পরামর্শ
৩| ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সকাল ১১:৪০
মঞ্জু রানী সরকার বলেছেন: এই বলদ সরকারের দিকে না তাকিয়ে মেডিকেল কিংবা বিশ্ববিদ্যালয় কতৃপক্ষ এই সিস্টেমটা দয়া করে ইমপ্লিমেন্ট করুন। রেজাল্ট পাবেন হাতে নাতে। আপনারা (কতৃপক্ষ) চাইলে বিনা খরচে যে কোন টেকনিক্যাল সহযোগিতা দিতে রাজি আছি। কিন্তু বলদের করুণা লাভের আশাতে তারাও যে বলদ হয়েছে। তবে আপনার সাজেশন আমার খুব পছন্দ হয়েছে। কিন্তু আমরা ছা পোষা কি শুধু চীতকার করে মরবো? বিড়ালের গলায় ঘন্টা বাঁধঘবে কে?
২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ১:১৯
ডিজিটাল যাযাবর বলেছেন: ঠিক বলেছেন,মঞ্জু রানী সরকার।কাউকে না কাউকে বাঁধতে হবে।ধন্যবাদ।
©somewhere in net ltd.
১|
২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সকাল ৯:৩৭
তেজসনেত্র বলেছেন: এই বলদ সরকারের দিকে না তাকিয়ে মেডিকেল কিংবা বিশ্ববিদ্যালয় কতৃপক্ষ এই সিস্টেমটা দয়া করে ইমপ্লিমেন্ট করুন। দারুন পরামর্শ