নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

কারো কেউ নয়তো আমি,কেউ আমার নয়...

ডিজিটাল যাযাবর

প্রযুক্তিবিদ এবং প্রযুক্তি-উদ্যোক্তা ।মূলত কাজ করি অনলাইনে,পাশাপাশি সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং ও অনলাইনভিত্তিক উদ্যোক্তা হিসেবে বিভিন্ন প্রশিক্ষণ নিয়ে কাজ করে যাচ্ছি।চাইলেই ইঞ্জিনিয়ারিংকে পেশা হিসেবে বেছে নিয়ে স্বাচ্ছন্দ্যে জীবন পার করে দিতে পারতাম। কিন্তু যাযাবরের জীবন আমাকে টানে খুব। তাই সব ছেড়ে যাযাবরের মতো চষে বেড়াচিছ এক দেশ থেকে আরেক দেশ। আমি যখন যেদেশে আমার স্যুটকেস রাখি সেটাই তখন আমার দেশ,আমার ঘর-বাড়ি।আমি একজন বিশ্ব নাগরিক।এবং কোনো নির্দিষ্ট এলাকায় বেশিদিন থাকি না।।

ডিজিটাল যাযাবর › বিস্তারিত পোস্টঃ

প্রজন্মকে বিভ্রান্ত করার অপচেষ্টা চলছে!!

২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সকাল ৭:৪৫

আবারো বর্তমান প্রজন্মকে বিভ্রান্ত করার অপচেষ্টা চলছে!! “জিয়ার মরনোত্তর বিচার ও বীর তাহের“ শিরোনামে বিশাল এক রাজনৈতিক কলাম ফেদে বসেছেন নিজেকে বাংলাদেশের বিলগেটস বলে দাবী করা জনাব মোস্তফা জব্বার। প্রজন্মকে বিভ্রান্ত করা, প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানকে বিতর্কিত করা আর হাসিনা ,ইনুর অবৈধ সরকারের অপশাসনকে বৈধতা্ দেওয়াই যার মূল উদেদশ্য। জানিনা এর জন্য তিনি নতুন কোন পদ বা পয়সা পাবেন কিনা! জনাব মোস্তফা জব্বার নিজেকে তথ্যপ্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ হিসেবে প্রচার করতে ভালবাসেন। দেশের আইটি সেক্টরের বহু পদে আসীন তিনি বাংলায় অনার্স ডিগ্রি নিয়ে। বিভিন্ন সময় তিনি বিশেষজ্ঞ কলামের নামে বিভিন্ন আইটি পত্রিকায় রাজনৈতিক কলাম লেখেন। এসব কলামে অনেক সময় দেশের মহামান্য রাষ্ট্রপতিও তার অশোভন উক্তি থেকে রক্ষা পান না। অর্থ্যাৎ এক বিজয় সফটওয়্যারের মাধ্যমে তিনি ধরাকে সরা জ্ঞান করে চলেছেন যা দুঃখজনক। কিন্তু যে বিজয় সফটওয়্যার নিয়ে তিনি এত জলঘোলা করেন, সেটাও তার নিজের তৈরি নয়। বিজ্ঞান না পড়েও অবশ্য আজকাল শুধু বিজ্ঞানমনষ্কই না, পুরোদস্তুর বিজ্ঞানী হয়ে যাওয়া যায় বাংলাদেশে !

বিজয় এসেছে ১৯৮৭ সালে, প্রথমে ম্যাকের জন্য, লেআউট মুনীর চৌধুরীর ডিজাইন করা যেটা মোস্তাফা জব্বার নিয়েছেন সনাতন টাইপরাইটারের লেআউট থেকে, প্রোগ্রামিং করেছিলেন জোশী নামে ভারতীয় একজন প্রোগ্রামার। ২০০০ সালের দিকে উইন্ডোজ অপারেটিং সিস্টেমে ব্যাপক পরিবর্তন আসায় কোড নতুন করে লেখার দরকার হয়, তখন মুনিরুল আবেদিন পাপ্পানা নামের বুয়েটের একজন ছাত্র ( এখন মাইক্রোসফটে কর্মরত ) কাজটা নেন। তার বানানো বিজয় ২০০০-কেই শুধু খোলস পালটে আরো ৩ বছর বিজয় ২০০৩ নামে চালানো হয়। বিজয় ২০০৪ থেকে ২০১০ পর্যন্ত কাজ আরেকজনের করা (অনুমতি না নিয়ে তার নাম বলতে চাচ্ছি না)। বিজয়ের একটা ভার্সনও মোস্তাফা জব্বার নিজে তৈরি করেন নি। এই কাজ করার মত টেকনিকাল দক্ষতা তার আজ পর্যন্ত হয়নি। বরং যারা বিজয় তৈরি করেছিলেন। সেই কাজের জন্য তাদের ক্রেডিট দেয়া দূরে থাক, পাওনাটা পর্যন্ত ঠিকমত পরিশোধ করেন নি মোস্তফা জব্বার। বরং উল্টো পুরো ক্রেডিট তিনি নিজে নিয়েছেন। এবং সম্ভবত প্রতিটা ক্ষেত্রেই তিনি অন্য কাউকে দিয়ে কাজ করিয়ে ক্রেডিট পুরোটা নিজে নিয়ে নেন। অথচ যেখানেই বাংলা কম্পিউটিং বা কি-বোর্ড সংক্রান্ত কাজ হয়েছে সেখানেই জনাব মোস্তফা জব্বার অভিযোগ জানান তা বিজয়ের নকল এবং সেই কাজের ডেভোলপারকে হয়রানি করার চেষ্টা করেন।

তিনি ব্যবসায়ী মানুষ। ব্যাবসা বুঝেন। একাধারে পয়সা ও সন্মান কামানোর জন্য যতটুকু ধূর্ততার প্রয়োজন হয় তা মোস্তফা জব্বারের ভালো করেই আছে। বিজয় দিয়ে বিগত ২৩ বছরে কোটি টাকা কামিয়েছেন । মাইক্রোসফট ১৯৯৯-২০০০ এর দিকে বাংলাদেশে এসেছিল বাংলা সাপোর্ট আর কিবোর্ড যোগ করার জন্য। তখন সরকারী অফিসে লেখনী আর মুনীর কিবোর্ড ব্যবহৃত হত। সেটাই হয়তো মাইক্রোসফট নিয়ে নিত, কিন্তু মোস্তফা জব্বারের হস্তক্ষেপে সেটা বন্ধ হয়। কারণ লেখনী কিবোর্ড কিংবা মুনীর কিবোর্ড যদি অফিশিয়ালি মাইক্রোসফট উইন্ডোজে যুক্ত হত, তাহলে বিজয়ের বাজার বন্ধ হয়ে যেত।
যাহোক,তার কলামে ফিরে আসি। আমি ব্যক্তিগতভাবে তাহের-দর্শনে বিশ্বাসী নই। বাংলাদেশের রাজনীতির কোন পর্যায়েই তিনি ঐতিহাসিক পুরুষ নন। তাকে মহান বিপ্লবী ভাবার তো কোন কারনই নেই । কর্নেল তাহেরকে যারা কবি ভাবেন, মাঝেমধ্যে রোমান্টিক বিপ্লবী ভাবার চেষ্টা করেন, সামান্য ক্যাস্ট্রো বা চে ভাবার কসরৎ করেন এবং যারা তাকে আসমানে রাখেন তাদের কাছে এবং এই নিবন্ধের লেখক জনাব মোস্তফা জব্বারের কাছে কোটি মানুষের মত আমারও প্রশ্ন-

১. কর্নেল তাহের শেখ মুজিবুর রহমানের শাসনামলে একটি বিপ্লবী সৈনিক সংস্থা বানিয়েছিলেন। এটা কি আইন সংগত কোন সংস্থা বা সমিতি ছিল?

২. কর্ণেল তাহের কার লাশ বঙ্গোপসাগরে ফেলে দিতে বলেছিলেন?

৩. সৈনিক সংস্থার সশস্ত্র সিপাহীদের হাতে অনেক অফিসারের বিনাবিচারে মৃত্যু হয়েছে। এদের পরিবার এসব হত্যার বিচার পাবে কি?

৪. অফিসার নিধন ছিল তাহেরের বিপ্লবের অন্যতম লক্ষ্য। অফিসারশূন্য পিপলস আর্মির কাঠামোতে কোন সেনা অফিসারেরই বেঁচে থাকার কথা ছিল কি?

৫. সামরিক অফিসারদের মধ্যে যারা বিপ্লব সমর্থন করবে না,তাদেরকে গ্রেফতার করে কর্নেল তাহের বিপ্লবের সর্বাধিনায়ক হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করতে চেয়েছিলেন কি?।

৬. জেনারেল জিয়ার প্রশ্নে কর্নেল তাহেরের : ‘‘তিনি (জিয়া) ইতোমধ্যে আর্মি থেকে রিজাইন করেছেন। বসে আছে বন্দী হয়ে। তাকে মেরেও ফেলা হতে পারে যে কোন সময়ে। আমরা তাকে মুক্ত করতে পারলে তাকে এক রকম মৃত্যুর কবল থেকে রক্ষা করা হবে।হি উইল বি আন্ডার আওয়ার ফুট। তাকে ক্ষমতায় বসিয়ে প্রথমে আমাদের সব পার্টি লিডারদের কারামুক্তি নিশ্চিত করতে হবে।আমাদের অবস্থাটা খানিকটা অর্গানাইজ্ড হলে সুবিধামতো তাঁকে সরিয়ে দেয়া হবে।’ মূল্যায়ন এরকম ছিল কি?

৭. তাহেরের বিপ্লব সফল হলে জেনারেল জিয়াকেও ফাঁসীতে ঝুলতে হতো কি?

৮. জাসদের সামরিক শাখার প্রধান ছিলেন তিনি। একটি রাজনৈতিক দলের সামরিক শাখা আবার কি জিনিস?

৯. জেনারেল খালেদ মোশাররফ , কর্ণেল হুদা ও হায়দারের খুনী কারা? তাদের সাথে কর্ণেল তাহেরের কি সম্পর্ক ছিল ?

১০. কোন্ রাজনৈতিক দলের নেতা ও সদস্যরা ৭ নভেম্বরে ট্যাংকের উপরে উঠে নাচানাচি করেছিল?

১১. কর্নেল তাহের এবং জাসদ নেতৃত্ব মিলে জেনারেল জিয়া ও তাঁর সরকারকে উৎখাত করার ধারাবাহিক তৎপরতা চালিয়েছিল কি?

১২. শুধু জিয়াউর রহমানের সরকার বলে নয়, অন্য যেকোন সরকার হলে বেআইনী , রাষ্ট্রবিরোধী কার্যকলাপ এর অপরাধে কর্ণেল তাহের অভিযুক্ত হতেন কি ?

১৩. এখন কেউ যদি একটা এরকম সংস্থা বানাতো, তার কি শাস্তি হতো? তাহলে সেটা কি বিপ্লব না অপরাধ?

১৪. মনে করেন দৃশ্যপটে জেনারেল জিয়া নাই, ৭৫ এর ফারুক,রশীদ,ডালিমরা নাই। কর্ণেল তাহের যে সশস্ত্র বিপ্লবের স্বপ্ন দেখতেন সেই স্বপ্ন কার সরকারকে হঠিয়ে ক্ষমতা দখলের? কার বিরুদ্ধে তিনি বিপ্লবী সৈনিক সংস্থা তৈরী করেছিলেন? কোন সরকারকে সামরিক পন্থায় হঠিয়ে তিনি জাসদের ক্ষমতা দখলের স্বপ্ন দেখতেন?

১৫. বিপ্লবী সৈনিক সংস্থার যে পরিমান সদস্য ছিল তাতে একথা সন্দেহ করার যথেষ্ট কারন আছে যে কর্ণেল সাহেব ৭৫ এর ষড়যন্ত্র সম্পর্কে জানলে জানতেও পারেন। তিনি কেন ফারুক রশীদের বিরুদ্ধে সৈনিক সংস্থার সদস্যদের ব্যবহার না করে, জেনারেল খালেদ মোশাররফের বিরুদ্ধে ব্যবহার করলেন?

১৬. তার কার্যকলাপ বিবেচনায় তাকে মহান বিপ্লবী বা ঐতিহাসিক পুরুষ ভাবার কোন কারন আছে কি?

এসব প্রশ্ন যুক্তিসংগত কোন উত্তর জাসদ নেতারা দেন না। তারা কেবল তাহেরের চিঠির লাইন বলেন-”নি:শঙ্ক চিত্তের চেয়ে বড় কোন সম্পদ নাই।” চিঠির লাইন , কবিতার লাইন হিসেবে ভাল। কিন্তু জাসদ নেতারা সেটা বিশ্বাস করেন বলে তো মনে হয় না। করলে তাহেরের পথ থেকে সরে এসে বুর্জয়া দলের হালুয়া পরোটার ভাগ নিতে যেতেন না। করলে তাহের সাহেবের ভাইয়েরা হাসিনার ( তাহের যার বাবার লাশকে সাগরে ফেলে দিতে বলেছিলেন ) বদান্যতায় এমপি,ভিসি হতেন না।

http://www.amadershomoys.com/newsite/2015/08/01/362684.htm#.Vf46OtxVikr

মন্তব্য ২ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সকাল ৯:৩৬

সিপন মিয়া বলেছেন: অনেক কিছুই জানলাম।

২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সকাল ১১:৪৬

ডিজিটাল যাযাবর বলেছেন: ধন্যবাদ, সিপন মিয়া। সাথে থাকুন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.