নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

কারো কেউ নয়তো আমি,কেউ আমার নয়...

ডিজিটাল যাযাবর

প্রযুক্তিবিদ এবং প্রযুক্তি-উদ্যোক্তা ।মূলত কাজ করি অনলাইনে,পাশাপাশি সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং ও অনলাইনভিত্তিক উদ্যোক্তা হিসেবে বিভিন্ন প্রশিক্ষণ নিয়ে কাজ করে যাচ্ছি।চাইলেই ইঞ্জিনিয়ারিংকে পেশা হিসেবে বেছে নিয়ে স্বাচ্ছন্দ্যে জীবন পার করে দিতে পারতাম। কিন্তু যাযাবরের জীবন আমাকে টানে খুব। তাই সব ছেড়ে যাযাবরের মতো চষে বেড়াচিছ এক দেশ থেকে আরেক দেশ। আমি যখন যেদেশে আমার স্যুটকেস রাখি সেটাই তখন আমার দেশ,আমার ঘর-বাড়ি।আমি একজন বিশ্ব নাগরিক।এবং কোনো নির্দিষ্ট এলাকায় বেশিদিন থাকি না।।

ডিজিটাল যাযাবর › বিস্তারিত পোস্টঃ

মাহমুদুর রহমান মুক্তি আন্দোলন!!

২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:৩৬

দৈনিক আমারদেশ সম্পাদক মাহমুদুর রহমানকে আমি ব্যক্তিগতভাবে চিনিনা বা এই পর্যন্ত দেখা সাক্ষাতও হয়নি,তবুও কেন মাহমুদুর রহমান মুক্তি আন্দোলনে আমি শামিল হলাম ? কারন,মাহমুদুর রহমান একজন প্রতিবাদী মানুষ। যেখানেই তিনি অন্যায় দেখছেন, যেখানেই অবিচার দেখছেন, যেখানেই মানবাধিকার লঙ্ঘন দেখছেন সেখানেই তিনি প্রতিবাদ করেছেন। প্রতিরোধ গড়ে তোলার চেস্টা করেছেন। মাহমুদুর রহমান ভারতের পানি আগ্রাসনের বিরুদ্ধে লড়াই করেছেন। গঙ্গার পানির ন্যায্য হিস্যার দাবিতে রাজশাহীতে মহাসমাবেশ করেছেন।টিপাইমুখে বাঁধ দেয়ার বিরুদ্ধে লংমার্চ করেছেন। ভারতকে করিডোর দেয়ার বিরোধিতা করেছেন।সরকারের নিয়ন্ত্রিত সন্ত্রাস, গুম, খুনের বিরুদ্ধে লড়াই করেছেন। অবৈধ সরকারের সব ধরনের অন্যায়-অবিচারকে সুনিপুণ কায়দায় তার সম্পাদিত পত্রিকায় প্রকাশ করেছেন। রেলওয়ে কেলেঙ্কারি,হলমার্ক কেলেঙ্কারি, পদ্মা সেতু কেলেঙ্কারি,ডেসটিনি কেলেঙ্কারি,শেয়ারবাজার লুণ্ঠন সহ হাজারও দুর্নীতির সবিস্তার জনগনের সামনে তুলে ধরেছেন। মাহমুদুর রহমান কাউকে পরোয়া করেননি।তিনি কাউকে পরোয়া না করে সত্য কথা প্রচার করে আমাদের চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছেন মর্দে মুজাহিদ কাকে বলে। গ্যাস ক্ষেত্রে আগুন লাগানোর ক্ষতিপূরন মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানী থেকে কেবল তিনিই আদায় করতে পারেন।বিদেশী রাষ্ট্রদূতকে ধমকিয়ে নিজের অফিস থেকে কেবল তিনিই বের করে দিতে পারেন।তিনি হচ্ছেন বাংলাদেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব ও মানবাধিকার রক্ষার লড়াইয়ের প্রতীক।তার অসম সাহস ও সততা আমাদের যুবসমাজের কাছে আদর্শ।দেশের যুবসমাজ তাকে সাম্রাজ্যবাদ, আধিপত্যবাদ বিরোধিতা ও জাতীয় স্বার্থরক্ষায় আদর্শের প্রতীক হিসেবে গ্রহণ করেছে।

বাংলাদেশে যদি কেউ নিঃস্বার্থ ও নির্ভীক ভাবে দেশের জন্য কাজ করে থাকেন তিনি হলেন মাহমুদুর রহমান।তিনি নিজের জন্য কিছু করেননি। দেশ, স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব, জাতীয় ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি রক্ষার লড়াই করেছেন। আমাদের অধিকার নিয়ে কথা বলতে গিয়ে দুর্বিসহ বিভিষিকাময় জীবন কাটাচ্ছেন।তিনি আমাদের জাতীয় বীর। আমাদের প্রেরনার বাতি ঘর। মাহমুদুর রহমান মানেই দুর্নীতি, অবিচার ও দু:শাসনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ। মাহমুদুর রহমান মানেই অন্যায়ের কাছে মাথা নত না করা। তাঁর মত মজলুম, জাতীয়তাবাদী,সৎ, নিষ্ঠাবান ,সাচ্চা ঈমানদার দেশপ্রেমিক ব্যাক্তির পাশে না দাড়ালে ভবিষ্যতে আর কেউ অন্যায়ের প্রতিবাদ করার সাহস পাবেনা।তাই তার প্রতি যে অবিচার হচ্ছে তাঁর বিরুদ্ধে রুখে দাড়ানো আমাদের সকলের দায়িত্ব।

মাহমুদুর রহমানের বিরুদ্ধে সরকারের আক্রোশ দীর্ঘদিনের । তার বিরুদ্ধে এত আক্রোশের কারণ তিনি অবৈধ সরকার প্রধানের পুত্র তথ্যবাবা সজীব ওয়াজেদ জয় ও তার জ্বালানি উপদেষ্টা তৌফিক ই এলাহী চৌধুরীর বিরুদ্ধে একটি বহুজাতিক জ্বালানী কোম্পানীর কাছ থেকে ৫ মিলিয়ন ডলার ঘুষ গ্রহনের অভিযোগের তদন্ত বিষয়ক বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ প্রকাশ করেছেন। তার বিরুদ্ধে আক্রোশের কারণ তিনি স্কাইপি কথোপকথন প্রকাশ করে জনগনকে প্রহসনের বিচার সমপর্কে সজাগ করেছেন। আর তিনি সব সময় সত্য লিখেছেন, সেগুলো ভারতের তাবেদার অবৈধ হাসিনা সরকারের বিপক্ষে গেছে, এজন্যই হাসিনার বিচার বিভাগ তাকে খুশি করতে আইনবহির্ভূত রায় ঘোষণা করছেন। তাকে অন্যায় ভাবে জেলে আটক রাখায় বরেণ্য আইনজীবী ব্যারিস্টার রফিকুল হক বলেছিলেন, 'আইন পেশায় আমার ৫৪ বছর কেটে গেছে। আমি এখনো বুঝতে পারলাম না কোন আইনে এবং কেন মাহমুদুর রহমানকে জেলে আটক রাখা হয়েছে। কবি ও দার্শনিক ফরহাদ মজহার বলেছেন, একজন প্রতিবাদী নাগরিককে শাস্তি দেবার জন্য নীতি, লজ্জা ও আইনের সীমা কিভাবে লংঘিত হতে পারে মাহমুদুর রহমান তাঁর ঐতিহাসিক নজির হয়ে রইলেন।

মাহমুদুর রহমানকে অসংখ্যবার হত্যার হুমকি দেয়া হয়েছিল। তারপরও তিনি হুমকিতে ভয় পেয়ে পিছপা হননি। মৃত্যুর ঝুঁকি থাকা সত্ত্বেও নিরলসভাবে লিখে গেছেন দেশের মানুষদের জন্য।বীরের মতো নির্ভয়ে হেঁটেছেন তার পথে।তার বিরুদ্ধে বর্তমানে ৬০/৭০টা হয়রানিমূলক মামলা আছে। বিচার বিভাগের কী সুযোগ নেই মামলাগুলোর গ্রহণযোগ্যতা যাচাই করার? অবশ্যই আছে।কোর্টের ইনহ্যারেন্ট পাওয়ার টু ডু জাস্টিস আছে। কিন্তু মাহমুদুর রহমান সত্য ন্যায় বললেও কোর্ট এই ক্ষমতাটা অনুসরণ করেনি। বরং হাসিনার যে দু‘দককে আমরা জানি চোর,ডাকাত আর লুটেরাদের সৎ ,দেশপ্রেমিক আর ভালো মানুষের সার্টফিকেট দেয় তাদেরই করা বিনা দোষে একটি ফালতু মামলার বে আইনি নোটিশে মাহমুদুর রহমানের মত সৎ,দেশপ্রেমিককে সাজা দিয়েছে। জনগনের ৬০০ কোটি টাকা লোপাট করা শেখ আব্দুল হাই বাচ্চুকে দুদক দিয়েছে দায়মুক্তি, আর সরকারের প্ররোচনায় মাহমুদুর রহমানের বিরুদ্ধে দফায় দফায় তদন্ত চালিয়ে দুর্নীতির কোন প্রমাণ না পাওয়ার পরও শুধুমাত্র নোটিশের (বেআইনি) জবাব না দেয়ায় তাকে দিয়েছে ৩ বছরের জেল ! আদালত অবমাননার অপরাধে জনকন্ঠের সম্পাদক দ্বয়কে আপীল বিভাগ দিয়েছে কিছুক্ষণের জন্য দাঁড়িয়ে থাকার শাস্তি ! একই অবমাননার অভিযোগে মাহমুদুর রহমানকে দিয়েছে ৬ মাসের জেল । স্কাইপি ঘটনা যারা ঘটালো তারা রইলো বিচারের বাইরে । আর যে ঘটনা প্রচার করলো তার হলো শাস্তি ।দিস ইস আওয়ামীলীগ। শেখ হাসিনার আওয়ামী লীগ। তারা আইনের তোয়াক্কা করে না। তাই ২ লক্ষ টন গমে ৪২৬ কোটি টাকা কেলেঙ্কারির পরও কামরুল আজও মন্ত্রী ।১৩ বছরের সাজা পাওয়ার পরও হাসিনার মায়ায় মায়া এখনও মন্ত্রী।আজব দেশ আর আজব তার বিচার !তাকে যারা বাই চান্স এডিটর বলেছিলেন,তাদের যোগ্যতা বা বিচার প্রক্রিয়া এমন যে,দলীয় সরকারের নিয়োগ না পেলে তাদের বাইচান্স জজ হওয়াও সম্ভব হতো না।

বিচার বিভাগ মানুষের শেষ আশ্রয়স্থল, ন্যায় বিচারের স্থল। এই জায়গাটা নষ্ট হলে দেশে সুশাসন বলে কিছু থাকেনা। শেখ হাসিনার অধীনে বাংলাদেশের বিচার ব্যবস্থার কফিন হয়েছে অনেক আগেই।তার মনোবাসনা পূরন করতেই বিচার বিভাগকে তার মনের মতো সাজানো হয়েছে।সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী পাশ করার পর বিচারপতিদের ভাগ্য নিধার্রনের দায়িত্ব এখন পুরোপুরি তার হাতে। তাই হাসিনা যাকে চাইবে সেই থাকবে। আবার হাসিনা না চাইলে নিশ্চিত বিদায়। এরই নাম হচ্ছে এখন বিচার বিভাগের স্বাধীনতা।বিচার বিভাগ রীতিমত শেখ হাসিনার দাসে পরিণত হয়েছে। এরকম প্রহসনের বিচার বিভাগ ,এতটা নির্লজ্জ বিচার বিভাগ বিশ্বে আর দু একটি খুঁজে পাওয়া যাবে কিনা সন্দেহ আছে । শুধু কি বিচার বিভাগ ! কমলাপুর ষ্টেশন থেকে শুরু করে গাবতলী বাস ষ্টেশন , আনসার ,পুলিশ ,র্যাব থেকে বিডিআর ,সেনাবাহিনী -কোন বিভাগ আর বিভাজনের বাকী নেই । হায়রে হতভাগ্য জাতি!
আমাদের সর্বজন শ্রদ্ধেয় (!) কলামিস্ট ও বুদ্ধিজীবীগণ অনেক আগেই তাদের মগজ ও কলম দুটিই বন্ধক রেখেছে আত্ন-উন্নয়নে।তাদের বিবেকটাও বন্ধক পড়েছে সংকীর্ণ দলীয় আনুগত্বে। ঠিক একই অবস্থা ছিল তৎকালীর জার্মানিতে যখন নাজিরা ক্রমশ্য শক্তিশালী হচ্ছিল। জেগে ঘুমানো বুদ্ধিজীবী প্রেতাত্বাগুলোকে নাজি উথথানের বিরুদ্ধে জাগিয়ে তোলার চেষ্টা করেছিলেন মার্টিন নওমুলার তার বিখ্যাত পংতিমালার মাধ্যমে-

প্রথম তারা এল কম্যুনিস্টদের ধরতে
আমি প্রতিবাদ করিনি কারন আমি কম্যুনিস্ট নই
তার পর ওরা এল শ্রম নেতা-কর্মিদের ধরতে
আমি প্রতিবাদ করিনি কারন আমি শ্রমিক নই
তার পর ওরা এল জিওসদের ধরতে
আমি প্রতিবাদ করিনি কারন আমি জিওইস্ট নই
তার পর ওরা যখন এল আমায় ধরতে
তখন প্রতিবাদ করার জন্য কেউ অবশিষ্ট ছিল না ।

আজ আমাদের অবস্থাও তাই হতে যাচ্ছে । এই ফ্যাসীবাদী সরকার আর তার দলদাস বিচার বিভাগের বিরুদ্ধে কথা না বলে ,আওয়ামী দু:শাসন, মানবাধিকার লঙ্ঘনের প্রতিবাদে সোচ্চার না হয়ে যারা চুপ থাকবেন তারাও একদিন আক্রান্ত হবেন। অন্যায়ের প্রতিবাদ না করে চুপ থাকলে তা আপনাকেও গ্রাস করবে একদিন। তখন আপনার জন্য প্রতিবাদ করারই কেউ অবশিষ্ঠ থাকবে না!মাহমুদুর রহমানের লেখালেখি, দৃষ্টিভঙ্গি, চিন্তার বিষয়বস্তু নিয়ে হয়তো অনেকের দ্বিমত থাকতে পারে; কিন্তু সেজন্য তাকে গ্রেফতার করে, নির্যাতন চালিয়ে অন্ধকার কারা প্রকোষ্ঠে আটকে রাখা কিছুতেই সমর্থন করা যায়না।
অতএব সংগ্রাম চলবে। ফ্যাসিবাদী এ সরকারের বিরুদ্ধে লড়াই চলবে। হাসিনা সরকারের বিরুদ্ধে সংগ্রাম চলবে। মাহমুদুর রহমান মুক্তি আন্দোলন চলবে।এ আন্দোলন ,এ সংগ্রাম থামবে না। মাহমুদুর রহমান মুক্তি আন্দোলনে শামিল হোন । দেশ-বিদেশে এ আন্দোলনকে ছড়িয়ে দিন।

মন্তব্য ১ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:৪৬

মানবী বলেছেন: শুধু শিরোনাম পড়েই সমর্থন জানালাম।

সরকারের এধরনের স্বৈরাচারী আচরেনর তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানাই।
শুধুমাত্র ভিন্নমত পোষনের জন্য সাংবাদিকের বাকরুদ্ধ করা, তাঁকে গ্রেফ্তার নির্যাতন করার এই প্রবণতা উত্তর কোরিয়ার শাসনব্যবস্থাকে মনে করিয়ে দেয়।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.