![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
প্রযুক্তিবিদ এবং প্রযুক্তি-উদ্যোক্তা ।মূলত কাজ করি অনলাইনে,পাশাপাশি সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং ও অনলাইনভিত্তিক উদ্যোক্তা হিসেবে বিভিন্ন প্রশিক্ষণ নিয়ে কাজ করে যাচ্ছি।চাইলেই ইঞ্জিনিয়ারিংকে পেশা হিসেবে বেছে নিয়ে স্বাচ্ছন্দ্যে জীবন পার করে দিতে পারতাম। কিন্তু যাযাবরের জীবন আমাকে টানে খুব। তাই সব ছেড়ে যাযাবরের মতো চষে বেড়াচিছ এক দেশ থেকে আরেক দেশ। আমি যখন যেদেশে আমার স্যুটকেস রাখি সেটাই তখন আমার দেশ,আমার ঘর-বাড়ি।আমি একজন বিশ্ব নাগরিক।এবং কোনো নির্দিষ্ট এলাকায় বেশিদিন থাকি না।।
আইন ও সালিশ কেন্দ্রের নির্বাহী পরিচালক বলেছেন, একজন নির্বাচিত সাংসদ কী করে নিজের খেয়ালখুশিমতো গুলি ছোড়েন?
ইয়ে-মানে ,অনির্বাচিত বা যারা নির্বাচন করে পাস করতে পারেননি বা নির্বাচনই করেননি, তারা কি ‘নিজের খেয়ালখুশি মতো গুলি ছোঁড়তে পারবেন ?
কে করবে কার সালিশ !! যাকগে, সালিশ ছেড়ে আসেন আমরা বরং এমপি সাহেবকে মালিশ করি,যেহেতু তিনি 'নির্বাচিত ', সেহেতু তিনি অন্যের খেয়ালখুশিমতো গুলি ছোড়বেন না। তাছাড়া তিনি আইন পাশ করেন। তাই আইন তার জন্য প্রযোজ্য নয়। প্রয়োগ করা উচিতও নয়। একজন এমপি যদি যাকে-তাকে, যখন-তখন ইচ্ছে মতো গুলিই করতে না পারেন, তাহলে সে আবার কিসের এমপি ?! তাছাড়া ৫ জানুয়ারীর লাইসেন্স প্রাপ্ত এমপি বলে কথা। হাতটা তো ঝালিয়ে রাখা দরকার,কখন-কোথায় দরকার পড়ে ৷ যার বা যাদের দ্বারা লাইসেন্স প্রাপ্ত তাদের উপর দিয়ে তো আর প্র্যাকটিস ঝালাই করা যায়না !!
এম পি সাহেবের হাতের টিপ খুবই ভালো, আট বছরের শিশুর দুই পায়ে দুইটা পিস্তলের গুলি লাগানো চাট্টি খানি কথা নয়।এই তো কিছুদিন আগেও রাস্তায় জ্যাম ছিল বলে একজন গুলি করে দু‘জনকে মেরে তার বিরক্তি প্রকাশ করছেন। অথচ এমপি সাহেবের কি দয়ার শরীর,তিনি যে বুক বা মাথা বরাবর গুলি করেননি,একেবারে মেরে ফেলেননি, সেটাই ঐ শিশুর ভাগ্য! চাইলে তো তিনি গুলিটা তার বুকে বা মাথাতেও করতে পারতেন,কিন্তু তা করেন নি। পায়ে করেছেন। তাও আবার করেছেন মাতাল অবস্থায়,একেবারে নিখুত নিশানা। অলিম্পিকে স্বর্ন পাবার মত প্রতিভা। পরবর্তী অলিম্পিকে আমরা একটি স্বর্ন পদক পাবো,মাশাল্লাহ !!
বাংগালী প্রতিভার মূল্য দিতে জানেনা। এই খুশিতে যেখানে মিলাদ দেওয়া দরকার !! সেখানে বেরসিক পুলিশ পিস্তল দুটো জব্দ করেছে। অবশ্য অসুবিধা নেই ১৫ লাখ টাকার ১৫ টাকা পুলিশকে দিলেই আবার তিনি পিস্তল পেয়ে যাবেন। গ্রেফতার হওয়ার আগেই জামিনও পেয়ে যাবেন,ইনশাল্লাহ।
"আমরা সবাই 'রাজা' ....আমাদেরই রাজার 'রাজত্যে'; নইলে মোদের রাজার সনে মিলবো কি শর্তে ...... আমরা সবাই 'রাজা' !!" এতদিন অবৈধ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার শুধু সমালোচনাই করেছি।শেষ কবে তার প্রশংসা করেছি মনে পড়ে না। এই কালচারটা চালু করার জন্য আজ তাঁর প্রশংসা না করে পারছি না।আমারও একটা পিস্তল দরকার । হোটেলে খেতে গেলাম তরকারিতে লবন কম , দিলাম ম্যানেজাররে ফুটা কইরা। রিকশাওয়ালা ভাড়া বেশি চেয়েছে তারেও দিলাম, ঠাস কইরা। ব্যাংক এ লাইনে দাড়ানোর টাইম নাই,দিলাম সামনের গুলারে হোতাইয়া। মন খারাপ, ছাদ থেকে ছাদে বন্ধুরা ঠাস ঠাস করে কিছু বিনিময় করলাম।কি মজা !!
পুনশ্চঃ তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের গন্ধ পাচ্ছি। যে কোনো সময় সামান্য একটু ‘স্ফুলিঙ্গ-তেই শুরু হতে পারে তা, যেখানে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক জোট ন্যাটোর প্রতিপক্ষ হতে পারে চীন ও রাশিয়া। বিশ্বে প্রতিনিয়ত যেসব অন্যায় আর অনৈতিক ঘটনা ঘটছে, লেখালেখি করে তা সমাধান করা যাবে না। ভাবছিলাম দেশে চলে যাবো।দেশে গিয়ে আলুর ব্যাবসা করবো।কিন্তু সেই আশায়ও গুড়েবালি।ইমাম সাহেবের কথা তো আর ফেলতে পারিনা!কি যে করি!এদিকে টাকা পয়সারও টানাটানি যাচ্ছে। আপনাদের মধ্যে, হাত চুলকায় এমন কেউ আছেন, প্রথমে আমার পায়ে গুলি করে পরে ১৫ লাখ টাকায় আপোষ করার চেষ্টা চালাবেন? এমপি হলে ভাল হয় তবে এমপি না হলেও চলবে (নগদে)।
১২ ই অক্টোবর, ২০১৫ ভোর ৫:২৫
ডিজিটাল যাযাবর বলেছেন: কেন মাফ চাইছেন ভাই। আমরা তার জন্য গর্বিত। প্রাকটিসেই প্রতিভার যে ঝলক তিনি দেখালেন....। পরবর্তী অলিম্পিকে আমরা একটি স্বর্ন পদক পাবো ইনশাল্লাহ !!
২| ১১ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ৮:৪৬
শিশির খান ১৪ বলেছেন: গাইবান্ধার সরকারদলীয় সংসদ সদস্য মঞ্জুরুল ইসলাম লিটন আইনজীবীর মাধ্যমে হাইকোর্টে আগাম জামিনের আবেদন করেছেন।
১২ ই অক্টোবর, ২০১৫ ভোর ৪:৫৬
ডিজিটাল যাযাবর বলেছেন: জামিন পেয়ে যাবেন,ইনশাল্লাহ। আগাম জামিনের শুভেচ্ছা....
৩| ১১ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ৮:৪৮
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: "আমরা সবাই 'রাজা' ....আমাদেরই রাজার 'রাজত্যে'; নইলে মোদের রাজার সনে মিলবো কি শর্তে ...... আমরা সবাই 'রাজা' !!"
আক্ষরিক প্রাকটিস চলছে মহাসমারোহে!!!!!!!!!
নীতি, নৈতিকতা, বিবেক, সব ডিকশনারী থেকে হারাই গেছে! সত্যের মায় মারা গেছে সেতো বহুদিন!! আইন বিচার (আবার আদালত অবমাননা মামলা দিবনাতো) সেতো প্রহসনে রুপ নিয়েছে চেতনার বড়ি খেয়ে!
মিডিয়া যেন একচোখা বারবণিতা! তাদের লাথিও মজা লাগে! আর অন্যে আদর করতে মাথায় হাত দিলেও জ্বলে!
প্রশাসন একচোখা দৈত্য- যেন এরপর আর কোন কাল নেই! তারা চিরকালের নিত্যতায় দাড়িয়ে দেশ, আমজনতা, গণতন্ত্রের বিপরীত স্রোতে!
চুচীল সমাজতো কবেই নামহারা বেবুশ্যে!
বুদ্ধি বেপরারী থুক্কু জীবিরাতো জীবিকার প্রয়োজনেই বুদ্ধি বন্ধক রেখেছে কালে কালে!
বাকী আমজনতা- লোলচর্মসার বেওয়ারিশ কুকুরের মতো জিভ মেলে হাপাচ্ছে -অনির্বাচিত স্বৈর শাসনের যাতাকলের দৌড়ে!!!
১২ ই অক্টোবর, ২০১৫ ভোর ৪:৪২
ডিজিটাল যাযাবর বলেছেন: ধন্যবাদ। আপনার মতো সুলেখকের মন্তব্য আমাকে অনুপ্রাণিত করে।
©somewhere in net ltd.
১|
১১ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ৮:১৪
প্রামানিক বলেছেন: ভাই উনি কিন্তু আমার পাশের এলাকার এমপি হাত প্রাকটিস করতে গিয়া ইয়ে হইছে - -- -- -- - কাজেই একটু মাপ কইরা দেয়া যায় না- - - --