![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
প্রযুক্তিবিদ এবং প্রযুক্তি-উদ্যোক্তা ।মূলত কাজ করি অনলাইনে,পাশাপাশি সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং ও অনলাইনভিত্তিক উদ্যোক্তা হিসেবে বিভিন্ন প্রশিক্ষণ নিয়ে কাজ করে যাচ্ছি।চাইলেই ইঞ্জিনিয়ারিংকে পেশা হিসেবে বেছে নিয়ে স্বাচ্ছন্দ্যে জীবন পার করে দিতে পারতাম। কিন্তু যাযাবরের জীবন আমাকে টানে খুব। তাই সব ছেড়ে যাযাবরের মতো চষে বেড়াচিছ এক দেশ থেকে আরেক দেশ। আমি যখন যেদেশে আমার স্যুটকেস রাখি সেটাই তখন আমার দেশ,আমার ঘর-বাড়ি।আমি একজন বিশ্ব নাগরিক।এবং কোনো নির্দিষ্ট এলাকায় বেশিদিন থাকি না।।
শিরোনাম দেখে আপনারা যারা ভাবছেন, আমি একজন কট্টর ভারত বিরোধী মানুষ, প্লিজ, আমাকে আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ দিন। আমি একজন কট্টর দেশপ্রেমিক মানুষ। তাই আমার ভারত বিরোধীতার অসংখ্য কারন আছে। আন্ত:নদী সংযোগ, বাণিজ্য ঘাটতি, সীমান্ত হত্যা, অভ্যন্তরীণ ব্যাপারে হস্তক্ষেপ, পার্বত্য অঞ্চলে বিচ্ছিন্নতাবাদীদের মদদ, সাংস্কৃতিক আগ্রাসন সহ মরন ফাঁদ ফারাক্কা চালু করে জাতির প্রতি বছর অর্থনীতিতে ২৫ হাজার কোটি টাকার ক্ষতি করা ,বাংলাদেশের ভূমি বিনে পয়সায় ব্যবহার করে নিজেরা রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও সামরিক ভাবে এককভাবে লাভবান হওয়া,সীমান্তে মাদক ও ফেন্সিডিল কারখানা দিয়ে দেশের সবচেয়ে মেধাবী কয়েকটি প্রজন্মকে ধ্বংস করে দেয়া এবং ঢাকায় অপেক্ষাকৃত একটি দুর্বল সরকার প্রতিষ্ঠার মাত্র এক বছরের মাথায় তার সকল স্বপ্ন পূরণের পথে একধাপ এগিয়ে যাওয়া। এর প্রত্যেকটির ব্যাপারে একজন দেশপ্রেমিকের সোচ্চার হওয়ার অবকাশ আছে। কিন্তু এসব এড়িয়ে গিয়ে যারা ১৬ই ডিসেম্বর নিয়ে ভারতের উচ্ছাসের বিরুদ্ধে আমার অবস্থান নেওয়ায় ভারতের হয়ে মাতম করছেন তাদের জন্যই এই পোস্টের অবতারনা।
প্রিয় ভাইয়েরা-বোনেরা আমার ,এই ইস্যুতে আমি ভারতের বিরোধীতা করছি আমাদের স্বাধীনতা এবং সার্বভৌমত্বের প্রশ্নে। এক্ষেত্রে ছাড় দেব কিভাবে??!! ১৯৭১-এ ভারতের সাথে আমাদের কৌশলগত ঐক্য হয়েছিল। এর বেশী কিছু নয়। শেখ হাসিনার আওয়ামী লীগ এই কৌশলগত ঐক্যকে দাসখত বলে মনে করলেও আমি তা মনে করিনা।বরং আমি মনে করি ১৯৭১-এর প্রেক্ষাপটে আমরা ভারতের কাছে যতটুকু ঋণী ভারতের আমাদের কাছে ঋণ তার থেকে কম নয়। হাজার বছরের প্রতিশোধ নেওয়ার মোক্ষম সুযোগটি ভারতকে আমরা করে দিয়েছি। এবং তা বোঝা যায় সে সময় দেয়া পার্লামেন্টে ইন্দিরা গান্ধীর -“হাজার সালকি বদলা লিয়া“ বক্তব্যে থেকে। আমাদের ছিলো স্বাধীনতার যুদ্ধ আর ভারতেরটা ছিলো আক্রমণের প্রতিক্রিয়া যুদ্ধ – বা প্রতিরক্ষামূলক যুদ্ধ। অর্থাৎ ভারত অংশ নিয়েছিল নিজেদের স্বার্থেই।বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে ভারত অর্থনৈতিক, সামরিক, কৌশলগত ও আন্তর্জাতিকভাবে ব্যাপক লাভবান হয়েছে। এ কারণে দেশটি তার নিজের স্বার্থে আমাদের মুক্তিযুদ্ধে সম্পৃক্ত হয়, আমাদের স্বার্থে নয়। আর বাংলাদেশের কারণেই ভারত পাকিস্তানের সাথে ৪টি যুদ্ধের মধ্যে শুধু এক বারই বিজয়ী হয়েছে।সুতরাং ১৯৭১-এ ভারতের মহানুভাবতারও খুব একটা জায়গা নেই। দেশের ভেতরে বিভিন্ন স্বাধীনতাকামী জনগোষ্ঠী, বিশেষ করে কাশ্মীরীদের প্রতি ভারত সরকারের নির্মম আচরণই তার প্রমাণ।
মুক্তিবাহিনী এবং সারাদেশের মুক্তিকামী মানুষের নিরন্তর আঘাতে যখন পাকিস্তান সেনাবাহিনী সম্পূর্ণ পর্যুদস্ত, তখনি ভারত তাতে প্রত্যক্ষভাবে অংশ নেয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে। গঠিত হয় ভারতীয় সেনাবাহিনী এবং বাংলাদেশ সেনাবাহিনী নিয়ে “যৌথ কমান্ড“। ৩ ডিসেম্বর বিকেলে ভারতের বিভিন্ন বিমান ঘাটিতে আক্রমণ চালিয়ে পাকিস্তান ভারতের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে। এই যুদ্ধ চলে দুটো ফ্রন্টে। পূর্ব ফ্রন্টে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর মুখোমুখি হয় মিত্রবাহিনী। আর পশ্চিম ফ্রন্টে শুধু ভারতীয় বাহিনী। পূর্ব ফ্রন্টে ১৬ ডিসেম্বর পাকিস্তানী বাহিনী আত্মসমর্পন করে। জন্ম নেয় স্বাধীন বাংলাদেশ। তাই এই অংশের লড়াই লিবারেশন ওয়ার অব বাংলাদেশ বা বাংলাদেশের স্বাধীনতার যুদ্ধ বলে উল্লেখিত । যার ব্যাপ্তি ২৬ মার্চ থেকে ১৬ ডিসেম্বর। পশ্চিম ফ্রন্টে যুদ্ধ শেষ হয় ১৯ ডিসেম্বর। তাই ৩ ডিসেম্বর থেকে ১৯ ডিসেম্বর পর্যন্ত দ্বিতীয় ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধ (প্রথমটি ১৯৬৫ সালে) বলে উল্লেখিত।
তাই আমাদের মুক্তিযুদ্ধ মোটেও ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধ নয়। এমনকি গৃহযুদ্ধও নয়। কারণ আমাদের স্বাধীনতার ঘোষণা এবং সরকার গঠিত হওয়ার পর পূর্ব পাকিস্তানের অস্তিত্ব আনুষ্ঠানিকভাবেই বিলুপ্ত হয়। প্রসঙ্গত বলতে হয় গত শতকে শুধু বাংলাদেশই আনুষ্ঠানিক স্বাধীনতার ঘোষণা দেয়। গোটা বিশ্বে যুক্তরাষ্ট্রের পর দ্বিতীয় এবং একমাত্র দেশ হিসাবে। তাহলে ভারতীয়রা কেন বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধকে তাদের দলিল দস্তাবেজে ভারত-পাকিস্তানের যুদ্ধ হিসেবে তাদের নাগরিকদের কাছে বার্তা পৌঁছাবে? কেন বর্তমান ভারতীয় ক্ষমতাসীন দল বিজেপির পেইজ সহ ইন্ডিয়ার অন্যান্য পেইজগুলো এটা ইন্দো-পাক যুদ্ধ বলে দাবী করে ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবস উদযাপন করবে?! কেন ইন্ডিয়া টুডে বলবে, এইদিনে পাকিস্তান ভারতীয় বাহিনীর কাছে আত্মসমর্পণ করেছে। কেন তাদের কোন কথায় বা লেখায় বাংলাদেশের নাম থাকবেনা,স্বাধীনতার কথা থাকবেনা,লক্ষ শহীদের আত্মদানের কথা থাকবেনা?!
লক্ষ শহীদের আত্মদানের বিনিময়ে অর্জিত যে স্বাধীনতা কেন তার এতবড় অপমান!? কেন আমার দেশের শহীদদের এতবড় অবমাননা!? আমি এর বিরোধিতা করায় আপনারা যারা ভারতের হয়ে মাতম করছেন,তারা দয়া করে বলুন, ভারতের কাছে এই ধৃষ্টতার জবাবদিহিতা চাইবার মত স্বাধীনতা কি আমাদের আছে? ভারত দক্ষিণ এশিয়ার একমাত্র সাম্রাজ্যবাদী দেশ, এই দেশটির সঙ্গে যেকোনও ধরনের সম্পর্ক বহুভাবে চিন্তা করার অবকাশ থাকে। এ অঞ্চলে একমাত্র ভারতই প্রতিবেশী দেশগুলোর জন্য সার্বভৌমত্বের হুমকি হয়ে আবির্ভুত হয়েছে। স্বাধীন দেশ সিকিমকে টপকরে গিলে ফেলেছে। ভুটান থেকেও নেই। মালদ্বীপকে করোদ রাষ্ট্রে পরিণত করেছে। তাদের কোনও সেনাবাহিনী রাখতে দেয়নি। শুধু পুলিশ, সেই পুলিশই মালদ্বীপে ভারতের ইন্দনে সামরিক ক্যু সংঘটিত করে।নেপালের কোনও সামুদ্রিক বন্দর না থাকায় তারাও ভারতের ওপর অনেকখানি নির্ভরশীল। দিল্লি সরকারের আজ্ঞা পালনে কিছুটা ব্যত্যয় ঘটলে, নেপালের আমদানি-রফতানি বন্ধ করে দেয় ভারত !! তাই সাধু সাবধান!!
বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে ভারতীয় বাহিনীর প্রত্যক্ষ অংশগ্রহণ যুদ্ধের সমাপ্তি ত্বরান্বিত করেছে এবং আমরা তা কৃতজ্ঞতার সাথে স্মরণ করি। তার মানে এই নয় যে, আমাদের মুক্তিযুদ্ধকে কেউ ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধ দাবি করবে, আমাদের মুক্তিযুদ্ধকে অপমান করে কেউ দাবি করবে তারা এই দেশের জন্ম দিয়ে গেছে, আর আমরা বসে বসে আঙ্গুল চুষেছি, তখন চুপ করে থাকবো? নোবডি পয়েন্টস দ্য ফিঙ্গার এট আওয়ার লিবারেশন ওয়ার। কেউ ম্যানিপুলেশন করতে পারে না আমাদের ইতিহাস। কড়া প্রতিবাদ চাই রাষ্ট্রের পক্ষ থেকে।রাষ্ট্রের সব থেকে উপরের মহলের প্রতিবাদ।আমার জায়গা থেকে আমি এর প্রতিবাদ করছি। ৯ মাস পাকিস্তানের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার পর ভারত যখন প্রচার করে এটা ভারত পাকিস্তানের যুদ্ধ,এটা আমার অহমে আঘাত দেয়। তাই আমার মনে হয় না আর মিন মিন করার কোনো উপায় আছে। ইতিহাস বর্গা দেই নাই, যে যার খুশি মত তা বদলাবে।আমরা হতে পারি খুব ছোট্ট একটা দেশ, কিন্তু আমাদের অহম ভারতের ভূমির আয়তনের থেকেও বড়।’
নোট: আমাদের পূর্ব পুরুষেরা ব্রিটিশ কলোনি ধংস করেছে; পাকিস্তানী কলোনি ভেঙ্গে দিয়েছে।কিন্তু বাংলাদেশকে ক্রমশ:ই কলোনিতে পরিণত করা ভারতকে আজকের আমাদের প্রজন্ম বরদাস্ত করে কিভাবে?!
শুক্রবার ১৮ ডিসেম্বর ২০১৫
লণ্ডন, ইংল্যান্ড ।
১৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৫:১৯
ডিজিটাল যাযাবর বলেছেন: পোস্ট পড়া এবং মন্তব্যের জন্য আপনাকে ধন্যবাদ,প্রবাসী ভাবুক।
২| ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:২৬
Tarek mostofaা বলেছেন: ওরা ভালবাসাতেও টেক্স চায়;আর
আমাদের ভিক্ষুকেরা থালা হাতে
ভাত মাংগে অপরের কাছে
সবুজের ক্যানভাস আর প্রাকৃতিক সম্পদের
নিকেতনকে ধ্বংসের মুখে ঠেলে দেয়!
১৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৫:২০
ডিজিটাল যাযাবর বলেছেন: সহমত।
৩| ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:৩৮
শাহ আজিজ বলেছেন: আমরা আমাদের বিজয় দিবস পালন করছি কোন বাধা বিপত্তি ছাড়াই । ৩ ডিসেম্বর - ১৬ ডিসেম্বর ইস্টার্ন কম্যান্ড ও ১৯ ডিসেম্বর পর্যন্ত ওয়েস্টার্ন ফ্রন্টে পাক - ভারত যুদ্ধ স্বীকৃত একটি বিষয়। কিন্তু এবার একটু ভিন্নভাবে ভারত তার বিজয় পালন করছে। আমাদের লক্ষ ব্লগার তাতে ক্ষুব্ধ । ব্যাথা বেদনা থাকলে তা পুষিয়ে নিন যে আমরা একটি স্বাধীন রাষ্ট্রের অধিবাসী। ইস্টার্ন কম্যান্ডে রক্ষিত যৌথ বাহিনীর প্রস্তাবিত বাংলাদেশ সম্পর্কিত দলিলপত্র ভারত ৭৫ সালের পর পুড়িয়ে ফেলে। এটা বাংলাদেশ জানত কিনা জানা নেই। ২০১১/১২ সালে আমরা প্রথম জানতে পারি এই অভাবনীয় কর্মের কথা। এইসব আমাদের দুর্বল গদিলোভী রাজনৈতিক ও সামরিক নেতৃত্বের দায় , আমাদের সাধারন মানুষের নয়। ভারত কি পালন করবে তা তাদের বিষয় , আমরা নির্বিঘ্নে আমাদের বিজয় পালন করছি এতেই আমার সন্তুষ্টি।
১৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৫:২৫
ডিজিটাল যাযাবর বলেছেন: আপনার সাথে একমত হতে পারলামনা বলে দু:খিত,জনাব।পোস্ট পড়া এবং মন্তব্যের জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
৪| ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৪:০৯
দেবজ্যোতিকাজল বলেছেন: আমি একজন ভারতীয় ।
তীব্র ঘৃণা জানায় যারা ভারতকে নিয়ে বাজে কথা বলে ।
এই যে ভারতের বিরুদ্ধে তুমি এত কথা বলছ না,পারতে না ,ভারত যদি ৭১ এসে বাংলাদেশের পাশে না দাঁড়াত । কি দিয়ে হেল্প করে রেড়িও ট্রেসন ,অস্ত্র জল ও স্থল পথে । ভারতীয় সেনারা জীবন পর্যন্ত দিয়েছে । এক থেকে দুকোটি শরর্থী চিকিৎসা ,খাদ্য বস্ত্র ও বাসস্থান দিয়ে । যারা বেইমান তারা উপকার নিয়ে উল্ট হাত দেখায় । ভারত পাশে না দাঁড়ালে বাংলাদেশে স্বাধীনকামি মানুষ থাকত না । যে ভাবে খানেরা মারছিল মুক্তিযোদ্ধাদের । ছিল না অস্ত্র ,ছিল না চিকিৎসা , ছিল না খাদ্য ,ছিল না যোগাযোগ মাধ্যম । ছিঃ ।
১৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৪২
ডিজিটাল যাযাবর বলেছেন: স্বাধীন আর পরাধীন বাঙালীর মধ্যে এটাই তফাত,দেবজ্যোতিকাজল। ভারতীয় নাগরিক হিসাবে আপনি ভারত প্রেমে গদ গদ হবেন এটাই স্বাভাবিক। আপনারা কবে স্বাধীন হবেন দাদা??!!
আমি বলেছি,বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে ভারতীয় বাহিনীর প্রত্যক্ষ অংশগ্রহণ যুদ্ধের সমাপ্তি ত্বরান্বিত করেছে এবং আমরা তা কৃতজ্ঞতার সাথে স্মরণ করি। কিন্তু তার মানে এই নয় যে আমাদের মুক্তিযুদ্ধকে কেউ ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধ দাবি করবে, আমাদের মুক্তিযুদ্ধকে অপমান করে কেউ দাবি করবে তারা এই দেশের জন্ম দিয়ে গেছে, আর আমরা বসে বসে আঙ্গুল চুষেছি, তখন চুপ করে থাকবো? নোবডি পয়েন্টস দ্য ফিঙ্গার এট আওয়ার লিবারেশন ওয়ার। কেউ ম্যানিপুলেশন করতে পারে না আমাদের ইতিহাস।
১৯৭১-এর প্রেক্ষাপটে আমরা ভারতের কাছে যতটুকু ঋণী ভারতের আমাদের কাছে ঋণ তার থেকে কম নয়। হাজার বছরের প্রতিশোধ নেওয়ার মোক্ষম সুযোগটি ভারতকে আমরা করে দিয়েছি। এবং তা বোঝা যায় সে সময় দেয়া পার্লামেন্টে ইন্দিরা গান্ধীর -“হাজার সালকি বদলা লিয়া“ বক্তব্যে থেকে। আমাদের ছিলো স্বাধীনতার যুদ্ধ আর ভারতেরটা ছিলো আক্রমণের প্রতিক্রিয়া যুদ্ধ – বা প্রতিরক্ষামূলক যুদ্ধ। অর্থাৎ ভারত অংশ নিয়েছিল নিজেদের স্বার্থেই । বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে ভারত অর্থনৈতিক, সামরিক, কৌশলগত ও আন্তর্জাতিকভাবে ব্যাপক লাভবান হয়েছে। এ কারণে দেশটি তার নিজের স্বার্থে আমাদের মুক্তিযুদ্ধে সম্পৃক্ত হয়, আমাদের স্বার্থে নয়। আর বাংলাদেশের কারণেই ভারত পাকিস্তানের সাথে ৪টি যুদ্ধের মধ্যে শুধু এক বারই বিজয়ী হয়েছে। সুতরাং ১৯৭১-এ ভারতের মহানুভাবতারও খুব একটা জায়গা নেই। দেশের ভেতরে বিভিন্ন স্বাধীনতাকামী জনগোষ্ঠী, বিশেষ করে কাশ্মীরীদের প্রতি ভারত সরকারের নির্মম আচরণই তার প্রমাণ।
মুক্তিবাহিনী এবং সারাদেশের মুক্তিকামী মানুষের নিরন্তর আঘাতে যখন পাকিস্তান সেনাবাহিনী সম্পূর্ণ পর্যুদস্ত, তখনি ভারত তাতে প্রত্যক্ষভাবে অংশ নেয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে। বাংলাদেশে ভারতীয় মিত্রবাহিনী প্রবেশ করেছিলো ৩রা ডিসেম্বর, অথচ তখন যুদ্ধ প্রায় অনেকটাই শেষ এবং অধিকাংশ এলাকা স্বাধীন হয়ে গেছে। ইতিহাস বলে ১৯৭১ এর ৩ থেকে ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত ভারতীয় বাহিনী যে যুদ্ধ করেছে এই (ইস্টার্ন) ফ্রন্টে, তাতে পাকিস্তান সেনাবাহিনী তেমন কোন প্রতিরোধই করেনি, মাত্র ২/১টা ব্যাটল ছাড়া।
এবার আসুন দেখি বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় ভারতীয় সেনাবাহিনীর অবদান কোন অংশে ছিলো---না আমার মুখে নয়, ঐতিহাসিক ও মুক্তিযোদ্ধাদের মুখেই শুনি--
১) সূত্র: বই: ‘বাংলাদেশ পাস্ট এন্ড প্রেজেন্ট’, লেখক: সালাহউদ্দিন আহমদ----
“যুদ্ধ শেষ হয়ে যাবার পর ভারতীয় সৈন্যরা পার্বত্য চট্টগ্রামে অধিক সময় অবস্থান করতে থাকায় ভারত সমালোচিত হতে থাকে। অভিযোগ উঠে যে, ভারতীয় সেনাবাহিনী ট্রাক বহরে করে বাংলাদেশ থেকে বিপুল পরিমাণ অস্ত্রশস্ত্র ও সাজসরঞ্জাম সরিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। পরিণামে বাংলাদেশকে আত্মমর্যাদাশালী রাষ্ট্রের পরিবর্তে ভারত একটি তাঁবেদার রাষ্ট্রে পরিণত করতে চায় এমন একটি আশঙ্কা দেখা দেয়। তাতে ভারতীয় নীতির বিরুদ্ধে উত্তেজনা ও সংশয় সৃষ্টি হয়।”
২) সূত্র: বই: ‘র অ্যান্ড বাংলাদেশ’, লেখক: মুক্তিযোদ্ধা জয়নাল আবেদীন-----
“পাকিস্তানি সৈন্যদের আত্মসমর্পণের পর ভারতীয় সৈন্যদের ব্যাপক লুটতরাজ দেখতে পেয়ে ভারতের প্রকৃত চেহারা আমার কাছে স্পষ্টভাবে ফুটে উঠে। ভারতীয় সৈন্যরা যা কিছু দেখতে পেতো তার উপর হুমড়ি খেয়ে পড়তো এবং সেগুলো ভারতে বহন করে নিয়ে যেতো। লুটতরাজ সহজতর করার জন্য তারা আমাদের শহর, শিল্প স্থাপনা, বন্দর, সেনানিবাস, বাণিজ্যিক কেন্দ্র এমনকি আবাসিক এলাকায় কারফিউ জারি করে। তারা সিলিং ফ্যান থেকে শুরু করে সামরিক সাজসরঞ্জাম, তৈজষপত্র ও পানির ট্যাপ পর্যন্ত উঠিয়ে নিয়ে যায়। লুণ্ঠিত মালামাল ভারতে পরিবহনের জন্য হাজার হাজার সামরিক যান ব্যবহার করা হয়।”
৩) সূত্র: আট নম্বর সেক্টরের সেকেন্ড লেফটেন্যান্ট হিসাবে অংশগ্রহণকারী মেজর জেনারেল খোন্দকার মুহম্মদ নূরন্নবী (অব.) এর লেখা ‘ঢাকা স্টেডিয়াম থেকে সেক্টর আট’ নামক বইয়ের ১৬৪/১৬৫ পৃষ্ঠা এবং সাহাদত হোসেন খান লিখিত ‘ভারতের রাজনৈতিক ও সামরিক হস্তক্ষেপ’ বইয়ের পৃষ্ঠা: ৩০২-৩০৪ তে লিখেছেন--“সীমান্ত খোলা পেয়ে ভারতীয় মাড়োয়ারী ব্যবসায়ীরা বিভিন্ন এলাকায় ঢুকে পড়ে এবং স্থানীয় বাজার ও দোকানপাট থেকে সব বিদেশী মালামাল বিশেষ করে রেডিও, টেলিভিশন, খুচরা যন্ত্রাংশ, বিদেশী ওষুধপত্র অর্থাৎ যা কিছু বিদেশী সব কিনে নিচ্ছিল। এমনকি পাকিস্তানি ধাতবমুদ্রাও। এটা আমাদের জন্য একটা সমস্যা হয়ে দাঁড়ায়। এসময় সেক্টর কমান্ডার মেজর এমএ মঞ্জুর আমাদের এলাকায় এলেন। আমরা তাকে এ বিষয়ে অবহিত করলাম। তিনি জানালেন যশোরেও একই অবস্থা। সেক্টর কমান্ডার মেজর এমএ মঞ্জুর ভারতীয় মাড়োয়ারীদের এ ব্যবসার ব্যাপারে ভারতের চতুর্থ মাউন্টেন ডিভিশনের জিওসি মেজর জেনারেল ব্রারের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। ভারতীয় জেনারেল ব্রার সে সেক্টর কমান্ডার মেজর এমএ মঞ্জুরকে জানায় যে, এদের নিয়ে সবাই অতিষ্ঠ।”
“প্রায় ১ লক্ষ সেনাবাহিনীর যে বিশাল অস্ত্র ও গোলাবারুদের ভান্ডার ছিল,পাকিস্তানের ফেলে যাওয়া সকল অস্ত্র বিমান, ট্যাংক থেকে শুরু করে ক্যান্টনম্যান্টের কাপ পিরিচ পর্যন্ত ভারত নিজ দেশে নিয়ে গেছে । লোটপাট তো করেছেই...এছাড়াও মুক্তিযোদ্ধে অংশ গ্রহনের খরচ পাকিস্তানের কাছ থেকে চুক্তির মাধ্যমে আদায় করে নিয়েছে ভারত। “
মন্তব্যের জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
৫| ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৫:২৬
নিষ্কর্মা বলেছেন: বড় দাদাদের কথা বেদবাক্য স্বরূপ। আমাদের নুয়ে পড়া সরকার, তারচেয়ে নতজানু পররাষ্ট্র নীতি এবং "দাদাদের-না-ক্ষেপানো" নীতির কারনেই বাঙলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় গভর্নরকে খোদ মুখ্যমন্ত্রী [যাঁকে ভুল করে মাঝে মধ্যে প্রধানমন্ত্রী বলা হইয়া থাকে, যা কিনা মূল ভারতীয় সংবিধানের বরখেলাপ] কিছুই বলতে পারিবেন না।
১৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১:৪৫
ডিজিটাল যাযাবর বলেছেন: খুব ভালো বলেছেন,জনাব। পোস্ট পড়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
৬| ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:১৮
চলতি নিয়ম বলেছেন: ছাগলে বাচ্চাগুলা এইটা নিয়া এত লাফাইতেছে কেন? আমাদের বিজয় দিবসে ছাগলদের কস্ট লাগার ই কথা। পরাজয় বলে কথা।
ইন্দো-পাক ওয়ার কয় থেকে কয় তারিখ পর্যন্ত আর আমাদের মুক্তিযুদ্ধ কয় থেকে কয় তারিখ বলো তো সোনা? লাখো শহীদ মানে কয় লাখ?
১৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:১২
ডিজিটাল যাযাবর বলেছেন: ছাগল বিশারদ ভাই,মানুষের কস্ট বুঝে মানুষ।ছাগলের কস্ট বুঝে ছাগল।আমাদের বিজয় দিবসে ছাগলদের কস্ট লাগে কি লাগেনা,জয়-পরাজয় ছাগল বুঝে কি বুঝেনা; দিন ,তারিখ,সংখ্যার হিসাব ছাগলেরা রাখে কি রাখেনা মানুষ হিসাবে তা আমার বুঝতে পারার কথা না। তা আপনি কিভাবে বুঝেন??!! তাহলে আপনি কি......
৭| ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:০৪
কাজী রিদয় বলেছেন: বিষয়টা ঠিক। বাংলাদেশের যুদ্দের এক পর্যায়ে ৭১ এর ৩ ডিসেম্বর পাকিস্তান আর্মি ভারতের হরিয়ানা, অমৃতসরের পাঞ্জাব, জম্মু, কাশ্মির আক্রমন করে বসে। একের পর এক বিমান হামলা চালায়। ভারত-পাকিস্তানেনর লোকজন এটা ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধ বলেই জানে। সাধারনত এটাকে তৃতীয় ইন্দো-পাকিস্তান যুদ্ধ হিসেবে অবহিত করা হয়। ভারতও পাকিস্তানের উপর প্রতি আক্রমন চালায়।১৬ ডিসেম্বর বাংলাদেশ স্বাধীন হবার পর পাকিস্তানও ভারতের কাছে হার মানে। ১৩ দিনের মাথায় পাকিস্তান পরাজিত হয়ে ঘরে ফিরে যায়। ভারতের পত্র পত্রিকাগুলো পাকিস্তানের বিরুদ্ধে এটাকে তাদের বিজয় বলে প্রচার করে থাকে। এটা বাংলাদেশের সাথে যুদ্ধ থেকে একেবারে আলাদা।
১৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:২৪
ডিজিটাল যাযাবর বলেছেন: ঠিক বলেছেন কাজী ভাই। তাই ১৯ ডিসেম্বর ভারত যদি বিজয় দিবস পালন করে তাতে আমাদের কোন সমস্যা নেই।কিন্তু তার বদলে ভারত যদি ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবস পালন করে আর সেই বিজয় দিবসের ন্যারেটিভে বাংলাদেশ, বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ, বাংলাদেশের মুক্তিযোদ্ধারা যদি অনুচ্চারিত থাকে তাহলে আমাদের সমস্যা আছে। আমাদের সমস্যা আছে ৭১ কে ভারত পাকিস্তান যুদ্ধ বলে চালিয়ে দেয়ায়। আমাদের সমস্যা আছে বাংলাদেশের জন্মকে ভারত পাকিস্তান যুদ্ধের অফশুট বলে প্রতিষ্ঠা করার। আমার লেখায় আমি সেটাই বলেছি। আপনাকে ধন্যবাদ।
৮| ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:৪৬
দেবজ্যোতিকাজল বলেছেন: তুমি কি পাকিস্থান পন্থি?
১৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:২৭
ডিজিটাল যাযাবর বলেছেন: কি বলছেন মাইরি ,আমি বাংলাদেশ পন্থি যে ??
৯| ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:০৩
দেবজ্যোতিকাজল বলেছেন: ইতিহাস বই কি শুধু বাংলাদেশেই আছে? পশ্চিমবঙ্গে নেই?
১৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:৩১
ডিজিটাল যাযাবর বলেছেন: কে বলেছে মুখপোড়া ,পশ্চিমবঙ্গে নেই।পশ্চিমবঙ্গেও আছে তবে তা পরাধীনতার ইতিহাস !!
১০| ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:৪২
নিষ্কর্মা বলেছেন: আমাদের ভারতীয় বন্ধু ও ব্লগার দেবজ্যোতিকাজল এমন কিছু লিখেছেন যা ইতিহাসের বিকৃতি ছাড়া আর কিছুই না। ভারতীয়দের ধারণা, তারা ১৯৭১ সালে আমাদের মুক্তিযুদ্ধে সাহায্য ও অংশগ্রহন করে আমাদের চিরদিনের গোলামে পরিণত করেছে। আসলে ব্যাপারটা তা নয়। যুক্তির পথে হাঁটলেও একথা সত্য যে পাকিস্তানের নাজুক সেই পরিস্থিতিতে ভারতকে সেই মূহুর্তে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের আওয়ামী লীগের স্বাধীনতা আন্দোলনে মদত দিতেই হত। এটার কারণেই তৎকালীন ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী পরবর্তীকালে পার্লামেন্টে বড় গলায় বলতে পেরেছেন যে হাজার সালকি বদলা লিয়া।
ইতিহাস, শ্রী দেবজ্যোতিকাজল বাবু, মনে রাখবেন, ইতিহাসই। এর কোন হেরফের হয় না। ভারতীয় পক্ষের ইতিহাস তাদের সৈন্যদের পাকিস্তানের বিরুদ্ধে জং-এর ইতিহাস। কিন্তু সেই জং মাত্র তের দিনের ছিল, এটা সত্য না। ১৯৭১ সালের মার্চের শেষে ঢাকায় যে গণহত্যা হয়, সেই গণহত্যার ফলে পুরো পূর্ব পাকিস্তানের [ ততদিনে এই ভূখন্ডের নাম বাঙলাদেশ হয়ে গেছে ] মানুষ শেখ মুজিবের ডাকে স্বাধীনতার সংগ্রামে যেতে বাধ্য হয়। তাদের এই আগ্রহ আরো বর্ধিত হয় ২৬-২৭ মার্চে সেনাবাহিনীর এক মেজরের দেশকে শত্রুসেনার কবল থেকে মুক্তির জন্য সশস্ত্র সংগ্রামে সকলের অংশগ্রহনের আহ্বানে।
শ্রীমান দেবজ্যোতিকাজল বাবু ঠিক বলেছেন যে সে সময়ে আমাদের কাছে কোন অস্ত্র ছিল না। সেই অস্ত্র ভারতীয়রাই জোগান দেয়। বিনা কারণে তারা অস্ত্র দিয়েছিল কি? তাদের সৈন্য বাহিনী তো সে সময়ে বাঙলাদেশের পক্ষে যুদ্ধ করে নাই। ভারতীদের ধারণা ছিল, বাঙলাদেশের অভ্যন্তরের নাগরিকরাই তাদের সরবরাহকৃত অস্ত্রের ব্যবহার করে [ এজন্য তারা প্রশিক্ষণও দিয়েছিল ] পাকিস্তানী বাহিনীকে পর্যদুস্ত করে ফেলবে। এর পরে ভারতীয় বাহিনী উপযুক্ত সময়ে দ্রুত পাকিস্তানী বাহিনীকে সুযোগ মত পরাজিত করবে। ঠিক তাই ঘটেছিল ডিসেম্বর মাসে।
মনে রাখতে হবে, ১৯৭১ সালের আগে বা পরে ভারত, পাকিস্তানের বিরুদ্ধে কোন যুদ্ধেই জিতে ফিরতে পারে নাই। ১৯৭১ সালে, বাঙলাদেশের স্বাধীণতা যুদ্ধে, যে জয় ভারত আজ দাবী করে, তা আসলে তাদের জয় নয়। উপরুন্তু সেই জয় যদি তারা পেয়েও থাকে, তা আংশিক জয়। তাই কোন যুদ্ধে আংশিক জয় নিয়ে যারা গর্ব করে, তারা কি পরিমাণে বেকুব জাতি, তা কি আর বলার অবকাশ আছে? ১৯৭১ সালের সেই যুদ্ধক্ষেত্রের নাম যদি বাঙলাদেশ না হত, তাহলে ভারত সেই যুদ্ধেও হেরে বসে থাকত। তাই শ্রীমান দেবজ্যোতিকাজল বাবুদের উচিত ইতিহাস পড়ে, ইতিহাস থেকে শিক্ষা নেওয়া। আর তা করতে উনারা যদি অপারগ হোন, তা হলে পদে পদে মান-সন্মান খুইয়ে ধূতির খূট ধরে শুধু ইতিহাস বইয়ের পাতায় পাতায় দৌড়ুতেই হবে সারাটা জীবন।
১৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:৩১
ডিজিটাল যাযাবর বলেছেন: নিষ্কর্মা নন, আপনি হলেন করিৎকর্মা। একেবারে সঠিক বলেছেন। দুর্ভাগ্যবশতঃ বাঙালী জাতি আজ তার রাজনৈতিক বিভিক্তির কারণে নিজের জাতিরাষ্ট্রের অতি উচ্চ-মর্য্যাদাসম্পন্ন জন্মের নায্য দাবীটি করতে পারছে না। ৩০ লক্ষ প্রাণের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীনতাকে অন্যের 'দান' বলে শ্রীমান দেবজ্যোতিকাজল বাবুদের কাছ থেকে শুনতে হচ্ছে। বিষয়টি বড়োই পরিতাপের। মন্তব্যের জন্য আবারো ধন্যবাদ।
১১| ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:৪৭
দেবজ্যোতিকাজল বলেছেন: বাংলাদেশের ইতিহাস 75-95 সালের মধ্যে বিকৃত হয়ে গেছে । খানেরা যেভাবে মারর শুরু করেছিল সেই নির্মম ইতিহাস তুমি জাননা । ভারত পাশে না দাঁড়ালে বিডি মানুষ থাকত না । তিতুমিরের যে হাল হয়েছিল বাংলাদেশের সেই অবস্থা হত । সুখে আছ তাই দুঃখেরদিনের কথা ভুলে গেছ । আর এটা ত ঠিক কথা উপকারের প্রতিদান কেউই পায়না । ভারতও আশা করে না ।
১৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:৫০
ডিজিটাল যাযাবর বলেছেন: এতদিন জানতাম -ভীতু,কাপুরুষ পরাধীন বাঙালী কখনও স্বাধীন ভাবে চিন্তা করতে জানেনা !! এখন দেখছি ইতিহাসটাও ঠিকমত জানেনা !! হায়রে আত্মমর্যাদাহীন বাঙালী!! হায়রে পরাধীনতা!! স্বাধীনতাহীনতায় কে বাচিতে চায় হে কে বাচিতে চায়....
১২| ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:৩৯
নিষ্কর্মা বলেছেন: শ্রীমান দেবজ্যোতিকাজল বাবু, আমাদের ভাবনা তোমার ইতিহাস জ্ঞান দেখে। ৭১ নিয়ে যখন পারলে না কিছু করতে, তখন নামলা ৭৫-৯৫ নিয়ে। মনে রাখবা, বাঙলাদেশ তোমাদের কথা মত চলে না, চলে নাই, চলবেও না। তোমার লেখার জবাবে [ ৪ নং মন্তব্য ] মূল লেখক একটা উত্তর দিয়েছিলেন, যার ৩নং সূত্রে আট নম্বর সেক্টরের সেকেন্ড লেফটেন্যান্ট হিসাবে অংশগ্রহণকারী মেজর জেনারেল খোন্দকার মুহম্মদ নূরন্নবী (অব.)-এর কিছু কথা আছে। সেটা আবার পড়ে দেখো। তাহলে বুঝতে পারবা কেন বাঙলাদেশের জনগণ ভারতীয় বন্ধুদের উপরে নাখোশ হয়ে পড়ল।
আগে ৭১ শেষ করি, পরে না হয় ৭৫ নিয়ে আলোচনা হবে।
১৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:৫৪
ডিজিটাল যাযাবর বলেছেন: আগে বাংলা তারপর ইংরেজি।হা:হা:হা।ধন্যবাদ।
১৩| ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৪:১৫
দেবজ্যোতিকাজল বলেছেন: নিষকর্মা পুরো আলোচনাটাই ৭১ নিয়েই করেছি ।৭১ টিভিটা দেখে নিয়ো ।তাতে কিছুকিছু দেখাচ্ছে । ব্লগে ভারত বিরোধী ট্যাটাস ৭১ টিভিতে ভারতকে বারবার ফিরিয়ে আনা ।বিডি খাদ্যমন্ত্রীর আবার ভারত প্রীতি । তুমিই বল ভাই কোনটা তোমাদের সঠিক ইতিহাস ।
কাল ৭১ টিভিতে জয়তু নামে একটি প্রোগাম দেখছিলাম । সেখানে কয়েকজন মুক্তিযোদ্ধা বসেছিল । তাদের কথাশোনে ভারতীয় হিসেবে আমার বুকটা চওয়া হয়ে গেল ।কিন্তু যখন সামু আসি তখন মনটা খারাপ হয়ে যায় । ভাবি বাংলাদেশের আসল ইতিহাসটা তবে কি?
১৪| ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:৩৩
নিষ্কর্মা বলেছেন: শ্রীমান দেবজ্যোতিকাজল বাবু, তোমার কাছে তো পশ্চিমবাংলার ইতিহাস আছে বলেছো। সেইটা নিয়েই থাকো। আমাদের ইতিহাস আমাদের কাছেই থাকুক। এই ব্লগের লেখক যা লিখেছেন, তা মানতে সমস্যা হলে কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপি হয়ে যাও। তাহলে হিঁদুস্তানের মর্ম আরো ভালো করবে বুঝবে।
১৫| ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:০৬
মাসূদ রানা বলেছেন: দেবজ্যোতিকাজল দাদা। আপনে ভারতীয় নন রে বাংগাল,আপনে বাংগালী !! আপনারা আমাদের বাই । আমরা আপনাদের বাই !!! আসেন আমরা বাই বাই মিলে মিশে এক সাথে থাকি । কু-চক্রী ভারত সরকারকে টাটা বাই বাই দিয়ে ত্রিপুরা, পশ্চিমবংগ, আসাম নিয়া আমাদের কাছে চইলা আসেন তাড়াতাড়ি মিয়া
জয় বাংলা। কোলকাতার বাংগালী স্বাধীন হোক
©somewhere in net ltd.
১|
১৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:১০
প্রবাসী ভাবুক বলেছেন: বলিষ্ঠ প্রতিবাদ৷ আমার কথাও সেটা৷ কোন দেশ কি বলল সেটা আমারও দেখার ইচ্ছা ছিল না৷ কিন্তু সেটা যদি আমার দেশকে, আমার দেশের মুক্তিযোদ্ধাদের কৃতিত্বকে, আমার দেশের মুক্তিযুদ্ধকে খাটো করার জন্য বলা হয় তাহলে রাষ্ট্রীয়ভাবে তার প্রতিবাদ করা উচিত৷