![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
প্রযুক্তিবিদ এবং প্রযুক্তি-উদ্যোক্তা ।মূলত কাজ করি অনলাইনে,পাশাপাশি সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং ও অনলাইনভিত্তিক উদ্যোক্তা হিসেবে বিভিন্ন প্রশিক্ষণ নিয়ে কাজ করে যাচ্ছি।চাইলেই ইঞ্জিনিয়ারিংকে পেশা হিসেবে বেছে নিয়ে স্বাচ্ছন্দ্যে জীবন পার করে দিতে পারতাম। কিন্তু যাযাবরের জীবন আমাকে টানে খুব। তাই সব ছেড়ে যাযাবরের মতো চষে বেড়াচিছ এক দেশ থেকে আরেক দেশ। আমি যখন যেদেশে আমার স্যুটকেস রাখি সেটাই তখন আমার দেশ,আমার ঘর-বাড়ি।আমি একজন বিশ্ব নাগরিক।এবং কোনো নির্দিষ্ট এলাকায় বেশিদিন থাকি না।।
হ্যালো, হেডকোয়ার্টার? আমি কর্নেল গুলজার। বিডিআর জোয়ানরা বিদ্রোহ করেছে ! ডিজি স্যারকে গ্রেফতার করেছে। অফিসারদের হত্যা করছে। আমাদেরকে বাঁচান। আল্লাহর দোহাই লাগে এখনই ফোর্স পাঠানোর ব্যবস্থা করুন।
হেডকোয়ার্টারঃ আপনি শান্ত হোন। আমরা এখনই ফোর্স পাঠানোর ব্যবস্থা করছি।
২০০৯ সালের ২৫ ফেব্রয়ারী বিডিআর বিদ্রোহের দিনে কর্নেল গুলজার ঠিক এভাবেই বাঁচার আকুতি করেছিলেন।কিন্তু হেডকোয়ার্টার থেকে সাহায্য আসছে বলে যে আশ্বাস দেয়া হয়েছিলো ,সেই সাহায্য আর আসেনি। প্রধানমন্ত্রীর অনুমোদন পায়নি ।
এই সেই কর্ণেল গুলজার, যিনি ছিলেন সারাদেশে বোমা মেরে আতংক ছড়ানো জেএমবির কাছে এক মূর্তিমান আতঙ্ক। বাংলাদেশের জঙ্গী সেনসেশন জেএমবি নেতা শায়খ আব্দুর রহমানকে গ্রেফতার করে বিচারের মুখোমুখি করতে নিজের জীবন বিপন্ন করে টিয়ার শেল আর বুদ্ধির খেলায় যিনি “অপারেশন সূর্যদীঘল বাড়ি” সফলভাবে পরিচালনা করেছিলেন ।
এই যে জঙ্গী রাকিব পালালো , ধরা পড়লো তারপর পয়েন্ট ব্লাংক শুটে মারা গেলো , তার উপর একটা গুলিও না চালিয়ে প্রথম তাকে গ্রেফতার করেছিলেন কর্ণেল গুলজার। সামরিক কমান্ডার সানি সহ জেএমবির তুখোড় দুধর্ষ জঙ্গীরা একে একে যে ধরা পড়লো তার সবটুকুর সাথে ছিলেন কর্ণেল গুলজার। কখনো নিজে ফ্রন্টে গিয়ে , কখনো ব্যাকআপ হিসেবে। র্যা ব এর তত্কালীন এই গোয়েন্দা প্রধান ছিলেন স্বাধীন বাংলাদেশের সবচেয়ে চৌকস এবং বুদ্ধিদীপ্ত সেনা কর্মকর্তাদের একজন।অথচ কর্ণেল গুলজারের লাশটা যখন নর্দমাতে পরে থাকা লাশের স্তুপ থেকে উদ্ধার করা হয়, তখন এটা কেউ সনাক্ত করতে পারেনি। চোখ দুটো উপরে ফেলা হয়েছিলো।চেহারা বিকৃত করা হয়েছিলো বেয়নেট দিয়ে খুচিয়ে। আর এত গুলি করা হয়েছিলো যে স্বজনেরা লাশ চিনতে পারে নি।ডিএনএ টেস্ট এর মাধ্যমে নিশ্চিত হতে হয় এটাই কর্ণেল গুলজার ,দেশের মানুষের নিরাপওা বিনস্টকারী জেএমবির কাছে যিনি ছিলেন এক মূর্তিমান আতঙ্ক।
কর্নেল গুলজারের মতো একেকজন সেনা অফিসার তৈরী হতে যেখানে যুগের পর যুগ লেগে যায়,সেখানে একদিনেই ৫৭ জন চৌকস সেনা কর্মকর্তা বর্বরতার শিকার হলেন। বিশ্বের ইতিহাসে কোন একটি ঘটনায় এতো সেনা কর্মকর্তার প্রাণ হারানোর দৃষ্টান্ত আর নেই।
বিডিআরের ডিজি স্বয়ং প্রধানমন্ত্রীর সাহায্য চেয়েছিলেন। তারা আশা করেছিলেন সাহায্য আসবে। শেষ নিঃশ্বাসটুকু তারা ফেলেছিলেন এই আশা নিয়ে যে এক্ষুণি সাহায্য আসবে। প্রধানমন্ত্রীর জীবনে গৌরব ও সম্মানের মূল্য কতটুকু জানি না। কিন্তু তাদের জীবনে ও দুটোই ছিল সব। তারা প্রতিজ্ঞা করেছিল এ দেশের সঙ্গে, টিল ডেথ ডু আস পার্ট। তারা তাদের প্রতিজ্ঞার মূল্য দিয়েছে, প্রধানমন্ত্রী দেননি। তিনি সাহায্য পাঠাননি।অন্যায় ও অনিষ্টের দমন করার জন্য যেখানে শক্তির প্রয়োজন সেখানে তিনি অন্যায়ের সঙ্গে আপোস করেছেন, লড়াই করেননি।যে কারনে সেই মর্মান্তিক ঘটনার ৭ বছর পার হয়ে গেলেও,ঘটনার সাথে তাকে জড়িয়ে আজও নানা কথা শুনা যাচ্ছে।
তার অনন্য ‘বিচক্ষণতার‘ সুযোগে হত্যাকারীরা হত্যা, লুণ্ঠন ও নির্যাতনের যথেষ্ট সময় পায় এবং তারপর পালিয়েও যায়। সৈনিক কখনো হতাহতের সম্ভাবনা বুঝে লড়াই করে না। করে অন্যায়ের বিরুদ্ধে, ন্যায়ের পক্ষে। একবার ভাবুন তো, আজ যদি তার ওপর কেউ গুলি চালায় এই সৈনিকেরা কি প্রবাবিলিটির গণিত কষে এগিয়ে আসবে? আক্রমণকারীকে পাল্টা গুলি চালাতে গিয়ে যদি মারা যায় কোনো নিরপরাধ সাধারণ মানুষ – একবারও কি প্রশ্নও করা হবে? তাকে রক্ষা করতে সৈনিকেরা তাদের বুক পেতে দেবে । হিসাব করবে না তারা নিজের জীবনের। তাদেরও প্রয়োজন হয়েছিল- একবার তার সাহায্যের। কিন্তু তিনি হাত গুটিয়ে নিয়েছেন। যে কারনে আমাদের মাথা হেট হয়ে আসে।আমরা সেই অযোগ্য জাতি যারা তাদের বীরদের সাহায্য করার চেষ্টাটুকু করেনি।জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান দেশপ্রেমিক সেনারা ছিলেন আমাদের গর্ব, অহঙ্কার আর সার্বভৌমত্বের প্রতীক। ১৬ কোটি মানুষের চরম আস্থা, বিশ্বাস, সংহতি আর নিরাপত্তার প্রতীক। অথচ তাদেরকেই আমরা নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হয়েছি!
উপরন্তু কারা এর পরিকল্পনাকারী, কারা ষড়যন্ত্রকারী, আর কারাই বা উসকানি বা মদদদাতা, এত দিনেও আমরা তাদেরকে খুঁজে বের করতে পারিনি।কোনোরকম পূর্বপরিকল্পনা বা ষড়যন্ত্র ছাড়াই কী করে বিডিআরের সাধারণ সৈনিকেরা আচমকা তাদের সাধারণ কিছু পেশাগত দাবি-দাওয়ার কারণে এভাবে বেছে বেছে সেনাসদস্য ও তাদের পরিবারের লোকজনকে নিমর্মভাবে হত্যা করতে যাবে? এটা কি বিশ্বাসযোগ্য হতে পারে? পারেনা। কারন এটা কোন বিদ্রোহ নয় এটা স্রেফ বর্বরতা।নিরস্ত্র অফিসারদের এরা খুন করেছে নির্ধিধায়। এরা সৈনিক ছিল না, ছিল কাপুরুষ কিলিং মেশিন। সৈনিক যুদ্ধ করে সভ্য নিয়ম মেনে, শত্রুর মর্যাদা রক্ষা করে, কিলিং মেশিনের সেটা দরকার নেই।
সব সত্য এখনো বের হয়নি, একদিন হবে ইনশাআল্লাহ। সেই সময় হয়তো খুব বেশী দূরে নয়। বাংলাদেশের সার্বোভৌমত্ব প্রশ্নের মূখে ফেলে দিয়েছে যারা, ইতিহাস তাদের খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে হিসেব নিবে। ক্ষমা করবেনা।
বৃহস্পতিবার ,২৫ ফেব্রুয়ারী ২০১৬
লণ্ডন, ইংল্যাণ্ড।
২৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১:০৭
ডিজিটাল যাযাবর বলেছেন: হুম,গোল্ডফিশ মেমরি! পোস্ট পড়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
২| ২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সকাল ৯:৫৫
হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
এই বিদ্রোহ পুর্বপরিকল্পিত ছিল, তবে হত্যাকান্ড মোটেই পরিকল্পিত ছিলনা।
সুপরিকল্পিত হত্যাকান্ড হলে বাকি বন্দি ১০০ জন সেনা কর্মকর্তাকে বাঁচিয়ে রাখার কোন কারনই ছিলনা।
সুপরিকল্পিত হত্যাকান্ড হলে আনাড়িদের মত লাশ লুকানোর চেষ্টা করে সময় নষ্ট করত না। নিগোসিয়েশন করে আরো একদিন সময় নষ্ট করে আনাড়ির মত ধরা পরত না।
খুনিদের নেতা সহিদ,সেলিম, হাফিজ সহ সকল খুনিই ধরা পরেছে। অভিযুক্ত একজন সহ মাত্র ১৯ জন বিডিআর সদস্য পলাতক বা নিখোজ। ওপেন আদালতে শুনানি হয়েছে, অভিযুক্তদের বক্তব্য শোনা হয়েছে। বাহিরের বা অন্য কারো প্ররচনা থাকলে এতদিনে তা প্রকাশ হতই।। ফাঁসির আসামি মৃত্যুর আগে কখনোই কথা লুকিয়ে মিথ্যে বলে নিজের জীবন বিপন্ন করবে না। বিচার শেষ হয়ে রায় হয়েছে। ১৫২ জনের ফাঁসির আদেশ হলেও বেকোসুর খালাস পেয়েছেন ২৭১ জন। বিচারপর্ব শেষ হলে সত্য একদিন বেরিয়ে আসবেই।
এ নিয়ে কয়েক বছর আগে এই ব্লগে আমার ৩টি লেখা পড়ুন।
কি ঘটেছিল সেদিন দরবার হলে.?
বিডিআর বিদ্রোহ। উদ্ধার পর্ব, যে কারনে সেনা অভিযান সম্ভব হয়নি।
জেনারেল সাকিলের ময়নাতদন্ত রিপোর্ট, কিছু সত্য বেরিয়ে আসা।
২৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ৩:৩৩
ডিজিটাল যাযাবর বলেছেন: হাসান সাহেব,আপনার লেখাগুলো পড়লাম। বড্ড একপেশে আর স্ববিরোধীতায় ভরপুর। আপনি একটি বিশেষ রাজনৈতিক দলের দৃস্টিকোন থেকে ঘটনাটির সরলীকরন করার চেস্টা করেছেন। এবং সরকারী দলের মুখপাত্রের ভূমিকা নিয়েছেন। আমাদের চৌকস সামরিক বাহিনী সম্পর্কে আপনার কোন ধারনাই নেই।তাই অহেতুক সামরিক বাহিনীকে দোষারুপ করেছেন। সব কিছু নিয়ে রাজনীতি করা ঠিক নয়,ভায়া। আপনি বিচারের কথা বলেছেন-বিচারের নামে যা হচ্ছে তা প্রহসন ছাড়া আর কিছু নয়।
আপনার কাছে আমার কিছু প্রশ্ন:-
১। সেনাবাহিনীর তদন্ত প্রতিবেদন কেন প্রত্যাখান করা হল?
২। কেন সেনা তদন্তকারী অফিসারদের বাধ্যতামূলক অবসর দেওয়া হল?
৩। পেছনে কারা জড়িত, মূল পরিকল্পনাকারী কারা তা জানার আগেই কেন নিরাপওা হেফাজতে থাকা জওয়ানদের আত্নহত্যার নাম দিয়ে মেরে ফেলা হল?
৪। বিদ্রোহের সময় বিডিআরের ড্রেস পড়া মাথায় কমলা ফিতা বাধা কমান্ডোদের দেখা গেছে পিলখানায়, যাদের ফেলে যাওয়া অস্ত্রের মধ্যে এমন কিছু বিশেষ ধরনের রাইফেলের বাট পাওয়া গেছে যেগুলো বাংলাদেশ আর্মি বা বিডিআর ব্যবহার করে না (সেনা তদন্তে যা বলা হয়েছে),তাদের সত্যিকারের পরিচয় কি?
৫। বিডিআরের ওয়াকিটকিতে হিন্দী ভাষায় কথা বলেছে কেউ কেউ। বিডিআর সদস্যদেরকে কি হিন্দী ভাষায় কথা বলার ট্রেনিং দেয়া হয়?
৬। বিডিআর ডিজি জেনারেল শাকিল নিহত হবার আগেই সকাল দশটার দিকে ভারতীয় এনডিটিভি সর্বপ্রথম খবর প্রচার করে, ডিজি শাকিল সহ ১২ জন অফিসার নিহত।এটা কিভাবে সম্ভব হল?
৭।বিডিআর বিদ্রোহের ঘটনা ঘটে ৯-০২ মিনিটে। এরপরেই ডিজি শাকিল প্রথমে ফোন করে সেনাপ্রধান জেনারেল মইনকে, পরে প্রধানমন্ত্রী হাসিনাকে, র্যাবের ডিজিকে। মইন তখন সেনাসদরে মিটিংয় করছেন। খুব দ্রুই ৪৬ ব্রিগেডের কয়েকটি ব্যাটালিয়নকে পিলখানায় মুভ করতে নির্দেশ দেয়া হয়। সেনাবাহিনীর প্রথম দলটি পিলখানায় পৌছে সকাল ১০:৫০ মিনিটে, এর পর পরই পিলখানার বাকি গেট গুলিতে সেনাবাহিনী পৌছে যায়। অন্যদিকে ১০:১০ মিনিটে পিলখানার ৩টি গেটে র্যাব পেছে যায়।
সেনাপ্রধান জেনারেল মইন দ্রুতই যান প্রধানমন্ত্রীর বাসা যমুনায়। সেখানে গিয়েে দেখেন হাসিনা দলের লোকজন নিয়ে চা নাস্তা খাচ্ছেন এবং গল্পগুজব করছেন। প্রায় ঘন্টাখানেক অপেক্ষা করার পরে সেনাপ্রধান মইন হাসিনার সাথে দেখা করার সুযোগ পান। ততক্ষনে পিলখানার বাইরে প্রতিটি গেইটে আর্মি এবং র্যাব অভিযানের জন্য তৈরী, কিন্তু বার বার আবেদন করা সত্ত্বেও তারা ভেতরে ঢোকার পারমিশন পাননি কেন?
৮। পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী সকাল ১১টার মধেই ৫৭ জন সেনা অফিসারদের প্রায় সকলকে হত্যা করার পর শুরু হয় নেগোশিয়েসন নাটক। হাসিনার পক্ষ থেকে বিদ্রোহীদের সাথে যোগাযোগের দায়িত্ব প্রাপ্ত হলেন সাহারা খাতুনের তত্বাবধানে যুবলীগের সভাপতি জাহাঙ্গীর কবির নানক এবং সাধারন সম্পাদক মির্যা আজম।যুদ্বাবস্থায় বন্দী উদ্ধারের আলোচনার বিশেষ ট্রেনিং দেয়া হয় কি যুবলীগ নেতাদের? তা না হলে এই বিষয়ে আমাদের কাছে সামরিক বিশেষজ্ঞ থাকা সত্বেও কেনো তাদের এ গুরু দায়িত্ব দেয়া হলো ?
৯।দোস্ত ডিএডি তৌহিদের সাথে ফোনে কথা বলে গুরু নানক ১৪ জন খুনি বিদ্রোহী বিডিআরকে নিয়ে আসে হাসিনার কাছে (অবশ্য বিদ্রোহ ঘটার আগে থেকেই নানক তৌহিদের সঙ্গে্ টেলিফোনে নিয়মিত কথা বলত (২০৪ ঘন্টা কথপোকথনের রেকর্ড আর্মির কাছে আছে)। চলে ডিএডি তৌহিদের নেতৃত্বে ১২ সদস্যের উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন(?) প্রতিনিধি দলের সাথে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ম্যারাথন আলোচনা এবং শেরাটন থেকে আনা সুস্বাদু ভুড়িভোজন। দীর্ঘ আলোচনার পর তথাকথিত বিদ্রোহীদের সব দাবী দাওয়া মেনে নেয়া, ডিএডি তৌহীদকে বিডিআর এর মহাপরিচালক ঘোষনা সহ সকল বিদ্রোহীদের জন্য সাধারন ক্ষমা ঘোষনা,ইত্যাদি। অথচ তাদের দাবী দাওয়া মেনে নেয়ার আগে একটি বারের জন্যও হাসিনা ও তার সাঙ্গপাঙ্গরা বিডিআর মহাপরিচালক মেঃ জেনারেল শাকিল কিংবা অন্য কারও সাথে কথা বলে পিলখানার ভিতরের পরিস্থিতি জানার চেষ্টা করেননি কেন?
১০।সেনাপ্রধান জেনারেল মইন বারংবার বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী পারমিশন দেননি, বরং তিনি রাজনৈতিক নেগোসিয়েশন করবেন বলেছেন! এটা কি সামরিক সংকট ছিল নাকি রাজনৈতিক সংকট? সামরিক সংকট হলে তিনি কেন রাজনৈতিক নেগোসিয়েশনের কথা বলেছেন?
১১।পরের দিন দুপরে প্রধানমন্ত্রী জাতির উদ্দেশ্যে বেতার ভাষণ দিয়ে বিদ্রোহীদেরকে চরম হুশিয়ারি দেন, যার কয়েক ঘন্টার মধ্যেই বিদ্রোহের অবসান ঘটে। এই হুমকিটা তিনি প্রথম দিন দিলেন না কেন? তার মানে কি তিনি চেয়েছিলেন তার ব্যাড লিস্টে থাকা অফিসারদের লাশ পড়ুক, তারপরে তিনি কথা বলবেন?
১২। শেখ হাসিনা ঐদিন অফিসে গেলেন না কেনো, বাসায় রইলেন কার ইশারায়? তিনি তো প্রতিদিন সকাল পৌনে নয়টায় অফিসের উদ্দেশ্যে রওয়ান দেন। সেদিন উনি বাসায় বসে কি করছিলেন?২৬ তারিখের বিডিআর নৈশভোজ তিনি আগেই বাতিল করেছিলেন। তার কাছে নিশ্চয়ই বিডিআর বিদ্রোহের আগাম তথ্য ছিল, আর সে জন্যই তিনি অফিসে না গিয়ে যমুনায় বসে রইলেন?
১৩। বিডিআর গনহত্যা এবং হাসিনা সরকারঃ দায় এড়ানো সম্ভব কি ?
৩| ২৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১:৪৮
চুঙ্গিওলা বলেছেন: হায় নির্মমতা!!
২৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ৩:৩৯
ডিজিটাল যাযাবর বলেছেন: বড়ই নির্মম!! পোস্ট পড়া এবং মন্তব্যের জন্য আপনাকে ধন্যবাদ,চুঙ্গিওলা।
©somewhere in net ltd.
১|
২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সকাল ৮:০১
বিজন রয় বলেছেন: সবাই ভুলে যায়।