![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
যদি আমার গান শুন তে মন চায় কুরানের সুর তুমি শুনে নিয়ো। যদি আমার গান বুঝতে মন চায় মজলুমানের ব্যাথা বুঝে নিয়ো।
ভারত না থাকলে তো ওরা স্বাধীনই হতে পারত না।’
এই একটা কথা ইদানীং সবচেয়ে বেশি ব্যবহার করতে দেখি ভারতীয়দের। বিভিন্ন কমেন্টে।
বাংলাদেশের স্বাধীনতা আন্দোলনে ভারতের অবদান অস্বীকার করার কোনো উপায় নেই।
কিন্তু ইতিহাস আরেকটু পড়তে বলি।
ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনেও ‘বাংলাদেশে’র অবদান অস্বীকার করার কোনো সুযোগ নেই ভারতীয়দের।
এই ইতিহাস আমাদেরও জেনে রাখা জরুরি।
যেন এ নিয়ে আমরা সব সময় মাথা উঁচু করে জবাব দিতে পারি।
ব্রিটিশ শাসনের বিরুদ্ধে প্রথম বড় ধরনের আন্দোলন ছিল সিপাহী বিদ্রোহ।
১৮৫৭ সালে মঙ্গল পাণ্ডের নেতৃত্বে ব্যারাকপুরে এই বিদ্রোহ শুরু হলেও সেটি সবচেয়ে বড় ও কার্যকর রূপ নিয়েছিল বাংলাদেশে।
চট্টগ্রাম, ঢাকা, সিলেট, যশোর, রংপুর, পাবনা ও দিনাজপুরে সবচেয়ে বড় আকার নেয়।
চট্টগ্রামের পদাতিক বাহিনী বিদ্রোহ ঘোষণা করে জেলখানা সব কারাবন্দীদের মুক্ত করে দিয়েছিল।
দখল করে নিয়েছিল অস্ত্রাগার ও কোষাগার। চট্টগ্রামকে ‘স্বাধীন’ করে তারা ত্রিপুরার দিকেও এগিয়ে গিয়েছিল।
এই বিদ্রোহকে ব্যর্থ বলার কোনো সুযোগ নেই।
সিপাহী বিদ্রোহের ফলেই ভারতে ১০০ বছরের কোম্পানি শাসনের অবসান হয়।
ভারত সরাসরি ব্রিটিশ সরকারের অধীনে শাসিত হয়।
এত বড় ধাক্কা দিয়েছিল এই সিপাহী বিদ্রোহ।
এই চট্টগ্রামেই থেকেই ব্রিটিশ শাসনকে দেওয়া হয়েছিল আরেকটি বড় ধাক্কা।
১৯৩০ সালে মাস্টার দা সূর্য সেন চট্টগ্রামে বিদ্রোহ সূচনা করেছিলেন।
সেখান অস্থায়ী বিপ্লবী সরকারও গঠন করা হয়েছিল।
চট্টগ্রাম স্বাধীন ছিল চার দিন।
সূর্যসেন পথ দেখিয়েছিলেন, চার দিন স্বাধীন থাকতে পারলে কেন চিরদিনের স্বাধীনতা সম্ভব নয়?
ভারতের প্রথম দিককার দুই বিপ্লবী ছিলেন ক্ষুদিরাম ও প্রফুল্ল চাকী।
ক্ষুদিরামের ফাঁসি আর পুলিশকে ধরা না দিয়ে নিজেই মাথায় পিস্তল ঠেকিয়ে আত্মাহুতী দেওয়া প্রফুল্ল পরবর্তী বিপ্লবীদের ভীষণ উদ্দীপ্ত করেছিলেন।
প্রফুল্লের জন্ম বগুড়ায়, ছিলেন রংপুর জিলা স্কুলের ছাত্র।
সায়ানাইড খেয়ে আত্মহুতী দেওয়া যে প্রীতিলতা ওয়াদ্দেদারকে দেখে ভারতের নারীরাও আন্দোলনে এগিয়ে এসেছিলেন নিজেদের উৎসর্গ করতে, তিনি চট্টগ্রামের মেয়ে।
সেই যুগেও কল্পনা দত্তরা আঁচল বেঁধে আন্দোলন করেছেন, ভাবা যায়!
যার নাম শুনলে ব্রিটিশ সেনাদের প্যান্ট ভিজে যেত, সেই বাঘ বাঘা যতীনের জন্ম কুষ্টিয়ায়।
বাদল–দিনেশ, রাজেন্দ্র লাহিড়ি, বিনয় বসু, উল্লাসকর দত্ত, ভূপেন দত্ত, বিনোদ বিহারী চৌধুরী, সুবোধ রায়... কত কত নাম, বিপ্লবের মহাকাশের উজ্জ্বল নক্ষত্র।
বিপ্লবের পাশাপাশি রাজনৈতিক আন্দোলনের মাধ্যমে আরেক ধারার নেতৃত্বে ছিলেন দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন দাসেরা।
লিস্ট লম্বা করাই যায়।
বাংলা মোঘলদের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করা বারো ভূঁইয়ার দেশ।
বাংলা সেই দেশ, যার সীমানায় এসে থমকে গিয়েছিল বিশ্বজয়ী বীর আলেকজান্ডারও।
এই বাংলার আবহাওয়ায় এমন কিছু আছে, আমরা কখনোই পরাধীনতা মেনে নিইনি, নিব না।
বাংলাদেশের স্বাধীনতায় ভারতের অবদান স্বীকার করার মতো উদারতা আমাদের আছে। ভারত তাদের স্বাধীনতায় এই বাংলায় নাড়িপোঁতা ভূমিপুত্র আর অসীম সাহসী বীর নারীদের অবদান স্বীকার করার মতো যথেষ্ট উদার তো?
কপি: রাজিব হাসান।
২| ০২ রা এপ্রিল, ২০১৬ দুপুর ২:০৬
মোবাশ্বের হোসেন বলেছেন: তিতুমীর , হাজী সরীয়তুল্লাহ আর কই , এরা কি বৃটিশের বিরদ্ধে লড়ে নাই , নাকি মুসলিম বলে ইতিহাস থেকে ওরা বাদ ?
©somewhere in net ltd.
১|
০২ রা এপ্রিল, ২০১৬ দুপুর ১:৫৯
রানার ব্লগ বলেছেন: বাংলাদেশের স্বাধীনতায় ভারতের অবদান স্বীকার করার মতো উদারতা আমাদের আছে। ভারত তাদের স্বাধীনতায় এই বাংলায় নাড়িপোঁতা ভূমিপুত্র আর অসীম সাহসী বীর নারীদের অবদান স্বীকার করার মতো যথেষ্ট উদার তো?