নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

একক দিব্য

লেখালেখি করাকে কখনোই গুরুত্ব দেইনি, কিন্তু এখন মনে হয় এটার গুরুত্বই বেশি

একক দিব্য › বিস্তারিত পোস্টঃ

রোনালদিনহো ম্যাজিক

১৮ ই জুন, ২০১৪ রাত ৯:৫৩

গোল তো অনেক ভাবেই করা যেতে পারে। ফ্রিকিক গোল করার একটা ভালো সুযোগ এনে দেয়। তবে সেখান থেকেও যেন বল জালে বাধতে চায়না। আর তাছাড়া গোলকিপার তো আছেই। কেউ কেউ আবার দানবের মতো। না, তাদের বিদ্রুপ করছিনা। তাদের দেহের আকার-আকৃতি দেখে যে কেউ এরকম মন্তব্য করতে পারে। সেরকম একজন গোলকিপার ছিল ইংল্যান্ডের ডেভিড সিম্যান। মাথার পিছনের পনি-টেইল আর বিশাল দেহ তার ট্রেডমার্ক। নিজের ক্যারিয়ারের সেরা সময় কাটিয়েছেন ৯০ এর দশকে।



কি ভাবছেন? এবার তার জীবন নিয়ে লিখবো? ভুল করলেন। এই ডেভিড সিম্যান এর একটা মারাত্মক ভুল আর একটা বিশ্বকাপানো গোলের কথা লিখছি। এবার হয়তো কিছুটা আন্দাজ করতে পারছেন।



সময়টা ২০০২ বিশ্বকাপ। ইংল্যান্ড বনাম ব্রাজিলের কোয়ার্টার ফাইনাল। ম্যাচের অনেকটা সময়ই বল ইংল্যান্ডের দখলে। মাইকেল ওয়েন তো সবাইকে চমকে দিয়ে একটা গোলই করে ফেলল। তবে ব্রাজিল কি আর বসে থাকবে? রিভালদো গোল করে সমতায় আনলো স্কোরবোর্ড। দ্বিতীয়ার্ধ। মাঝমাঠের কিছুটা সামনে ফ্রিকিক পেল ব্রাজিল। কিক নিতে বলের সামনে এসে দাড়ালো এক তরুণ, নাম রোনালদো। নাহ! ভুল না। তার নাম রোনালদো-ই। তবে দ্যা ফেনোমেনন থেকে আলাদা করার জন্য নামটা পাল্টে করা হয়েছিলো রোনালদিনহো। রেফারি ডিফেন্সিভ ওয়াল ঠিক করে সাজিয়ে বাশি ফু দিলেন। কিক নিল রোনালদিনহো। ৪০ গজ দূর থেকে ফ্রিকিক ছিলো দেখে সিম্যান মনে করল বলটা ক্রস করবে রোনি। তাই একটু সামনেই দাড়ালো সিম্যান। তার আন্দাজে আশা দিয়ে প্রথমে বলটা বেঁকে ক্রসের ভঙ্গীতেই এগোচ্ছিলো। সাথে সাথেই আশা ভঙ্গ করে উড়ন্ত বলটার গতিপথ সোজা হয়ে মাটির সমান্তরালে এসে পড়লো। সিম্যান কি করবে বুঝলো না। এভাবে আসতে থাকলে নিশ্চিত বলটা ক্রসবারের উপর দিয়ে চলে যাবে। ঠিক তখনি আবার সিম্যানের চিন্তায় ধুলো দিয়ে বলের দিক নিম্নমুখী হয়ে গেল। সিম্যান পিছিয়ে গিয়ে শুধু হাতটা উচু করলো। ধরতে পারল না। খালি একটা শব্দ শুনলেন। বলটা ক্রসবারে লাগলো। সামনে দেখল রোনালদিনহো এক দৌড়ে মাঠের পিছনের দিকে ছুটছেন। আর কিছুই বোঝা বাকী থাকলো না। অসাধারণ একটা গোল দেখে ফেলেছে পৃথিবী। তবে ভুলটা যে সিম্যানেরই। সে যদি আরেকটু দ্রুত পিছিয়ে যেত আর বলটাকে থামানোর জন্য লাফ দিত তাহলেই তো কত সহযেই থামানো যায়। সেভটা হয়তো তেমন কৃতিত্বপূর্ণ বলে দেখা হতোনা, তবে গোলটা তো বাচানো যেত। এরপর হয়তো ইংল্যান্ড সেমি-ফাইনাল, ফাইনালে যেতে পারতো, হয়তো দ্বিতীয় বিশ্বকাপটাও পেয়ে যেত। তাছাড়া বিশালদেহ নিয়ে পুরো গোলপোস্টও তো কভার করা যায়। শুধু একটা লাফই হয়তো ইতিহাস পাল্টে দিতে পারতো। কিন্তু হায়!



"কপালের লেখন, যায়না খন্ডন"।



ঐ গোল সম্পর্কে সিম্যান বলেছেন, "I Just heard a noise. The ball clipping the bar. Actually you can't hear that kind of sound because of the crowd. They are always shouting. But when it's a free kick they go quiet. And they made the quietest arena to let me hear my worst sound."

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.