![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
এখন সময় এসেছে না বলা কথা গুলো বলে বধীর মানুষের বধীরতা ঘোঁচানো, এখন সময় এসেছে আলোর বাঁধ ভাঙ্গার। যে আলোয় অন্ধকারগামী মানুষ চলতে শিখবে। আমি ভীতু, আমার গলার স্বরও নরম। আমি বলতে সাহস করবনা বললেও কেউ শুনতে পাবেনা। যাদের সাহস আছে, যাদের গলা উঁচু আছে তাদেরকে সমবেত স্বরে বলতে হবে। আলোর বাঁধ ভেঙ্গে দাও! অন্ধকারকে হটাও!
কৃষ্ণচূড়ার ক্লান্ত শাখায় আমি দাঁড়িয়ে, নীলিমাকে স্পর্শ করব বলে,
সহসা কাল মেঘ এসে আমার দু’হাতটা সরিয়ে দিল-
ও বলে এখানে তোমার প্রবেশ নিষেধ।
কৃষ্ণচূড়ার শাখাগেুলো নুয়ে যাচ্ছে আমার স্পর্শের ভারে-
ওর কোমল পাতাগুলোও শিশির গায়ে জড়িয়ে ন্যূয্য-মান
বাতাসের এপার ওপার দোলে শাখা ও পাতাগুলো শঙ্কিত।
বহুমুখী চাপে বৃক্ষটির শাখা-মালা নিউটনের সূত্রে ধরনীরবুকে
আশ্রয়ের জন্য ব্যাকুল প্রায়।
সহসা বারি বরষণে শিশিরগুলো ভিজে গেলে,
ধুয়ে গেলো শিশিরের ভার,
কৃষ্ণ-পত্রের ন্যূয্য-তার চাপ কমে গেলো।
মেঘমালার অযাচিত হস্তক্ষেপ বন্ধ হয়ে গেলো-
একরোদ স্বপ্ন নিয়ে সূর্য এলো।
মেঘের আড়ালে সহ-বাসিত আলো
তখন আমার চোখে একরাশ স্বপ্ন মেখে দিল।
অত:পর
অনেক দিনের অদেখা স্বপ্ন সে আজ খরতাপে-
তীব্র যন্ত্রণা দগ্ধ।
ও আজ কৃষ্ণচূড়ার পাতাগুলো ঝরিয়ে দিল,
শিশিরের শরীর থেকে বৃষ্টিগুলো শুকিয়ে দিল,
মেঘের শরীর থেকে সমস্ত জলরাশি শুষে নীল।
আজ কৃষ্ণচূড়ার শাঁখে বসে আছে কৃষ্ণ-কোন নতুন পাখি-
যে পাখি অনেক আগেই বরষনে
তার বাসা হারিয়েছে।
ঝরা পাতাগুলো বাতাসের গন্ধে দিক-বিদিক;
সুখের খোঁজে সেও আজ বিচলিত।
স্পর্শ থামিয়ে দেওয়া মেঘমালা,
সে আজ সমুদ্র তীরে বালিদের সাথে খেলায় মত্ত।
আর আমি?
আর ঝরাপাতার সাথে নেই, শুকনো ডালেও নেই,
নীলিমার খোঁজে-
নতুন কোন শাঁখে-
নীলিমারি দিকে হাত বাড়িয়ে
এক রাশি স্বপ্নের আশে।
আলমগীর কবির
26 August 2015
সমাপ্ত
২| ২৭ শে আগস্ট, ২০১৫ সকাল ১১:৩৯
আলোর_পথিক বলেছেন: ধন্যবাদ হাসান ভাই।
©somewhere in net ltd.
১|
২৭ শে আগস্ট, ২০১৫ সকাল ১১:২৮
আল ইমরান বলেছেন: অ সা ধা র ন
বেশ ভালো।
কবিতার সাথে ছবিটার কি দারুন মিল।
শুভকামনা থাকল।