![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
এখন সময় এসেছে না বলা কথা গুলো বলে বধীর মানুষের বধীরতা ঘোঁচানো, এখন সময় এসেছে আলোর বাঁধ ভাঙ্গার। যে আলোয় অন্ধকারগামী মানুষ চলতে শিখবে। আমি ভীতু, আমার গলার স্বরও নরম। আমি বলতে সাহস করবনা বললেও কেউ শুনতে পাবেনা। যাদের সাহস আছে, যাদের গলা উঁচু আছে তাদেরকে সমবেত স্বরে বলতে হবে। আলোর বাঁধ ভেঙ্গে দাও! অন্ধকারকে হটাও!
বিবর্তনবাদের মাধ্যমে টিকে থাকার জন্য সকলপ্রাণীকূলই প্রয়োজনীয় অভিযোজন ক্ষমতা অর্জন করেছে। অন্যথায় সেইসকল প্রাণীকূলের নাম বিলুপ্তদের নামের তালিকায় পাওয়া যেত। কিন্তু মানুষের নির্লজ্জ্বতা, স্বাভাবিক দায়িত্বজ্ঞানহীনতাবোধ যদি অতিমাত্রায় অভিযোজিত হয় তাহলে সামিজিকীকরণের স্বাভাবিক ধারা, মানুষের মূল্যবোধ, সমাজের প্রতি দায়িত্ববোধ ইত্যাদি শব্দগুলো বিলুপ্তদের তালিকায় খুঁজতে হবে ।
বয়স সাত বা আট তার চেয়ে বেশি হওয়া সম্ভাবনা কোন ভাবেই নেই। এই বয়সের একটি শিশুকে যদি টিকে থাকার জন্য চলন্ত গাড়ীর শ্রমিক হিসাবে পরিবারের উপার্জক হতে হয় তাহলে তো আমাদের বিবেচনা বিলুপ্তদের তালিকায় খোঁজা ছাড়া আমি কোন উপায় দেখি না। আবার যাত্রী হিসাবে আমাদের ব্যবহারও খুব অদ্ভুত; সব সময় ওদেরকে ধমক দিয়ে আমরা যে ভাবে তুই তোকারী করছি তাতে ওদের আত্ম মর্যাদাবোধ অর্জন কোন ভাবেই সম্ভব নয়। এক সময় এই আত্মমার্যাদাহীনতা থেকে মাস্তান, ছিনতাইকারী, চোর-ডাকাত ইত্যাদি নামের অসামাজিক জীবে পরিণত হবে। তার জন্য আমরা দায়ী করি বা করব সমাজের নানান গোষ্টিকে, অথচ আমি আপনিই যে তার এই পরণতির জন্য দায়ী, সেটা বেমালুম ভুলে যায়। আমরা অতি সহজেই ভুলে যায় যে উক্ত শ্রমিকের এক অর্থে কাঁধে চড়েই আমি আমার সন্তানের কাছে ফিরে যাচ্ছি, আমাদের সন্তানদের স্বপ্ন ছোঁয়ার সাহস দেখায়। অত:পর সন্তানকে নিজের হৃতপিন্ডের কাছে টেনে নিয়ে পারলে নিজের প্রাণটা খেলনা বানিয়ে তার হাতে তুলে দেই, যাতে সে খেলে আনন্দ পায়। আমাদেরকি একবারও মনে হয়না ঐ শিশুটিও আরেকজন বাবার সন্তান অথবা আরেকজন মায়ের সন্তান।
আমার কথাগুলো কি কাঁচা দেখেন, আমার আবেগগুলো কত অর্থহীন দেখেন। এই Corporatization এর যুগে এইসব কথা কখনও কেউ ভাবে? আমার এই ভাবনা থেকে বুঝলাম আমি একটা গাইয়া, গ্রাম থেকে ঢাকায় বেশ কয়েকবছর হলো এসেছি অথচ ঢাকাইয়া হতে পারলাম না গাইয়াই রয়ে গেলাম।
আমি তো গাইয়াই!!
২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৮ রাত ১০:৪৯
আলোর_পথিক বলেছেন: নরকে থাকা উচিৎ, যেখানে অন্তত: তথাকথিত ভদ্রলোকদের অকথ্য শব্দগুলো শুনতে হবে না।
২| ২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৮ রাত ১০:০২
আবু তালেব শেখ বলেছেন: না আপনি যথার্থয় জ্ঞানী। তবে প্রত্যেক সন্তান কে তার মা বাবার আগলে রাখা উচিৎ। আপনি যাদের কথা বলেছেন এদের উপার্জন তার পিতা মাতা জন্মের পরদিন থেকে খাওয়া শুরু করে।
তাহলে এদের দ্বায়িত্ব পিতা মাতা যেখানে ঠিকভাবে পালনে ব্যর্থ সেখানে আমরা কতটা সফল হতে পারি?
২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৮ রাত ১০:৫০
আলোর_পথিক বলেছেন: সরকার মহোশয়ের দাত্বি কি ? কি করতে আছে তারা? আর আমরাই বা কেন তাদের ভোট দেওয়ার জন্য শুকতলা ক্ষয় করি?
৩| ২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৮ রাত ১০:২৬
জিসান আহমেদ অরিন বলেছেন: আপনি যথার্থই লিখেছেন
২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৮ রাত ১০:৫১
আলোর_পথিক বলেছেন: যথার্থ বলার ব্যাপার নয়, যথার্থ করার দরকার।
৪| ২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৮ রাত ১০:৩০
দিলের্ আড্ডা বলেছেন: আদর্শ মানুষ হলেই চলবে। আর কিছু লাগবে না তো ।
২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৮ রাত ১০:৫২
আলোর_পথিক বলেছেন: কুত্তার বাচ্চা বলে গালি দিয়ে তো মনুষ্য সমাজ থেকে তো বের করেই দিচ্ছি সেখানে আদর্শ মানুষ তো আমদানি করা শব্দ ছাড়া ব্ই কিছু নয়।
©somewhere in net ltd.
১|
২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৮ রাত ৯:৫১
চাঁদগাজী বলেছেন:
সাত/আট বছরের বাচ্চা কোথায় থাকা উচিত?