নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি হব সকাল বেলার পাখি

দিব্যেন্দু দ্বীপ

সংশয়ে সংকল্প সদা টলে

দিব্যেন্দু দ্বীপ › বিস্তারিত পোস্টঃ

প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার প্রশ্নগুলো আরো অনেক গবেষণা করে করা উচিৎ

১১ ই জানুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১০:৩৪

“শেষের কবিতা” কে লিখেছেন -তা জানার প্রয়োজন রয়েছে, তবে এ প্রয়োজনটা খুব সামান্য প্রয়োজন। বইটা কেনার প্রয়োজনে। সেক্ষেত্রে কে লিখেছে, তা না জানলেও হয়। দোকানে গিয়ে যদি বলা হয় একটা “শেষের কবিতা” দেন, তাহলে লাইব্রেরিয়ান বইটা থাকলে আপনাকে দেবে। শুধু এটা আপনাকে জানতে হবে যে, বই কিনতে বইয়ের দোকানে যেতে হয় মুদির দোকানে গেলে হয় না। বইটা কেনার সাথে সাথেই দেখতে পাবেন- উপরে লেখকের নাম লেখা আছে। এখন আপনি মনে করতে পারেন, এই রবীন্দ্রনাথ হচ্ছে আপনার গ্রামের উত্তর পাড়ার রবীন্দ্রনাথ। অর্থাৎ, আপনার যদি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর সম্পর্কে পূর্ব ধারণা না থাকে এবং বইটি আপনি না পড়েন, তাহলে বইটা কেনা এবং লেখকের নাম জানার কোনো মূল্য নেই। আলোচিত বইয়ের লেখকের নাম আপনি শুনেও জানতে পারেন। ধরুণ, আমি শুধু বইটির লেখকের নাম জানি, আরেকজন বইটি তিনবার পড়েছে। আমাদের দ ‘জনের জানার তফাৎটা নিশ্চয়ই বুঝতে পারছেন।
এখন আমাদের দেশের চাকরির পরীক্ষায় আসল- “শেষের কবিতা” কে লিখেছে? সেক্ষেত্রে আমিও পারব, আপনিও পারবেন এবং দু’জনেই পূর্ণ নম্বর পাবো। এবং দিনশেষে ফলাফলে আমি এবং আপনার মধ্যে কোনো পার্থক্য নেই।
না, পার্থক্য আছে- যে বইটা পড়ে নেই, সে ঐ সময়ে বসে ছিল না, নিশ্চয়ই কিছু না কিছু করেছে, হয়ত রাঘববোয়ালদের কাছে দৌঁড়ঝাপ করেছে, অর্থাৎ যে বইটি একবারও পড়েনি আমাদের বাজারে সে-ই এগিয়ে রয়েছে। বইটি পড়ার সাথে মননশীলতা এবং জীবনবোধের সম্পর্ক রয়েছে, না পড়ার সাথে অবহেলা, এবং ফাঁকি দেওয়ার মানুসিকতার সম্পর্ক রয়েছে। কিন্তু আমাদের পরীক্ষা পদ্ধতি (বিশেষ করে চাকরির পরীক্ষাগুলোতে) একেবারেই মুখস্থ নির্ভর, যা দিয়ে মেধা যাচাই তো হয়ই না, মানুষের মননশীলতার যাচাইও হয় না।
এর মানে এই না যে সবাইকে খুব পড়াশুনা করতে হবে, এবং পড়াশুনা করলে সে ভাল, আর পড়াশুনা না করলে সে ভালো না। কিন্তু পরীক্ষার প্রশ্ন এমন হওয়া উচিৎ যাতে বেশি জানা এবং বেশি পড়াশুনা করা এবং বেশি মেধাবী শিক্ষার্থীই গুরুত্ব পায়।

মন্তব্য ১২ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (১২) মন্তব্য লিখুন

১| ১১ ই জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১২:২২

রেজওয়ানা আলী তনিমা বলেছেন: খুব সরল ভাষায় গুরুত্বপূর্ণ একটি পয়েন্ট তুলে এনেছেন, ধন্যবাদ।

১১ ই জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১:০৫

দিব্যেন্দু দ্বীপ বলেছেন: ধন্যবাদ। বিষয়টি বেশি বেশি আলোচনা হওয়া দরকার বলে মনে করি।

২| ১১ ই জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১২:৪৭

মহা সমন্বয় বলেছেন: বস্তব ধর্মী খুব গুরুত্ব পুর্ণ একটি পোষ্ট।
কি কে শোনে কার কথা ???

১১ ই জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১:০৬

দিব্যেন্দু দ্বীপ বলেছেন: ধন্যবাদ। বিষয়টি বেশি বেশি আলোচনা হওয়া দরকার বলে মনে করি।

৩| ১১ ই জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১২:৪৮

মহা সমন্বয় বলেছেন: কিন্তু কে শোনে কার কথা ???

১১ ই জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১:০৬

দিব্যেন্দু দ্বীপ বলেছেন: ধন্যবাদ। বিষয়টি বেশি বেশি আলোচনা হওয়া দরকার বলে মনে করি।

৪| ১১ ই জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১২:৪৯

সুমন কর বলেছেন: আমাদের পরীক্ষা পদ্ধতি (বিশেষ করে চাকরির পরীক্ষাগুলোতে) একেবারেই মুখস্থ নির্ভর, যা দিয়ে মেধা যাচাই তো হয়ই না, মানুষের মননশীলতার যাচাইও হয় না।

অল্পে দারুণ বলেছেন। চাকরির পরীক্ষাগুলোতে পদ অনুযায়ী প্রশ্ন করাটা দরকার। শুধুশুধু মুখস্থ বিদ্যা দিয়ে যাচাই করা ঠিক না।

১১ ই জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১:০৬

দিব্যেন্দু দ্বীপ বলেছেন: ধন্যবাদ। বিষয়টি বেশি বেশি আলোচনা হওয়া দরকার বলে মনে করি।

৫| ১১ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ৮:৫৭

আরণ্যক রাখাল বলেছেন: খুব চমৎকার একটি বিষয় তুলে ধরেছেন

১১ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ৯:৩৭

দিব্যেন্দু দ্বীপ বলেছেন: ধন্যবাদ। বিষয়টি বেশি বেশি আলোচনা হওয়া দরকার বলে মনে করি।

৬| ১১ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ৯:০৩

মিঃ এলিয়েন বলেছেন: সত্যিটায় তুলে দরার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ

১১ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ৯:৩৭

দিব্যেন্দু দ্বীপ বলেছেন: ধন্যবাদ। বিষয়টি বেশি বেশি আলোচনা হওয়া দরকার বলে মনে করি।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.