![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
জন্মের উদ্দেশ্য যখন মৃত্যু, আর সময়ের অভিমুখ যখন প্রলয়- আমার মনে তখন সত্য মিথ্যা নিয়ে দ্বিধার জন্ম হয়...
এরকম অভিজ্ঞতা মনে হয় সবারই আছে, ধরেন পিচ্চিকালে হাটি হাটি পা পা করে আপনি রান্নাঘরে ঢুকে পড়েছেন। সেখানে গিয়ে দেশলাইয়ের প্যাকেট বা ধারালো চাকু নিয়ে খেলা শুরু করে দিয়েছেন, ঠিক সেই সময় মুরুব্বি কেউ দেখে ফেললেই শুরু হয়ে যেতো কেয়ামত! রেখে দাও বাবা! এসব নিয়ে খেলতে হয় না, যাও ড্রইংরুমে যাও, শোকেস থেকে খেলনা বের করে সেগুলো দিয়ে খেলো।
বলা হয় বয়স যত বাড়ে মানুষের জ্ঞান তত বাড়ে। কিন্তু কিছু কিছু ব্যাপার মনে হয় আছে যেসব আমরা পিচ্চিকালে ভালোই জানতাম, যত বয়স হচ্ছে, তত মাথায় ভেতর প্যাচ খেলছে – ততই ভুলে যাচ্ছি। সেই ব্যাপারটা হলো, যে খেলতে জানে, তার কাছে সবকিছুই খেলনা। একটা ছোট একটা বাচ্চা রান্নাঘরের ধারালো চালু নিয়েও খেলতে পারে। তার কাছে লোড করা রিভলভারও খেলনা। আমাদের কাছে কিন্তু সেসব মোটেও খেলনা না। কারণ এইসব জিনিষ আমরা কোনো একটা কাজে লাগাই। রান্নাঘরের চাকু দিয়ে আমরা কাটাকাটির কাজ করি, আর রিভলভার দিয়ে..ওয়েল এটার ভালোমন্দ অনেক রকম কাজ আছে..এই যেমন পেছন থেকে চলন্ত গাড়ীর টায়ার পাংচার করা..গ্রেফতার এড়াতে সুইসাইড করা ইত্যাদি।
যাহোক, আসলে পোস্টের মূল বিষয় ছিলো ড্রোন। আপনারা সবাই জানেন, শাবিপ্রবিতে পরীক্ষামূলক ভাবে ড্রোন উড়ানো হয়েছে কিছুদিন আগে। টিভিতে দেখে তাদের সাক্ষাৎকার শুনে যতদূর বুঝলাম এই ড্রোনের সমস্ত সার্কিট ডিজাইন কলকব্জা তৈরির সব কাজ তারা নিজেরাই করেছে। এই ড্রোন প্রজেক্টের তত্ত্বাবধানে আছেন অবশ্যই অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ জাফর ইকবাল। (হ্যাঁ, সেইই পেইনফুল লোকটা, যিনি একদা ‘তোমরা যারা’ প্যাটার্নে একটা আর্টিকেল লিখেছিলেন ছাগুদের উদ্দেশ্যে, ক্ষয়ক্ষতির হিসাবে যেটা তালিবানের উপর মার্কিন ড্রোন হামলার ভয়াবহতাকেও ছাড়িয়ে গিয়েছিলো)।
তো, যেহেতু জাফর ইকবাল স্যার এই প্রজেক্টের সাথে জড়িত, তাই ওই ড্রোন বানানোর আগেই চাইনিজ ড্রোন পৌঁছে গেছে বাংলার ঘরে ঘরে। সবার বাড়িতেই এখন এসব পাওয়া যাচ্ছে, সবাই এখন ড্রোন বিশেষজ্ঞ। বলা যায় না, কিছুক্ষণ পরে হয়তো শুনবো হাটহাজারী থেকে ঝাড়ফুঁক করা কাগজের পেলেন উড়ানোর এন্তেজাম করা হচ্ছে।
কিন্তু, কথা হচ্ছে খেলনা হেলিকপ্টার বা প্লেন আর সেনাবাহিনীর ব্যাবহার করা ড্রোন – এই দুইটার মধ্যে পার্থক্যটা কি আসলে? যে বস্তুটাকে শাবিপ্রবিতে উড়ানো হচ্ছে সেটাকে কি এখনই ড্রোন বলা যায়? আমার কাছে মনে হয় যতক্ষণ পর্যন্ত আমরা সেই বস্তুটাকে বাস্তব জীবনে কোনো কাজে লাগাতে না পারছি ততক্ষণ এটাকে ড্রোন না বলাটাই শ্রেয়। (জাফর ইকবাল স্যার নিজেও এটাকে এখনো ফ্লাইং মেশিন বলেছেন। তবে ধীরে ধীরে এটাকে ড্রোনের পর্যায়ে নিয়ে যাওয়াই এই প্রজেক্টের উদ্দেশ্য।)
বিজ্ঞানের খটমটে তত্ত্বকথা আমি বুঝি না, আওড়াতেও পারি না। তবে ব্যক্তিগতভাবে আমি এটাকে ড্রোন বলবো, যখন -
##এটা যেখানে থেকে কন্ট্রোল করা হবে তার দৃষ্টিসীমার থেকে দূরে যেতে পারবে, এবং সেখান থেকেও এটাকে কন্ট্রোল করা যাবে।
##দীর্ঘসময় নিঃশব্দে আকাশে অবস্থান করতে পারবে।
##নিখুঁতভাবে পথ চিনে লক্ষবস্তুতে পৌছাতে পারবে।
##সফলভাবে শত্রুপক্ষের রাডার ফাঁকি দিতে পারবে।
##তাৎক্ষনিক ভাবে তথ্য বা ছবি কন্ট্রোল রুমে পৌঁছে দিতে পারবে।
প্রথম যেদিন ড্রোনটা আকাশে পরীক্ষামূলক ভাবে উড়ানো হলো সেদিনই টিম মেম্বাররা বলছিলেন তাদের পরিকল্পনা আছে সিলেট থেকে চিটাগাং পর্যন্ত একে উড়িয়ে নেয়ার। ছবি তোলা, তথ্য পাঠানো সহ আরও কিছু কিছু ফিচার এর মধ্যেই ঠিকভাবে কাজ করছে।
এই ঘটনাটা এমন সময় ঘটছে যখন গুগল সহ আরও বড় বড় জায়ান্ট ড্রোন ব্যাবহার করে কুরিয়ার সাপ্লাই দেয়ার সম্ভাব্যতা যাচাই করে দেখছে। আর নজরদারী, বিভিন্ন লক্ষ্যবস্তুতে হামলা করা সহ যাবতীয় সামরিক ব্যাবহার সম্পর্কে ইউএস আর্মির কল্যাণে আমরা তো সবাই-ই সম্যক অবগত।
কতগুলো বাচ্চা ছেলে যদি রিমোট কন্ট্রোল দিয়ে একটা খেলনা পেলেন বানায়, আর সেটা যদি সত্যিই দেশের মানুষের কোনো একটা কাজে লাগে, সেনাবাহিনী যদি এই ডিজাইনটা ব্যাবহার করে। কোনো এক সোনালী সকালে এরকম একটা ড্রোন যদি দেশের আরেক প্রান্তে থাকা আপনার জরুরী কাগজপত্র বা মালসামান চোখের নিমিষেই পৌছে দিতে পারে আপনার এলাকার কুরিয়ার অফিসে, তাহলে ক্ষতি কি!
যদি শেষমেশ সেটা ড্রোন না হয়, যদি এই প্রজেক্টটা ব্যর্থই হয়ে যায়, তাহলে নাহয় খেলনার দোকানই দিয়ে দিলাম একটা! আপনার বাচ্চাকাচ্চাকে নাহয় কম দামে একটা দেশি খেলনাই কিনে দিলেন।
আপনার বাচ্চাটা সেই দেশি খেলনাটাকে মুগ্ধচোখে বাড়ীর সামনে উড়িয়ে বেড়াবে। আর আশেপাশের সবাই দেখবে ছোট একটা প্লেন কলোনির ভেতর উড়ে বেড়াচ্ছে, পাখার উপর বড় বড় করে লেখা,
“MADE IN BANGLADESH”
--
আরও পড়ুনঃ
এইডসের ভ্যাকসিন: আর কতকাল অপেক্ষা করতে হবে আমাদের?
০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৪:৩৬
Eisenheim বলেছেন: তা তো জানি না ভাই, আপাতত দেশের এপাশ থেকে ওপাশ পর্যন্ত গেলেই হলো।
আর মঙ্গলে পাঠালে সেটা আর ড্রোন থাকবে না, সেটা হয়ে যাবে স্পেসশিপ (তবে ঘাবড়ানোর কিছু নাই, এটাও চায়নিজ বাজারে পাওয়া যায়)
কমেন্টের জন্যে ধন্যবাদ
২| ০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৫:০২
গরম কফি বলেছেন: সবচেয়ে বড় কথা এটা নিজস্ব প্রযুক্তিতে বানানো হচ্ছে । আপনাদের উতসাহ এটিকে আপডেটে সহায়ক ।
০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:৫৪
Eisenheim বলেছেন: এটা অবশ্যই উৎসাহ দেয়ার মতোই বিষয়, এবং আমরা সবসময় তাদের পাশে আছি আই উইশ আই কুড বি ওয়ান অফ দেম..
৩| ০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৫:২২
সাইফুল আজীম বলেছেন: বাংলাদেশের তৈরি কিছু একটা.....এটাই বড় কথা। আস্তে আস্তে বড় কিছু হবে, শুরুটা ছোটই হোক।
০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:৫৭
Eisenheim বলেছেন: ঠিক এই কথাটাই বলতে চাইছিলাম, তারা চেষ্টা করছে কিছু একটা করার, অন্তত যতক্ষণ না তারা বিফল হচ্ছে তার আগ পর্যন্ত একটু আশাবাদী হতে দোষ কি?
কমেন্টের জন্যে ধন্যবাদ ভাই, সাথে থাকুন
৪| ০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৫:৩১
সালাহউদ্দীন আহমদ বলেছেন:
সুন্দর আলোচনামূলক পোস্ট। গুড জব।
০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:৫৮
Eisenheim বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ ভাই
৫| ০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৫:৩৬
হেডস্যার বলেছেন:
সমস্যা আসলে ড্রোন না, সমস্যা জাফর ইকবাল।
গত ২/১ দিনের পোষ্ট পড়ে তাই মনে হইছে।
ড্রোন নিয়া একেকজন বিশেষজ্ঞ মতামত দিতে গিয়া জাফর সাহেবরে ধোলাই করছে।
০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ৮:০৯
Eisenheim বলেছেন: জাফর ইকবাল স্যার নিজেই তো ড্রোনের ফ্যাকটরি। আর তার সেই ড্রোন হামলার ভুক্তভোগী যারা, তারা ভালোমতোই জানে ড্রোন কি জিনিষ তাই একটু এক্সাইটেড হয়ে গেছে আরকি
কিন্তু যারা দিনরাত খেটেখুটে এই জিনিষটা দাড় করাচ্ছে, তাদের অনুপাতে একটা খেলনা প্লেনের সার্কিট ডিজাইন করতে পারা এবং সেটা আকাশে উড়াতে পারাটাই অনেক কিছু, আর সেখানে তারা স্বপ্ন দেখছে সেটাকে সেনাবাহিনীর ড্রোনের পর্যায়ে নিয়ে যেতে..
এই প্রায় অসাধ্য সাধনের ক্রেডিটটুকু তাদেরকে দিতে আমরা জেনে শুনে নিশ্চই কার্পন্য করতে পারি না।
৬| ০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৫:৩৭
বোধহীন স্বপ্ন বলেছেন: এক লাফে গাছে চড়া যায় না, তেমনি একবারেই ড্রোন নির্মাণ করা যায় না, ধাপে ধাপে এগোতে হবে। প্রথমে সামান্য প্লেন হবে, তারপর সেটার আরো উন্নায়ন করা হবে এবং একসময় পূর্ণাঙ্গ রূপ নিবে, এই তো নিয়ম। আর ব্যবহারের কথা যা বলেছেন সেটাই হল আসল। বাংলাদেশে অনেক নতুন নতুন প্রজেক্টের সূচনা হয়, কিন্তু সেটা কাজে লাগে না। সেই "চাইনিজ" দিয়েই চালিয়ে দেয়। ফলে আমাদের "খেলনা প্লেন" দিয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হয়।
০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ৮:১৭
Eisenheim বলেছেন: নতুন নতুন প্রজেক্টের সূচনা হবে কিভাবে, সেটা ল্যাবের গন্ডী পেরোতে না পেরোতেই তো সমালোচনার তুবড়ি ছুটতে শুরু করে। তবু আমি আশাবাদী যে তারা চোখ কান বন্ধ রেখে প্রজেক্টটা শেষ করবে, এবং যে জিনিষটা তারা বের করে আনবে সেটা সত্যিকারের 'ড্রোন'-ই হবে..
এরপর যখন এই ড্রোন ব্যবহার করা শুরু হবে, তখন আরেকবার এই "খেলনা পেলেন" বিষয়ে পোস্টানোর আশা রাখি
কমেন্টের জন্যে ধন্যবাদ ভাই
৭| ০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৫:৫২
পৃথিবীর আলো বলেছেন: হাজার মাইলের যাত্রা কিন্তু শুরু হয় একটা ছোট পদক্ষেপ থেকেই। মানুষের ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র চেষ্টাই কোন একদিন বড় সাফল্য ডেকে আনে। স্যার জগদীশ চন্দ্র বসু প্রথম যখন রেডিও নিয়ে পরীক্ষা করেছিলেন তখন মাত্র এক কিমি পর্যন্ত ভয়েস ট্রান্সফার করতে পেরেছিলেন, আর এখন আমরা মোবাইল ফোন দিয়ে কি করি সবারই জানা। রেডিও কিন্তু তিনি আবিষ্কার করে যেতে পারেন নি। তিনি শুধু শুরু করেছিলেন। তাই শুধু সমালোচনা না করে পারলে পৃষ্ঠপোষকতা করুন। কে জানে একদিন হয়ত এভাবেই নতুন কোন সাফল্য চলে আসবে।
পোস্ট ভালো হয়েছে। ধন্যবাদ।
০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ৮:২০
Eisenheim বলেছেন: স্যার জগদীশ চন্দ্র বসু প্রথম যখন রেডিও নিয়ে পরীক্ষা করেছিলেন তখন মাত্র এক কিমি পর্যন্ত ভয়েস ট্রান্সফার করতে পেরেছিলেন, আর এখন আমরা মোবাইল ফোন দিয়ে কি করি সবারই জানা। রেডিও কিন্তু তিনি আবিষ্কার করে যেতে পারেন নি। তিনি শুধু শুরু করেছিলেন।
---
এবং এই ব্যাপারে কাজ করার সময় বেশ ভালোই টিটকিরির সম্মুখীন হয়েছিলেন তিনি। বিজ্ঞানী হতে হলে আসলে মাথা থাকলেই হয় না, অসাধারন সহ্য শক্তিও থাকা লাগে মনে হয়।
কমেন্টের জন্যে ধন্যবাদ ভাই ভালো থাকুন
৮| ০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:০৫
মোঃ সাবিকুল ইসলাম (হৃদয়) বলেছেন: Sabash
০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ৮:২৪
Eisenheim বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ ভাই, ভালো থাকুন
৯| ০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:১৬
আজরাঈল আমি বলেছেন: এইরকম ড্রোন প্রায় ৫ বছর ধরে ইউএস মিলিটারি ব্যবহার করে আসছে যারা UAV নামে পরিচিত। ডানা আর বডি খেলনার মত জুড়ে দিয়ে বাতাসে ছুড়লেই হয়। দুঘন্টা সার্ভিস দিতে সক্ষম সাথে ৩৬০ ডিগ্রি ক্যামেরা ভিউ আছে। জাফর মিয়া আমাগোরে বলদ পাইয়া মোয়া খাওয়াইতেছিলো।
০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ৮:২৭
Eisenheim বলেছেন: ইউএস মিলিটারি যদি আরও পাচশ বছর সেই ড্রোন ব্যবহার করে তাতে আমার বা এই দেশের লাভ টা কি?
আর ওই দুই ঘন্টার জায়গায় যদি দুইশ ঘন্টা হয় আর সেটা যদি আমরা দেশেই বানাতে পারি, কাজে লাগাতে পারি তাহলে ক্ষতি কোথায়?
কি জানি ভাই, কে বলদ আর কে বুদ্ধিমান..
১০| ০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:২৬
হু-কেয়ারস বলেছেন: বোধহীন স্বপ্ন বলেছেন: এক লাফে গাছে চড়া যায় না, তেমনি একবারেই ড্রোন নির্মাণ করা যায় না, ধাপে ধাপে এগোতে হবে। প্রথমে সামান্য প্লেন হবে, তারপর সেটার আরো উন্নায়ন করা হবে এবং একসময় পূর্ণাঙ্গ রূপ নিবে, এই তো নিয়ম।
সেটা...................কিন্তু কোন কিছু শুরু করার আগেই আমাদের আকাশে তোলার মানসিকতা ঠিক না। দেখা গেল প্রথমে ড্রোন ড্রোন করা হলো, দেশের মানুষ সব একসাইটেড হয়ে গেল। পরে তারাই আবার বললো এটা ড্রোন না অন্য কিছু। এটা তো প্রতারনার শামিল। তিল কে তাল করার আর মিডিয়া কাভারেজ নেয়ার মানসিকতা পরিহার করা উচিত।
ভাল কিছু করা হলে অবশ্যই দেশের মানুষ গর্বিত হয়। এর মানে এই না যে প্রতারনা করতে হবে। হোক সেটা মিডিয়া থেকে বা যারা এর সাথে জড়িত তাদের পক্ষ থেকে।
০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ৮:৩৭
Eisenheim বলেছেন: উদ্দেশ্যটাই যখন একটা জিনিষকে আকাশে তোলা তখন কিছুটা মাতামাতি তো হবেই আপনার কথাটা ঠিক, তবে ড্রোন শব্দটা এখন এতো বেশি পরিচিত যে তারা না চাইলেও মিডিয়া কাভারেজ দিবেই।
তিলকে তাল বা প্রতারনার কিছু নাই, তারা ছাত্র হয়েই এমন একটা বিষয় নিয়ে গবেষণা করছে, যা নিয়ে কাজ করার কনফিডেন্স হয়তো তাদের ভার্সিটির অনেক টিচারেরও নাই। সেই কাজটা অন্তত শেষ করুক তারা, যদি না হয় তখন তো সমালোচনা করার যথেষ্ট সুযোগ থাকবে।
কমেন্টের জন্যে ধন্যবাদ ভাই, ভালো থাকুন
১১| ০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ৮:৩১
মদন বলেছেন: জিনিস তৈরীর আগেই এরকম আকাশ বাতাস কাপাইয়া চিতকারের কি আছে বুঝলাম না। আগে একটি তৈরী হোক সেটি দেখালেই চলতো। আগেই ঘোষনা দিয়ে হুলুষ্থুল পরে দেখা গেলো একটা বিমান বানাইছে।
(আমার জানায় ভুল না হলে) মাস খানেক আগেই কুয়েটের এক ছেলে ড্রোন বানিয়েছে যেটি প্রি-প্রোগ্রাম করা। অর্থাত টার্গেট বলে দিলে সে সেই জায়গায় গিয়ে ঘুরে আসবে। কোন পেপারে দেখছিলাম মনে নাই।
০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ৮:৪৯
Eisenheim বলেছেন: একটা কথা সত্যি, জিনিষটা যদি "ড্রোন" না হয়ে অন্য কিছু হতো, তাইলে চিৎকার চেচামেচি অনেক কম হতো। ইউএস আর্মির "সিক্রেট উইপন" তকমা গায়ে লেগে যাওয়ার কল্যানে এই 'খেলনা পেলেন'-ই অনেক বড় একটা অস্ত্রে পরিনত হয়ে গেছে।
ভালো তো, তাহলে আমরা দেশে চার জন ছাত্র পেলাম যারা নিজেদের বানানো ড্রোন ওড়াতে সক্ষম, যার ডিজাইনের জন্যে বছরখানেক আগেও পরাশক্তিগুলো কাড়ি কাড়ি টাকা ঢালতে প্রস্তুত ছিলো। আরও অনেকে নিশ্চই এখন এটা নিয়ে আগ্রহী হবে, এই প্রযুক্তিকে নতুন নতুন কাজে লাগাতে সক্ষম হবে।
কমেন্টের জন্যে ধন্যবাদ ভাই, ভালো থাকুন
১২| ০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ৮:৩৮
চুক্কা বাঙ্গী বলেছেন: আমার মনে হয় ড্রোন বানানোর চেয়ে যাত্রীবাহী প্লেন এবং যাত্রীবাহী যুদ্ধবিমান বানানোটা বেশী জরুরী। প্রত্যেকটা সরকারই বিদেশ থেকে কোটি কোটি টাকা খরচ করে বাতিল প্লেন কিনে আনে এবং কোনরকমে মেরামত করে সেগুলা দিয়ে কাজ চালায়। দুইদিন পরপর সেইসব বিমান বিগড়ে যায় আর যুদ্ধবিমানের পাইলট মারা পড়ে অথবা প্যাসেঞ্জার প্লেনের যাত্রিদের মৃত্যুর ঝুকি নিয়ে চলাচল করতে হয়। আর যেগুলা একদম বাতিল হয়ে পড়ে সেগুলা বিজয় স্বরণির মত যায়গায় সেট করে নগরীর শোভা বর্ধনের কাজে লাগায়
০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ৮:৫২
Eisenheim বলেছেন: প্রত্যেকটা সরকারই বিদেশ থেকে কোটি কোটি টাকা খরচ করে বাতিল প্লেন কিনে আনে এবং কোনরকমে মেরামত করে সেগুলা দিয়ে কাজ চালায়। দুইদিন পরপর সেইসব বিমান বিগড়ে যায় আর যুদ্ধবিমানের পাইলট মারা পড়ে অথবা প্যাসেঞ্জার প্লেনের যাত্রিদের মৃত্যুর ঝুকি নিয়ে চলাচল করতে হয়। আর যেগুলা একদম বাতিল হয়ে পড়ে সেগুলা বিজয় স্বরণির মত যায়গায় সেট করে নগরীর শোভা বর্ধনের কাজে লাগায়
চরম সত্য কথা !!
ইনশাল্লাহ সেটাও হবে একদিন। ভালো থাকুন ভাই
১৩| ০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ৮:৫৮
দি সুফি বলেছেন: সমস্যা জাফর ইকবালেও না, ড্রোনেও না। সমস্যা দুই দলের মানসিকতায়। খোচাখুচির অভ্যাস ত্যাগ না করতে পারলে সামনে এগিয়ে যাওয়া বেশ কষ্টকর।
দেশ সামনে এগিয়ে যাক, এই কামনা।
০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ৯:২১
Eisenheim বলেছেন: সেটাই, শত খোচাখুচি সত্ত্বেও দেশ এগিয়ে যাক, এই কামনা
ভালো থাকুন ভাই
১৪| ০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ১০:০৯
পাঠক১৯৭১ বলেছেন: ড্রোন নিয়ে লাগলো কেন?
১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:৫৮
Eisenheim বলেছেন: জাতির বিবেকের কাছে প্রশ্ন :-& :-&
১৫| ০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ১০:২২
নতুন বলেছেন: দি সুফি বলেছেন: সমস্যা জাফর ইকবালেও না, ড্রোনেও না। সমস্যা দুই দলের মানসিকতায়। খোচাখুচির অভ্যাস ত্যাগ না করতে পারলে সামনে এগিয়ে যাওয়া বেশ কষ্টকর।
দেশ সামনে এগিয়ে যাক, এই কামনা।
১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৫:২০
Eisenheim বলেছেন: হুমম সেটাই..নিন্দুকের মুখে ছাই দিয়ে দেশ এগিয়ে যাক
কমেন্টের জন্যে ধন্যবাদ ভাই
১৬| ১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ৮:৪৭
রায়হান০০৭ বলেছেন: যে যাই বলুক না কেন , আমার মনে হয় "ড্রোন বাবা"
দেশের অনেক বিজ্ঞানমনস্ক ছেলে মেয়েকে বিষয় টি নিয়ে ভাবতে শিখিয়েছে
১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ২:১৮
Eisenheim বলেছেন: যাকে তাকে হুটহাট করে আব্বা ডাকার স্বভাবটা কিন্তু খুবই সন্দেহজনক
১৭| ১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ৯:০৪
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: নাহয় খেলনার দোকানই দিয়ে দিলাম একটা! আপনার বাচ্চাকাচ্চাকে নাহয় কম দামে একটা দেশি খেলনাই কিনে দিলেন।
আপনার বাচ্চাটা সেই দেশি খেলনাটাকে মুগ্ধচোখে বাড়ীর সামনে উড়িয়ে বেড়াবে। আর আশেপাশের সবাই দেখবে ছোট একটা প্লেন কলোনির ভেতর উড়ে বেড়াচ্ছে, পাখার উপর বড় বড় করে লেখা,
“MADE IN BANGLADESH”
----
প্রশংসা করলেন না খুচা মারলেন
আবিস্কারে কারো সমস্যা নাই। সমস্য শো-মেন্টালিটিতে। তারউপর এমন একখান নাম নিছে যার জন্য পরাশক্তিরা হিমশিম খায়!!
অত:পর কি দেখল-রিমোট পেলেন!!!!!
তাই গর্জন কম দিয়া বর্ষন বেশি হইলেই কথা কম হয়। উল্টা হওয়াতেই যত সমস্যা!!!!!
১১ ই মার্চ, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:৪৭
Eisenheim বলেছেন: খুচা মারসি আপনি যা বুঝেন..
আর তর্জন-গর্জন-বর্ষন যা করার, সব তো আমরাই করতেসি।
দেখা যাবে ড্রোন যখন আকাশে উড়বে তখন আমরা পান চিবাইতে চিবাইতে বলবো, এতো উপরে উঠলো আর এক ফিট উপরে উঠাইতে পারলো না? কি &*লের আবিষ্কার করসে!
©somewhere in net ltd.
১|
০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৪:৩০
পাঠক১৯৭১ বলেছেন: মংগলে পাঠাচ্ছে?