নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

হারায়ে যাবে দিনগুলি রাখবেনা কেউ মনে তোমায়

আমার পরিচিত অনেকেই বলে আমার সাথে নাকি মানুষের চেয়ে জানোয়ারের মিল বেশী। তাই দয়া করে কেউ আমার কাছ থেকে মানুষের ব্যাবহার আশা করবেননা।

একাকী বাংলাদেশি

একাকী পথিক চলেছি পথের সন্ধানে, পথের শুরু জানি শেষটা জানিনা। শুধু জানি হাটতে হবে অনেকদুর। দুর্গম আমার পথ বেছে নিয়েছি স্বেচ্ছায় তাই এর দা্যও আমার

একাকী বাংলাদেশি › বিস্তারিত পোস্টঃ

ভয়াল ৬'ই মে চরম মিথ্যাচার .......... একটি পর্যালোচনা পর্ব ১

৩০ শে মে, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৫১

৬'ই মের ঘটনা নিয়ে অনেকের মনেই এর পক্ষে-বিপক্ষে নানা প্রশ্ন রয়ে গেছে যেগুলোর মিমাংশা হয়তো করা সম্ভবনা কিন্তু বিভিন্ন ঘটনা প্রবাহ বিশ্লেষন করে হ্য়তো আমরা হয়তো কোন উপসংহারে পৌছাতে পারব।



সাধারন মানুষের সাথে কথা বলতে যেয়ে দেখেছি অনেক ধরনের প্রশ্ন উঠে এসেছে কেউবা এর পক্ষে আবার কেউবা এর বিপক্ষে। যারা সরকারী পক্ষে তাদের প্রশ্নগুলোর ধরন মোটামুটি এরকম:



১) হেফাজতের দাবী ছিলো অন্যায্যে। সো আমি এটা কোনভাবেই সমর্থন করিনা।

২) হেফাজত কেন এরকম ধ্বংশযজ্ঞ চালালো? এরকম ধ্বংশযজ্ঞের জন্য তাদের এরকম প্রাপ্যই ছিলো।

৩) তারা কেন ঐদিন রাতে ঐখানে অবস্থান করতে গেল? তাদেরতো অবস্থানের অনুমতি ছিলোনা।

৪) কতজন নিহত হয়েছে? হতাহতের প্রমান কি? লাশ গুম করে ফেল্‌লো কিভাবে? মিডিয়া'তে কেন আসলোনা? নিহতের আত্নীয় স্বজন তো আসলোনা?



আজ আমার লেখার মাঝেই এই প্রশ্নগুলোর উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করবো।



ফাহাম আব্দুস সালামের এর কয়েকটা লাইন দিয়েই লেখাটা শুরু করতে চাই।



'' আপনি আওয়ামিলীগ করেন না বিএনপি করেন সেটা বিবেচ্য বিষয় না, হেফাজতকে গ্রহন করারও কোন প্রয়োজন নাই। কিন্তু গতরাতে আমাদের দেশের নিরস্ত্র মানুষের উপর গনহত্যা চালানো হয়েছে এর মধ্যে কোনো ব্যাখ্যা, কোন জাষ্টিফিকেশনের অবকাশ নাই। এরা আমাদের দেশের মানুষ, কারো পিতা, কারো ভাই। এদেরকে হত্যা করেছে রাষ্ট্রীয় বাহিনী রাতের আধাঁরে। গত রাতে উপস্থিত ছিলেন তান্ডবে এমন একজন সরকারী কর্মকর্তার কাছে জানলাম আসল সংখ্যা চারশ থেকে অনেক বেশী হতে পারে এবং এই সংখ্যাটা কোনদিনও জানা যাবে না''



একজন খুব সাধারন মানুষ হিসেবে আপনার উপলব্ধি নাও হতে পারে যে একটি রাষ্ট্রের কাছে তার নাগরিকের জীবনের নিরাপত্তাটা কত বড় ব্যাপার। জীবন হচ্ছে এমন একটি ব্যাপার যার কোনো ক্ষতিপুরন হয়না। আপনি যত শক্তিশালীই হোন না কেন আপনার সাধ্য নেই জীবন ফিরিয়ে নেওয়ার। এবং এইসব মানবিক কারনেই উন্নত বিশ্বগুলো কিন্তু এখন মৃত্যুদন্ড প্রথা রহিত করে দিচ্ছে। তার অর্থ হচ্ছে, বিচারিক প্রক্রিয়ায় আপনার অপরাধ প্রমানিত হলেও শুধুমাত্র মানবিক কারনেই আপনাকে মৃত্যুদন্ড দেওয়া হচ্ছে না। বরং সরকার তার নিজের পয়সা খরচ করে আপনাকে লালন পালন করছে। এবার বিদেশের উদাহরন নাইবা দিলাম নিজের দেশেরই উদাহরন দেই। কিছুদিন আগে সৌদি আরবে একজন বাংলাদেশী'র মৃত্যুদন্ডের রায় হয়েছিলো। আমাদের পররাষ্ট্র মন্ত্রনালয় উদ্যোগ নেয় ঐ ব্যাক্তিকে মৃত্যুদন্ডের হাত থেকে বাচাঁনোর জন্য। এখানে লক্ষ্যনীয় যে বিচার প্রক্রিয়ায় দোষী স্যাবাস্ত হও্য়ার পরেও সরকার নিজের রাষ্ট্রযন্ত্র ব্যাবহার করেছিলো শুধু এই কারনেই যে সে বাংলাদেশের নাগরিক। এছাড়াও বিভিন্ন সময় বিভিন্ন দেশে বিপদে পড়া লোকজনকেও কিন্তু উদ্ধার করে এই রাষ্ট্রই। আপনারা বলবেন এইগুলো আমার তো জানি। হুমম জানেন তারপরেও বলতে হচ্ছে শুধু এতটুকু স্মরন করিয়ে দেবার জন্য যে একজন নাগরিকের প্রতি রাষ্ট্রের কর্তব্য কি।



অনেকেই আমাকে বলছেন, হেফাজত এরকম ধ্বংশযজ্ঞ চালালো কোরআন পোড়ালো সে ব্যাপারে আপনার মন্তব্য কি?



এই প্রশ্নের উত্তরে একটা কথা পরিস্কার করা দরকার সেটা হলো তাদের কোন দোষ নাই বা তারা নির্দোষ এটা প্রমান করতে আমি মাঠে নামি নাই। তাদেরকে ধোয়া তুলসীপাতা প্রমান করতেও চাচ্ছিনা। তবে কোরআন পোড়ানোর ব্যাপারে বড় ধরনের একটা অসংগতি আছ। তারা যেখানে আন্দোলনের উদ্দেশ্যে বলছে নবীর অপমান, ইসলামের অপমান সেখানে কোরআন পোড়ানো টা কিভাবে সংগতিপুর্ন হয় সেটা বোঝা যাচ্ছেনা। ব্যাপারটা এমন যেন বিএনপির মিছিলেই তারেক জিয়ার কুশপুত্তলিকা পোড়ানো হচ্ছে। এটা খুব সহজ হিসাব, কোরআন পোড়ানো'টা তাদের আন্দোলনের ক্রেডিবিলিটি সম্পুর্নরূপে ধ্বংস করবেই তারপরেও কেনো তারা কোরান পোড়াবে সেটা অস্পষ্ট'ই থেকে যাচ্ছে। এখানে আরেকটা ইন্টারেষ্টিং পয়েন্ট না উল্লেখ করলেই নয়, যারা হঠাৎ করেই খুব কোরআন দরদী হয়ে গেছেন তাদের প্রতি ছোট্ট একটা প্রশ্ন, এই কোরআন শরীফের প্রতিটা সূরা পড়ার আগে বিসমিল্লাহ পড়তে হয়। যারা সংবিধানে বিসমিল্লাহির রহমানীর রাহীম বাক্যটা সহ্য করতে কষ্ট হয় তারা হঠাৎ করে খুব কোরআন দরদী হয়ে গেলো?



এবার আসি ধবংশযজ্ঞের ব্যাপারে। দুঃখজনক ভাবে আমাদের দেশে আন্দোলনের পুরো কালচারটাই গড়ে উঠেছে ধ্বংসযজ্ঞের উপর ভিত্তি করে। যে যতো বেশী ধ্বংশযজ্ঞ করতে পারজ্ঞম, তার দাবী হয় ততোই বেশী জোরালো। এবং সেই বিচার যদি করতে যাই তাহলে বর্তমান সরকারের মত কেউ আন্দোলন জমাতে সক্ষম বলে আমার জানা নেই। তাই নাসিম সাহেবের মুখ দিয়ে বেরিয়ে যায় ''আমাদের আন্দোলন শেখাবেননা, আলীগ জানে কিভাবে আন্দোলন করতে হয় এবং দমন করতে হয়''। অনেকেরই হয়তো মনে নাও থাকতে পারে তাই একটু স্মরন করিয়ে দেওয়া প্রয়োজন এই আলীগ'ই ৯১'র বিএনপি সরকার কে কিভাবে আন্দোলনের মাধ্যেমে বিপর্যস্ত করেছিলো। ওতো দুরে যদি নাও যাই তাহলেও ২৮ শে অক্টোবরের লগি বৈঠার যেই তান্ডব আমরা দেখেছিলাম তাতে স্তম্ভিত হওয়া ছাড়া আর কোন পথ ছিলোনা। এবং সেই তান্ডবের নির্দেশ দান কারী কে এটাও টিভির বদৌলতে আমরা খুব ভালোমতই জানি। কোন গোপন গোয়েন্দা তথ্যোর প্রয়োজন নেই। এখন আপনি যদি স্মরন শক্তির দোহাই দিয়ে এত আগের ঘটনা নাও স্মরন করতে পারেন তাহলে সাম্প্রতিক আরেকটি ঘটনার কথা মনে করিয়ে দেই। মিরপুরে একজন আলীগ নেতা'কে হত্যা করা হলে আলীগ নেতা-কর্মীরা দিনে দুপুরে মিরপুর দশ নাম্বারে গাড়ি ভাংচুর শুরু করে এবং শুধু তাইনা, ক্লীপিংস দেখে যতদুর মনে পড়ে পুলিশ বক্সও ভাংচুর করা হয়েছিলো তখন। বলবেন জানিতো এইগুলা সবই জানি তারপরেও এত কথা বলার কি দরকার, হ্যাঁ দরকার আছে কারন মিডিয়াতে আপনাদের একচ্ছত্র্য আধিপত্যর সুযোগ নিয়ে আপনাদের বুদ্ধিজীবি এবং গলাবাজ নেতারা যখন এই ধ্বংশযজ্ঞের দোহাই দিয়ে এই গনহত্যা জাষ্টিফায়েড করতে চায় তখন আর এই পুড়ানো কাসুন্দি ঘাটাঁ ছাড়া আর কিইবা করার আছে। আশ্চর্যের বিষয় হলো এই ভ্যানডালিজম শুধু রাজনৈতিক দলগুলাই করেনা বরং দেশের একেবারে সাধারন জনগনও কোথাও কোন অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটলে প্রথমে ভাংচুর টাকেই প্রধান হাতিয়ার মনে করে। সেটা ঢাকা ইউনিভার্সিটির পোলাপানই হোক কিংবা কোনো শ্রমিক ইউনিয়নই হোক।



ধ্বংসযজ্ঞের ব্যাপারে আর দু একটি কথা বলতে চাই তা হলো, হেফাজতের আগের সমাবেশ ছিলো খুবই শান্তিপুর্ন এবং সুশৃংখল যা সবার প্রশংসা যুগিয়েছে। সেই তারাই এক মাস পরে কেন এরকম ধ্বংসাত্বক আচরন করলো? আর সারাদিন এত মিডিয়া থাকার পরেও কেন হেফাজতের ধ্বংসাত্বক আচরনগুলো ভিডিও হলোনা। সব দেখানো হলো ৬'ই মে হেফাজতের পলায়নের পর। ঠিক যেন এমবেডেড জার্নালিজমের প্রকৃষ্ট উদাহরন। নাকি আসিফ নজরুলের কথাই ঠিক যে হয়তো সারা দিন ধরে প্ল্যান মাফিক এগুলো করাই হয়েছে রাতের এই ভয়াবহ অভিযান'কে জাস্টিফায়েড করার লক্ষ্যেই। কারন গোপন একটি ভিডিও থেকে দেখা গেছে হাউজ বিল্ডিংয়ের ভিতরে ভাংচুর কারীরা হেফাজতের নয় বরং বিচ্ছিন্ন কিছু লোকজন যারা নাকি হেলমেট পরে ছিলো। আর ঐদিন কারা হেলমেট পরছিলো এটাও জনসাধারন জানে।



তাদের রাতের বেলায় অবস্থান নিয়ে অনেকেই প্রশ্ন তুলছে। কথা ছিলো তারা সন্ধ্যা ৬'টা পর্যন্ত থাকবে তারপরে চলে যাবে। ভালো কথা তারা চলে গেল না। তাহলে তখন থেকেই কেন তাদের ওয়ার্নিং দিয়ে রাত ৮ টা কিংবা ১০ টার দিকে অপারেশন শুরু করা হলো না? তখনও তো একই যুক্তিতে অপারেশন চালাতে পারতো। আরেকটা কন্ট্রাডিকটারি ব্যাপার হলো তাদের কে যদি ৬'টা পর্যন্ত পারমিশন দেওয়াই থাকে তাহলে দুপুর থেকেই কেন আইন শৃংখলা বাহিনী তাদের কে আক্রমন করতে থাকে? এইটা কি তাদের উশকে দেওয়ার কোন প্রচেষ্টা ছিলো কিনা তা রহস্যাবৃতই থেকে যাবে। আরো অস্পষ্ট ব্যাপার হচ্ছে শাপলা চত্তর থেকে মাত্র কয়েক কিলোমিটার দুরেই গনজাগরন মঞ্চ মাসের পর মাস অবস্থান করেছে কোন অনুমতি ছাড়া (কালের কন্ঠ দ্রষ্টব্য) আর এই হেফাজত ২৪ ঘন্টাও অবস্থান করতে পারলোনা। রাষ্ট্রের এই প্রকাশ্যে দ্বৈত নীতি সুশাসন কে কতটা হুমকির মুখে ঠেলে দেয়।



সরকার পক্ষ সমর্থক এবং সরকার সমর্থক মিডিয়া কিছু প্রশ্ন জোরালোভাবে করার চেষ্টা করছে, তা হলো ঐদিন কি সত্যি মারনাস্ত্র ব্যাবহার করা হয়েছিলো? যদি হয়েও থাকে কই কোন মিডিয়াতে তো আসেনি? আলীগ সরকার কি এমন একটা কাজ করতে পারে? কত মারা গিয়েছিলো আর তাদের লাশগুলো কিভাবে এত তাড়াতাড়ি গুম করে ফেললো? নিহতের স্বজনরা কেন দাবি করছে না? আর এইসব প্রশ্নগুলো ছুড়ে দিয়ে একটা আত্নতৃপ্তির ঢেকুর তুলে হেলান দিয়ে বসে। ভাবটা এমন, কেমন জব্দ করলাম?



এইসব প্রশ্নের উত্তর কেউ কি শতভাগ সঠিক ভাবে দিতে পারবে কিনা তা আমার জানা নেই। তবে আমরা যেটা করতে পারি তা হলো ঐদিনের বিভিন্ন টুকরো টুকরো ঘটনা থেকে অসংগতিগুলো খুঁজে বের করতে পারি এবং সেই অসংগতিগুলো কে সাজিয়ে কিছুটা সঠিকভাবে একটা অনুমানে আসতে পারি।



প্রথমেই শুরু করি আলীগ নেতা মাহবুবুল আলম হানিফ এবং পুলিশ কমিশনার বেনজীর আহম্মেদ এর সংবাদ সম্মেলনের কথা। হানিফের দাবী মতে একজন লোকও মারা যায় নাই এবং বেনজীর এর কথা অনুসারে কোন মারনাস্ত্রও ব্যাবহার হয় নাই। যা নাকি বিভিন্ন ভিডিওর টুকরো থেকে সম্পুর্নভাবে মিথ্যা প্রমানিত হয়েছে। এবং তারা দুজনেই তাদের মিথ্যা বলার ব্যপারে এক বেনজীর উদাহরন রেখেছেন। হানিফ'কে না হয় মানা গেলো উনি পলিটিক্যাল নেতা। কিন্তু সুদর্শন বেনজীর যেইভাবে নার্ভ ঠিক রেখে কথা বলে গেলেন তাতে বলতেই হয় ধন্য উনি পুলিশ কমিশনার। ভবিষ্যতে পুলিশ কমিশনারের যোগ্যতা বলতে হয়তো উনার স্ট্যান্ডার্ড-কেই বোঝাবে। আশ্চর্যের ব্যাপার হলো তাদের বক্তব্য সন্দেহাতীতভাবে মিথ্যা প্রমানিত হওয়ার পরেও কোনোও মহল থেকেই তাদের বিরুদ্ধে কোন রকম ব্যাবস্থা নেওয়ার কথা উঠে নাই। এমনি কোন তদন্তও নয়।



একটু স্মরন করি ঐ রাতের অভিযানের কথা। ঐ রাতে যে ভয়াবহ অভিযান চালানো হয়েছিলো তা ছিলো সম্পূর্নরূপে ভয়াবহ সামরিক অভিযান। যার সাথে কিনা শুধু যুদ্ধাবস্থার-ই তুলনা চলে। চোখ বন্ধ করে একটিবার চিন্তা করুন দশ হাজার সশস্ত্র বাহিনী অত্যাধুনিক অস্ত্র নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে এমন একটি সমাবেশের উপর যাদের সর্বোচ্চ অস্ত্র হলো বাশেঁর লাঠি। লাইট নিভিয়ে দেওয়া হয়েছে, মিডিয়া সরিয়ে দেওয়া হয়েছে এবং তারপর চরম আক্রমন। আর দশ মিনিটেই লক্ষ মানুষের সমাবেশ নিমেষেই হাওয়া। এ যেন রূপকথার ম্যাজিক। এখানে ছোট্ট একটি প্রশ্ন করি, কারন আমরা শুধু প্রশ্নই করতে পারি যেহেতু উপযুক্ত পরিমান তথ্য আমাদের হাতে নেই। পুরান প্রশ্ন তাও আবার করতেই হয়। সারাদিন ধরে যাদের কে ৮০ হাজার রাউন্ড রাবার বুলেট, সাউন্ড গ্রেনেড, টিয়ার শেল সেই সাথে পুলিশ এবং আওয়ামি সন্ত্রাসীদের মিলিত শক্তি হেফাজতের কর্মীদের প্রকাশ্যে রাজপথে পিটিয়ে মেরে ফেলার পরেও সরাতে পারলোনা কিন্তু রাতের ঐ দশ মিনিটে কোন যাদুর চেরাগে সব হাওয়া হয়ে গেলো? তাও আবার হাওয়া তো হাওয়া একেবারে মাথার উপর হাত তুলে? চিত্রটা ঠিক যেন রক্তাক্ষয়ী যুদ্ধ শেষে প্রানভয়ে ভীত পরাজিত দলের কোন প্রতিচ্ছবি। যারা নাকি যে কোন কিছুর বিনিময়ে শুধু নিজের প্রানটুকু বাচাঁতে মরিয়া। তারপরেও যদি বলতে চান আপনার হাতে যাদুর বিশেষ চেরাগ আছে যা দিয়ে ঐ দশ মিনিটেই আপনি হতাহত ছাড়াই তাদের তাড়িয়ে দিতে পেরেছেন তাহলে আপনাদের কে আরেকটা অনুরোধ করি, তা হলো পদ্মা সেতুটাও ঐ যাদুর চেরাগ দিয়ে করে দেন, জনগন আপনাদের তাতে বহুদিন মনে রাখবে।পাঠকবৃন্দ এই পর্যায়ে আপনাদের কে আবারো স্মরন করিয়ে দিতে চাই ৫'ই মে সারাদিনের বিক্ষিপ্ত সংঘর্ষে কিন্তু হেফাজতের বেশ কিছু কর্মী ইতিমধ্যেই মারা গিয়েছিলো তারপরেও কিন্তু তারা কোনভাবেই দমে যায় নাই। সো যারা দিনের বেলায় রাবার বুলেট, সাউন্ড গ্রেনেড, ছাত্রলীগের কর্মী দ্বারা আক্রান্ত হয়ে কয়েকজন কর্মীর মৃত্যুর পরেও বিন্দুমাত্র না দমে গিয়ে তাদের আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছিলো তারাই রাতের বেলা এত সহজে রনে ভঙ্গ দিবে তা কি বিশ্বাসযোগ্য?

মন্তব্য ১৭ টি রেটিং +৪/-০

মন্তব্য (১৭) মন্তব্য লিখুন

১| ৩০ শে মে, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:০৯

অমাবশ্যা বলেছেন: ইসলামের নাম শুনলে যাদের দশ কাঁথা জর ওঠে, তারা হেফাজতের কর্মীদের মত প্রকৃত মুসলমানদের মৃত্যুতে সবসময়ই খুশী হবে। আসলে এই একটি ঘটনায় এটা পরিস্কার হয়ে গেছে, কারা প্রকৃত মুসলমান।

৩০ শে মে, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:১২

একাকী বাংলাদেশি বলেছেন: মন্তব্যর জন্য ধন্যবাদ। কিন্তু কিছু মনে করবেননা প্লীজ। আমি এইখানে ধর্মের ব্যাপরটা এড়িয়ে থেকে বিশ্লেষন করার চেষ্টা করেছি

২| ৩০ শে মে, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:১৩

জিহাদ ৭০০৭ বলেছেন: আপনি অপেক্ষা করেন। পুলিশ আপনার জবানবন্দি রেকর্ড করবে।

৩০ শে মে, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:১৫

একাকী বাংলাদেশি বলেছেন: হা হা হা কেন ভাই আমি যা বলেছি সবই তো ওপেন।

৩| ৩০ শে মে, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:১৯

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: অপারেশন মিডনাইট! বারুদের বদলে ছুড়েছিল গোলাপ!!!!!!!!!!!!!!!!!!!

আহারে, মাত্র একটা রাতও থাকতে দিল না।
শাহবাগে ৪ মাস ধরে ভিন্নমতাবলম্বীদের সরকারী অর্থব্যায়ে খাদ্য,নিরাপত্তা, মিডিয়া ননষ্টপ লাইভ কাভারেজ দেয়...

আর এই অবোধ গায়ের গন্ধ না মোছা
জীবনে প্রথম শহরদেখা কত মানুষ!!
পায়ে চপ্পল, বাশের লাঠির বাইরে অস্ত্র চেনেনা যারা
সেই সহজ সরল জিকির রত
ক্লান্ত ঘুমন্ত
মানুষও ভয়ানক হয়ে উঠল!!!!!


নাকি সরকার তার আত্মমূল্যায়নে এতটাই ভীত
যে লোকের হাটাচলাও তার আতঙ্ক হয়ে গেছে
কেউ হাটলেই চমকে যায়
কেউ কাশি দিয়ে লাফিয়ে উঠে!!

নইলে এমন হয়.....


লাখো মানুষৈর সমাবেশে
ব্লাক আউট করে, মিডিয়ার চোখ বেঁধে
শুধু সরাতেই এত হাজার হাজার রাউন্ড
গুলি, বোমা, টিয়ারশেল, গ্রেনেড....

তারপরও বলে- জিরো ইনজুরড!!!!

বলি হিরক রাজার বুঝি মতিঝিলে উদয় হয়েছেন....
আর তার শিষ্যরা গায় একই সুরে গান.....


ওরা বলে ব্রাশ ফায়ারে নাকি গোলাপ বের হয়
বুদবুদ ছোয়া, কিংবা খুশবু
লাখো লোকের সমাবেশে ৩০ মিনিট
বোপরোয়া গুলী বর্ষনেও তাই নিহত ৬ কি ৭ কিংবা শূন্য!!!

এখন রাইফেল গুলো গুলির বদলে আদর ছোড়ে
অন্ধকার করে নিতে হয় যাতে মৃত্যুর বিভীষীকা দেখতে না হয়
অথচ তবুও কি নির্লজ্জ ওরা কি মিথ্যুক ওরা
কি পিশাচ ওরা
কি রকম হায়েনা ওরা
বলে কেউ মারা যায় নি!!!!!!

ওদেরকে রাতের আধারে জমায়েত করে
সেই গোলাপবর্ষী বন্দুকের নলের সামনে দাড় করাও
তারপর ছোড়ে অসংখ্য গোলাপ-

হলপ করে বলতে পারি কেউ মরবে না।

৩০ শে মে, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:২৫

একাকী বাংলাদেশি বলেছেন: আমি আশা করিনা সরকার তাদের ওয়েলকাম জানাবে। কিন্তু এতটা নির্মম হবে এটা ভাবতেও পারিনা।

৪| ৩০ শে মে, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:২২

সেমিবস বলেছেন: ঐদিন যে অসংখ্য মানুষকে হত্যা করা হয়েছে সেটা জানতে হানিফের কাছে যেতে হয়না।

কারন তারা গণতান্ত্রিক দল!! দেখলেন না দিগন্ত আর ইসলামিক টিভি বন্ধ করে দিল। এখন কোনো চ্যানেলেই সংবাদ আওয়ামী লীগ ছাড়া কিছু নেই। তার আবার মন্ত্রী হলো ইনু যার ইদানিংকার গলাবাজী শুনলে লইজ্জ্বা লাগে। আমার দেশ বন্ধ, দেশে সমাবেশ করতে পারবেন না, তত্ত্বাবধায়ক দিলে লীগ বাহিনী ৫% ভোট পাবে আর দেশে থাকতে পারবে না তাই যেভাবেই পারুক ক্ষমতা ধরে রাখতে হবে এই তাদের ইচ্ছে। হায়রে সোনার বাংলাদেশ।

৩০ শে মে, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:২৭

একাকী বাংলাদেশি বলেছেন: আওয়ামিলীগ এর প্রতি আমার কোন ক্ষোভ নাই কারন তারা সরকারী দল চোখ কান বুজে মিথ্যা বলবেই। কিন্তু সাধারন মানুষ যারা সুশিলতার ভেক ধরে থাকে তারাও যখন অবলীলায় মিথ্যা বলে তখন আর সহ্য হয়না।

৫| ৩০ শে মে, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৩০

ভাঙ্গাচুরা যন্ত্রপাতি বলেছেন: হেফাতিদের ঐদিন রাতে না খেদাইলে পরেরদিন ঢাকার অবস্থা বারোটা বাজাইয়া দিত। তখন আমরাই আবার সরকাররে গালি দিতাম হেফাজতিদের না খেদানোর জন্য।

৩০ শে মে, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৩৮

একাকী বাংলাদেশি বলেছেন: গনজাগরন মঞ্চের জন্য অনেক মানুষের দিনের পর দিন বহুত কষ্ট হইছিলো কই তখন তো সরকার জন গনের কথা শুনে নাই।

আর ভাগানোর জন্য গনহত্যা ছাড়াও আরো অনেক পথ আছে সেইটা সরকার ভালো করেই জানে।

৬| ৩০ শে মে, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৩৩

সেফানুয়েল বলেছেন: আমার কানটা কোথায় গেল???

৩০ শে মে, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৩৯

একাকী বাংলাদেশি বলেছেন: কিছু বোঝাতে চাইলেন? স্বল্প বুদ্ধির মানুষ তো তাই বুঝিনি

৭| ৩০ শে মে, ২০১৩ রাত ৮:৫৬

খাটাস বলেছেন: ভাই আপনার প্রশ্ন গুলো উপযুক্ত স্বীকার করি এক বাককে, তা আপনি নিরপেক্ষ মন থেকেই করেন, আর সমর্থিত মন থেকে করেন। কে কি বলল না বলল তাতে যাব না। মিডিয়ার আর প্রশাসনের পক্ষপাতিত্ব সরকারের প্রতি তা বোঝা যায়। তাই বলে আরেক হুজুগে কান দিতে পারি না, ২৫০০ মানুষ হত্যার রূপকথা। আপনার একটা কথার উত্তর নিজের দৃষ্টিকোণ থেকে দিতে চেষ্টা করব। হেফাজতের সমর্থক রা ৫ মে দিনের আলোয় পুলিশের রাবার বুলেট উপেক্ষা করে ও খণ্ড খণ্ড ভাবে জবাব দিয়েছে ইট পাটকেল নিক্ষেপ করে। ঐ বিক্ষোভ কারীরা মোট সমাবেশের এক অংশ ও নয়। আপনি ৫ মে এর দিনের বেলার বিভিন্ন ভিডিও দেখলে পুলিশের গুলির শব্দ শুনতে পাবেন, পুলিশ দিনে আশি হাজার রাউন্দ গুলি ছুড়েছে জানি, কিন্তু ক্ষণে ক্ষণে করা গুলির শব্দের ভয় আর ব্রাস্ফায়ারের গুলির শব্দের ভয় এক না। তাই দিনে কিছু কর্মী নিহত হলে ও তারা দমে যায় নি, কারন হেফাজতের কর্মীদের বিশ্বাস ছিল, সবই মিডিয়ার সামনে হচ্ছে, তাই সরকার এত গুলো লোক কে সরাতে পারবে না। কিন্তু রাতে যখন সব আলো অন্ধকার করে দেয়া হয়, আর মিডিয়া সরিয়ে নেয়া হয়, তা হেফাজতের নেতারা বুঝলে ও কর্মী রা জানত কিনা জানিনা। হেফাজত তাদের এই মহা সমাবেশ করতে সক্ষম হয়েছিল ইসলাম কে ভালবাসে এমন লাখো মানুষ কে সুনিপুণ নেতৃত্ব প্রদানের মাধ্যমে। ঐ আলোহীন, মিডিয়া গভীর রাতে দশ হাজার ডিফেন্স সদস্য তখন যদি ফাঁকা ব্রাস ফায়ার ও শুরু করে, তা ঐ লাখ মানুষ এর মনে ভিতির সঞ্চার করতে পারে। ওখানে যারা ছিলেন, তারা সাধারণ ইসলাম প্রিয় সাধারণ মুসলমান। তারা রাজনিতিক কর্মী দের মত এসবে অভ্যস্ত নয়। ভয় পেয়ে ছোটাছুটি করাই স্বাভাবিক।এ ব্যাপারে একটা সাইকোলজিক্যাল ব্যাখ্যা দিতে হয় Malcolm Gladwell এর বই " The Tipping Point" ( নিউ ইয়র্ক বেস্ট সেলার) , "Ideas and products and messages
and behaviors spread just like viruses do. ( পেজ৭)। ব্যাখ্যায় গেলাম না। পড়লেই বুঝবেন। আমি মনে করে সরকার দেশ যত খারাপ ভাবেই চালাক, তাদের উপদেষ্টারা আপনার আমার চেয়ে অনেক বেশি ভাবেন। একটা লাখো লোকের সমাবেশ লক্ষ করে ব্রাস্ফায়ার করে হাজার লোক মেরে তাদের লাশ চার ঘণ্টার মধ্যে গুম করা, আবার পরের দিন একই স্থানে স্বাভাবিক কাজ চলতে দেয়া যেন কিছুই হয় নি ভাব, আবার হাজার মৃত মানুষদের আত্মীয় স্বজন কে বুঝিয়ে শুনিয়ে বা ভয় দেখিয়ে চুপ রাখা- এই মিডিয়ার আর ভিডিও মোবাইল ফোনের যুগে সরকার এত বড় বোকামি করবে না। তার চেয়ে মনস্তাত্তিক ভয় দেখিয়ে লাখ লোক কে ফাঁকা করা সহজ। যে বিদ্যায় হাজার মানুষ কে চাঁদে সাইদির মুখ দেখিয়ে দেয়া হয়েছিল, অদ্ভুত ব্যাপার অনেক মানুষ নিজের চোখেই তা দেখেছে, যা সম্পূর্ণ একটা গন মনস্তাত্ত্বিক রোগ। এ ব্যাপারে সামুতে সাইকোলজিক্যাল ব্যাখ্যা সহ একটা পোষ্ট দেয়া হয়েছে, যা এই মুহূর্তে দিতে পারছি না। কেও জানলে, দিয়ে দেবেন দয়া করে। এত সব কথার প্রেক্ষিতে আমার যুক্তি বলে , সরকার ৫ মে ফাঁকা ব্রাস ফায়ারের আতঙ্ক সৃষ্টি করেছিল, সাথে অবশ্য সরাসরি গুলি করে কিছু মানুষ মেরেছিল আতঙ্ক টাকে শক্ত করার জন্য। তাদের সংখ্যা ৩০-৩৫ জনের বেশি না। আর তাই সম্ভবত কিছু লাশ গুম করা সম্ভব হয়েছে। এর ভিত্তিতে হাজার মানুষের মৃত্যুর কথা প্রচার চালান অসদ ইচ্ছা আর নিছক বোকামি ছাড়া আমার অন্তত কিছু মনে হয়। কিন্তু সরকার এক জন রাজকার কে ও সরাসরি বিনা বিচারে গুলি করতে পারে। সরকার অবশ্যই মানুষ হত্যা করে অনেক বড় অপরাধ করেছে, তার জন্য সরকারের পতন আন্দোলন হতে পারে। কিন্তু লাশের মিথ্যা সংখ্যা দিয়ে আন্দোলন বড় করলে তৃতীয় পক্ষের লাভ ছাড়া আর কিছুই হবে না, যদি আপনি নিরপেক্ষ হন। আমরা সরকারের বিরুদ্ধে বলব, কিন্তু তা অন্নের দ্বারা প্ররোচিত হয়ে বা মিথ্যার ওপর নয়। যারা হেফাজতের আন্দোলনে ছিলেন, তাদের অনেকেই নিশ্চয় ই ইসলামের নামে শহিদ হতে প্রস্তুত ছিলেন। কিন্তু এটা ও ভাববেন, পরিস্থিতি কখনও কখনও আত্মহত্যা করতে যাওয়া মানুষ কে ও ভয় পাইয়ে দেয়।
পরিশেষে, কারও দালালি করতে আসি নি। লীগের কেউ মরুক, বি এন পির কেউ মরুক, আর হেফাজতের ই কেউ মরুক। তাদের অনেকেই হয়ত শান্তি কামি থাকতে পারেন। তারা বাঙালি, তারা আমাদের ভাই। আবার ধর্মের কোথায় যারা মুসলমান তারা আমাদের ভাই। নিরীহ কারও বিচার বহির্ভূত হত্যা কাণ্ড মেনে নিতে পারি না।

৩১ শে মে, ২০১৩ রাত ৩:২৭

একাকী বাংলাদেশি বলেছেন: আপনার কথা মানতে পারলে খুবই খুশী হতাম। কিন্তু একটু হিসেব করে দেখবেন এই ঘটনার পরেই উল্লসিত সরকার পক্ষের নেতারা কেমন যেন প্রান ফিরে পেয়েছেন এবং সরকার কতটা হার্ডলাইনে গিয়েছে আর বিএনপির নেতারা কতটা নমনীয় হয়েছে। এমনকি যে সরকার আগে সংলাপের কথা বলছিলো তারাই এখন সংলাপ সম্পূর্ন ভুলে গেছে। কারন একটাই। তারা জানে তারা যে লেথাল বাইট দিয়েছে বিরোধি শিবির তার সামনে হতভম্ব হয়ে গিয়েছে। আপনি নিশ্চয়ই বুঝবেন যে কিছু মৃত্যু যে হতে পারে তা সবাই ধরেই নিয়েছিলো। তাতে নিশ্চয়ই আন্দোলন এরকম একেবারে চুপসে যেতনা।

আর আপনার সাইকোলোজিক্যাল তত্ত্ব নিয়ে আমার কোন মাথা ব্যাথা নেই। সরকার ইচ্ছা করলেই এই বির্তক এড়াতে পারতো। কিন্তু ইচ্ছে করেই বির্তকের জায়গা গুলো রেখে দিয়েছে। আর আপনাদের কাজ ছিলো সরকারের উপর প্রচন্ড চাপ প্রয়োগ করা যে তারা কেনো এরকম অস্বচ্ছ প্রক্রিয়ার মাধ্যেমে অপারেশনটা এগিয়ে নিলো আর আপনারা তা না করে আমরা যারা ঘটনার বিভিন্ন দিক পরিস্কার করার চেষ্টা করছি তাদের উপরেই বার বার হামলে পড়ার চেষ্টা করছেন।

৮| ৩১ শে মে, ২০১৩ রাত ১০:৪৩

সাইবার অভিযত্রী বলেছেন: Those who been killed in the path of Allah
Dont say them dead
They are alive
But you dont understand

৯| ০৬ ই জুন, ২০১৩ সকাল ৮:৫২

কালবৈশাখীর ঝড় বলেছেন: Click This Link

০৬ ই জুন, ২০১৩ বিকাল ৩:৫৪

একাকী বাংলাদেশি বলেছেন: আপনার ঐ লিংকের ঠেলায় আমি পাগল হয়ে গেলাম

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.