নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

হারায়ে যাবে দিনগুলি রাখবেনা কেউ মনে তোমায়

আমার পরিচিত অনেকেই বলে আমার সাথে নাকি মানুষের চেয়ে জানোয়ারের মিল বেশী। তাই দয়া করে কেউ আমার কাছ থেকে মানুষের ব্যাবহার আশা করবেননা।

একাকী বাংলাদেশি

একাকী পথিক চলেছি পথের সন্ধানে, পথের শুরু জানি শেষটা জানিনা। শুধু জানি হাটতে হবে অনেকদুর। দুর্গম আমার পথ বেছে নিয়েছি স্বেচ্ছায় তাই এর দা্যও আমার

একাকী বাংলাদেশি › বিস্তারিত পোস্টঃ

এখন কি সরকারের পাশে কেউই নেই?

১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১২:২২

মাত্র এক বৎসর আগেও আওয়ামী সরকারের এরকম অবস্থার কথা কল্পনাও করা যায় নাই। তাদের প্রতাপ দেখে মনে হয়েছিলো তারা মনে হয় এভাবেই সরকারের সময় শেষ করবে। বিশাল শক্তিশালী সুশীল গোষ্ঠী, যুদ্ধপরাধীর ভন্ড বিচার আর অসীম শক্তিধর মিডিয়া গোষ্ঠি (যার মধ্যে নাকি আমাদের সামু এবং সামুর প্রগতিশীল ট্যাগধারী ভন্ডরাও ছিলো) এই সব কিছু মিলে কোনভাবেই বোঝা যায়নি যে শেষ সময়ে এসে এরকম লেজে গোবরে হয়ে যাবে সবকিছু। ক্ষমতায় আছে আলীগ সরকার অথচ সবাই মিলে তখন খালি বিএনপির পিন্ডি চটকাতে ব্যাস্ত থাকত। আর বিএনপির মানুষজন কোনরকমে চিপা-চাপা দিয়া চলতো। আর এখন দেখি যেগুলা কয়েক দিন আগেও আওয়ামিলীগের পা চাটতে চাটতে জীবন যেরবার কইরা তারাই এখন কেমন যেন উদাসীন হয়ে গেছে, মনে হয় দর্শন ছাড়া অন্য কিছুতে তিনাদের উৎসাহ নেই। এই প্রসংগে প্রজন্ম ছিয়াশির ষ্ট্যাটাস-টা মনে পড়ে,



একটি সম্ভাব্য ফেসবুক আবহাওয়া পর্যবেক্ষন সংক্রান্ত ঘোষনাঃ



এখন থেকে আগামী নির্বাচন পর্যন্ত ফেসবুকের ডাকাবুকো চেতনাবাজ এ্যাক্টিভিস্টরা গত ৪ বছরের তুলনায় ব্যাতিক্রমভাবে ঋতুচক্রে'র নিয়ম মেনে ঠান্ডা হয়ে যাবে। গত ৪ বছর শীতকালে বিশেষভাবে গরম হয়ে যাওয়ার মত ঘটনা এবার চোখে পড়বে না।



অধিকাংশই লেখালেখি'র ক্ষেত্রে তাদের অতীত পছন্দে'র ক্ষেত্র সাহিত্যে মনোনিবেশ করিবেক। এ্যাক্টিভিস্টদের পরিবারের অভাব অনটন ও দুঃখগাঁথাও প্রকাশ পাবে। চেতনাবাজ নারীগণের স্ট্যাটাসে স্মৃতিকাতর অশ্রু বর্ষিত হবে। চেতনাবাজ তরুন পুরুষগণ বন্ধুদের সাথে আড্ডা'র হাসি-কান্না শেয়ারে মন দিবে। মুরুব্বী চেতনাধারীরা পরিবার জীবনে'র প্রাপ্তি ও অপূর্ণতাগুলো সবাইকে জানান দিবে। আর কিশোর এ্যাক্টিভিস্টরা জোকারী বিদ্যা অনুশীলন করবে।



আগে যারা অপরাপর চেতনাবাজ এ্যাক্টিভিস্টদের সাথে গ্রুপ ফটো আপলোড দিয়ে নিজেদের প্রতিষ্ঠায় ব্যাস্ত ছিল তাদের অনেকেই সেসব ফটো কেন্দ্র করে আভ্যন্তরীন কোন্দলে জড়াবে। এবং বহু বেকার চেতনাবাজ হঠাৎ করেই ' ইয়ে সব ঝুঠা হ্যায়' বলে ক্যারিয়ার গঠনে মনোনিবেশ করবে ঘোষনা'র সহিত।



এদের এহেন আচরন মূলত নির্ভর করবে নির্বাচনের হাওয়া কবে, কোথায়, কিভাবে বইবে তার উপর। তবে, সবকিছুর পরেও তাদের শনি'র দশা ভাব কাটবে কি না, সেটা বলা যাচ্ছে না।



এমত অবস্থায়, জুতা-স্যান্ডেল এবং বিশেষ করে ডিমে'র প্রতি তাদের বিশেষ সাবধানতা অবলম্বনে'র জন্য অবহিত করা যাচ্ছে।



এর লগে বোনাস হিসেবে নেন সিনিয়র ব্লগার কৌশিক আহমেদের আজকের একটি ষ্ট্যাটাস,



নির্দলীয় ও নিরপেক্ষ মানুষের সরকার পরিচালনার অক্ষমতা নিয়ে আমি প্রশ্নাতীতভাবে নিশ্চিত। প্রথমত, তারা রাজনৈতিক নয়, দ্বিতীয়ত তারা রাজনীতির উচ্ছিষ্ট, বাই প্রোডাক্ট ও সুবিধাভোগী। নির্দলীয় ও নিরপেক্ষ মানুষ যারা নিজস্ব পেশায় সফল হয়েছেন তারা কেবল সুবিধাভোগী নয়, কোনো রাজনৈতিক দলের আনুগত্যে না থাকায় রাজনৈতিক মেধাশূন্যতায় বিরাজ করেন। এমন লোকের হাতে এক মিনিট একটা দেশের ক্ষমতা থাকাই যথেষ্ট - তার উপরে কয়েক মাস এবং রাজনৈতিক নির্বাচন অনুষ্ঠানের দায়িত্বভার অর্পন হলো নিজের প্যান্টখুলে বসে থাকা। রাজনৈতিক ক্ষমতা রাজনৈতিকভাবে ভূমিকা রাখা যেকোনো মানুষের হাতেই থাকতে হবে - চাই সে ভালো হোক বা খারাপ হোক। কারণ একজন রাজনীতিবিদকে শেষপর্যন্ত জনগণের কাছে জবাবদিহি করতে হয়, একজন নির্দলীয় ও নিরপেক্ষ মানুষের যাবতীয় অপকর্মকে কোনোভাবেই আর প্রশ্ন করা যায় না। জেনে শুনে প্যান্টখুলে আহবান করে বসে থাকার পরে কেনো মারা খেলেন - এটা নিয়ে প্রশ্ন করার কোনো মানে থাকে না।



নির্দলীয় ও নিরপেক্ষ মানুষ বলতে কোনো বস্তু নাই। নির্দলীয় সরকার বলতেও কোনো কিছুর অস্তিত্ব তৈরী হয় নাই, হবেও না। সামনের নির্বাচন চাই কোনো দলীয় সরকারের ও নির্বাচিত প্রতিনিধির অধীনেই হোক। এই দলীয় মানুষদের মধ্যে যারা দলের কাছে সবচেয়ে বেশী গ্রহণযোগ্য - দলীয় রাজনীতির প্যারামিটার সমেত, তাদেরকে নিয়েই অন্তবর্তীকালিন সরকার গঠন করা হোক। এই সমস্ত গ্রহণযোগ্য ও দলের প্রতি চরম আনুগত্যশীল রাজনীতিবিদরাই পারবে অন্য রাজনৈতিক দলের সমর্থন অর্জন করতে।




আমরা চেতনাবাজও না, সুবিধাভোগীও না। আমরা সেই সাধারন জনগন, যাদের কে আপনার এসি কারে বসে করুনা অথবা ঘৃনার দৃষ্টিতে দেখেন। আমরা সবই দেখি কে কিসের ব্যাবসা করেন। লেকচারে অযথা বিশেষন লাগালেই আমাদের মাথা কিনতে পারবেননা

মন্তব্য ৯ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৯) মন্তব্য লিখুন

১| ১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১২:২৭

মতিলাল বলেছেন: সুন্দর লেখার জন্য ধন্যবাদ ... কেয়ার টেকার সরকার আন্দোন জোরদার করতে লিখতে থাকুন..

১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১২:৫৮

একাকী বাংলাদেশি বলেছেন: মন্তব্যর জন্য ধন্যবাদ

২| ১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১২:৫১

রাহুল বলেছেন: কৌশিকদার সাথে একমত।

১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১:০১

একাকী বাংলাদেশি বলেছেন: হুমম কৌশিকদার সাথে অনেকেই একমত হবে ভেবেই অনেক চিন্তা-ভাবনা করে আজকে এই লেখা দিয়েছেন এবং তাতে অনেকেই আবার কানা-গলি থেকে বেরোনোর রাস্তা খুজে পেয়েছেন

৩| ১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১২:৫১

২য় জীবনানন্দ বলেছেন: লেখাটা ভাল লাগলো

৪| ১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১:২০

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
তত্তাবধায়ক সরকার ব্যাবস্থা বহাল থাকলেও নির্বাচন নিয়ে এরচেয়ে বড় নৈরাজ্য ও অচলবস্থা থাকতো।
Click This Link

১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ২:২১

একাকী বাংলাদেশি বলেছেন: হাসান ভাই লিংক দেওয়া বন্ধ কইরা আসেন একটু গপ্পো করি এইখানে

৫| ১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ২:৪৮

মতামত চাই বলেছেন: হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
তত্তাবধায়ক সরকার ব্যাবস্থা বহাল থাকলে নির্বাচন নিয়ে এরচেয়ে বড় নৈরাজ্য ও অচলবস্থা থাকতো।



সহমত।

২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৩:০৬

একাকী বাংলাদেশি বলেছেন: জ্বে ভাই আফনার কথা সইত্যে।

এইবার খুশি হইছেননি

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.