![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
একাকী পথিক চলেছি পথের সন্ধানে, পথের শুরু জানি শেষটা জানিনা। শুধু জানি হাটতে হবে অনেকদুর। দুর্গম আমার পথ বেছে নিয়েছি স্বেচ্ছায় তাই এর দা্যও আমার
তাজ্উদ্দীন আহমেদের মেয়ে হঠাৎ করে কিছু তথ্য ফাসঁ করে দিয়েছেন যেই তথ্যগুলো খুব গোপন ধরনের না হলেও তাজউদ্দীন আহমেদের মেয়ের মুখ থেকে যখন বের হয় তখন আলীগ এর জন্য ঢোক গেলা অনেকটাই কষ্টকর হয়ে যায়। তথ্যগুলো অনেকটাই সত্য হলেও ব্যাক্তিগত ভাবে আমি শেখ মুজিব-এর তৎকালীন অবস্থান গুলোকেই মনপ্রান দিয়ে সাপোর্ট করি।
কারন তাজউদ্দীন আহমেদ ছিলেন অনেক বেশি প্রো-ইন্ডিয়ান ব্যাক্তিত্ব। তাই হ্য়তো শেখ মুজিব তাজউদ্দীন এর কথার দ্বারা সম্পূর্নভাবে চালিত হতে চাননি। শেখ মুজিব ভালো করেই জানতেন যে ভারত কি ধরনের একটা আগ্রাসী কালো গোখরা সাপ, তাই তিনি ভারত থেকে সুবিধা নিলেও ভারতের কাছে নিজের সত্ত্বা পুরোটা বিকিয়ে দিতে চান নি। এরই ধারাবাহিকতায় মুক্তিযুদ্ধের পরেও অনেক ডিসিশান দিয়েছেন যেগুলো নাকি ভারত'কে অনেকটাই ব্যাথিত এবং ক্ষুব্ধ করেছে। শুধু তাই না একবার ইন্দিরা গান্ধীর সাথে ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্কের আলোচনা চলাকালে ভারতের আচরনে টেবিলে থাবা দিয়ে ক্ষুদ্ধ হয়ে বলেছিলেন, আমাকে 'সাব-অর্ডিনেট' আর 'কো-অর্ডিনেটের' মাঝে পার্থক্য বোঝাতে আসবেননা।
হুমম তারপরেও অনেকে বলবেন তাহলে স্বাধীনতার পরে তৎকালীন সময়ে ভারত অনেক বেশী সুবিধা পেতো কেনো? এর অনেক ধরনের উত্তর আছে। তার একটা হলো স্বাধীনতা যুদ্ধ চলাকালীন সময়েই ভারত বিভিন্নভাবে তার এজেন্ট (বাংলাদেশী নাগরিক কিন্তু কাজ করবে ইন্ডিয়ার হয়ে) তৈরী করতে থাকে যাতে যুদ্ধ পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশের উপর খুব সহজেই নিয়ন্ত্রন প্রতিষ্ঠা করা যায়। এই এজেন্ট'রা নামে আলীগ এবং বাংলাদেশী হলেও তাদের প্রধানতম আনুগত্য ছিলো ভারতের প্রতি। এবং এরকম একটি ভয়াবহ বাহিনী হলো মুজিব বাহিনী। এদের'কে খুব সম্ভবত দেরাদুনে খুব'ই উন্নতমানের ট্রেনিং দেয়া হয় এবং এই বাহিনীর লোকেরা যতটা না মুক্তিযুদ্ধের জন্য প্রস্তুত ছিলো তার চেয়ে বেশী সক্রিয় ছিলো ভারতের দাবার গুটি হিসবে। এবং এই মুজিব বাহিনী'র সদস্যরা স্বাধীন বাংলাদেশে অনেক প্রভাব খাটিয়েই চলতো। আরো কষ্টের ব্যাপার হচ্ছে যারা ইতিহাস নিয়ে গবেষনা করেন তারা এই মুজিব বাহিনী'র ব্যাপারে খুব ভালোভাবেই অবগত আছেন। কিন্তু সত্য সবসময় বলা যায় না কারন স্রোতের বিপরীতে সাতাঁর কাটা খুব কঠিন এবং কাল বিশেষে অসম্ভব।
২| ২৬ শে এপ্রিল, ২০১৪ রাত ৯:৫১
জুময়া ইবনুল আসোয়াদ বলেছেন: আচ্ছা জানার জন্য প্রশ্ন করছি ।
১৯৭২ এ বংগবন্ধু দেশে ফিরে যে প্রধানমন্ত্রী হয়েছিলেন । কিসের ভিত্তিতে বংগবন্ধু প্রধানমন্ত্রী হলেন ? কোন নির্বাচন হয়েছিল কি ? নির্বাচনটা কোন সনে হয়েছিল ? কউ তথ্য সূত্র সহ জানাতে পারবেন ?
৩| ২৮ শে এপ্রিল, ২০১৪ রাত ১২:২৪
অলওয়েজ এ্যান্টি গর্ভণমেন্ট বলেছেন: জুময়া ইবনুল আসোয়াদ@ আপনি পরের মুখে ঝাল খেয়ে খেয়ে বড় হয়েছেন। এক ডাইল খোর লন্ডনে রাজকীয় ভাবে জীবন যাপন করে, অদৃশ্য থেকে টাকা কামাই করে; সে একটা প্রশ্ন তুললো এখন সে প্রশ্নটা আপনার হয়ে গেলো।
লেখক: বঙ্গবন্ধু আস্তে আস্তে ভারতের খপ্পর থেকে বের হয়ে আসছিলেন। ইন্দিরা সেটা টের পেয়ে খরচের খাতায় মুজিবকে ফেলে দেন।
লক্ষ্য করে থাকবেন, মুজিব মারা যাবার পরও ইন্দিরা বহু বছর বেচেঁ ছিলেন কিন্তু এই হত্যাকান্ড সম্পর্কে কোনো মানবিক প্রতিক্রিয়া দেখাননি। আর্শ্চয।
এখন বিভিন্ন এ্যাসাঞ্জগেট তথ্য থেকে আমরা জানি মুজিব হত্যা একটি ব্যতিক্রমী এ্যাসাসিনেশন ছিলো যাতে পাকিস্তান, ইন্ডিয়া, লিবিয়া ও যুক্তরাষ্ট্র (৪টিই পরস্পর শত্রু কিন্তু একটি উদ্দেশ্য সাধনে একাট্টা) জড়িত ছিল।
মুজিবের স্বাধীনচেতা মনোভাবের ২টি উদাহরণ :
১৯৭৪ সালে ও আই সি (অর্গানাইজেশন অব ইসলামিক কো-অপারেশন) সম্মেলনে ভারতের চোখ রাঙানী, দাদা গিরি উপেক্ষা করে যোগ দিয়েছিলেন।
মুজিব ইন্দিরা ২দফা ফিরতি বৈঠকে মুজিব আলোচনা কক্ষে ঢুকেই আচমকা ইন্দিরা গান্ধীকে জিজ্ঞেস করে বসলেন, "আপনার সৈন্য কবে সরাবেন?"
গান্ধী অপ্রস্তুত ! পাশে দাড়ানো জেনারেল জ্যাকবকে শুধালেন, "কবে?"
জ্যাকবের পেশাধারী উত্তর, "এপ্রিলের মধ্যেই। " (গান্ধী মনে প্রাণে চাচ্ছিলেন, রাজনৈতিক ধোয়াশাপূর্ণ উত্তর) । মুজিব টাইম লাইন পেয়ে গেলেন। বিশ্বের কোনো দেশই পার্শ্ববতী দেশকে সাহায্য করতে গিয়ে এতো অল্প সময়ে প্রত্যাবর্তন করতে বাধ্য হয়নি।
তা ছাড়া মুজিব স্বাধীনতা যুদ্ধ ছাড়া সারা জীবন প্রো আমেরিকান পলিটিক্স করে গেছেন গুরু সোহ্ রাও য়ার্দীর হাত ধরে।
২৯ শে এপ্রিল, ২০১৪ ভোর ৫:১৮
একাকী বাংলাদেশি বলেছেন: ডালখোর কি বললো না বললো তাতে আপনার কিছু যায় আসে না হলেও অনেকেরই যায় আসে। আপনাদের যদি জবাব থাকতোই তাহলে কেনো যৌক্তিকপূর্ন জবাব দিতে পারলেননা? কেনো আপনাদের নেতা'রা পাগলা কুত্তার মত ঘেউ ঘেউ করা শুরু করলো? এতদিন খালি মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস নিজেদের বগলদাবা করেছেন। আর এখন যখন কিছু কথা বের হয়ে আসছে তখন বলেন ডাইলখোর? উনি যদি ডাইলখোর হয় তাহলে সৈয়দ আশরাফ কি সেটা বলবেন কি?
আপনারা না চাইতে পারেন কিন্তু জনগন চায় এসব ইতিহাস সব বের হয়ে আশুক। তাতে ক্রস-চেক করে ঠিকই বোঝা যাবে আসল ইতিহাস টা কি। আর এর ফলে যারা মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে ব্যাবসা করে তাদের কপাল যে পুড়বে তাতে কোন সন্দেহ নেই। মুক্তিযুদ্ধ কারো ব্যাবসা করার মূলধন হতে পারে না। আর একটা কথা শুনে রাখেন মুজিব কোন মহামানব ছিলেননা। উনার যেমন গুনও ছিলো তেমনি দোষ-ত্রুটিও ছিলো। কিন্তু দয়া করে মহামানব বানাতে যেয়ে সাধারন জনগনের কাছে তাকে ঘৃনার পাত্র করবেননা।
২৯ শে এপ্রিল, ২০১৪ ভোর ৫:২৬
একাকী বাংলাদেশি বলেছেন: এখন বিভিন্ন এ্যাসাঞ্জগেট তথ্য থেকে আমরা জানি মুজিব হত্যা একটি ব্যতিক্রমী এ্যাসাসিনেশন ছিলো যাতে পাকিস্তান, ইন্ডিয়া, লিবিয়া ও যুক্তরাষ্ট্র (৪টিই পরস্পর শত্রু কিন্তু একটি উদ্দেশ্য সাধনে একাট্টা) জড়িত ছিল।
কোন একটা কার্য সাধনে সবার'ই একটা মোটিভ থাকে। আমাকে বোঝাতে পারবেন এই চারটি রাষ্ট্রের আলাদা আলাদা মোটিভ কি? কারন ইন্ডিয়া তো ক্ষতি'র শিকার হলো।
৪| ৩০ শে এপ্রিল, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:৫৬
অলওয়েজ এ্যান্টি গর্ভণমেন্ট বলেছেন: ধন্যবাদ সাড়া দেয়ার জন্য।
ঠিকই বলেছেন সত্য উদঘাটিত হওয়া দরকার।
আওয়ামী লীগ তার একার সম্পত্তি মনে করে মুক্তিযুদ্ধকে। আপনার সঙ্গে একমত। এটার অবসান হওয়া জরুরী।
আবার দ্বিমত ঐ জায়গায়, বক্তা কে তা দেখতে হবে। ডাইলখোর তারেক, মদ্যতি আশরাফুল বললে মেনে নেবো না। যত উচিত কথাই বলুক। অথার্ত আমাদের বিচারের মানদন্ড হওয়া উচিত বক্তার পটভুমি বিচার সাপেক্ষে।
সবচেয়ে বদমাইশ লোক সবচেয়ে মিষ্টি কথা, বেশী কথা, ধোয়াঁশা পূর্ণ কথা বলে এটা আপনার জীবনের অভিজ্ঞতা হতেও জানবেন।
মুজিব হত্যায় ইন্ডিয়া ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে সাময়িক। দীর্ঘমেয়াদে লাভবান হয়েছে। একটু ভেবে দেখুন।
মুজিব হত্যা না হোত তাহলে কি হোত ?? ইন্ডিয়ার সঙ্গে অমীমাংসিত বিষয় একটা পরিনতি পেতো। নেতি বা ইতি বাচক। বিকল্প ছিলনা। অর্থাত বাইনারীর মতো হয় ০ নয় ১।
হয় মুজিবকে ক্ষমতা থেকে বিতাড়িত হতে হোত না হয় যেটা হয়েছে তাইই অর্নিবার্য ছিলো !!
আমাকে মুক্ত চিন্তার লোক বিবেচনা করলে কৃতজ্ঞ থাকবো।
ধন্যবাদ।
০২ রা মে, ২০১৪ দুপুর ২:৪৪
একাকী বাংলাদেশি বলেছেন: আমি মুক্ত চিন্তার লোকদের সাথেই কথা বলতে পছন্দ করি। এদের সাথে কথা বললে নিজেও অনেক কিছু শিখতে পারি। কিন্তু ইদানিং সমস্যা হলো মুক্ত চিন্তা বললেও কথা আর কর্মের মধ্যে অনেক ফারাক দেখতে পাই। তাই কনফিউজড হওয়াটা স্বাভাবিক। তবে সত্যিকারের মুক্তচিন্তার লোকজনদের জন্য সারাজীবন আমার দুয়ার খোলা।
©somewhere in net ltd.
১|
২৬ শে এপ্রিল, ২০১৪ রাত ৯:২৯
কুকরা বলেছেন: একবার ইন্দিরা গান্ধীর সাথে ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্কের আলোচনা চলাকালে ভারতের আচরনে টেবিলে থাবা দিয়ে ক্ষুদ্ধ হয়ে বলেছিলেন, আমাকে 'সাব-অর্ডিনেট' আর 'কো-অর্ডিনেটের' মাঝে পার্থক্য বোঝাতে আসবেননা।
বংগবন্ধুরে এই কথা বলার জন্য স্যালুট