নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

একজন সত্যবাদী

একজন সত্যবাদী › বিস্তারিত পোস্টঃ

নজরদারি করা হচ্ছে কম্পিউটার হার্ডডিস্কের ভেতর গোপন সফটওয়্যার দিয়ে

১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ দুপুর ২:৪৫

আপনারা হয়ত ইতিমধ্যে জেনিছেন,
হার্ডডিস্কের ভেতরেই কৌশলে লুকানো থাকছে গোপন সফটওয়্যার, যা ব্যবহারকারীর কম্পিউটারের গতিবিধির ওপর সার্বক্ষণিক নজরে রাখছে। রাশিয়ার নিরাপত্তা পণ্য নির্মাতা ক্যাসপারস্কির দাবি, এর পেছনে রয়েছে মার্কিন গোয়েন্দাদের হাত। এ ধরনের নজরদারির সফটওয়্যারের কবলে যে ৩০টি দেশের নাম এসেছে তার মধ্যে রয়েছে বাংলাদেশেরও নাম।

বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক খবরে বলা হয়েছে, বাজারের জনপ্রিয় সব হার্ডডিস্কের ভেতরেই অত্যন্ত গোপনে লুকানো থাকতে পারে নজরদারির সফটওয়্যার, যা ব্যবহারকারীর অগোচরেই যাবতীয় তথ্য তুলে দিতে পারে অন্যের হাতে। সাইবার নিরাপত্তা গবেষকেরা সম্প্রতি জানিয়েছেন, মার্কিন গোয়েন্দারা ওয়েস্টার্ন ডিজিটাল, সিগেট, স্যামসাং, তোশিবার মতো শীর্ষ হার্ডডিস্ক নির্মাতাদের সব পণ্যের মধ্যেই গোপনে নজরদারির সফটওয়্যার কৌশলে লুকিয়ে রাখছে। এতে বিশ্বের বেশির ভাগ কম্পিউটারেই তাদের নজরদারি করার সুযোগ তৈরি হয়েছে।
রাশিয়ার মস্কোভিত্তিক নিরাপত্তা সফটওয়্যার নির্মাতাপ্রতিষ্ঠান ক্যাসপারস্কি ল্যাব সম্প্রতি পশ্চিমা সাইবার নজরদারি কার্যক্রমের বেশ কিছু তথ্য প্রকাশ করেছে। যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা সংস্থা কর্তৃক হার্ডডিস্কে গোপন সফটওয়্যার লুকানোর তথ্যটিও ক্যাসপারস্কি ধরতে পেরেছে বলে এক প্রতিবেদনে দাবি করেছে।
ক্যাসপারস্কি কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, কমপক্ষে ৩০টি দেশে এক বা একাধিক গোপন সফটওয়্যারের মাধ্যমে গোয়েন্দাগিরির তথ্য তারা ধরতে পেরেছে। রাশিয়া, পাকিস্তান, আফগানিস্তান, চীন, মালি, সিরিয়া, ইয়েমেন ও আলজেরিয়ার মতো দেশের পাশাপাশি সেখানে বাংলাদেশের নামও এসেছে।

ক্যাসপারস্কি দাবি করেছে, গোয়েন্দারা যেসব প্রতিষ্ঠানে নজরদারি করছে তার মধ্যে সরকারি ও সেনা প্রতিষ্ঠান, টেলিযোগাযোগ প্রতিষ্ঠান, ব্যাংক, বিদ্যুৎ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান, নিউক্লিয়ার গবেষণাপ্রতিষ্ঠান, গণমাধ্যম, ধর্মভিত্তিক দলের কর্মীরাও আছেন।

ক্যাসপারস্কি অবশ্য গোপন নজরদারি কর্মসূচির পেছনে সরাসরি কোনো দেশের নাম উল্লেখ করেনি। অবশ্য তারা মার্কিন গোয়েন্দা বা এনএসএ কর্তৃক তৈরি সাইবার অস্ত্র স্টাক্সনেটে সঙ্গে সংশ্লিষ্ট তৈরি প্রতিষ্ঠানের হাত থাকার কথা বলেছে। স্টাক্সনেট নামের সাইবার অস্ত্রটি ইরানের ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ প্ল্যান্টে সাইবার আক্রমণ চালাতে ব্যবহার করা হয়েছিল। এর জন্য যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা সংস্থাকে দায়ী করে দেশটি।
ক্যাসপারস্কির এই বিশ্লেষণ মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থার সাবেক একজন কর্মী সঠিক বলেই বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, এ ধরনের নজরদারির কার্যক্রমকে গুরুত্ব দিয়ে দেখে মার্কিন গোয়েন্দারা।
মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থার একাধিক সাবেক কর্মী রয়টার্সকে হার্ডডিস্কের মধ্যে সফটওয়্যার ঢোকানোর কৌশল ব্যবহারের কথা জানিয়েছেন। গোয়েন্দা সংস্থার মুখপাত্র ভানি ভাইনস জানিয়েছেন, তাদের সংস্থা ক্যাসপারস্কির প্রতিবেদনটির কথা জানে কিন্তু এ বিষয়ে প্রকাশ্যে কোনো মন্তব্য করতে রাজি নয়।

মুল লিঙ্কঃ
লিঙ্ক

মন্তব্য ১ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ বিকাল ৩:০৪

হাসানুর বলেছেন: আমেরিকার আগ্রাসন দিন দিন বেড়েই চলেছে !

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.