![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
রাসূল দ. কতশতবার বলেছেন, আমি মধ্যপন্থী, আমার উম্মাহ (দলভুক্ত অনুসারী) মধ্যপন্থী।
রাসূল দ. বলেছেন, এক সময় কিছু মানুষ কুরআন পড়তে পড়তে চেহারা উজ্জ্বল করে ফেলবে, (কিন্তু তারা এর অর্থ অনুধাবনে ব্যর্থ হয়ে) তলোয়ার নিয়ে আপন প্রতিবেশীকে 'শিরককারী' বলে মারতে উদ্যত হবে, এবং যে মারতে উদ্যত হবে, সেই মূলত মুশরিক!
আল্লাহর রাসূল দ.'র প্রবল সমালোচনাকারী এমনকি অবমাননাকারীদের সাথে রাসূল দ. ও তাঁর সাহাবী রা. গণের সময়কালে কী কী ঘটেছে সেটা আমরা দেখতে পারি-
১. তাদের বছরের পর বছর ধরে কিছুই করা হয়নি। এভাবেই তাদের স্বাভাবিক জীবদ্দশা শেষে মৃততুবরণ করেছে।
২. তাদের অনেকেই ইসলাম ধর্ম নিজে এসে গ্রহণ করেছেন। হাসসান বিন সাবিত রা., ক্বাব বিন যুহায়ের রা. এমনি দুজন কবি।
হিন্দা রা. রাসূল দ.'র বিরুদ্ধে ২৩ বছর যাবৎ যুদ্ধ করেছেন, তাঁর দ. চাচা হামজা রা.'র কলিজা আক্ষরিক অর্থেই চিবিয়েছেন যুদ্ধক্ষেত্রে, বিকৃত কবিতা ও অবমাননা করেছেন জীবনভর, ২৩ বছর পর মক্কা বিজয়ের দিন বিনা প্রশ্নে ক্ষমা পেয়েছেন। ক্ষমার জন্য কোন শর্তও ছিল না। তিনি স্বত:প্রণোদিত হয়ে ইসলাম গ্রহণ করতে এসেছেন, রাসূল দ. তাঁকে ইসলামে গ্রহণ করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন, তবু তাকে কোন দন্ড দেননি, এর পরও হিন্দা রা., রাসূল দ.'র সবচে বড় একজন অবমাননাকারী, নিজের ঐকান্তিক দ্বিতীয় প্রচেষ্টায় ইসলাম গ্রহণ করেছেন।
বাংলাদেশ ইসলামের কোন শত্রু দেশ নয়। দারুল হারব নয়। দারুল আমান। এদেশে ধর্ম অবমাননার আইন আছে। এদেশে যারা ধর্ম অবমাননা করে, তাদের ক্ষমা করে দেয়া ইসলাম সম্মত। তাদের আজীবন সুযোগ দিয়ে নিজের মত করে স্বাভাবিকভাবে মৃততুবরণ করতে দেয়াও ইসলাম সম্মত। তাদের ইসলাম গ্রহণ করতে দেয়াও ইসলাম সম্মত। তাদের মুসলিম হিসাবে একবার রিজেক্ট করাও ইসলাম সম্মত। তাদের বন্দি করা ও সশ্রম কারাদন্ড দেয়াও ইসলাম সম্মত। এবং বন্দি করে সশ্রম কারাদন্ড দেয়ার বিধান দারুল আমান বাংলাদেশে আছে। মামলা করো। জেলে ভরো। বেরিয়ে যাক। নিজের মত থাকুক। আলোচনা করুক। সমালোচনা করুক। কুৎসা যেন না রটায়। মিথ্যা অপবাদ যেন না দেয়। গালাগালি যেন না করে। যদি করে, তবে আবার মামলা করো। আবার জেলে ভরো। তাহলে হত্যা কেন? তাহলে হত্যা কারা করে? যারা এদেশকে দারুল হারব মনে করে, যারা এদেশের নিয়ম মানাকে কুফর মনে করে, তারাই করে।
এরাই কি এদেশের ষোল কোটি মুসলিম? এরাই কি প্রকৃত মুসলিম আর আমরা ভেসে এসেছি? আমরা কুরআন হাদীসের কিছুই জানি নাই? হত্যা প্রকৃত ইসলামিক নির্দেশদাতা শাসক ছাড়া আর কারো করার অধিকার নেই। হত্যার জন্য সুনির্দিষ্ট বিচারের প্রয়োজন। সুনির্দিষ্ট পন্থার প্রয়োজন।
Md. Showkath Ali comment: কারা করে? যারা বাংলাদেশের অস্তিত্বকে স্বীকার করে না। বাঙালি জাতি মানে না। আইন মানে না। নাগরিকত্ব মানে না। যারা স্বাধীনতার বিরোধী ছিল আছে থাকবে তারাই শুধু করে ও করেছে। এদের সংখ্যা বাংলাদেশে কত? এদের চেনা কি খুবই কষ্টকর? এদের মতবাদের গোড়া কি ইসলামে মিশেছে, নাকি অন্য কোথাও? যেখানে মিশেছে, সেটা খুজে বের করা কি খুবই কষ্টকর?
বি.দ্ঃ লেখাটা সংগৃহীত, কারো কিছু বলার থাকলে মার্জিত ভাবে কমেন্ট করুন।
২| ০৩ রা মার্চ, ২০১৫ দুপুর ১২:৫৭
এস এম ইসমাঈল বলেছেন: যারা মেধাহীন, রুচিহীন, কুটিল, তারা সব সময় হয় ষড়যন্ত্র করে, নয়ত ষড়যন্ত্রকারীদের সহায়তা করে। সোজা পথে না গিয়ে চোরা গলিতে গিয়ে বাসা বাঁধে আর ষড়যন্ত্রের ফাঁদ পাতে। যুক্তি-তর্কে হেরে গিয়ে এরা পেশী শক্তি ব্যবহার করে। সোজা ও সরল পথে না গিয়ে এরা অস্ত্রের ভাষায় কথা বলে। মুক্ত মনা নিরীহ নিরস্ত্র মানুষদের অযথা হত্যা করে এরা পৈশাচিক আনন্দে মাতে। সংস্কৃতিমনা রুচিবান মানুষেদের এরা সব সময় ঘৃণা করে আর সু্যোগ পেলে আক্রমন করে বসে। আর কিছু না পারলেও অন্তত তাঁদের ইমেল বা ফেসবুক আইডি হ্যাক করে নিজেদের বিকৃ্ত রূচি ও নিচু মনের পরিচয় জাহির করে।এসব বিকৃত রুচির নরাধমদের ঘৃণা করতেও আমার রুচিতে বাধে।। ধিক শত ধিক ঐ নোংরা মনের পশুদের।।
৩| ০৩ রা মার্চ, ২০১৫ দুপুর ১:২৩
কুষ্টিয়ারশুভ বলেছেন: অভিজিৎ রায় বা রাজীবের হত্যার ঘটনার পরই এদেরকে আমি চিনেছি বা এদের নাম জেনেছি। ইচ্ছা হয়েছে এরা কী এমন লিখতো তা পড়ে দেখার।
আমি জানি, আমার মতো লক্ষ লক্ষ সাধারণ মানুষের আমার মতোই অবস্থা।
কারা চায় আমার মতো লক্ষ লক্ষ সাধারণ মানুষকে তাদের ব্লগ পড়াতে?
হজরত মুহম্মদ (সঃ)-কে অভিজিৎ রায় ডাকছেন- হজরত মহা...
রাজীবের মৃত্যুর পর ফেইসবুকে তাঁর কিছু নোট আমি পড়েছিলাম। তিনি হযরত মুহম্মদ (সঃ)-কে ডাকতেন ...
প্রশ্ন: এরা কি পেইড ব্লগার ছিল?
যাদের দ্বারা পেইড ও নিয়ন্ত্রিত হতো তাদের উদ্দেশ্য সাধন হয়ে গিয়েছিল?
এরপর ১. প্রমাণ মুছে ফেলতে, ২. বিশাল প্রচারণার জন্যে তারাই এদেরকে হত্যা করে? ( যেমন শার্লি হেবদো সাধারণত: ছাপা হতো ৫০-৬০ হাজার, আর সন্ত্রাসী হামলার পরের সংখ্যা ছাপা হলো ৩০ লক্ষ)
৪| ০৩ রা মার্চ, ২০১৫ দুপুর ১:২৯
মাঘের নীল আকাশ বলেছেন: @কুষ্টিয়ারশুভঃ বিষয়টা আরেকটু খোলাসা করে বললে বুঝবার পারতাম!!!
৫| ০৩ রা মার্চ, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৩৩
গাঁও গেরামের মানুষ বলেছেন: "এদের মতবাদের গোড়া কি ইসলামে মিশেছে, নাকি অন্য কোথাও? যেখানে মিশেছে, সেটা খুজে বের করা কি খুবই কষ্টকর?"-
এই প্রশ্নটা উগ্র ইসলামবিদ্বেষীদের দিকে করে দেখেন ত' কি উত্তর মিলে?
©somewhere in net ltd.
১|
০৩ রা মার্চ, ২০১৫ দুপুর ১২:৩৯
সৌর কলঙ্কে পর্যবসিত বলেছেন: “তবে কি তোমরা কিতাবের কিছু অংশ বিশ্বাস কর ও কিছু অংশ অবিশ্বাস কর? অতএব তোমাদের মধ্যে যারা এরূপ করে তাদের পার্থিব জীবনে লাঞ্ছনা ও অপমান ব্যতীত কিছুই নেই। আর পরকালে তারা ভয়ংকর শাস্তির দিকে নিক্ষিপ্ত হবে এবং তোমরা যা করছো আল্লাহ সে বিষয়ে অমনোযোগী নন।” (সূরা: বাকারাহ-৮৫)।
“আর যারা বলে আমরা কিছু বিশ্বাস করি আর কিছু প্রত্যাখ্যান করি এবং তারা এ মধ্যবর্তী পথ অবলম্বন করতে ইচ্ছা করে, প্রকৃতপক্ষে ওরাই অবিশ্বাসী, এবং আমি এ ধরনের অবিশ্বাসীদের জন্যে অবমাননাকর শাস্তি প্রস্তুত করে রেখেছি।” (নিসা-১৫০,১৫১)