| নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ইঞ্জিনিয়ার ইমরান হোসেন
বিসমিল্লাহির রাহমানির রহিম
থাকি যশোর শহরে। গ্রামের বাড়ির দূরত্ব আট মাইল। বাবা ফজরের নামাজ পড়ে চলে যেতেন গ্রামে। সাইকেল চালিয়ে। কুয়াশা ডিঙিয়ে। দেখতেন শস্যখেত। গবাদিপশু। বৃক্ষ, ফসল, গ্রামের মানুষ। তারপর সাইকেলটা চালিয়ে চলে আসতেন শহরে। গোসল করতেন। ভাত খেতেন। অফিস যেতেন। অফিস শেষে কাঁচাবাজার। মাছ-তরকারি নিয়ে ফিরতেন বাড়ি। ক্লান্ত শরীরটা টেনে টেনে। ছেলেমেয়েদের খবর নিতেন। ভাত খেতেন। নামাজ পড়তেন। ঘুমোতেন। আবার জেগে উঠতেন। ছেলেমেয়েরা ঘুমোচ্ছে তো? কার শরীরে কাঁথা নেই, কে কার শরীরে পা তুলে দিল। পা নামিয়ে দেওয়া, কাঁথাটা টেনে দেওয়া। এই সব। এই সব হচ্ছে বাবার বিনোদন।
একদিন বাবা মরে গেলেন। হয়ে গেলেন আকাশের পাখি। কোথায় যে উড়ে গেলেন কেউ জানে না। আকাশও না। তারাও না। আমাদের শরীরে কাঁথা আছে কি না, পা ওঠালাম কি না, কেউ রাখে না সেই খবর। আমরা নিঃসঙ্গ। বাবাহীন। বাবা তোমাকে টের পাই—নরম কুয়াশায়, ভোরে, ভোরের সাইকেল, গ্রাম, সবুজ, শস্য, কৃষক, পাখি আর পাখির কোলাহলে।
এখনো ও রাতের আধারে ভোরের কুয়াশায় আমি আমার বাবাকে ভিষন মিস করি এখনো ও কি অামার বাবা না ফেরার দেশ থেকে কি মিস করে.......................

©somewhere in net ltd.