![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
Nouman Ali Khan
নোমান আলী খান
শিশু নাম : হাসনা খান
জন্ম : ৪ মে, ১৯৭৮
নোমান আলী খান একজন পাকিস্তানী বংশোদ্ভুত, ৪ মে, ১৯৭৮
নোমান আলী খান একজন আমেরিকান মুসলিম বক্তা।
তিনি "দ্য বাইয়্যিনাহ ইন্সটিটিউট ফর এ্যারাবিক এ্যান্ড কুর'আনিক স্টাডিজ"-এর প্রতিষ্ঠাতা, সি.ই.ও. এবং প্রধান উপদেষ্টা,
ইসলামী ব্যক্তিত্বগণের জীবনীভিত্তিক অভিধান "দ্য ফাইভ হান্ড্রেড মোস্ট ইনফ্লুয়েন্সিয়াল মুসলিমস" এটির পঞ্চম সংষ্করণে নোমান আলী খানকে কোন র্যাংঙ্কিং ছাড়াই বিশ্বের সবচেয়ে প্রভাবশালী মুসলিমদের মধ্যে একজন হিসেবে তালিকাভুক্ত করে।
নাসাঊ ইউনিভার্সিটি কলেজে আরবির অধ্যাপক হিসেবে দ্বায়িত্ব পালনের পর, নোমান আলী খান ২০০৬ সালে বায়্যিনাহ ইন্সটিটিউট প্রতিষ্ঠা করেন।
বর্তমানে তিনি টেক্সাসের ডালাসে বসবাস করছেন। এছাড়াও তিনি আন্তর্জাতিকভাবে কুরআনের তাফসীর ও কুরআন বোঝার জন্য আরবি ভাষা শিক্ষার উপর লেকচার দিয়ে থাকেন।
নোমান আলী খান একজন মুসলিম দা’ঈ,
কোরআনের চমৎকার শৈল্পিক সৌন্দর্য উপস্থাপনার জন্যে তিনি বাংলাদেশসহ সমগ্র বিশ্বের মুসলিম তরুণ প্রজন্মের কাছে এক জনপ্রিয় ব্যক্তিত্ব। সারা বিশ্বের মুসলিম তরুণরা আজ তাঁকে নিজেদের মডেল হিসাবে কল্পনা করেন, তাঁর মতো হতে চান। কোরআনের শব্দচয়ন কতটা সৃজনশীল, ভাষা কতটা মনোমুগ্ধকর, অর্থ কতটা যৌক্তিক – এগুলোই নোমান আলী খানের চিন্তাভাবনা ও আলোচনার বিষয়। তাঁর বক্তব্যে কোরআনের অন্তর্গত সৌন্দর্য ও মুজিযা মানুষের চোখের সামনে জ্বলজ্বল করে ওঠে।
বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সভা-সেমিনার ও অনলাইনে তাঁর বক্তব্য শুনে অসংখ্য মানুষ ইসলামের দিকে ফিরে আসছে এবং ইসলাম গ্রহণ করছে। তিনি প্রায় ২০টিরও অধিক তাফসীর গ্রন্থ পাঠ করেছেন। ফলে কোরআন নাযিলের ইতিহাস, শব্দচয়নের কারণ, ভাষার অলঙ্কার, অর্থের গভীরতা, যুক্তির প্রখরতা এবং ব্যাকরণগত শুদ্ধতার বিষয়গুলো তাঁর আলোচনায় ফুটে উঠে। তাই অনেক ইসলামী স্কলার নোমান আলী খানকে আল কোরআনের ভাষাবিজ্ঞানী হিসাবে স্বীকৃতি দিয়েছেন। এছাড়াও বিশ্বের ৫০০ প্রভাবশালী ইসলামী স্কলারের মাঝে তাঁর স্থান অন্যতম।
বায়্যিনাহ ইন্সটিটিউটের উন্নয়ন
উস্তাদ নুমান আলী খান একজন মুসলিম দা’ঈ। কুর’আন এর জ্ঞানে তার অসাধারণ গভীরতা এবং সুন্দর উপস্থাপনা-শৈলীর কারণে সমগ্র বিশ্বের তরুণ প্রজন্মের কাছে তিনি অত্যন্ত জনপ্রিয় একজন ব্যক্তিত্ব।
বাংলাদেশ এবং বাংলা ভাষাভাষী অসংখ্য ইসলাম অনুরাগী তরুণ-তরুণী তাঁর অসাধারণ আলোচনা থেকে উপকৃত হচ্ছেন নিয়মিত। উস্তাদ নুমান আলী খান যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থিত বাইয়্যিনাহ ইনস্টিটিউট নামক একটি আরবি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠাতা এবং সিইও।
উস্তাদ নুমানের শিক্ষাজীবন শুরু হয় সৌদি আরবের রাজধানী রিয়াদে। যেখানে তিনি তাঁর প্রাথমিক পর্যায়ের শিক্ষা সম্পন্ন করেন। এরপর তিনি যুক্তরাষ্ট্রে চলে আসেন। প্রাথমিক জীবনে তিনি এতটা ধার্মিক ছিলেন না। এমনকি কলেজে তিনি ফিলোসফি ক্লাস নেওয়ার পর তিনি ২ বছর নাস্তিক ছিলেন। এর পর এক ভাই এর গভীর সাধনার পর তিনি ইসলামের পথে আসেন। এর পর তিনি আরবী ভাষার উপর আকৃষ্ট হন। তিনি আরবি ব্যাকরণ শিখেন পাকিস্তানে। সেখানে তিনি ১৯৯৩ সালে জাতীয় পর্যায়ে অনুষ্ঠিত পরীক্ষায় মেধাতালিকায় প্রথম ১০ জনের মধ্যে স্থান অর্জন করেন।
কিন্তু আরবিতে তাঁর গভীর পড়াশোনা শুরু হয় ১৯৯৯ সালে যুক্তরাষ্ট্রে ডক্টর আব্দুস সামি এর তত্বাবধানে। ডক্টর আব্দুস সামি পাকিস্তানের ফয়সালাবাদের কুর’আন কলেজের প্রতিষ্ঠাতা অধ্যক্ষ যিনি সময়ে সময়ে যুক্তরাষ্ট্রে যেতেন আরবি শিক্ষা এবং কুর’আন এর তাফসীরের উপরে গুরুত্বপূর্ণ বক্তব্য রাখতে। তাঁর অধীনে পড়াশোনায় নুমান আলী খান আরবি ভাষা ও ব্যাকরণের উপরে তীক্ষ্ণ এবং গভীর জ্ঞান অর্জন করেন। তিনি পরবর্তীতে ডক্টর আব্দুস সামির কাছে আরো উপকৃত হন তাঁর সম্পূর্ণ শিক্ষাদান পদ্ধতিকে আত্মস্থ করে। তিনি ডক্টর সামির করা কাজগুলোকে ইংরেজিতে অনুবাদ করেন তাঁর নিজের ছাত্রদের উপকারের জন্য। তার আরেকজন গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষন হল ডাঃ ফাদেল আল সামারাই। উস্তাদ নুমান ১৯৯৯ সাল থেকে যুক্তরাষ্ট্রে আধুনিক এবং ক্লাসিক্যাল আরবি শিক্ষাদান শুরু করেন। ২০০৬ সাল পর্যন্ত ৭ বছর ধরে নুমান আলী খান নাসাউ কমিউনিটি কলেজে মডার্ন শিক্ষকতা করেন। সেখানে তিনি “মডার্ন স্ট্যান্ডার্ড অ্যান্ড ক্লাসিক্যাল অ্যারাবিক” শেখান দেশজুড়ে। তিনি মূলত তার দাওয়াহ প্রচার করে থাকেন ভিডিও বক্তৃতার মাধ্যমে। বর্তমানে তিনি বায়্যিনাহ ইন্সটিটিউটের সিইও হিসেবে ফুল টাইম সময় দেন। তার অধীনে ৪৩ জনের অধিক কর্মকর্তা রয়েছেন। তার প্রজেক্ট বায়্যিনাহ.টিভি তে তার ২০০ ঘন্টার উপর লেকচার রয়েছে আরবি শিক্ষা, কুর’আন কভার টু কভার, হিজাব সিরিজ, সেইম সিরিজ সহ অনেক। তার পরবর্তী প্রজেক্ট হল বায়্যিনাহ.স্টুডিও তৈরি করা যেখানে টক-শো, নাটক ইত্যাদি প্রস্তুত হবে।
বই প্রকাশ
নোমান আলী খান ইংরেজিতে দুইটি বই প্রকাশ করেছেন
১ - Divine Speech: Exploring Quran As Literature (2016)
২ - Revive Your Heart: Putting Life in Perspective (2017)
http://www.nakbangla.com এই সাইটটি নোমান আলী খানের প্রায় ১০০টারও বেশি ভিডিও ডাবিং করেছে এবং তার কথা গুলোকে বইআকারে প্রকাশ করেছে (বইঃ প্রশান্তির খোঁজেঃ উস্তাদ নোমান আলী খান)
২| ৩১ শে জুলাই, ২০১৯ দুপুর ১:১১
আরোগ্য বলেছেন: পোস্টের প্রাথমিক অংশে ভুল আছে। উনার সাত সন্তান এবং বড় মেয়ের নাম হুসনা খান। পোস্টটি আরও সমৃদ্ধ করা যেত।
৩| ৩১ শে জুলাই, ২০১৯ দুপুর ১:২০
সুপারডুপার বলেছেন: পাকি ভারতীয় বিদেশীদের হাইলাইট বাদ দিয়ে নিজ দেশের প্রতিভাদের হাইলাইট করতে শিখুন
৪| ৩১ শে জুলাই, ২০১৯ দুপুর ২:৩৪
মুদ্দাকির বলেছেন: divine speech বইটার পিডিএফ আছে?
৫| ৩১ শে জুলাই, ২০১৯ বিকাল ৫:১২
চাঁদগাজী বলেছেন:
উনার বক্তৃতা শুনতে যাইয়েন, বউকে সাথে নিয়েন না।
৬| ৩১ শে জুলাই, ২০১৯ বিকাল ৫:৩০
রাজীব নুর বলেছেন: জানলাম।
৭| ৩১ শে জুলাই, ২০১৯ বিকাল ৫:৪০
জগতারন বলেছেন:
আমি এই নোমান আলী খানের বক্তৃতা শুনিয়াছি। আমার কাছে আরেক মোনাফেক পাকী'র কথা ছাড়া আর কিছুই মনে হয় নি। এর আগে এ নিয়ে ব্লগার আরোগ্য এবং আরেকজন ব্লগারের সাথে (এখন নাম মনে আসছে না) অনেক মত-এর অমিল হয়েছিল।
এই নোমান আলী খানের ব্যাপারে বাংলাদেশী সকলের জ্বনাব চাঁদগাজী-এর অভিমত প্রাণিধান করার আহ্বান জানাচ্ছি।
৮| ৩১ শে জুলাই, ২০১৯ বিকাল ৫:৪১
দিকশূন্যপুরের অভিযাত্রী বলেছেন: নতুন তথ্য জানলাম। এই ব্যক্তির ভিডিও দেখতে হবে।
৯| ৩১ শে জুলাই, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:১৭
কানিজ রিনা বলেছেন: নোমান আলি খানের অনেক বক্তৃতা শুনেছি
অনেক বিশ্লেশন দিয়ে বুঝানো বেশ সুন্দর
করে আওতায় এনেছেন।
তবে তার উচিৎ নিজ দেশে বক্তৃতা করা
তাতে পাকিস্তানিরা গোড়ামি ছেড়ে
কোরাআনের আলোয় আলোকিত হতে পারে।
সে এক সময় নাস্তিক ছিল বলে তার তখনকার
জীবনের কোনও নোংরা আদর্শ তুলে ধরা উচিৎ
না। ধন্যবাদ।
©somewhere in net ltd.
১|
৩১ শে জুলাই, ২০১৯ দুপুর ১:০২
কাওসার চৌধুরী বলেছেন:
নোমান আলী খাঁন একজন ভালো বক্তা নিঃসন্দেহে। আরো স্পেসিফিকভাবে বললে ইসলামী বক্তা। তিনি বিভিন্ন দেশে ইসলামের বিভিন্ন বিষয়-আসয় নিয়ে সেমিনার/সমাবেশে গুরুত্বপূর্ণ বক্তব্য রাখেন, বিভিন্ন জটিল-কুটিল কুয়েশ্চনের উত্তর/সমাধান দেওয়ার চেষ্টা করেন। কিন্তু চারিত্রিক/ব্যক্তিগত ভাবে উনার বিষয়ে অনেক অভিযোগ আছে। এই অভিযোগগুলো আংশিক সত্য হলেও একজন ইসলামী বক্তা হিসাবে তা খুবই বিপজ্জনক।