নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মাঝেমধ্যে নিজেকে কেন জানি প্রতিভাবান বলে মনে হয়! কেন মনে হয়, তা খুঁজতে খুঁজতে প্রতিভা শেষ করে ফেলছি

ফাহাদ মিয়াজি

মাঝেমধ্যে নিজেকে কেন জানি প্রতিভাবান বলে মনে হয়! কেন মনে হয়, তা খুঁজতে খুঁজতে প্রতিভা শেষ করে ফেলছি

ফাহাদ মিয়াজি › বিস্তারিত পোস্টঃ

ডিমের রচনা

২১ শে অক্টোবর, ২০১৫ ভোর ৬:১০

ভূমিকা: ডিম অতিপরিচিত, সহজলভ্য ও
প্রোটিনসমৃদ্ধ একটি খাবার। ‘বাঁশের’ পর মানুষ
যে খাবারটি বেশি খায়, তার নাম হচ্ছে ডিম।
জন্ম: ডিমের জন্ম কবে, কোথায় তা এখনো
বিতর্কিত। প্রাণিজগতের অনেকেই ডিম
পাড়ে। পার্থক্য হচ্ছে, কেউ খাঁচায় বসে ডিম
পাড়ে আবার কেউ পরীক্ষার হলে বসে। তবে
ডিম না পেড়েও ডিম পাড়ার কৃতিত্ব একমাত্র
ঘোড়ারই আছে!
ডিম পরিচিতি: ডিমের আকার গোলও না,
লম্বাও না, চ্যাপ্টাও না। ডিমের বাইরে
খোসা, ভেতরে কুসুম। ডিমের কুসুম হলুদও হতে
পারে, কমলাও হতে পারে। খোসার রং সাদা,
ধূসর বা লালচেও হয়। তবে পরীক্ষার খাতায়
লাল রঙের যে ডিম পাওয়া যায়, তা
একেবারে ফাঁপা, ভেতরে কোনো কুসুম থাকে
না।
ব্যবহার: বিস্কুট, কেক, পাউরুটি, পুডিং...ডিম
না থাকলে এ রকম খাবার তৈরি হতো না!
দুনিয়ার বেকারিগুলো অচল হয়ে যেত, ফাস্টফুড
বলে কোনো শব্দ অভিধানে থাকত না।
অপকারিতা: ডিমের কোনো অপকারিতা
নেই। ডিমে অ্যালার্জি থাকলে শরীর
চুলকাতে চুলকাতে মানুষ হাসপাতালে যায়।
এতে চিকিৎসকদের আর্থিক সচ্ছলতা আসে এবং
ওষুধ কোম্পানিগুলোও বেশ লাভবান হয়।
উপকারিতা: ডিমের উপকারিতা বলে শেষ
করা যাবে না। অনেকেই চুলে কিংবা মুখে
ডিম মেখে রূপ-লাবণ্য ফিরে পায়। আর
আমাদের মতো ব্যাচেলরদের একমাত্র ভরসা
হচ্ছে ডিম। তরকারি ভালো লাগেনি—
সমাধান ডিম! বুয়া আসেনি—সব চিন্তা ঝেড়ে
সমাধান মিলবে ডিমে!
বাংলাদেশে ডিমের চাহিদা: কুমিল্লা,
খুলনা, বরিশাল ও যশোরে ডিমের চাহিদা
সবচেয়ে বেশি। দৈনিক ডিমের খবর-এর তথ্য
অনুযায়ী, এ বছর বাংলাদেশে আট কোটি
ডিমের অভাব দেখা দিয়েছে। বাংলাদেশ
থেকে মুরগি পাচার হয়ে যাওয়ায় ডিমের
অভাব দেখা দিয়েছে—এই খবর মিডিয়ার
অপপ্রচার ও ভিত্তিহীন বলে দাবি করেছেন
ডিম পরিবহনমন্ত্রী! তিনি বলেছেন, ‘ডিম কমে
যাওয়ার জন্য মুরগি দায়ী হবে কেন? ডিম
দেবে ডিমওয়ালা!’ এ ছাড়া ডিমমন্ত্রী
বলেছেন, ‘ডিম পাড়ার সময় বিরোধী দল খাঁচা
ধরে নাড়াচাড়া করায় মুরগি ডিম পাড়ায়
আগ্রহ হারিয়ে ফেলেছে।’
উপসংহার: ব্যাচেলর রাজ্যে পৃথিবী ডিমময়...
(ডিমের রচনা জমা দিয়ে স্যারকে ভয়ে ভয়ে
জিজ্ঞেস করলাম, স্যার, ডিমের রচনাটা কেমন
হয়েছে? স্যার হুংকার দিয়ে বললেন, ‘এইটা
কোনো রচনা হইছে? রচনা লিখছস না ঘোড়ার
ডিম লিখছস!) :-B

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.