![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
instagram.com/fatih.solaiman facebook.com/Fatihsolaimanofficial
”ভায়াগ্রা” নামে যে একটা মেডিসিন আছে সেটা শুধু বাংলাদেশ নয়, সারা পৃথিবী তে যেই শব্দটা নামে সবাই চিনে। জ্বরের মেডিসিন “নাপা” নাম না শুনলেও ভায়াগ্রা নাম সবাই শুনেছে । যার জেনেরিক (Generic) নাম হলো “সিলডেনেফিল সাইট্রেট” । সেক্স স্টিমুল্যান্ট ড্রাগ হিসেবে এটার পপুলারিটি আসমান জমিন। এটা মেকানিজম টাও আশ্চর্যজনক ভাবে পাওয়া গেছে। ১৯৭০ সাল থেকেই গবেষনা চলছিল হাইপারটেনশনের (উচ্চ রক্তচাপ) চিকিৎসার ঔষধ এই সিলডেনেফিল নিয়ে। তাও ইংল্যান্ডের গুনী ঔষধ কোম্পানী "ফাইজার" (Pfizer) যা বাংলাদেশের "রেনাটা ফার্মা" এর আদি ভাই।
PDE5 ইনহিবিশনের মাধ্যমে স্মুথ মাসল রিলাক্স করে ভেসোডায়ালেটেশন (Vasodialatation) ও ব্লাড ফ্লো(Blood flow) বাড়ানো হলো এই ঔষধের কাজের রাস্তা । তাই পোর্টাল হাইপারটেনশনের (Portal hypertension) ট্রিটমেন্ট হিসেবে বিশেষ করে আইসেন মেঞ্জার সিন্ড্রোম (Essen manger syndrome) রোগের চিকিৎসা হিসেবে সিল্ডেনেফিল অনেক আগে থেকেই ব্যবহৃত হয়ে আসছে। কিন্তু পরে দেখা গেলো এর সাইড ইফেক্ট পেনাইল(penile) ব্লাড সাপ্লাইও বেশী বাড়ে। তাই আস্তে আস্তে এটি ইরেক্টাইল ডীসফাংশনের(Erectile Dysfunction) চিকিৎসার ঔষধ হিসেবে আবির্ভাব ঘটে।
মানুষের গোপন রোগের চিকিৎসার উদ্ভাবক ফাইজার ১৯৯৮ সালে ২৭ মার্চ এফডিএ(FDA) থেকে ভায়াগ্রা ড্রাগের প্যাটেন্ট কিনে নেয়। আর বিক্রী হয় "হট কেকের" মত। প্রথম বছরেই বিক্রী হয় ১২৫০ মিলিয়ন ডলার। তারপর থেকেই ফাইজার এই বিতর্কিত ড্রাগ দিয়ে মনোপলি বিজনেস শুরু করে। তাদের কেনা প্যাটেন্সি মেয়াদ শেষ হয়েছে । তবুও বিজনেস থেমে নাই। এমনকি কানাডা সরকার গতবছর ১২ মার্চ সুপ্রিম কোর্টের মাধ্যমে এই ঔষধ কে invalid ডিক্ল্যেয়ার করে। কারন এর “সুবিধার চেয়ে অসুবিধা অনেক বেশি”। আর মানুষের সব ড্রাগের “এবিউজ”(Abuse) করার প্রবনতা অনেক বেশী । মনে রাখতে হবে- “”এখানে সাইড ইফেক্ট কে কাজে লাগানো হচ্ছে”” ।
তাই প্রেসক্রিপশন ছাড়া এই ঔষধ বিক্রী বা খাওয়া আইনত নিষিদ্ধ। কিন্তু এই দেশে কে শোনে কার কথা । নিষিদ্ধ জিনিসের প্রতি অমোঘ আকর্ষণ সবার। আর ড্রাগ নিষিদ্ধ হলেই তার দাম বেড়ে যায় কয়েকগুন । মানুষের তো অজানার প্রতি অমোঘ আকর্ষন। যেমন – ""আমাদের দেশে কন্ট্রাসেপ্টিভ(Contraceptive) পিলের দাম না বাড়লেও , ইমার্জেন্সি কন্ট্রাসেপ্টিভ (emergency contraceptive) পিলের দাম কিন্তু বাড়ছে চক্রবৃদ্ধি হারে""। পিউলি শিউলি বিউটি সুইটি নাম দিয়া ...।
যেহেতু এটা একটা প্রেসক্রাইপড ড্রাগ,সতরাং এর ব্যবহারও হবে লিমিটেড । কারন এর সাইড ইফেক্টও হতে পারে মারাত্মক ভাবে। এলার্জি থেকে শুরু করে সাড়া জীবনের জন্য অন্ধ হয়ে যেতে পারে এই ঔষধ ব্যবহার করে। কারন PDE5 যেমন পেনাইল স্মুথ মাসলে থাকে, তেমনি রেটিনাতেও থাকে। তাই “ডাবল ইনহিবিশনের (Double inhibition) শিকার হলে পোটেন্সি বাড়বে , কিন্তু চোখে দেখবেন অন্ধকার (Blind)” । নিচের লাইট জ্বললেও, উপ্রের লাইট ফিউজ । tongue emoticon tongue emoticon tongue emoticon
পৃথিবীর সব ঔষধ কে ৪ ক্যাটাগরি তে ভাগ করা যায় । প্রথম হল ওভার দ্যা কাউন্টার(OTC) ড্রাগ, যা কিনতে প্রেসক্রিপশনের দরকার নাই। যেমন প্যারাসিটামল , রেনিটিডিন, ওমিপ্রাজোল । দ্বিতীয় হলো প্রেসক্রাইবড ড্রাগ (Prescribed) যা কিনতে অবশ্যই রেজিস্টার্ড ডাক্তারের প্রেস্ক্রিপশন লাগবে । যেমন প্রেশারের ঔষধ। তৃতীয় হলো কন্ট্রোল্ড ড্রাগ(controlled Drug) যা শুধু হসপিটালে এবং ডাক্তারের উপস্থিতিতে ব্যবহার করা যাবে । যেমন প্যাথেডিন। চতুর্থ হলো এক্সপেরিমেন্টাল ড্রাগ(Experimental drug) যা নিয়ে রিসার্চ চলছে। ব্যবহার করা নিষিদ্ধ। ভায়াগ্রা যেহেতু দ্বিতীয় ক্যাটাগরি এর ঔষধ , তাই এর জন্য অবশ্যই প্রেসক্রিপশন বাধ্যতামূলক।
ভায়াগ্রা তো মাত্র দুই দশক ধরে আসছে।।আসুন জেনে নেই, তার আগে যৌন দূর্বলতার চিকিৎসা কিভাবে করা হতো । ভায়গ্রা আগে কিছু কিছু ইলেক্ট্রোমেডিসিন স্পেশালিষ্ট বের করেছিলেন একটি যন্ত্র , যার নাম ইলেক্ট্রোথেরাপি। “ইলেক্ট্রোথেরাপি” দিয়ে মানুষের শরীরের সব ধরনের চিকিৎসা করা যাবে । কারেন্ট সিগনাল সিস্টেম দূর্বল অঙ্গের সবলতা ফিরিয়ে দিবে ।
তাই এই এক্সপেরিমেন্ট শুরু হলো পুরুষের যৌন দূর্বলতা (Impotency) এর চিকিৎসা হিসেবে । বিজ্ঞানীরা এক ধরনের ইলেক্ট্রিক বেল্ট আবিষ্কার করলেন পুরুষ দূর্বলতা কাটানোর জন্য। এই ডিভাইস সাড়া দুনিয়ার হিরিক ফেলে দেয়। যেহেতু তখন দুনিয়ার ভায়াগ্রা নামক ফাইজারের সিল্ডেনেফিল মেডিসিন আসে নাই ।তাই এই বেল্টের উপর দারুন ঝোঁক ছিল দুনিয়া বাসীর দূর্বল পুরুষ গন। ডাক্তার স্যান্ডেন তার নিজের নামেই এই যৌন দূর্বলতার বেল্ট কোম্পানী খুলে বসেন। স্যান্ডেন বেল্ট সুপার হিট হয় ।
এমন কি তারা বিজ্ঞাপনে প্রচার করত- “এই বেল্ট পড়লে আপনার বয়স ১৫ বছর হ্রাস পেয়ে যৌবনা তারুন্য ফিরে পাবেন” । ইসরাইলী এক গবেষণা দেখিয়েছে- শকওয়েভ নাকি নতুন ব্লাড ভেসেল তৈরীতে সাহায্য করে , যা পুরুষ দূর্বলতা কাটাতে সাহায্য করে ।
যদিও ভায়াগ্রা আসার সাথে সাথে কিক খায় এই হিট শকওয়েভ সিস্টেম ।
সবচেয়ে লেটেস্ট চিকিতসাঃ আম্রিকার "ইউনিভার্সিটি অফ জর্জিয়া" আবিষ্কার করেছে ব্রাজিলের এক ধরনের মাকড়শা আচে, তার শরীরের যে বিষ (Tx-26) থাকে, সেটা যদি অল্প ডোজ সিলডেনেফিলের সাথে মিক্স করে দেয়া যায়, সেটা যৌন দূর্বলতার পারমানেন্ট চিকিৎসা হিসেবে ফল দেয়।
অস্ট্রেলিয়ার বিজ্ঞানীরা আবিষ্কার করেছেন - "একটা কাটা গোলাপ পানিতে ভিজিয়ে রাখা হলে , আর সেই পানিতে একটা ভায়াগ্রা ট্যাবলেট গুড়া করে দিয়ে দিলে , সেই ফুল আর সহজে নিস্তেজ হয় না। কি বুঝলেন । ভায়াগ্রা ফুলকেও ছাড়ে নাই" ।
৩০ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ সকাল ১১:৫২
FATIH SOLAIMAN বলেছেন: দোয়া করবেন আপু যেন আরোও ভালকিছু আপনাদের সামনে তুলে ধরতে পারি!!!!!!!
২| ৩০ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ সকাল ১১:২৪
Mayri Lisa বলেছেন: nice
৩০ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ সকাল ১১:৫২
FATIH SOLAIMAN বলেছেন: ধন্যবাদ।
৩| ৩০ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ সকাল ১১:৪১
JM Miso Jannat বলেছেন: মাসাল্লাহ সুন্দর পোষ্ট
৩০ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ সকাল ১১:৫৩
FATIH SOLAIMAN বলেছেন: ধন্যবাদ
৪| ৩০ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ সকাল ১১:৪৭
MD Sajal বলেছেন: সুন্দর পোষ্ট করেছেন ভাই।
এইরকম আরোও লিখা চাই!!!!!!!!!
৩০ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ সকাল ১১:৫৪
FATIH SOLAIMAN বলেছেন: ইন্সাআল্লাহ সামনে আরোও ভালো কিছু লিখার চেষ্টা করবো!!!!
©somewhere in net ltd.
১|
৩০ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ সকাল ১১:২২
JM Miso Jannat বলেছেন: অসাধারণপোস্ত,আসলেই অনেক কিছু শিখলাম।