![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
এক সময় ইচ্ছা ছিল পদার্থবিদ হওয়ার কিন্তু এখন আমি কম্পিউটার বিজ্ঞান নিয়ে পড়ালেখা শেষ করলাম......জীবনটা দিতে চেয়েছিলাম, মহাকাশকে , কিন্তু ১০৪ চাবির একটা পাটাতন নিয়ে নিল...হাতের দশটা আঙ্গুল সব সময় হাঁটে না, দৌড়াতে থাকে,পাটাতনের উপর, মনে হয় এই বুঝি কেউ তাড়া দিল...ধরে ফেলবে এখনি...
জীবনের প্রতিটি দিনই তার বিচিত্রতার চাদরে নতুন রং নিয়ে প্রতিভাত হয়। এমনকি প্রতিটি বেলাও এর সাথে রংয়ের নতুন সংমিশ্রণ ঘটায়।যা এমন এক আবহ তৈরি করে, তা অতুলনীয়।প্রতিদিনের প্রতিটি ক্ষণ জীবনের সাথে রংয়ের এই সংমিশ্রনের খেলাটা নিপুণভাবে করে।
তেমনি, এক অসাধারণ মুহুর্তের সাথে দিন শুরু করেছিল যুবায়ের। সকালে ঘুম থেকে উঠেছে। ফজরের সালাত আদায় করেছে মসজিদে গিয়ে। তারপর সকালে কিছুক্ষণ হেঁটেছে। সকালের বাতাসটা তার অসাধারণ লাগে। এত মধ্যে সে এক বেহেশ্তি পরিবেশ খুঁজে পায়। সকালের পাখির কিচির-মিচির, বাতাসের শুভ্রতা যুবায়ের খুব উপভোগ করে। সকালের গাছগুলোও যেন শুভ্রতার এক মূর্ত প্রতিক।
প্রতিদিনের মত সে দিনটা শুরু করেছিল। কিন্তু সে কী ভেবেছিল জীবনের এতগুলোর দিনের মধ্যে আজকের দিনটা তার জন্য এমন বিস্ময় নিয়ে অপেক্ষা করছে। প্রতিদিনের মত সব কাজ শেষ করে সে গিয়েছিল তার দৈনিক চারণভুমি, বিশ্ববিদ্যালয়ে। স্বাভাবিকভাবেই সব কিছু করছিল। সব কিছু ঠিকই ছিল, চলছিলও মসৃণতার সাথে। এর মাঝে বাড়িথেকে তার মুঠোফোনে ফোন আসে। কিন্তু ফোন ধরতে পারিনি, ক্লাসে থাকার কারণে। তারপর সে তার মেসে গিয়ে ফোন দেয়। ফোন বাজে, কেউ ধরে না। কেউআবার ফোন দেয়ও না। তারপর সে তার মামার ফোনে ফোন দেয়। তার মামা ফোন ধরেই বলে ,আব্বু তুমি এখনি বাড়ি চলে আস। সে বুঝতে পারে, কিছু একটা হয়েছে। সে তার স্বভাব মতো প্রশ্ন করে না। বাড়ি আসার জন্য প্রস্তুতি নিতে থাকে। বাসের কাউন্টারে ফোন দিয়ে টিকিট নিশ্চিত করে। দুপুর ৩.০০ টায় তার বাস। সে বাসা থেকে বের হয়ে যায়। একটা সি এন জি নিয়ে চলে যায় গাবতলীর উদ্দেশ্যে। এর মাঝে ফোন আসে ছোটখালার, বলে যুবায়ের কোথায় তুই? যুবায়ের উত্তর দেয়,গাবতলী যাচ্ছে। যুবায়ের আবার জিজ্ঞেস করে, কি হয়েছে?? খালামনি বলেন, তোর আব্বু স্ট্রোক করেছে। তখন যুবায়েরের মাথায় তো আকাশ ভেঙ্গে পড়ে। খালামনি কথা বলছে আর কাঁদছে। যুবায়ের বলে, তাহলে ঢাকা নিয়ে আসতে বলেন। তখন আসল ঝড়ের বাতাসটা গায়ে লাগল।যুবায়ের বুঝতে পারে, হয়ত সুনামির মধ্যে ছিল না, কিন্তু সুনামিকে কেন মানুষ এত ভয় পায়। তখন সত্যিই ওর মাথায় আকাশটা ভেঙ্গে পড়ে।ওর পৃথিবী তখন গভির আঁধারে নিমজ্জিত হতে যাচ্ছে। সে তখন দিশেহারা। পুরা ব্যাপারটা তার কাছে তখন দুঃস্বপ্ন মনে হচ্ছে। আরে ধুর, কিছুই হয় নি। এইসব বলে নিজেকে স্বান্ত্বনা দিচ্ছে।
©somewhere in net ltd.