![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
এক সময় ইচ্ছা ছিল পদার্থবিদ হওয়ার কিন্তু এখন আমি কম্পিউটার বিজ্ঞান নিয়ে পড়ালেখা শেষ করলাম......জীবনটা দিতে চেয়েছিলাম, মহাকাশকে , কিন্তু ১০৪ চাবির একটা পাটাতন নিয়ে নিল...হাতের দশটা আঙ্গুল সব সময় হাঁটে না, দৌড়াতে থাকে,পাটাতনের উপর, মনে হয় এই বুঝি কেউ তাড়া দিল...ধরে ফেলবে এখনি...
মানুষ ইদানিং খুব বেশিই কথা বলে। অযথায় এত কথা বলে। তাদের মুল্যবোধের আগল শৃংখলিত। কোন আড্ডায় নেই কোন গঠন মূলক কথা, আছে শুধু আমিত্বের কথা। যে যত বেশি নিজেকে নিয়ে কথা বলবে, সে ততবেশি ভালো।
তাদের গল্পে নেই ,ইতিহাস ,নেই সংস্কৃতির কথা। আছে নিজের কথা ,মেয়েদের কথা , একটু উগ্র হলে কাকে মারল , কার ক্ষতি করল। নেই পরিবেশের কথা, নেই কিভাবে আমাদের জীবনকে কিভাবে আরো বন্ধুভাবাপন্ন করে তুলতে পারি। আছে শুধু হানাহানির কথা।
সেদিন রাস্তায় হাটছি। দুইটা ছেলে গল্প করতে করতে যাচ্ছে। তাদের কথার বিষয়বস্তু হল , সিগারেট। যেটা যুব সমাজের জন্য বিপর্যয় ছাড়া আর কিছুই আনেনি। এই অবক্ষয়ক বস্তু নিয়ে নাকি তারা মারামারি করেছে। শুনে মনে মনে শুধু হাসলাম। হাসিটা সুখের না ,অনেক দু:খের, কষ্টের্।
এই অতি কথার কারণে যেমন বাইরে বসা , হাটা একটু অস্বস্তিকর তেমনি আর একটা সামাজিক সমস্যা দিনদিন প্রকট হয়ে উঠছে সেটা হল। প্রেম নামক এক সামাজিক ব্যধি। জনাকির্ণ স্থানগুলোও তাদের জন্য বসার অনুপোযোগি হয়ে যাচ্ছে দিনে দিনে। যেখানে সেখানে বসে যাচ্ছে। বসার একটা শ্রী আছে। কিন্তু তাদের কারণে সেটাও তার মর্যাদা হারিয়েছে। এখন যেন পথ-ঘাটই তাদের জৈবিক চাহিদা মেটানোর স্থান, এবং অধিকার হিসেবেও ধরে নিয়েছে মনে হয়। কিন্তু মানুষের সেদিকে ভ্রুক্ষেপ নেই। তাদেরও লজ্জা শরমের বালাই নেই।
দিন দিন যেন আমরা আমদের মানবিক গুণাবলীগুলো বিসর্জন দেওয়ার জন্য উঠে পড়ে লেগেছি। যে কোন মুল্যেই হোক, আমাকে এইটা বিসর্জন দিতেই হবে না হলে আমি/আমরা জাতে উঠতে পারছি না।
পথ হল চলার জায়গা। বিভিন্ন শ্রেণীর মানুষ যাতায়াত করে। বিভিন্ন ধরণের মানুষ তাদের দৈনন্দিন কাজে বের হয়।
©somewhere in net ltd.