নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

দুঃখবিলাস

নতুন দিনের সুর্যে আলোকিত...

হতাস৮৮

এক সময় ইচ্ছা ছিল পদার্থবিদ হওয়ার কিন্তু এখন আমি কম্পিউটার বিজ্ঞান নিয়ে পড়ালেখা শেষ করলাম......জীবনটা দিতে চেয়েছিলাম, মহাকাশকে , কিন্তু ১০৪ চাবির একটা পাটাতন নিয়ে নিল...হাতের দশটা আঙ্গুল সব সময় হাঁটে না, দৌড়াতে থাকে,পাটাতনের উপর, মনে হয় এই বুঝি কেউ তাড়া দিল...ধরে ফেলবে এখনি...

হতাস৮৮ › বিস্তারিত পোস্টঃ

কাক যখন ময়ূর

১২ ই নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১:৪০

বাংলায় একটা খুব সুন্দর এবং মনের খোরাক যোগানো গল্পআছে। কাকের ময়ূর হওয়ার গল্প। আর একটা আছে, সেটা বিখ্যাত ঈশপের গল্প।
একদিন এক শাদা রাজহাঁস পানিতে সাঁতরাচ্ছে। সে জলকেলিতে ব্যস্ত। রাজহাঁস যখন পানিতে থাকে তখন কিন্তু তার গায়ের পালকের কোন পরিবর্তন হয় না। পরিবর্তন বলতে সেটা ভেজে না খুব একটা ভিজলেও বোঝা যায় না। মনে হয় যে সব কিছু ঠিকই আছে।

তো একদিন এক কাক এইটা দেখে তার খুব রাজহাস হওয়ার ইচ্ছা হল। মানে রাজহাঁসের মত শাদা। তার ধারণা ছিল, যেহেতু রাজহাঁস পানিতে থাকে দিনে অনেকক্ষণ সময়, তাই সে এত শাদা।

তো যেই ভাবা সেই কাজ। কাকও পরদিন থেকে নিয়মিত পানিতে সময় কাটাতে শুরু করল। এইভাবে অনেক দিন গেলো, কিন্তু তার রংয়ের কোন পরিবর্তন আসলো। সে আরো কিছুদিন চেষ্টা করলো। কিন্তু কিছুই হল না। উপরন্তু সেঅসুস্থ হয়ে পড়তে লাগল। এক সময় কাক এই পৃথিবীর মায়া ছেড়ে অন্য পৃথিবীতে পাড়ি জমালো।

এই গল্পটা দিয়ে শুরু করার কারণ হল দুইটা। প্রথমটা হল আমাদের নারী জাতির হিজাব বিভ্রাট। আর দ্বিতীয়ত হল,আমাদের তরুণ সমাজের মধ্যে ফ্রীল্যান্সিং এর ভুত চাপানো। এই দুইটা বিষয়ই খুব আলোচিত। এবং দুইটায় তরুণ সমাজের কাছে বহুল আলোচিত বিষয়।

প্রথমটা দিয়েই শুরুকরি। হিজাব......
যেহেতু ছোটবেলা থেকেই ধর্মীয় পরিবেশে বড় হয়েছি, তাই মন-মানসিকতা ধর্মীয় অনুভুতিতে ভরা। এবং সেটা যথেষ্ট ভাবেই শক্ত। সেই অর্থে বাড়ির গুরুজনদের কাছে দেখা, তাদের থেকে শেখা কিছু ব্যাপারগুলোর মধ্যে একটা হলো হিজাব বা পর্দা প্রথা। এক সময় আমার দাদীকে দেখেছি, তার পর্দা করার ধরণ। এবং এই ব্যাপারে কোর'আনে পাকে তো কঠোরভাবে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

আল্লাহ-তা'আলা বলেছেন,
" আর মুমিন নারীদেরকে বল, তারা তাদের দৃষ্টিকে সংযত রাখবে এবং তাদের লজ্জাস্থানের হিফাযত করবে। আর যা সাধারণত প্রকাশ পায় তা ছাড়া তাদের সৌন্দর্য তারা প্রকাশ করবে না। তারা যেন তাদের ওড়না দিয়ে বক্ষদেশকে আবৃত করে রাখে। আর তারা যেন তাদের স্বামী, পিতা, শ্বশুর, নিজদের ছেলে, স্বামীর ছেলে, ভাই, ভাই-এর ছেলে, বোনের ছেলে, আপন নারীগণ, তাদের ডান হাত যার মালিক হয়েছে, অধীনস্থ যৌনকামনামুক্ত পুরুষ অথবা নারীদের গোপন অঙ্গ সম্পর্কে অজ্ঞ বালক ছাড়া কারো কাছে নিজদের সৌন্দর্য প্রকাশ না করে। আর তারা যেন নিজদের গোপন সৌন্দর্য প্রকাশ করার জন্য সজোরে পদচারণা না করে। হে মুমিনগণ, তোমরা সকলেই আল্লাহর নিকট তাওবা কর, যাতে তোমরা সফলকাম হতে পার। "(সূরা আন-নূর:৩১)

সুরা আহযাবে আল্লাহ বলেছেন,
হে নবী, তুমি তোমার স্ত্রীদেরকে, কন্যাদেরকে ও মুমিনদের নারীদেরকে বল, ‘তারা যেন তাদের জিলবাবের কিছু অংশ নিজেদের উপর ঝুলিয়ে দেয়, তাদেরকে চেনার ব্যাপারে এটাই সবচেয়ে কাছাকাছি পন্থা হবে। ফলে তাদেরকে কষ্ট দেয়া হবে না। আর আল্লাহ অত্যন্ত ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু। (সূরা আহযাব-৫৯)

এইটা হল মুসলিম শরিফ থেকে উদ্ধৃতঃঃ
মহিলাদের উগ্র চালচলনের ভয়াবহ আখিরাতের পরিণতি সম্পর্কে হযরত আবু হুরায়রা (রাদিয়াল্লাহ আনহু) বর্ণিত হাদীসটিও এখানে উল্লেখের দাবী রাখে। প্রিয়নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) ইরশাদ করেন: দোযখের দুপ্রকার লোককে আমি (দুনিয়ায়) দেখিনি।

এক: যাদের নিকট গরুর লেজের মতো লম্বা লাঠি থাকবে এবং এর দ্বারা তারা লোকদেরকে বিভিন্নভাবে নির্যাতন করবে।

দুই: এক প্রকার স্ত্রীলোক যারা কাপড় পরেও উলঙ্গ, গুণাহর প্রতি ঝোক প্রবণ এবং অন্যদেরকেও গুনাহর প্রতি আকৃষ্টকারিণী, তাদের মাথা খোঁপা হবে অহঙ্কারী উটের কুব্জের মতো উঁচু। তারা না বেহেশতে যাবে আর না বেহেশতের ঘ্রাণ পাবে। অথচ বেহেশতের ঘ্রাণ এত এত দূরের পথ থেকেও পাওয়া যায়। (মুসলিম শরীফ-)।

আর দুই এর ব্যাখ্যায় বলা হয়েছে, অর্থাত, পাতলা কাপড় পরে যা দিয়ে সর্বশরীর দেখা যায়। অথবা বাহ্যিক সৌন্দর্য এবং ফ্যাশনে লিপ্ত হবে আর তাকওয়া ও পরহেজগারীর পোশাক পরিত্যাগ করবে। অথচ তাকওয়া ও পরহেজগারীর পোশাককেই আল্লাহ-তা'আলা উত্তম বলে আখ্যায়িত করেছেন।

এই হল শরীয়তের মতে পর্দার একটা ছোট চিত্র। কোর'আন, হাদিস ও ইসলামী চিন্তাবিদগনের গবেষণা থেকে আরো অনেক কিছুই আছে যেগুলো তাঁরা বিষদভাবে বর্ণনা করেছেন।

আর আমাদের সমাজের চিত্র হল পুরাই উল্টো। এখন আমি যদি কয়েকটা বর্ণনা করি, অনেকেই আমাকে বলবেন আপনি আপনার চোখ ঠিক করেন। আরে ভাই কতক্ষণ চোখ ঠিক রাখা যায়, আমাকে তো রাস্তা দিয়ে হাটতে হবে, আমাকে কোথাও যেতে হবে।
এইতো কিছুক্ষণ আগে ধানমন্ডি-৭ এর মসজিদের পাশে গিয়ে বসেছিলাম, যেখানে পুলিশের তাবু টা ওখানে বটগাছের নিচে। আমি আমার মতবাদাম চাবাচ্ছি। কেউ নেই। দুই একজন যাওয়া আসা করছে, বিটিভির একজন ইংরেজি সংবাদ পাঠক সকালের হাটাহাটি করছেন। গাছের ডালে কয়েকটা কাক বসে আছে।

হঠাত করে দুইটা অতিরিক্ত আধুনিক মেয়ে আসল। বয়স হবে কত আনুমানিক ১৪-১৫ এর মত। তাদের পোশাক হল, আটোসাটো জিন্স আর টি-শার্ট। আর এসে বসল একদম আমার সামনে। আর তার চুল্গুলো দুই পাশে ভাগ করে সামনের দিকে দিয়ে রেখেছে। টি-শার্টের গলা এত বড় যে, থাক সেটা নাই বা বললাম। বললে আবার আমি খারাপ। এত মুখোরোচক ভাবে বর্ণনা করছি। চলে আসার জন্য উঠব, দেখি গলার নিচে আবার ট্যাটু আঁকানো। একজন আবার ফোনে কথোপকথন চালাচ্ছে। তার ধরণ হল, এমন ...

মেয়েটাঃঃ হ্যালো। ডার্লিং কেমন আছো???
মোবাইল এর ওপাশ থেকে কিছু একটা জিজ্ঞেস করেছে মেয়েটা তখনই বলে, ডার্লিং তুমি আমার ফোন নং সেভ করো নি। অথচ দুইজনের সাথে একটা ছেলে সাথে আছে।

আর আমাদের অতি-আধুনিক মা-বাবার সন্তান,তাদের কথা নাই বা বললাম। সন্তান যদিও ঠিক থাকতে চাই,মা-বাবা তাকে ঠিক থাকতে দেয় না। আর এখন হিজাব পরার শ্রী হয়েছে, মাথার উপরে হিমালয় এর শৃঙ্গ এভারেস্ট।

এই লিংক গেলে আরো কিছু জানতে পারবেন।

আর যদি বিষদ জানতে চান দয়া করে কোর'আন ও হাদিস পড়ূন। এইটা সবচেয়ে ভালো সুত্র।

মন্তব্য ১ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ২৭ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:৫৯

বাংলার ফেসবুক বলেছেন: তো একদিন এক কাক এইটা দেখে তার খুব রাজহাস হওয়ার ইচ্ছা হল। মানে রাজহাঁসের মত শাদা। তার ধারণা ছিল, যেহেতু রাজহাঁস পানিতে থাকে দিনে অনেকক্ষণ সময়, তাই সে এত শাদা।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.