![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
উঠবোই, পাহাড়টা ওই... [email protected] fusionfactory.blogspot.com
প্রথম বাংলাদেশী হিসেবে মুসা ইব্রাহীমের এভারেস্ট বিজয়ের পর সামহোয়্যারইন ব্লগ ছাড়াও কয়েকটি ছোট ব্লগে বেশ কিছু প্রশ্ন উত্থাপিত হয়েছে। এসব প্রশ্নে কেউ কেউ বিস্ময় প্রকাশ করেছেন, অনেকের কলমে দেখা গেছে ক্ষোভ-হতাশা। তবে বেশিরভাগই না-বুঝে 'একেবারে ফাটায়া ফেলসেন' শীর্ষক হর্ষধ্বনি, কেউ কেউ আবার 'বিষয়টা এখনো আদালতে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে না কেন' শীর্ষক প্রবাসবিলাস প্রকাশ করেছেন। যদিও নেটজগতের বাইরে এইসব চিৎকার-চেঁচামেচি একেবারেই মূল্যহীন। তবুও একজন নেটিজেন হিসেবে আমার মনে হয়েছে, এই পরিস্থিতিতে পুরো বিষয়টি সম্পর্কে একটি পোড়ামাটি অনুসন্ধান জরুরি। অনুসন্ধানের স্বার্থে মুসা ইব্রাহীম ছাড়াও তার কাছের বন্ধুবান্ধব, ঘনিষ্ঠজন এবং ঢাকাভিত্তিক পর্বতারোহীদের সঙ্গে কথা বলেছি। সেগুলো আবার যাচাই-প্রতিযাচাই করেছি যথাসম্ভব। সেদিকে সময়ও লেগে গেছে বেশ খানিকটা। ওয়েবে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা তথ্য খুঁজেপেতেও সময় লেগেছে, তবে কার্পণ্য করিনি কিছুতেই। বিষয়ের মূলে যাওয়ার আগে দেখা যাক, কেন আমরা প্রোপাগাণ্ডা বিশ্বাস করি? বড়ো ব্লগে এটা তেমন সমস্যা নয়। যেমন সামহোয়্যারে এভারেস্ট সংক্রান্ত প্রোপাগাণ্ডাগুলো হাওয়ায় মিশে যেতে সময় লাগেনি। কিন্তু ছোট ব্লগ কিংবা বদ্ধ জায়গা থেকে প্রোপাগাণ্ডার গন্ধ যেতে সময় লাগে। দেশী প্রোপাগাণ্ডার ধরনধারণ বিশ্লেষণ করে এর তিনটি মৌল উপাদানকে ছক কেটে আলাদা করলাম, যেগুলোর ওপর ভিত্তি করে বিশেষ করে বাংলাদেশে 'প্রোপাগাণ্ডা' গড়ে ওঠে। এই তিনটি যদি একটি ভারসাম্যে এসে পৌঁছায়, তাহলে প্রোপাগাণ্ডার শেকড় পোক্ত হতে থাকবে ধীরে ধীরে। নিচের ডায়াগ্রামে দেখুন-
ডায়াগ্রামটি বড়ো আকারে দেখতে চাইলে ক্লিক করুন এখানে।
অন্নপূর্ণা ফোর সামিট, হোয়াইট আউট এবং অন্যান্য
প্রপাগাণ্ডা ১ : ওপরের ছবিটি অন্নপূর্ণা ফোর সামিটের। বরফের ওপর ঘোলা ব্যাকড্রপের সামনে দাঁড়িয়ে মুসা ইব্রাহীম [বামে] আর তৌহিদ হোসেন। আমরা ঠিক কী দেখে বুঝবো যে, এটি একটি পর্বতশীর্ষের ওপর তোলা ছবি? অন্নপূর্ণায় আঠারো হাজার ফিটের পর থেকে সমস্তটাই বরফ, তার কোথায় দাঁড়িয়ে এ ছবি তোলা, তা কী করে বোঝা যাবে? এই ছবিটি কি প্রমাণ হিসেবেই দর্শকের কাছে উপস্থাপন করা হচ্ছে না? এই প্রমাণ কি যথেষ্ট?
অনুসন্ধান : একাধিক পর্বতারোহী নিশ্চিত করেছেন, পর্বতে হোয়াইট আউট (হঠাৎ করে মেঘ এসে চারদিক ঢেকে দেওয়া) হওয়া একটা স্বাভাবিক ঘটনা। হোয়াইট আউট হলে পাঁচ হাত দূরে কী আছে, তা দেখা যায় না, বোঝা যায় না। ইন্টারনেট ঘেঁটে পাওয়া এরকম কয়েকশত ছবি থেকে কয়েকটি নিচে তুলে দিচ্ছি-
প্রথম ছবি | দ্বিতীয় ছবি | তৃতীয় ছবি | চতুর্থ ছবি | পঞ্চম ছবি
ব্যাকগ্রাউন্ড ফিচার বিষয়ক জটিলতা
প্রপাগাণ্ডা ২ : হুম, তা না হয় বুঝলাম, কিন্তু পর্বতশীর্ষ জয়ের প্রমাণ হিসেবে ব্যাকগ্রাউন্ডে অন্যান্য ফিচারগুলো রাখা কি জরুরি নয়?
অনুসন্ধান : এখানে একটি পাল্টা প্রশ্ন রাখা যায় এরকম- আপনি যখন পর্বতের শীর্ষ জয় করবেন তখন যদি হোয়াইট আউট হয় তখন কী করবেন? হোয়াইট আউটের মধ্যেই ছবি তুলবেন নাকি হোয়াইট আউট কেটে যাওয়ার জন্য অপেক্ষা করবেন? হোয়াইট আউট এক মিনিটেও সরে যেতে পারে, আবার ঘন্টার পর ঘন্টাও থাকতে পারে। অনুসন্ধানে জেনেছি, অন্নপূর্ণা ফোর পর্বতাভিযানে ওই পর্বতের চূড়ায় যে সময়ে (১১টা ৫৪ মিনিট, স্থানীয় সময়) মুসা ইব্রাহীম আর তৌহিদ হোসেন পৌঁছেছিলেন, সে সময়ে পর্বতের চূড়ায় পুরোটাই হোয়াইট আউট ছিল। এ কারণে বরফের ঘোলা ব্যাকড্রপ বলে মনে হচ্ছে। আর অন্নপূর্ণায় আঠারো হাজার ফুটের পর থেকে সমস্তটাই বরফ, কিন্তু চূড়া একটাই। সেখানেই এ দুজন পর্বতারোহী ছবিটি তুলেছেন।
এভারেস্ট সার্টিফিকেট একটি মামুলি জিনিস
প্রপাগাণ্ডা ৩ : এদিক- সেদিক করে পর্বতে না গিয়েই যে কেউ নেপাল বা তিব্বত থেকে সার্টিফিকেট বাগিয়ে নিতে পারে।
অনুসন্ধান : না, সেটা সম্ভব নয়। এককথায়, হাস্যকর অনুমান। নেপাল ট্যুরিজম বোর্ডের নিয়ম অনুসারে ৭ হাজার মিটার অধিক উচ্চতার যে কোনো পর্বতে অভিযান পরিচালনা করতে গেলে নেপাল ট্যুরিজম বোর্ড (সরকারি প্রতিষ্ঠান) নিজের পছন্দমাফিক একজন লিয়াঁজো অফিসার অভিযাত্রী দলের সঙ্গে দিয়ে দেয় যে- অভিযাত্রী দলটি সত্যিই অভিযানে গেল কি না, অভিযাত্রী দলটি কবে বেস ক্যাম্পে পৌঁছাল, বেস ক্যাম্প পরিবেশবান্ধব রাখার নিয়মকানুন দলটি মানছে কি না, দলটি কবে কোন্ কোন্ ক্যাম্প স্থাপন করল, দলটি কবে পর্বত জয় করল, দলটির কোনো বিপদ হলো কি না, দলে কেউ অসুস্থ হয়ে পড়ল কি না ইত্যাদি সব বিষয় এই লিয়াঁজো কর্মকর্তা নিজ দায়িত্বে সরকারের কাছে রিপোর্ট করে থাকেন। তার রিপোর্টের ভিত্তিতেই অভিযাত্রী দলকে নির্দিষ্ট পর্বতারোহণের সনদ নেপাল ট্যুরিজম বোর্ড দিয়ে থাকে।
অনুসন্ধানে নিশ্চিত হওয়া গেছে, এনএসিবির (নর্থ আলপাইন ক্লাব) অন্নপূর্ণা ফোর অভিযানে লিয়াঁজো অফিসার নিজে সামিটের ছবি দেখে নিশ্চিত হয়ে নেপাল ট্যুরিজম বোর্ডে প্রতিবেদন জমা দিয়েছেন। এর পরই নেপাল ট্যুরিজম বোর্ড এনএসিবি দলকে অন্নপূর্ণা ফোর পর্বতে সাফল্যসূচক সনদ দিয়েছে।
রুবল কাং ও মেরা পর্বত নিয়ে প্রশ্ন
প্রপাগাণ্ডা ৪ : নাহ্, তারপরও সন্দেহ থেকে যাচ্ছে। আচ্ছা, ওরকম উদাহরণ তো আর নেই। থাকলে না হয় একটা কথা ছিল।
অনুসন্ধান : কে বলল উদাহরণ নেই! বিদেশের কথা থাকুক, একেবারে খোদ ঘরেরই আছে তাজা দুটি উদাহরণ। যেমন, মুসা ইব্রাহীমের অন্নপূর্ণা ফোর পর্বত জয়ের ছবিকে যদি সন্দেহের চোখে দেখতে হয়, তাহলে মুনতাসির মামুন ইমরানের দাবিকৃত কেওক্রাডং বাংলাদেশ ক্লাবটির ভারতে রুবল কাং পর্বত জয়ের যে ছবি রয়েছে, সেগুলো নিয়েও প্রশ্ন তোলা যায়। ছবিটি দেখুন এখানে।
আরো জোরালো প্রশ্ন তোলা যায়, ইনাম আল হকের পরিচালনায় বিএমটিসির সদস্য সজল খালেদ, নিশাত মজুমদার, নূর মোহাম্মদ, এম এ মুহিতের নেতৃত্বে নেপালে মেরা পর্বত জয়ের দাবিকৃত ছবিগুলো নিয়ে। নিজেই দেখুন, ছবিতে বোঝা কি যাচ্ছে কিছু?
পর্বতের ঢালে ছবি, চূড়োয় ফুটবল মাঠ
প্রপাগাণ্ডা ৫ : ধুরো, বললেই হল! মুসা ইব্রাহীম অন্নপূর্ণা ফোর পর্বত জয় করেননি, কোনো এক পর্বতের ঢালে গিয়ে এই ছবি তুলেছেন।
অনুসন্ধান : অনুসন্ধানের স্বার্থে সন্দেহবাদীদের কয়েকজনকে জিজ্ঞেস করেছিলাম, ঠিক কোন্ কোন্ পর্বতের চূড়ায় ঢাল নেই এবং কোন্ কোন্ পর্বতের চূড়া সমতল- তা কি দয়া করে জানাবেন? না, তারা জানাতে পারেননি। আমি আরো নির্দিষ্টভাবে জানতে চেয়েছিলাম, অন্নপূর্ণা ফোর পর্বতের চূড়ার ঠিক কতোখানি জায়গা সমতল? না, সন্দেহবাদীরা নিশ্চুপ থেকেছেন। ভবিষ্যতে হয়তো এ বিষয়ে তারা জবাব দেবেন। তবে এটা নিশ্চিত যে, পর্বতের চূড়া নিশ্চয়ই ফুটবল খেলার মাঠের মতো সমতল জায়গায় ভরপুর থাকে না!
দুদিনের ভেতরে চার হাজার একশো এক ফিট!
প্রপাগাণ্ডা ৬ : অন্নপূর্ণা-৪ এ আবহাওয়া মোটামুটি ভালো থাকলে দিনে এক হাজার ফুট উচ্চতা পাড়ি দেন পর্বতারোহীরা। আর মুসার অন্নপূর্ণা-৪ অভিযানে পোর্টার-শেরপারা দুদিনের ভেতরে চার হাজার একশো এক ফিট কিভাবে উঠে গেলেন? পরে মুসা যে গতির কথা দাবি করছেন, তুষারপাতের সময় কি পর্বতারোহণে সে গতি অর্জন করা আদৌ সম্ভব?
অনুসন্ধান : এনএসিবির (নর্থ আলপাইন ক্লাব) প্রমাণাদি পরীক্ষা করে দেখা গেছে, অন্নপূর্ণা ফোর অভিযান শুরু হয়েছিল ২৯ মে ২০০৯ তারিখে। অভিযাত্রীরা রওনা হওয়ার আগেই এদিন তিনজন শেরপা গাইড, ২২ জন মালবাহক এবং একজন ট্রেকিং অভিযাত্রী কাঠমান্ডু থেকে অন্নপূর্ণা ট্রেইলের উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছিলেন। তারা ভুলভুলে থেকে ট্রেকিং শুরু করে ৩ জুন ২০০৯ তারিখে অন্নপূর্ণা ফোর বেস ক্যাম্পে পৌঁছান। এনএসিবির অভিযাত্রীরা রওনা দেন ২ জুন। বেসক্যাম্পে এনএসিবির মূল পর্বতারোহী দলের তিন সদস্য গিয়ে পৌঁছান ৮ জুন। মাঝখানে সময় গিয়েছে ৫ দিন। এই পাঁচ দিনের মধ্যে তিনজন শেরপা গাইড আরও উপরে উঠে ক্যাম্প টু স্থাপন করে রেখে আবার এই বেসক্যাম্পে ফেরত আসে। দেখা যাচ্ছে, ধ্রুব জ্যোতি ঘোষ নিজেও ওই সময়ে শেরপাদের সঙ্গে ছিলেন। এই তিনজন শেরপা গাইডের মধ্যে একজন- কৈলাস তামাং সে সময় ছিলেন দুবার এভারেস্ট জয়ের অভিজ্ঞতাসম্পন্ন একজন (২০০৭ নর্থ ফেস, ২০০৮ নেপাল সাইড), সোম বাহাদুর পর্বতারোহণে গাইড পেশায় রয়েছেন ২৫ বছর ধরে। এনএসিবি দলের সদস্যরা আবহাওয়ার বিরূপ অবস্থা সম্পর্কে কিছুটা চিন্তিত থাকলেও সৌভাগ্যক্রমে ট্রেইলে দ্বিতীয় দিনে বৃষ্টি ছাড়া তেমন কোনো বৈরিতার মধ্যে পড়েনি। বেস ক্যাম্প, ক্যাম্প ওয়ান, ক্যাম্প টু ইত্যাদি জায়গাগুলোতে সকাল ও সন্ধ্যায় হোয়াইট আউট, সন্ধ্যার পর থেকে পুরো রাত তুষারপাত ইত্যাদি হলেও তা ছিল পর্বতের জন্য স্বাভাবিক। আবহাওয়া ভালো থাকায় এবং তিনজন শেরপার সহযোগিতায় এনএসিবি দল ১৪ জুন অন্নপূর্ণা ফোর আরোহণ করতে সক্ষম হয়।
এটা খুব হাস্যকর কথা যে, সময় মেপে মেপে পর্বত আরোহণ করতে হবে কিংবা অনুমিত সময়ের চেয়ে কম সময়ে কোনো পর্বত আরোহণ করা যাবে না। তাহলে ৮ ঘণ্টায় যে পেমবা দরজি শেরপা এভারেস্ট জয় করেছে, তাও সম্ভব হতো না। এখানেও তো প্রশ্ন তোলা যায়, পেমবা কিভাবে দাবি করেন যে তিনি ৮ ঘন্টায় সামিট করেছেন? কিন্তু তিনি যে সামিট করেছেন তাতে কি কোন সন্দেহ আছে? যদি না থাকে তাহলে কেন নেই?
অন্নপূর্ণায় অলৌকিক গতি
প্রপাগাণ্ডা ৭ : প্রসঙ্গক্রমে আরো কিছু কথা কিন্তু থাকে। এর আগে লাংসিসা রি অভিযানে, মাত্র ৭ মাস আগে, ২১,০৮১ ফিট উঁচু লাংসিসা রি শীর্ষে পৌঁছতে মুসা ও তাঁর দলের লেগেছিলো ২৪ দিন। লাংসিসা রি আরোহণ খুব দুঃসাধ্যও নয়। আর মাত্র ৭ মাস পর তারা কিভাবে এমন দুর্দান্ত গতিবেগ অর্জন করলেন যে ট্রেইলে পা রাখার ১১ দিনের মাথায় ২৪,৬৮৮ ফিট উচ্চতার অন্নপূর্ণা-৪ এ পৌঁছে গেলেন? তার ওপর বেইসক্যাম্প থেকে যাত্রা শুরুর পঞ্চম দিনের মাথায় এবং অক্সিজেন ছাড়াই?
অনুসন্ধান : ২১,০৮১ ফুট উঁচু লাংসিসা রি পর্বত আরোহণ করতে সময় লেগেছে ২৪ দিন। কিন্তু অন্নপূর্ণা ফোর পর্বতে মাত্র ১১ দিনের মাথায় ২৪,৬৮২ ফুট উঁচু সামিটে মুসা ইব্রাহীমরা পৌঁছে গেছেন। কথার ভেতর একটা বড় ফাঁক রয়েছে। এই ফাঁকটাই যে কাউকে বিভ্রান্ত করে তুলতে পারে। এখানে লাংসিসা রি পর্বতাভিযানের সময়ের যে হিসাব দেওয়া হয়েছে সেটা ঢাকা থেকে লাংসিসা রি হয়ে আবার ঢাকায় ফেরার হিসেব। ঢাকা থেকে লাংসিসা রি চূড়া হয়ে আবার ঢাকায় আসতে মোট সময় লেগেছিল ২৪ দিন। আর ট্রেকিং শুরুর পর থেকে লাংসিসা রি সামিটে পৌঁছতে সময় লেগেছে ১০ দিন। একইভাবে ঢাকা থেকে অন্নপূর্ণা ফোর পর্বতাভিযান শুরু করে তা শেষ করে আবার ঢাকায় ফিরতে সময় লেগেছে ৩০ দিন। আর ট্রেক শুরু করে সামিটে পৌঁছতে সময় লেগেছে ১১ দিন। তবে এই অভিযানের সময় হিসাব করতে হবে, শেরপারা যেদিন কাঠমাণ্ডু থেকে রওয়ানা দিয়ে ট্রেক শুরু করেছেন, সেদিন থেকে (২৯ মে)। সেই হিসাবে সময় লেগেছে ১৫ দিন। তাহলে সময়ের গরমিলটা হলো কোথায়?
ব্লগে এবং অন্যান্য ওয়েবসাইটে যে রেফারেন্স টেনে কথা বলা হচ্ছে তা ১৯৫০ সালের রেফারেন্স। পর্বতারোহণ এখন আগের তুলনায় কৌশলগতভাবে অনেক সহজ হয়েছে। আগে যেসব রুটে হাঁটা ছাড়া গতি ছিল না সেসব জায়গায় এখন গাড়ি চলে। অন্নপূর্ণা ফোরেও তাই। একদিনের গাড়ি করে চলা পথ চারদিনের হাঁটার দুরত্ব কমিয়ে দেয়। মুসা ইব্রাহীমের নর্থ আলপাইন ক্লাবের অভিযাত্রীরাও গাড়িতে করে পায়ে হাঁটার দুই দিনের দুরত্ব কমিয়েছেন- এটা যেমন খুব স্বাভাবিক, ঠিক তেমনি ১৯৫০ সালের সঙ্গে ২০০৯ সালের হিসেব মিলবে না এটাও একেবারেই সাধারণ হিসাব।
সোম বাহাদুর তামাংয়ের সাক্ষ্য : বিশ্বাস-অবিশ্বাস
প্রপাগাণ্ডা ৮ : সোম বাহাদুর তামাং এমন একজন গাইড, যিনি সত্য সাক্ষ্য দেন না, এবং অসত্য সাক্ষ্যের ওপর ভিত্তি করে অনায়াসে একটি শৃঙ্গজয়ের সার্টিফিকেট কব্জা করা যায়। তাকে কিভাবে আমরা বিশ্বাস করতে পারি?
অনুসন্ধান : নেপালে পর্বতারোহণে শেরপা/গাইডকে কতোখানি বিশ্বাস করা যায়, এটা নির্ভর করে পর্বতারোহীর সততার ওপর। পর্বতারোহী সজল খালেদের ভাষ্যমতে সোম বাহাদুর তামাং যদি মিথ্যুক গাইড হয়েই থাকেন, তাহলে প্রশ্ন উঠতে পারে, চুলু ওয়েস্ট পর্বতাভিযানে (২০০৭) সেটা ‘বুঝতে পেরেও’ কেন তিনি বিএমটিসি’র সিঙ্গুচুলি পর্বতাভিযানে (২০০৮) তাকে শেরপা সর্দার কিংবা গাইড হিসাবে নিয়েছিলেন? রিয়াজ আহমেদ ও ওয়ালিদ আশরাফ সিঙ্গুচুলি পর্বত জয় না করলেও কেন তারা নেপাল মাউন্টেনিয়ারিং অ্যাসোসিয়েশনের সনদ নিয়েছিলেন? এটা কি শুধু গাইডের দোষ? খোঁজ নিয়ে জেনেছি, রিয়াজ আহমেদ এই পর্বতাভিযান শেষ হওয়ার বহু আগেই দেশে ফিরে এসেছিলেন। কিন্তু তাকে সনদ পাইয়ে দিয়েছিল কি শুধুই সোম বাহাদুরের অসততা? প্রশ্ন উঠতে পারে, সজল খালেদের এতে কি কোনো ভূমিকা ছিল না? একইভাবে চুলু ওয়েস্ট পর্বত জয়ের মিথ্যা দাবি করেও নেপাল মাউন্টেনিয়ারিং অ্যাসোসিয়েশন থেকে সজল খালেদ ও এম এ মুহিত যখন সনদ নিয়েছেন, তখন সে সময়ে নেপাল মাউন্টেনিয়ারিং অ্যাসোসিয়েশনে মুসা ইব্রাহীম উপস্থিত না থাকলেও তার সনদ কেন সজল খালেদ নিলেন? এটা সোম বাহাদুরের অসততা না কি সজল খালেদের অসততা? সবচেয়ে বড়ো কথা, সোম বাহাদুরের কি আর কোনো কাজ নেই যে, শুধু বাংলাদেশ থেকে পর্বতারোহী গেলেই তাকে একটা করে সনদ পাইয়ে দেন তিনি?
এমএ মুহিতের দেখা- না দেখা
প্রপাগাণ্ডা ৯ : মুসার একই সময়ে এভারেস্ট অভিযানে থাকা এম এ মুহিত তো মুসা ইব্রাহীমকে দেখেননি, তার নামই শোনেননি।
অনুসন্ধান : ভুল তথ্য। এম এ মুহিত যে এভারেস্ট অভিযানের সময় মুসাকে দেখেছেন, তা তিনি নেপালের কাঠমান্ডুতেই স্পষ্টভাবে জানিয়েছেন চ্যানেল আইসহ বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের কাছে। চাইলে এর ফুটেজও সংগ্রহ করা যাবে।
জিজ্ঞাসার দরজা খোলা
এরপরও যদি এই বিষয়ে ব্লগারদের কোনো জিজ্ঞাসা-প্রশ্ন থাকে, জানাতে দ্বিধা করবেন না। কোনো কোনো বিষয়ে অনুসন্ধানের খাতিরে জবাব দিতে কিঞ্চিৎ দেরি হতে পারে হয়তো, তবে কার্পণ্য থাকবে না। সামহোয়্যারের সদস্য নন যারা, তারা bolekoye[এট]gmail.com -এ মতামত-দ্বিমত জানাতে পারেন। সত্য উদঘাটনই এই অনুসন্ধানের মূল্য লক্ষ্য।
পরবর্তী পর্বে থাকছে-
কক্সবাজারে অবকাশ, ওয়েবসাইটে অস্বাভাবিক নোটিশ, ২৫ বনাম ৪৬ লাখ টাকা এবং অন্যান্য
মুসা ইব্রাহীমের এভারেস্ট অভিযান : অন্যান্য পর্ব
বামনকূলের ২০ প্রপাগাণ্ডা নিয়ে একটি পোড়ামাটি অনুসন্ধান - পর্ব : ২
২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১০ রাত ১০:১৪
ফিউশন ফাইভ বলেছেন: অনুসন্ধান-খোঁজখবর-যাচাইবাছাই করতে গিয়ে বেশ খানিকটা সময় চলে গেল। তবে আপনাকে নিশ্চিত করতে পারি, দেরি মোটেও হয়নি। ধন্যবাদ বদরুল।
২| ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১০ রাত ১০:১৩
মুভি পাগল বলেছেন:
:-& :-& :-&
২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১০ রাত ১০:১৫
ফিউশন ফাইভ বলেছেন:
৩| ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১০ রাত ১০:১৩
মুভি পাগল বলেছেন: চুলচেরা বিশ্লেষণ
২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১০ রাত ১০:১৬
ফিউশন ফাইভ বলেছেন: ধন্যবাদ মু.পা। কোনো জিজ্ঞাসা থাকলে জানাতে দ্বিধা করবেন না। পরবর্তী পর্বও লক্ষ্য রাখবেন আশা করি।
৪| ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১০ রাত ১০:১৫
ওয়ান ম্যান বলেছেন: আমরা সত্য জানতেই অপেক্ষা করেছি। আপনার লেখার উপর নির্ভর করার মতো রসদ আছে। খুব কষ্ট লাগতো যখন কারো অর্জনকে অস্পষ্টভাবে প্রশ্নবিদ্দ করা হতো। আর তার পেছনে শেয়াল পালের নাচনও বিদঘুটে লাগতো।
নিশ্চয় এখানেও তীব্র কলম যুদ্ধ চলবে। গ্যালারীতে আসন নিলাম।
২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১০ রাত ১০:২১
ফিউশন ফাইভ বলেছেন: আনুষ্ঠানিক ক্ষমা চেয়ে পর্বতারোহী সজল খালেদ যে প্রসঙ্গের ইতি ঘটান, জর্মনপ্রবাসী মাহবুব আজাদ হিমু সেই বাতিল মাল আর হাস্যকর সব যুক্তি সম্বল করে সেখান থেকে যা শুরু করেছেন, তাতে হাস্যরসের উপকরণ ছাড়া আর কিছু এ যাবত দেখিনি। সুতরাং মনে হয় না কলমযুদ্ধের কিছু আছে। বরং আপনারা খোলামনে আপনাদের যে কোনো সন্দেহের কথা, জিজ্ঞাসার কথা জানান। সেটা ধরে যথাসাধ্য অনুসন্ধান চালানোর চেষ্টা করবো।
আস্থা রাখার জন্য ধন্যবাদ ওয়ান ম্যান। যদিও অনেকেই মনে করেন, আপনার নিকটি আমারই।
৫| ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১০ রাত ১০:১৬
সৌম্য বলেছেন: ভাই। এই সামহোয়ারেই মুনতাসির ভাই একটা পোষ্ট দিছিলেন বিএমটিসিকে নিয়ে, পাহাড়চুরি নামে।
মুসা ভাইএর কাজকর্ম নিয়ে যারা খুব লেখা লেখি করছেন তাদের কজনের হিমালয় সম্পর্কে ব্যাক্তিগত অভিজ্ঞতা আছে? নেটে পড়ে পাহাড় সম্পর্কে হাজারটা ফিচার লেখা যায়। কিন্তু পাহাড়ে ওঠা যায়না।
মুসাভাই গত ক-বছর কি ভয়ঙ্কর শ্রম দিছেন এটা যারা যানেননা তারা বুঝবেননা। মুসা ইব্রাহিমের অভিযান নিয়ে বলার মতো অভিজ্ঞ মাউন্টেনিয়ার বাংলাদেশে যারা আছে তাদের মাঝে মীর শামসুল আলম বাবু কিংবা মুনতাসির ইমরান তাদের উধৃতি দিয়ে অনেক ফিচার পড়লাম, কিন্তু তারা কিন্তু সরাসরি চুপ আছেন।
২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১০ রাত ১০:৩০
ফিউশন ফাইভ বলেছেন: কী বলবো! আপনি নিজেও পর্বতারোহণের সঙ্গে সক্রিয়ভাবে জড়িত। সবার সব কর্মকাণ্ড কাছ থেকেই দেখেছেন, আপনার মন্তব্য তাই গুরুত্বপূর্ণ।
শিক্ষক-সাংবাদিক মাসকাওয়াথ আহসানের ফেসবুক স্ট্যাটাসটা তুলে ধরলাম শুধু-
"অদ্ভুত হিংসুটে কিছু বামন আছে, যারা নোবেল পুরস্কার পেলে সুদখোর হিসেবে কুৎসা রটাবে, এভারেস্টে উঠলে বলবে 'হেই বেডা ওডে নাই', বেকারতা আর আপাত বিতর্কিত তসলিমা নাসরিন ধরণের সস্তা খ্যাতির লোভে বামন শুয়ে শুয়ে নিজের ভাবনার উচ্চতা দিয়ে সফল মানুষদের উচ্চতা মাপে। আর আমাদের জীবন বিনোদনহীন, বামনের হিটলার কস্টিউমের সং যাত্রা দেখে হাততালি দিই। বামন আরো মজা পায়, বামন মিয়া বেকার- তাই বলে কি সাধ নাই তার পাহাড়গুলো ঢাকার!"
৬| ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১০ রাত ১০:১৭
দূর্যোধন বলেছেন: কি কৈলেন !! হিমুসাবের অনুসন্ধানের উপ্রে ভরসা রাখতে পারেনাই , তাই কি নিজেই নামলেন ???
তাই কি এতদিন অনুপস্থিত ??
দেখি আরো পর্ব ....মাথা ঘুরতাছে !!
অ.ট. যা ভাবছিলাম ,ঠিক তাই
+
২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১০ রাত ১০:৪২
ফিউশন ফাইভ বলেছেন: ব্লগীয় স্বাধীনতার সুযোগ নিয়ে মুসার কষ্টার্জিত এভারেস্ট বিজয় নিয়ে কিছু দায়িত্বজ্ঞানহীন প্রবাসীর হাস্যকর প্রপাগাণ্ডা দুঃখ যেমন দিচ্ছিল, তেমনি এইসবে অনেকে বিভ্রান্তও হচ্ছিল। চুলচেরা অনুসন্ধান সবার পক্ষে সম্ভব হয় না সময়-সুযোগের অভাবে। আমি এই লেখায় সেটাই করার চেষ্টা করেছি, যেন কোনো ভুল বোঝাবুঝির সুযোগ না থাকে।
পরবর্তী পর্বের জন্য আমি আবার স্কাইপেতে নক-টক করবো না। কিংবা পাণ্ডবদার কাছ থেকে স্মরণীয় বাণী ধার করার জন্যও অপেক্ষায় বসে থাকবো না। পরবর্তী পর্ব আগামীকালই। লক্ষ্য রাখবেন প্লিজ। জিজ্ঞাসা থাকলে সেটাও বলবেন।
৭| ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১০ রাত ১০:১৭
সীমানা পেরিয়ে বলেছেন: বিষয়ের মূলে যাওয়ার আগে দেখা যাক, কেন আমরা প্রোপাগাণ্ডা বিশ্বাস করি?
এইটা একটা জটিল প্রশ্ন। পএউ প্রশ্নের আলোকে যদি বলা হয় .....মুসা ইব্রাহীমের এভারেস্ট জয়ের প্রপাগান্ডাকে প্রথম আলো কিভাবে সফল করিলো?
তাহলে বলতে হয় ...মিডিয়াই শক্তি!
২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১০ রাত ১০:৪৭
ফিউশন ফাইভ বলেছেন: মুসা ইব্রাহীমের এভারেস্ট জয়ের সংবাদ শুধু প্রথম আলোতেই নয়, দেশের সবকটি দৈনিক, টেলিভিশন চ্যানেলে বেশ ভালোভাবে এসেছে। এমনকি প্রথম আলো বিরোধী কালের কন্ঠে আরো ভালোভাবে এসেছে। এর মধ্যে প্রথম আলো তুলনামূলক ভালো কাভারেজ দিয়েছে মুসাকে। সেটাকে কি প্রপাগাণ্ডা বলা যায়- প্রশ্ন থাকলো আপনার কাছে।
৮| ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১০ রাত ১০:২০
গৌতম রায় বলেছেন: মুসার জন্য খারাপ-ই লাগে। নানা ব্লগে বেশ কিছু প্রশ্ন উত্থাপিত হবার পর মুসার সাথে যারা সামিট করেছিল, তাদের সাথে ইমেইলে যোগাযোগ করা হয়েছে। তারা সবাই একবাক্যে জানিয়েছেন যে, মুসা সামিট করেছে।
সন্দেহ করা অবশ্যই ভালো, কিন্তু সন্দেহের পেছনে অন্য কোনো ঘটনা আছে কিনা তাও খতিয়ে দেখা দরকার।
২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১০ রাত ১০:৫৯
ফিউশন ফাইভ বলেছেন: ধন্যবাদ গৌতম, আপনার মতামতের জন্য।
8000ers.com নামে যে ওয়েবসাইটের উদ্ধৃতি দিয়ে খোদ উইকিপিডিয়া বাংলায় মুসার এভারেস্ট বিজয়কে সন্দেহের চোখে দেখা হচ্ছে, সেই 8000ers.com কর্তৃপক্ষ আজকেও স্বীকার করেছে, মুসার সামিট নিয়ে তাদের মধ্যে কোনো সন্দেহ নেই। মুসা উইকির সমস্ত উল্লেখযোগ্যতা এবং অন্যান্য শর্ত পূরণ করার পরও উইকি বাংলায় তার ভূক্তিতে ওয়ার্নিং লাগিয়ে রাখা হয়েছে। কেন জানেন? কারণ উইকি বাংলা পরিচালনা করেন কয়েকজন বাঙালি! প্রধানমন্ত্রীর অভিনন্দন, নেপাল দূতাবাসের প্রত্যয়ন, দেশের সবকটি পত্রিকা ও টিভি চ্যানেলের খবর তাদের কাছে উল্লেখযোগ্য নয়!
8000ers.com-এর এডমিনের মেইল থেকে কিছু অংশ তুলে দিচ্ছি-
Dear ....!
I will not wait for the confirmation source, that I know best. I just changed it in the news section, because I saw the summit photos on Wikipedia and it really looks as it was the true top!
Best wishes
Eberhard
admin, http://www.8000ers.com
৯| ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১০ রাত ১০:২১
াঢারে ালো বলেছেন: ধন্যবাদ ৷ গ্যালারিতে সিট দখল দিলাম আগেভাগেই
২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১০ রাত ১১:০২
ফিউশন ফাইভ বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ। লক্ষ্য রাখবেন পরবর্তী পর্বগুলোতেও।
১০| ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১০ রাত ১০:২৫
কবির চৌধুরী বলেছেন: দেশের ভাবমুর্তি নষ্ট করা আর আমাদের অবদানগুলো খাটো করে দেখার অশুভ প্রপাগাণ্ডা বেশ জোরেশোরেই চলছে। স্বার্থ কাদের তা সহজেই অনুমেয়!
ধন্যবাদ আপনাকে, পয়েন্ট টু পয়েন্ট চুলচেরা বিশ্লেষনের মাধ্যমে বাংলাদেশের গৌরব সাফল্যকে পরিষ্কারভাবে তুলে ধরেছেন বলে। আপনার ব্লগটি মুসার বিজয়গাথার সত্যতা নিয়ে প্রামান্য দলিল হিসাবে কাজ করবে।
মুসা ইব্রাহীমকে আবারও স্যালুট।
২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১০ রাত ১১:১২
ফিউশন ফাইভ বলেছেন: ভালো বলেছেন কবির।
আসলে "অদ্ভুত হিংসুটে কিছু বামন আছে, যারা নোবেল পুরস্কার পেলে সুদখোর হিসেবে কুৎসা রটাবে, এভারেস্টে উঠলে বলবে 'হেই বেডা ওডে নাই', বেকারতা আর আপাত বিতর্কিত তসলিমা নাসরিন ধরণের সস্তা খ্যাতির লোভে বামন শুয়ে শুয়ে নিজের ভাবনার উচ্চতা দিয়ে সফল মানুষদের উচ্চতা মাপে। আর আমাদের জীবন বিনোদনহীন, বামনের হিটলার কস্টিউমের সং যাত্রা দেখে হাততালি দিই। বামন আরো মজা পায়, বামন মিয়া বেকার- তাই বলে কি সাধ নাই তার পাহাড়গুলো ঢাকার!"
মুসাকে নিয়েও বামনকূল তাদের পাহাড়গুলো ঢাকার চেষ্টা করে যাচ্ছে। খুবই হাস্যকর।
১১| ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১০ রাত ১০:৩৩
মুকুট বিহীন সম্রাট বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ ফিউশন ফাইভ,
দেখে খুব ভালো লাগছে যে আপনি প্রচুর খেটেছেন একটা সত্য জয় কে স্পষ্ট করতে।আপনি মুসার জয়কে নিশ্চৎ করতে মেধা ও যে সময় খাটিয়েছেন তার জন্য সাধুবাদ জানাই, এই তথ্য গুলো পেতে আপনাকে ঘরের বাইরেও যেতে হয়েছে,
কিন্তু এই ব্লগেই ২/১টা ব্লগার ঘরে বসেই শুধু মাত্র অনুমানের উপর আর কিছু বালক সময়ের ডিটেক্টিভ বই পড়ে মুসার তথা দেশের এত বড় একটা সন্মান নিয়ে তামাশা পোষ্ট দিয়েছে যা আমাদে অশ্রু ভেজা চোখে পড়তে হয়েছিলো।ঐ সমস্ত স্বল্প বা ভুল শিক্ষায় শিক্ষিত মানুষ গুলোর মস্তিষ্কে ভিমরুলের বাসা বিদ্যমান তা তাদের শুদ্ধ বানানের কুৎশিৎ লেখা গুলো পড়েই বুঝা যায়।
একটা মানুষ আরেকটা মানুষকে হেয় বা ছোট করতে এবং দেশের প্রাপ্ত সন্মান কে ধুলিসাৎ করতে এতটা উঠে পড়ে লাগতে পারে তা দেখলাম ঐসব পোস্ট গুলোতে।
কতটা আত্ম-সন্মান হীন আর পরশ্রীকাতরতা নিজের মধ্যে লালন করলে মানুষ হয়ে বাঙালী হয়ে স্বজনকে দেশেক ছোট করার জন্য এতগুলো অক্ষর টাইপ করে একটা কুৎসিৎ পোস্ট তৈরী করে ব্লগে ছাড়তে পারে তা এই ব্লগেই দেখলাম।
ফিউশন ফাইভ কে আবারও ধন্যবাদ
২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১০ রাত ১১:২৪
ফিউশন ফাইভ বলেছেন: হ্যাঁ, ঠিকই ধরেছেন আপনি। বেশ সময় লেগেছে পুরো তথ্য বের করতে।
আসলে বাঙালিই পারে, আরেকটা মানুষকে হেয় বা ছোট করতে এবং দেশের সম্মানকে ধুলিসাৎ করতে উঠেপড়ে লাগতে। এই না হলে বাঙালি।
মতামতের জন্য আপনাকেও ধন্যবাদ।
১২| ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১০ রাত ১০:৩৬
রুদ্রপ্রতাপ বলেছেন: আপনিই নামলেন মুসাকে বাঁচাইতে? মুসা আর কাউরে খুইজা পাইলো না? ছোট ব্লগ বলে কোন ব্লগ কে হেয় করা অন্তত আপনার সাজে না!
আর যে সব অনুসন্ধানের কথা বললেন, তার সূত্র কই?
[ অনুসন্ধানে জেনেছি, অন্নপূর্ণা ফোর পর্বতাভিযানে ওই পর্বতের চূড়ায় যে সময়ে (১১টা ৫৪ মিনিট, স্থানীয় সময়) মুসা ইব্রাহীম আর তৌহিদ হোসেন পৌঁছেছিলেন, সে সময়ে পর্বতের চূড়ায় পুরোটাই হোয়াইট আউট ছিল। ]
[
এনএসিবির (নর্থ আলপাইন ক্লাব) অন্নপূর্ণা ফোর অভিযানে লিয়াঁজো অফিসার নিজে সামিটের ছবি দেখে নিশ্চিত হয়ে নেপাল ট্যুরিজম বোর্ডে প্রতিবেদন জমা দিয়েছেন।]
ভালো ভালো। আপনার বলার স্টাইল দেখে মনে হলো আপনি যাই বলবেন তাই মানুষ বিশ্বাস করতে বাধ্য! হিমুকে অপোজ করছেন ভালো কথা, ভালোভাবে করুন, আমরা অবশ্যই হাততালি দেবো, বলা যায় না স্তাবক ও হয়ে যেতে পারি। তবে এমন হাস্যকর ভাবে করবেন না! প্রিয় একজন ব্লগার আপনি, এমন করতে দেখলে কষ্ট পাই।
ভালো কথা, পোস্ট পড়ে আপনার চেয়ে মনে হলো মুসাই কথা বলছে। আছে নাকি আশেপাশে?
২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১০ রাত ১১:৩২
ফিউশন ফাইভ বলেছেন: আপনি বোধহয় লক্ষ্য করেননি, ব্লগে মুসাকে বাঁচানোর জন্য দেশের সবগুলো পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দেওয়া হয়েছিল। আমি সেখানে আবেদন করেছিলাম। মুসা আমাকে তার প্রচার চালানোর জন্য নিয়োগ দিয়েছে। সেটা কি আমার দোষ?
একটা কথা শুনুন মন্দিয়া, মুসাকে বাঁচানোর কিছু নেই। আমরা মানি কিংবা না মানি, তিনি এখন অন্য উচ্চতায়। আমরা কতিপয় বামন শুয়ে শুয়ে নিজেদের ভাবনার উচ্চতা দিয়ে যতোই মুসার মতো সফল মানুষদের উচ্চতা মাপি না কেন, তাতে লাভ কিছু নেই আসলে।
পর্বতারোহণে হোয়াইট আউট একটা মামুলি বিষয়। পর্বতারোহণ সম্পর্কে যাদের ন্যূনতম ধারণা আছে, তারও নির্দ্বিধায় এটা স্বীকার করবেন। চেনাজানা কেউ থাকলে জিজ্ঞেস করে নিতে পারেন। একজন নিরপেক্ষ লিয়াজোঁ অফিসার (বাঙালি নন কিন্তু!) ঠিকই ওই ছবি দেখে বিশ্বাস করে উর্ধতন কর্তৃপক্ষের কাছে প্রতিবেদন জমা দিয়েছেন, এই বিষয়ে অনুসন্ধানকালে গত ২০ সেপ্টেম্বর গাইড সোম বাহাদুর তামাংয়ের সঙ্গে যখন আলাপ হচ্ছিল কিছু বিতর্কিত বিষয় নিয়ে, তখন তিনি নিজেও হোয়াইট আউট হওয়ার সত্যতা স্বীকার করেছেন। তবে কয়েকজন ব্লগারের এতে অবিশ্বাস থাকতেই পারে যে, মুসা ইব্রাহীম অন্নপূর্ণা ফোরে উঠেননি। বাঙালি তো! হ্যাঁ, নেপাল ট্যুরিজম বোর্ড আমার সূত্র। আপনিও চাইলে তাদের সঙ্গে কথা বলতে পারেন।
আর আপনার কথা শুনে মনে হচ্ছে, আশেপাশে লোক নিয়ে ব্লগিং করেন। ওই অভ্যাস আমার নেই। কে আছে এখন আপনার সঙ্গে?
১৩| ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১০ রাত ১০:৩৮
রুদ্রপ্রতাপ বলেছেন: ভালো কথা, মাইনাস দিয়েছি।
২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১০ রাত ১১:৪০
ফিউশন ফাইভ বলেছেন: আপনার প্লাস-মাইনাস দেওয়ার অধিকার আপনি নির্দ্বিধায় প্রয়োগ করবেন- সেটা বলা-কওয়ার কিছু তো দেখছি না। প্লাস-মাইনাস বিনিময় নয়, আমি মতামত বিনিময়ে আগ্রহী বেশি।
ধন্যবাদ আপনাকে।
১৪| ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১০ রাত ১০:৩৮
অক্টোপাস বলেছেন: তথ্যমূলক পোস্ট। ভালো লাগলো!
২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১০ রাত ১১:৪৩
ফিউশন ফাইভ বলেছেন: আপনার মন্তব্য আমারও ভালো লাগলো। ধন্যবাদ অক্টোপাস। পরবর্তী পর্বে আরো কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাবেন আশা করি।
১৫| ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১০ রাত ১০:৪০
পল্লী বাউল বলেছেন: বিভিন্ন জনের লেখা পড়ে মাথা ঘুলিয়ে যাচ্ছে।
আপাতত প্লাস দিয়ে গ্যালারিতে বসলাম।
২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১০ রাত ১১:৫১
ফিউশন ফাইভ বলেছেন: খুব তুচ্ছ বিষয়-আশয় নিয়ে যে হারে প্রপাগাণ্ডা চলছে ব্লগে ব্লগে, তাতে মাথা গুলিয়ে যাওয়াই স্বাভাবিক। মূলত এই দিকটা ভেবে সাধারণ পাঠকের জন্য অনুসন্ধানের ফলাফলটি প্রকাশ করলাম। সামনে আরো কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য আসবে। লক্ষ্য রাখবেন বাউল সাহেব।
১৬| ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১০ রাত ১০:৪৬
এস বাসার বলেছেন: আপনার চেষ্ঠার জন্য অনেক ধন্যবাদ। তবে ব্যাপারটায় মুসার ও কিছুটা দায় আছে। আমরা যারা কোনদিন পর্বত দেখিই না, যাওয়াতো দূরের কথা, তাদের মাঝে এই কথাটা খুব জরালো ভাবে প্রচার পেয়েছিলো যে, বৌদ্ধমূর্তির সাথে ছবি থাকাটাই এভারেস্ট জয়ের একমাত্র নির্ভরযোগ্য প্রমাণ এবং যে ছবিটা মুসা আমাদেরকে দিতে পারে নাই।
৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১০ রাত ১:৩৭
ফিউশন ফাইভ বলেছেন: বুদ্ধমূর্তির ছবির ব্যাপারটা নিয়ে আমিও বিস্তারিত অনুসন্ধান চালিয়েছি। সামনের পর্বে আশা করি তার ফলাফল প্রকাশ করবো। ততোক্ষণ পর্যন্ত অপেক্ষায় থাকবেন- এই আশাবাদ রাখছি।
ধন্যবাদ বাসার।
১৭| ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১০ রাত ১০:৪৬
রাজন সান বলেছেন: প্লাস
৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১০ রাত ১:৩৮
ফিউশন ফাইভ বলেছেন: ধন্যবাদ রাজন।
১৮| ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১০ রাত ১০:৪৭
অ্যামাটার বলেছেন: চুলচেরা বিশ্লেষণ। আসলে নেটে তথ্য ঘেঁটে যে কোনও একটা বিষয়ে বিপরীতধর্মী দুইটা ব্যাখ্যা দাঁড় করান যায়।
৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১০ রাত ১:৪২
ফিউশন ফাইভ বলেছেন: থ্যাঙ্কস অ্যামাটার। সামনের পর্বের দিকে লক্ষ্য রাখবেন আশা করি।
১৯| ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১০ রাত ১০:৫২
দুখী মানব বলেছেন: এই বিষয় টা নিয়ে পোস্ট দেখলেই কষ্ট লাগে
৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১০ রাত ১:৪৩
ফিউশন ফাইভ বলেছেন: কী আর করবেন! এই না হলে বাঙালি!
২০| ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১০ রাত ১০:৫৬
রবিনহুড বলেছেন: পর্বতে হোয়াইট আউট (হঠাৎ করে মেঘ এসে চারদিক ঢেকে দেওয়া) হওয়ার ঘটনা শুধু মাত্র মূসার ক্ষেত্রই ঘটে।
ওই দিন মোট ৩২জন সামিট করেছিলো। সেই সময় উনার সাথেই আরো ভিন্ন দেশের ৮ জন (সম্ভবত সংখ্যাটা ৮, তবে কম বেশী হতে পারে ) ছিলো বা ৮জনের দেখা মূসা পেয়েছিলেন বলে এক সাক্ষাতকারে বলেছেন।
কই অন্য ৮জনের ছবিতে তো পর্বতে হোয়াইট আউট এর লক্ষন দেখা যায় নাই?
মূসা সাক্ষাতকারে আরো বলেছিলেন সেই সময় আকাশ ঝকঝকে পরিষ্কার ছিলো। তা হলে পর্বতে হোয়াইট আউট আসল কোথা দিয়ে?
সবচে বড় কথা মূসা ইতিপূর্বে মিথ্যার আশ্রয় নেয়াতে বর্তমানে উনি সত্যিই সামিট করে থাকলেও মনুষ এটাকে সন্দেহের দৃষ্টিতে দেখবে।
তার পূর্বের কৃত কর্মই তাকে সন্দেহের দৃষ্টিতে পতিত করেছে। তার জন্য উনি নিজেই দায়ী। সুতরাং তাকে সন্দেহের জন্য মানুষের দূর্বল মনকে দোষ দেয়া যায় ন।
৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১০ রাত ১:৪৪
ফিউশন ফাইভ বলেছেন: আপনি ভালো করে পোস্টটি পড়েননি। হতে পারে আপনার চোখ এড়িয়ে গেছে। মন্তব্যে অন্নপূর্ণার সঙ্গে আপনি এভারেস্টকে গুলিয়ে ফেলেছেন। ভুলভ্রান্তি অবশ্য হতেই পারে। অন্নপূর্ণা প্রসঙ্গে মুসা কি কখনো বলেছিলেন, আকাশ পরিষ্কার ছিল? সূত্র থাকলে প্লিজ লিংকটা দেবেন।
এভারেস্ট প্রসঙ্গ সামনে আসবে। তবু আপনার আগ্রহের কথা ভেবে জানাচ্ছি, মুসা যে সময় সামিট করেছিলেন, সেই একই সময় সামিট করেছিলেন মন্টেনিগ্রোর আরেক অভিযাত্রী স্লাগি-ও।
নিচে দেখুন স্লাগি-র ছবি। বড়ো করে দেখতে এখানে ক্লিক করুন।
এবার মিলিয়ে দেখুন মুসার ক্যামেরায় এভারেস্টের পিরামিড শ্যাডো, একই এঙ্গেল থেকে তোলা। বড়ো করে দেখতে এখানে ক্লিক করুন।
যা হোক, মতামত দেওয়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
২১| ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১০ রাত ১০:৫৮
রবিনহুড বলেছেন: সবচে নির্ভরযোগ্য তথ্য হবে, মূসা যে ৮জনের সাক্ষাত পেয়েছিলেন, তাদের নাম বলুন। আমারা সেই ৮জনের কাছ থেকে জেনে আসি মূসাই উনাদের সাথে সামিতে ছিলেন কিনা?
এটাই হবে সবচে নির্ভর যোগ্য বিকল্প তথ্য।
আশা করি মূসা উক্ত ৮জনের পরিচয় প্রকাশ করবেন।
৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১০ রাত ১:৫৯
ফিউশন ফাইভ বলেছেন: মন্টেনিগ্রোর ČELE, DJOKO, SLAGI, BLEKA- এই চারজন এবং নেপালের লাল বাহাদুরের কথা আমি জেনেছি অনুসন্ধানকালে। এর বাইরে আর কেউ আছে কিনা, সেটা মুসা ইব্রাহীমই ভালো বলতে পারবেন। প্রসঙ্গত, মন্টেনিগ্রোর ব্লেকার সঙ্গে যোগাযোগ হয়েছে মাত্র কয়েকদিন আগে, এই লেখার জন্য তথ্য চেয়ে। তিনি স্পষ্টভাবে স্বীকার করেছেন যে, মুসা সামিট করেছেন। সে সময় মুসার সঙ্গে আরো ছিল মন্টেনিগ্রোর স্লাগি, নেপালের লাল বাহাদুররা। ব্লেকার ইমেইলটি আমার কাছে সংরক্ষিত আছে। আমার ফ্লিকারে তার ছবি দেখুন । তবে ব্লেকার ইমেইল এড্রেস এভাবে উন্মুক্ত ব্লগে আমি দিতে পারি না। খুব বেশি প্রয়োজন হলে আপনি bolekoye [এট] gmail.com এ মেইল করতে পারেন। আর আপনারা চাইলে এই অভিযাত্রীদের রেকর্ডকৃত স্বীকারোক্তি আপনাদের সামনে এনে দেওয়ার চেষ্টা করবো।
২২| ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১০ রাত ১১:০০
িকংকর্তব্যিমূঢ় বলেছেন: খুব ভালো বিশ্লেষণ। ধন্যবাদ। এভারেস্ট সামিটের আরও ছবি দেখেছি, যেগুলো মুসার ছবির সঙ্গে মিল আছে। অনেকের ছবিতে প্রেয়ার ফ্ল্যাগও নেই।
একটা কথা, হিমু গং কিন্তু প্রোপাগাণ্ডা চালায়, তাই তারা আরও কু যক্তি দেবে। তবে মুসার এভারেস্ট জয় নিয়ে যারা সন্দেহ করে, তারা নিজেদের স্বার্থ চরিতার্থ করার জন্য কু যুক্তি খাড়া করে।
তাদের কিছু কইরা খ্াইতে হবো।
তবে মুসার এভারেস্ট জয়ে কোনো রকমের ফাঁক ফোকর নাই। ফাঁক ফোকর এখন পর্যন্ত হিমু-ঝিমু, মামুন-গামুন, সজল-গজল, ইনাম-বেনাম কেউই একটাও দেখাইতে পারে নাই।
৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১০ রাত ২:০৩
ফিউশন ফাইভ বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে। আমি আসল সত্যটা প্রকাশ করতে চাই। এমনকি সেটা যদি মুসার বিরুদ্ধেও যায়, প্রকাশ করতে পিছ পা হবো না। বুদ্ধমূর্তি, প্রেয়ার ফ্ল্যাগ নিয়ে আমার পর্যবেক্ষণ এবং অনুসন্ধান সামনে প্রকাশ করবো। সঙ্গে থাকুন।
২৩| ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১০ রাত ১১:০০
রুদ্রপ্রতাপ বলেছেন: মূসা সাক্ষাতকারে আরো বলেছিলেন সেই সময় আকাশ ঝকঝকে পরিষ্কার ছিলো। তা হলে পর্বতে হোয়াইট আউট আসল কোথা দিয়ে?
এই প্রশ্নের উত্তর পাবেন না রবিনহুড। বরং তেনা পেচায়া প্রথম আলোর পশ্চাৎদেশ রক্ষা করতে অনেকেই ব্যাস্ত হয়ে উঠবেন।
৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১০ রাত ২:০৬
ফিউশন ফাইভ বলেছেন: আপনার আশঙ্কা মিথ্যা প্রমাণ করে রবিনহুড প্রশ্নের উত্তর ইতিমধ্যে পেয়ে গেছেন। ইচ্ছে করলে ওটাকে 'ত্যানা প্যাচানি'ও বলতে পারেন। সুখী হওয়াটাই মূল বিষয়।
২৪| ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১০ রাত ১১:০৪
ইবনান বলেছেন: সজল খালেদ সর্বপ্রথম মুসা ইব্রাহিমের বিজয় দিয়া সংশয় সারা বিশ্বব্যাপী প্রচার করেছিলেন। তারপর যথা সময়ে ক্ষমা চেয়ে মুসাকে অভিনন্দন জানিয়েছিলেন।
এরপর আসরে নামলেন অচলায়তনের হিমু। দুই তিনটা বৃত্ত একেঁ তিনি নেভারেস্ট শিরোনামে তেনা পেচাতে থাকলেন। দুঃখের বিষয় তিনি এখন নিজের তেনায় নিজেই ফেঁসে গেছেন। নেভারেস্ট থ্রি আর প্রসব করতে পারছেন না। যারা তাকে বিয়ার খাইয়ে আসরে নামিয়েছিল- তারা আস্তে আস্তে কেটে পড়তে শুরু করেছেন। এর আগে হিমু অচলায়তনে তিনি নিজের দুটি পোস্ট ডিলিট করতে বাধ্য হয়েছিলেন। ভেবেছিলেন নেভারেস্ট সিরিজ লিখে তিনি হিরো হবেন, এমনকি নিজের হারানো ভাবভাস্কর্য পুনরুদ্ধার করবেন। হায় কী থেকে কী হইয়া গেল। তার কুয়া ব্লগে একজন এসে বললো, আপনি যেসব প্রশ্নের উত্তর খুঁজছেন, সামু ব্লগে তা আছে। তিনি তখন সামু ব্লগকে চিপা বলে ব্যাপারটা এড়িয়ে গেলেন। বোঝেন অবস্থা, সামু ব্লগ হচ্ছেন চিপা আর অচলায়তন হচ্ছে হাইওয়ে। এখন অবশ্য তিনি নিজের তেনায় জড়িয়ে প্রায়নেভারেস্ট আওড়াচ্ছেন। প্রায় গোটা তিনেক প্রায় নেভারেস্ট ইতিমধ্যে তিনি প্রসব করেছেন। কী করবেন,তার বিয়ারদাতারা তাকে কোনও স্পষ্ট তথ্য দিতে পারছেন না যেটা দিয়ে তিনি প্রমাণ করতে পারবেন যে মুসা ইব্রাহিম এভারেস্টে উঠে নাই।
এই হিমু বামনটি চেহারা দেখতে বড়ো ইচ্ছে হয়। কয়েক ক্যান বিয়ারের বিনিময়ে যে কিনা নিজের দেশের জাতীয় অর্জনকে অবিশ্বাসের প্যাঁচে ফেলতে চায়, যে কিনা গোটা বিশ্বের সামনে বাংলাদেশকে হেয় করে, হাস্যকর করে। সামু ব্লগে যার জন্ম, যে সামু ব্লগ তাকে ব্লগিং শেখালো , তাকে সে চিপা বলে। এই কুলাঙ্গার বামনটিকে আমার দেখতে বড়ো ইচ্ছা হয়। মানুষ এতো নীচে নামে কীভাবে?
দেশ হচ্ছে নিজের মায়ের মতো। জার্মানি বসে বিয়ার খেতে খেতে যে নিজের মাকে বেঁচে তার জন্মের কুষ্টিঠিকুজি নিয়ে সবার আগে গবেষণা করা দরকার।
এই বাংলার মাটিতে কেন বার বার মীর জাফর, মোশতাক আর হিমুদের জন্ম হয় ????
হিমুকে এক দলা থুথু।
৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১০ রাত ২:১৫
ফিউশন ফাইভ বলেছেন: আমি দেখেছি, রাগ কমানোর জন্য বৃত্ত আঁকা বেশ ভালো ফল দেয়। সুতরাং বৃত্ত আঁকুন বেশি বেশি। আর সম্ভব হলে একটু স্কাইপেতে আসুন। সেটাও সম্ভব না হলে bolekoye [এট] gmail.com এ একটি মেইল কি করতে পারেন? আমি আপনার সঙ্গে কিছুক্ষণ আজাইরা আলাপ করতে আগ্রহী।
বাই দ্য ওয়ে, লেখার ওপরে ওপরে দেওয়ার জন্য স্মরণীয় বাণীর বই কোন্টা ভালো হবে বলতে পারেন? জানাবেন প্লিজ।
২৫| ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১০ রাত ১১:০৫
পৃথিবী আমারে চাই না বলেছেন:
দাগী আসামীর মত একগাদা লোহার চেইন গায়ে জড়িয়ে পর্বতারোহন ঢাকা শহরে টাউন সার্ভিসে চড়ে রেললাইন ক্রস করার চেয়ে কম ঝুকিপুর্ন। আর এই কাজটা ঢাকা শহরের মানুষকে প্রতিনিয়ত করতে হচ্ছে । কাজেই ঢাকা শহরে বসবাসকারি যেকোন আম জনতা মুছার চেয়ে অনেকগুন বেশি বাহাদুর।
৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১০ রাত ২:২৪
ফিউশন ফাইভ বলেছেন: হাহাহা। একদিক থেকে আপনার কথা অসত্য নয়। বাংলাদেশের প্রতিটি মানুষই আসলে একেকজন যোদ্ধা, সংগ্রামী।
২৬| ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১০ রাত ১১:০৫
িকংকর্তব্যিমূঢ় বলেছেন: এভারেস্টসহ বিভিন্ন পর্বতারোহন ও পর্বতারোহীদের নিয়ে খুব অথেনটিক একটি সাইট হচ্ছে এক্সপ্লোরারস ওয়েব ডট কম। সেইটাতে মুসার এভারেস্ট জয়ের কথা উল্লেখ করা আছে।
Further summit reports from previous days:
Md. Musa Ibrahim from Bangladesh, sharing permit in an International team, topped out Everest on 23rd May from the north side, according to Himalayan Guides Nepal. "All 26 members of the expedition including 14 Sherpas got to the summit," the outfitter website stated. "Besides Musa, six British, three Montenegrins, an American and a Serbian are in the team."
লিঙ্ক: Click This Link
৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১০ বিকাল ৪:৩৬
ফিউশন ফাইভ বলেছেন: এক্সপ্লোরারস ওয়েব ডট কমের গ্রহণযোগ্যতা প্রশ্নাতীত বলেই জানি। সেখানকার স্বীকৃতি উল্লেখ করার মতো ব্যাপার।
ধন্যবাদ আপনাকে।
২৭| ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১০ রাত ১১:১০
কৌশিক বলেছেন: সবাই বলছে চুল চিড়েছে। সন্দেহজনক। মাঝখানে একটা ছবি দেখলাম 'ডার্ক সাইড অব এভারেস্ট' - ভয়ে আমার হাত পা!
মুসা এভারেস্ট জয় করে নাই প্রমাণ করার বাণিজ্যিক বিশাল একটা সুবিধা আছে। অপসনটা খোলা থাকে। বিষয়টা ভাবতে হবে।
৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১০ বিকাল ৪:৩৯
ফিউশন ফাইভ বলেছেন: মুসা এভারেস্ট জয় করে নাই প্রমাণ করার বাণিজ্যিক বিশাল একটা সুবিধা আছে। অপসনটা খোলা থাকে। বিষয়টা ভাবতে হবে।
গুরুত্বপূর্ণ পর্যবেক্ষণ বস আপনার। অদূর ভবিষ্যতে এ নিয়ে কাজ করার ইচ্ছে আছে।
২৮| ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১০ রাত ১১:১৫
িকংকর্তব্যিমূঢ় বলেছেন: মুসা যে প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে এভারেস্ট জয় করেছে তাও স্বীকৃতি দিয়েছে এক্সপ্লোরার ওয়েব...
Click This Link
৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১০ বিকাল ৪:৪০
ফিউশন ফাইভ বলেছেন: লিংকটা আগেই পেয়েছি। তবু ধন্যবাদ আপনাকে।
২৯| ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১০ রাত ১১:১৬
রুদ্রপ্রতাপ বলেছেন: Md. Musa Ibrahim from Bangladesh, sharing permit in an International team, topped out Everest on 23rd May from the north side, according to Himalayan Guides Nepal.
এই হিমালিয়ান গাইডস নিয়ে হিমু মিয়া কিছু কথা কৈছিলেন... পইড়া দেইখেন।@িকংকর্তব্যিমূঢ়
৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১০ বিকাল ৪:৪৭
ফিউশন ফাইভ বলেছেন: হিমু মিয়া কে? গুরুত্বপূর্ণ কেউ? বিশেষ যোগ্যতাসম্পন্ন কেউ? বোধহয় না।
কাজীপাড়ার কানাগলিতে দাঁড়িয়ে যদু-মধু, হিমু-হামু হালুম-হুলুম করলেই সেটা গুরুত্বপূর্ণ হয়ে যায় না। তবে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে, নিজে জেনেবুঝে কিছু বলা, যেটা আপনার মধ্যে অনুপস্থিত। আপনি খালি ধার করে করেই কথা বলছেন- অমুক ঐটা বলছিল, তমুক ঐটা কৈছিল..। পেশ ইমামের চাকরি করেন্নাকি?
৩০| ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১০ রাত ১১:১৭
গৌতম রায় বলেছেন: কৌশিক দা, আপনি মোটামুটি একটা ঠিক জায়গায় হাত দিয়েছেন।
৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১০ বিকাল ৪:৪৭
ফিউশন ফাইভ বলেছেন:
৩১| ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১০ রাত ১১:২৩
স্পাইডার বলেছেন: সামুর আবারো হিটের আকাল চলতেছে
৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১০ বিকাল ৪:৪৯
ফিউশন ফাইভ বলেছেন: আমি এ ব্যাপারে ঠিক নিশ্চিত নই। তবে আকাল চললেও চলতে পারে।
৩২| ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১০ রাত ১১:২৭
রুদ্রপ্রতাপ বলেছেন: স্পাইডার বলেছেন: সামুর আবারো হিটের আকাল চলতেছে
পুরাপুরি সহমত
৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১০ বিকাল ৪:৫০
ফিউশন ফাইভ বলেছেন: আবার ধার করা কমেন্ট! আফসোস।
৩৩| ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১০ রাত ১১:৪১
পদ্মাচরের লাঠিয়াল বলেছেন: পর্যবেক্ষণে।
৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১০ বিকাল ৫:১০
ফিউশন ফাইভ বলেছেন: ধন্যবাদ। পরবর্তী পর্বগুলোর দিকেও লক্ষ্য রাখবেন।
৩৪| ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১০ রাত ১১:৪৭
মুভি পাগল বলেছেন:
Click This Link
৩৫| ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১০ রাত ১১:৪৮
মুভি পাগল বলেছেন:
৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১০ বিকাল ৫:১১
ফিউশন ফাইভ বলেছেন: সেই বিজয়ের স্মারক, যেদিন পাহাড়সমান প্রতিজ্ঞার কাছে হার মেনেছিল গর্বিত এভারেস্ট!
৩৬| ৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১০ রাত ১২:২১
স্বাধীনতার চরমপত্র বলেছেন: ফিউশন ফাইভ কি মুসা ইব্রাহিম নিজেই????
৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১০ বিকাল ৫:১২
ফিউশন ফাইভ বলেছেন: না, ফিউশন সিক্স নিক নিলে আপনাকে জানাবো।
৩৭| ৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১০ রাত ১২:২৪
স্বাধীনতার চরমপত্র বলেছেন: এতো জিলাপী বানানোর কী দরকার। স্পষ্ট ছবি বা ভিডিও প্রকাশ করে দিলেই তো ল্যাঠা চুকে যায়।
নাকী ওগুলো এখনও বানানো হয় নাই ??...
৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১০ বিকাল ৫:১৪
ফিউশন ফাইভ বলেছেন: আপনার হয়তো জানা থাকতে পারে, মুসার বেশকিছু ছবি আইডিবি ভবনের প্রেস কনফারেন্সে দেখানো হয়েছে। ঢাকার সবগুলো পত্রিকা ও চ্যানেলের সাংবাদিকরা সেসব ছবি দেখেছেন। কিছু ছবি সামহোয়্যারেই প্রকাশিত হয়েছে ইতিপূর্বে। তবে স্পষ্ট ছবি বলতে ঠিক কী বোঝাতে চাইছেন আপনি? পেশাদার আলোকচিত্রী দিয়ে ঝকঝকে মাঞ্জা মারা ছবি? তাহলে শুনুন, উইকিপিডিয়ায় রাখা মুসার ছবি দেখে 8000ers.com-এর এডিটর কী মন্তব্য করেছেন দেখুন। এই এডিটর ১৯৮১ সাল থেকে মাউন্টেইনারিংয়ের সঙ্গে জড়িত।
Dear ....!
I will not wait for the confirmation source, that I know best. I just changed it in the news section, because I saw the summit photos on Wikipedia and it really looks as it was the true top!
Best wishes
Eberhard
admin, http://www.8000ers.com
এর বাইরে এভারেস্ট যাত্রাপথের ছবি ও অন্যান্য ছবি মুসা ইব্রাহীমের ওয়েবসাইট এবং প্রদর্শনীতে দেখতে পারবেন শীঘ্রই- এটুকু আপনাকে আপাতত জানিয়ে রাখতে পারি।
৩৮| ৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১০ রাত ১:০৫
আই.কিউ. বলেছেন: আমি তো নিচের ছবিগুলানের মানেই বুঝি না, এভারেস্টেরটা কেমনে বুঝুম
৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১০ বিকাল ৫:১৫
ফিউশন ফাইভ বলেছেন:
৩৯| ৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১০ রাত ১:৩৫
তায়েফ আহমাদ বলেছেন: এই বিষয়ে আমি আগ্রহ হারিয়ে ফেলেছি................
৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১০ বিকাল ৫:১৬
ফিউশন ফাইভ বলেছেন: সেটা স্বাভাবিক। বিষয়টা নিয়ে কিছু অর্বাচীন এতো বেশি ত্যানা প্যাচানোর চেষ্টা করেছে যে, আমার নিজেরই আগ্রহ খুব বেশি নেই।
৪০| ৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১০ রাত ২:০৯
রাজসোহান বলেছেন: গুলিয়ে ফেলতেসি !
৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১০ বিকাল ৫:১৬
ফিউশন ফাইভ বলেছেন: সামনের পর্বগুলোর দিকেও লক্ষ্য রাখবেন। আশা করি, বিষয়টা স্পষ্ট হয়ে উঠবে।
৪১| ৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১০ রাত ৩:১০
পদ্মাচরের লাঠিয়াল বলেছেন: হিমু বলসেন-
আমি সিমু নাসের ও পল্লব মোহাইমেনকে সাধুবাদ দিতে চাই, যে ফিউশন ফাইভ নিকটিতে তারা আবার সক্রিয় হয়েছেন। পাশাপাশি এ-ও জানিয়ে রাখতে চাই, আনিসুল হক আমাকে সাক্ষাৎকার দিয়েছেন বলে তারা প্রথম আলো অফিসে বসে যে হকের ওপর রাগারাগি করেছেন, সে সংবাদও কানে এসেছে।
সিমু-পল্লবের আলতুফালতু বিশেষণপ্রয়োগ নিয়ে কোনো মন্তব্য নেই। তবে প্রশ্নের উত্তর দিতে চেষ্টা করার উদ্যোগকে সাধুবাদ জানাই।
সমস্যা হচ্ছে, অন্নপূর্ণা-৪ এর শীর্ষটা মুসা ইব্রাহীম নিজেও দেখেননি। এটির শীর্ষ ঠিক কতটা খাড়া আর সংকীর্ণ জানলে তিনি এরকম একটা প্রায় সমতল জায়গায় দাঁড়িয়ে সামিট ক্লেইম করে ছবি তোলার সাহস করতেন না। হোয়াইট আউটের দোহাই না দিয়ে, পৃথিবীর বাকি সামিটিয়ারদের মতো সামিটে দাঁড়িয়ে পেছনের দিকচক্রবালসহ ছবি দেখাতে পারলে ভালো হতো। মুসার অন্নপূর্ণা-৪ এর ছবিতে এক একজনের গগলসে ক্যামেরাম্যানের প্রতিবিম্ব দেখা যাচ্ছে, আর ওনারা শোনাতে এসেছেন হোয়াইট আউটের গল্প।
তৌহিদ হোসেনের সাথে সেদিন আলাপ হলো। সে সাক্ষাৎকার নিয়েও একটা প্রায়নেভারেস্ট পোস্ট আসবে। আরও জেনে খুশি হবেন, অন্নপূর্ণা-৪ এর মতো বিপজ্জনক শীর্ষ পর পর দু'বার চড়তে গিয়ে ব্যর্থ হওয়া দু'জন এভারেস্টারের সাথেও আলাপ হয়েছে, তাঁদের সাক্ষাৎকারও শোনাতে চাই আপনাদের। বেইস ক্যাম্প থেকে পাঁচদিনের মাথায় কেন অন্নপূর্ণা-৪ জয় করে নেমে আসা সম্ভব নয়, সেটা তাঁদের মুখ থেকে শুনবেন।
লিয়াজোঁ অফিসারের কথাটা উঠেছে বলে খুব ভালো লাগলো। অন্নপূর্ণা-৪ এর বেইস ক্যাম্পে যখন যান মুসা ইব্রাহীম, সারিন প্রকাশ প্রধান ও তৌহিদ হোসেন, তাঁদের সাথে কোনো লিয়াজোঁ অফিসার ছিলো না। বিস্তারিত শুনতে চান নিশ্চয়ই? আসছে, আসছে।
অন্য লোকের পর্বতজয়ের ছবি ঝাপসা, অতএব আমার ঝাপসা ছবিও পর্বতজয়ের প্রমাণ, এই যুক্তিটা ফালতু হয়ে গেলো না? এমন কি হতে পারে না, তাদের পর্বতজয়ের দাবি নিয়েও প্রশ্ন তোলা যায়?
পর্বতচূড়া ফুটবল মাঠের মতো না বলেই তো মুসা ইব্রাহীমের অন্নপূর্ণা-৪ নিয়ে সন্দেহ। অন্নপূর্ণা-৪ একটা খুবই খাড়া পিক। শেষ ৩০০ মিটার অকল্পনীয় রকমের খাড়া, এবং শেষ এক হাজার মিটার ভয়ানক কঠিন সেরাক ও কর্নিসের কারণে। এ দু'টি কী জিনিস, সেটা মুসা ইব্রাহীম বা সিমু-পল্লব জানেন বলে মনে হয় না। গুগল মারার অনুরোধ রইলো। অথবা কিছুদিন ধৈজ্জ ধরেন, এই অধমই সচিত্র লিখবে।
সময়ের হিসাবে যে জিনিসটা সিমু-পল্লব বেমালুম চেপে গেলেন, সেটা হচ্ছে অ্যাক্লিমাটাইজেশন। তৌহিদ হোসেন বেইস ক্যাম্পে যাবার পর উচ্চতাজনিত কারণে মাথাব্যথায় কাবু হয়ে ছিলেন। খোদ মুসাই লিখেছে, এবার এভারেস্টে বারো হাজার ফিটের নায়ালামে গিয়ে তারও মাথাব্যথা শুরু হয়েছিলো। কী করে তিনি ঊনিশ হাজার আর একুশ হাজার ফিট উচ্চতায় উঠে আবার নেমে এসে দিন দুয়েক জিরিয়ে অ্যাক্লিমাটাইজ করেছিলেন, সেগুলো বিস্তর লিখেছেন। অপ্রশিক্ষিত, নবাগত তৌহিদ হোসেন অ্যাক্লিমাটাইজ না করেই ধুপধাপ উঠে যাবেন ১৫ হাজার ফিট থেকে ২৪ হাজার ৬৮১ ফিট, এটা দয়া করে মুসার শিশুপুত্র রাইদকে ঘুম পাড়ানোর সময় শোনাবেন। অন্নপূর্ণা-৪ এ লোকে সাধারণত তিনটা ক্যাম্প করে, এবং প্রায়ই মাঝে ইন্টারমিডিয়েট ক্যাম্প করতে হয়। শেরপারা কী করে ক্যাম্প ১ থেকে এত এত মালপত্র কোনো ল্যাডার ছাড়া রক বাট্রেসের ওপর এতগুলো ক্রিভাস পার করে ২১ হাজার ফিট ওপরে ক্যাম্প-২ তে তুললেন? তাদের কাছে তো ল্যাডার ছিলো না। আর অন্নপূর্ণা-৪ এ লোকে ক্যাম্প-২ করে ঊনিশ হাজার ফিট উচ্চতায়, বাইশ হাজার ফিটের কাছাকাছি করে ক্যাম্প-৩। এর মাঝে ইন্টারমিডিয়েট ক্যাম্পিং করতে হয় কয়েক দফা। অ্যাজমা রোগী মুসা এমন কোনো সুপারম্যান না যে এইসব নিয়মকানুন ওনার জন্য খাটে না।
আর পেমবা শেরপার সঙ্গে দেন মুসা ইব্রাহীম আর তৌহিদ হোসেনের তুলনা? পেমবা তো শেরপা, জন্মাইছে পাহাড়ের হাই অলটিচ্যুডে। প্লিজ হাসায়েন না। তারচে বরং অন্নপূর্ণা-৪ এক্সপিডিশনের ভিডিও সিডিটা ছেড়ে দেখেন, সারিন কীভাবে বেইস ক্যাম্পে মাথাব্যথায় কাবু তৌহিদ হোসেনের শুশ্রুষা করছে।
অন্নপূর্ণা-৪ এ গাড়ি চলে নিশ্চয়ই। সিমু-পল্লব মনে হয় একেবারে সামিট পর্যন্তই গাড়ি নিয়ে যাবেন এবার। তবে দুঃখের বিষয় হচ্ছে, যদি সামিট পর্যন্তও গাড়ি থাকতো, তবুও পাঁচদিনে যেতে পারতেন না তাঁরা। অ্যাক্লিমাটাইজ করার জন্য একটু উঠে আবার নিচে নেমে আসতে হতো। সবকিছুই ম্যানেজ করা যায়, অ্যাক্লিমাটাইজ করার ব্যাপারটা যায় না। ১৯৫০ সাল থেকে ২০১০ সাল, এই ষাট বছরে মানুষের ফিজিওলজির এমন কোনো বিশাল পরিবর্তন হয়নি, যে অ্যাক্লিমাটাইজ না করে একটা সাড়ে সাত হাজার মিটারের পর্বতের পিকে চলে যাওয়া যাবে। এন ডি জয়ালের নাম শোনেন নাই সিমু পল্লব, ইনি ভারতের মাউন্টেনিয়ারিঙের পুরোধা। মেজর জয়াল অ্যাক্লিমাটাইজ না করে কামেটশৃঙ্গে চড়তে গিয়ে মারাই গিয়েছিলেন। তৌহিদ আর মুসা যতদূর জানি আন্ডারওয়্যার প্যান্টের নিচেই পরেন এখনো। যেদিন ওপরে পরা শুরু করবেন, আমরা অ্যাক্লিমাটাইজেশনের প্রসঙ্গ নিয়ে কথা বলা বন্ধ করে দিবো।
একটা কাজ করি আসেন। মুসাকে সোম বাহাদুর তামাঙের বদলে পেমবা শেরপা বা আপা শেরপার সাথে কোথাও পাঠিয়ে দেখি, ওনার দৌড় কতদূর। কারণ এ পর্যন্ত সোম বাহাদুর ছাড়া মুসা কোনো পিকে চড়েন নাই। সোম বাহাদুরের সাক্ষ্য ছাড়া চুলু ওয়েস্টে মুসা সনদ পেলেন কীভাবে? আর সেই সাক্ষ্য দেবার পর সোম বাহাদুর সৎ থাকে কীভাবে? ধরলাম সজল খালেদও মুসার মতোই অসততা করেছেন চুলু ওয়েস্টে, তাতে করে সোম বাহাদুর তো সৎ হয়ে যায় না।
তবে এম এ মুহিতের দেখা না দেখা আসলেই কোনো ব্যাপার না। এটা নিয়ে কিছু লিখেছি বলেও মনে পড়ে না।
পরের পর্ব লেখার আগে একটু প্রিপারেশন নিয়ে লিখলে ভালো হয়। অ্যাটলিস্ট আমার খাটনিটা কম হয়। কারণ লোকে এসে আমাকে লিঙ্ক দিয়ে আমার মন্তব্য জানতে চাইবে। এতগুলো ভুল ধরিয়ে দিতে গেলে বেহুদা খাটনি বাড়ে।
সিমু-পল্লব ভায়েরা আমার, রিফাত ফারজানার নিকটা ব্যবহার কইরেন না আর, প্লিজ। নিজ নামে এসে কমেন্ট দিয়ে যেয়েন। আপনার স্বনামেই স্বাগত জানবেন।
৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১০ বিকাল ৫:৫৪
ফিউশন ফাইভ বলেছেন: আমি সিমু নাসের ও পল্লব মোহাইমেনকে সাধুবাদ দিতে চাই, যে ফিউশন ফাইভ নিকটিতে তারা আবার সক্রিয় হয়েছেন।
সিমু+পল্লব=ফিউশন ফাইভ=রিফাত ফারজানা - এই মহামূল্যবান সূত্রটি হিমু তার কোন্ গোয়েন্দা ঝাকানাকা সূত্র থেকে পেলেন এটা যদি উনি দয়াপূর্বক এক বা একাধিক বৃত্ত এঁকে বুঝিয়ে দিতেন, তাহলে খুব ভালো হতো!
পাশাপাশি এ-ও জানিয়ে রাখতে চাই, আনিসুল হক আমাকে সাক্ষাৎকার দিয়েছেন বলে তারা প্রথম আলো অফিসে বসে যে হকের ওপর রাগারাগি করেছেন, সে সংবাদও কানে এসেছে।
আনিসুল হক যদি কোনো যদু-মধুকে সাক্ষাৎকার দিয়ে থাকেন, সেক্ষেত্রে তার কাছের লোকেরা বিরক্ত হতেই পারেন। তবে সুখের বিষয় হচ্ছে, কথায় কথায় আনিসুল হক যখন বুঝতে পেরেছেন, তিনি এক ছন্নছাড়া অর্বাচীনের পাল্লায় পড়েছেন, তখন তিনি সাক্ষাৎকার আর দীর্ঘ করেননি।
সমস্যা হচ্ছে, অন্নপূর্ণা-৪ এর শীর্ষটা মুসা ইব্রাহীম নিজেও দেখেননি।
হুমম এটা একটা বড়ো সমস্যাই! তবে আমাদের ব্লগারকূলের সৌভাগ্য হচ্ছে, হিমু প্রতিদিন সকালের নাস্তা খাওয়ার আগে একবার এবং পরে একবার অন্নপূর্ণা ফোর পর্বতের ওপর থেকে ঘুরে আসেন! গর্দভ আর কাকে বলে!
এটির শীর্ষ ঠিক কতটা খাড়া আর সংকীর্ণ জানলে তিনি এরকম একটা প্রায় সমতল জায়গায় দাঁড়িয়ে সামিট ক্লেইম করে ছবি তোলার সাহস করতেন না।
হিমুর মাথায় তো বিরাট সমস্যা দেখছি! এতোদিন তার দাবি ছিল, মুসার ছবিতে যে স্লোপ দেকা যায়, সেটার শীর্ষে এই স্লোপ থাকার কথা না। তার এইসব দাবির কথা শুনতে শুনতে রীতিমতো কান ব্যাথা হওয়ার জোগাড়! আর আমার এই লেখা প্রকাশ হওয়ার পর সেই হিমুই এখন বলছেন, ওটা নাকি এতো সমতল হওয়ার কথা না!!! হিমুকে একটা উপদেশ দেই বিনামূল্যে- যে কোনো একটা পয়েন্টে স্থির থেকে কথা বলুন, সেটা যে রকমই হোক না কেন। তবে হ্যাঁ, বুঝতে পারছি, নেভারেস্ট-৩ লেখার মালমশলা জোগাড় না হওয়ায় বেচারারা হয়তো মাথা খারাপ হয়ে গেছে।
হোয়াইট আউটের দোহাই না দিয়ে, পৃথিবীর বাকি সামিটিয়ারদের মতো সামিটে দাঁড়িয়ে পেছনের দিকচক্রবালসহ ছবি দেখাতে পারলে ভালো হতো।
হিমু তার এই নাতিদীর্ঘ জীবনে পাহাড় তো দূরের, নিশ্চিত করে বলতে পারি টিলাতেই চড়েননি কখনো। আর জীবনে কোনোদিন নেপালমুখো হওয়ার তো প্রশ্নই আসে না। সুতরাং হোয়াইট আউট জিনিসটা যে আসলে কী, সেটা তাকে গুলিয়ে খাওয়ালেও বোঝানো যাবে না। তবে তাকে উপদেশ দিতে পারি, গুগলে একটু সার্চ দিয়ে দেখুন হোয়াইট আউট একটা খুবই মামুলি বিষয়। আর দিকচক্রবাল ছাড়াও যে সামিট হয়, সেটা পর্বতারোহী মাত্রেই জানেন। এমনকি স্বল্পজ্ঞান নিয়েও হিমুর সেটা অজানা থাকার কথা নয়। তাকে এভারেস্ট চূড়ায় ১৩ বছর বয়সী এই আমেরিকান কিশোর এবং গুয়াতেমালার এই মহিলা পর্বতারোহীর ছবি দেখতে বলি। চশমার কাঁচ মুছে তাকিয়ে দেখুন, ওদের পিছনে কিছুই নেই। আর 'কিছু নেই' বলে ওরা কি সামিট করেননি? বলা ভালো, ওই দুই পর্বতারোহীই রেকর্ডধারী।
হিমুর এইসব কুতর্ক বিরক্তিই উৎপাদন করে কেবল।
শেষ ৩০০ মিটার অকল্পনীয় রকমের খাড়া, এবং শেষ এক হাজার মিটার ভয়ানক কঠিন সেরাক ও কর্নিসের কারণে। এ দু'টি কী জিনিস, সেটা মুসা ইব্রাহীম বা সিমু-পল্লব জানেন বলে মনে হয় না।
হেহেহে...। মুসা জানে না, তবে আমাদের হিমু সব জানেন। জার্মানিতে তো আবার ওই রকমের 'অকল্পনীয় রকমের খাড়া' এবং 'ভয়ানক কঠিন' জায়গা হাজারে হাজারে!
তবে এম এ মুহিতের দেখা না দেখা আসলেই কোনো ব্যাপার না। এটা নিয়ে কিছু লিখেছি বলেও মনে পড়ে না।
অবশেষে অরিন্দম কহিলা বিষাদে- 'এটা কোনো ব্যাপার না।' আচ্ছা তাইলে ব্যাপার কোনটা? ফুটেজ আছে শুনে ভয় পেয়ে গেল নাকি গোয়েন্দা হিমু? আহা, এটা নিয়ে কিছু লিখেছেন মনে পড়বে না কেন! এতো বড়ো গোয়েন্দা নিজের কথাই ভুলে যান- এটা কীরকম কথা রে বাবা!
পর পর দু'বার চড়তে গিয়ে ব্যর্থ হওয়া দু'জন এভারেস্টারের সাথেও আলাপ হয়েছে, তাঁদের সাক্ষাৎকারও শোনাতে চাই আপনাদের।
লক্ষ্য করে দেখলাম, এই যাবত হিমুর যতো উদাহরণ, যতো সাক্ষাৎকার সবই 'ফেলটুস' আর ব্যর্থ লোকেদের নিয়ে। সফল হয়েছে এমন লোকদের সাক্ষাৎকার হিমুর ঝুলিতে দেখিনি। পারলে প্লিজ, সফল কারো গল্প শোনান না। বিনিময়ে কথা দিচ্ছি, তিন তিনটে বৃত্ত এঁকে দেবো!
সবশেষে
হিমুকে অনুরোধ করি, এতো ধুনফুন ত্যানা না প্যাচিয়ে মুসা যে এভারেস্টে উঠেননি তার প্রমাণ দেন। আর কতো প্রায়নেভারেস্ট। বাচ্চা (নেভারেস্ট-৩) তো অ্যাবরশন হয়ে যাবে!
৪২| ৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১০ রাত ৩:৪২
লুকার বলেছেন:
আপ্নের সাথে কি প্রথমালোর কোন কানেকশন আছে?
জাস্ট কৌতুহল।
৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১০ সন্ধ্যা ৬:০৫
ফিউশন ফাইভ বলেছেন: ব্লগার হিসেবে আমি স্বাধীন। সেখানে প্রথম আলো বা অন্য কারো কোনো কানেকশন নেই- এটা আপনাকে নিশ্চিত করতে পারি।
৪৩| ৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১০ ভোর ৬:৪২
ক্লান্ত পথিক ০০০ বলেছেন: হা হা সূত্রবিহীন ভাবে অনুসন্ধানে প্রাপ্ত- জানা গেছে দেখে মজা পেলাম।
আমজনতা হিসেবে আমার একটা প্রশ্নঃ
স্কটিশ যে অভিযাত্রী মূসাকে উদ্ধার করে ক্যাম্পে পৌছে দেন- সেই দূর্ঘটনাটার কথা অথবা সেই স্কটিশ যাত্রীর কথা মুসা একবারও উচ্চারণ করেন নি? কেন?
আর আপনি বলছেন হোয়াইট আউটের কথা...মূসা ইব্রাহিম-আনিসুল হক বলে ক্যামেরার ব্যাটারী শেষ হয়ে যাওয়ার কথা..কাহিনী আসলে কোনটা?
৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১০ সন্ধ্যা ৬:১৪
ফিউশন ফাইভ বলেছেন: স্কটিশ অভিযাত্রী গ্রিনের কথা মুসা অনেকবারই তো বলেছেন। তাকে নেপাল দূতাবাসের সংবর্ধনায়ও নিয়ে গিয়েছিলেন। সেখানে মুসার সঙ্গে তিনি একই মঞ্চে বসেছেন।
আপনি আসলে গুলিয়ে ফেলেছেন ওই বিষয়টা, হোয়াইট আউটের ঘটনা অন্নপূর্ণা ফোরের, এভারেস্টের না কিন্তু।
৪৪| ৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১০ সকাল ৭:২২
clingb বলেছেন: স্বাধীনতার চরমপত্র বলেছেন: এতো জিলাপী বানানোর কী দরকার। স্পষ্ট ছবি বা ভিডিও প্রকাশ করে দিলেই তো ল্যাঠা চুকে যায়।
৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১০ সন্ধ্যা ৬:১৬
ফিউশন ফাইভ বলেছেন: আপনার হয়তো জানা থাকতে পারে, মুসার বেশকিছু ছবি আইডিবি ভবনের প্রেস কনফারেন্সে দেখানো হয়েছে। ঢাকার সবগুলো পত্রিকা ও চ্যানেলের সাংবাদিকরা সেসব ছবি দেখেছেন। কিছু ছবি সামহোয়্যারেই প্রকাশিত হয়েছে ইতিপূর্বে। তবে স্পষ্ট ছবি বলতে ঠিক কী বোঝাতে চাইছেন আপনি? পেশাদার আলোকচিত্রী দিয়ে ঝকঝকে মাঞ্জা মারা ছবি? তাহলে শুনুন, উইকিপিডিয়ায় রাখা মুসার ছবি দেখে 8000ers.com-এর এডিটর কী মন্তব্য করেছেন দেখুন। এই এডিটর ১৯৮১ সাল থেকে মাউন্টেইনারিংয়ের সঙ্গে জড়িত।
Dear ....!
I will not wait for the confirmation source, that I know best. I just changed it in the news section, because I saw the summit photos on Wikipedia and it really looks as it was the true top!
Best wishes
Eberhard
admin, http://www.8000ers.com
এর বাইরে এভারেস্ট যাত্রাপথের ছবি ও অন্যান্য ছবি মুসা ইব্রাহীমের ওয়েবসাইট এবং প্রদর্শনীতে দেখতে পারবেন শীঘ্রই- এটুকু আপনাকে আপাতত জানিয়ে রাখতে পারি।
৪৫| ৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১০ সকাল ৯:৪১
রুদ্রপ্রতাপ বলেছেন: মুসা ভাই, এই জিনিসটা কি? মিশরের পিরামিড?
৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১০ সন্ধ্যা ৬:২১
ফিউশন ফাইভ বলেছেন: উল্টো দিক থেকে সূর্য উঠেছে। এভারেস্টের চূড়ার ছায়া। এটা অনেক সামিটিয়ারের ছবিতে আমি দেখেছি। আপনিও গুগল মেরে দেখতে পারেন। তবে যে হারে ধার সিস্টেমে ব্লগিংয়ের অভ্যাস আপনার, সার্চ করার কষ্টটুকুও করবেন বলে মনে হচ্ছে না!
সাজেশন-
আপনার নেক্সট প্রশ্ন হতে পারে এইরকম- এভারেস্ট কেন সাদা? অমুক ভাই তো বলেছে ওটা নাকি কালো।
৪৬| ৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১০ সকাল ১০:০২
সবাক বলেছেন:
অন্নপূর্ণা-৪ এর চূড়া সুঁইয়ের মতো তীক্ষ্ণ এবং ক্ষুরের মতো ধারালো। সেখানে উঠ্তাম্কিকরে! উঠে আবার সমতল পেলাম কি করে!!
৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১০ সন্ধ্যা ৬:২৩
ফিউশন ফাইভ বলেছেন: সবাক, আপনি জর্মনের কাসেল শহরের হিমু ভাইয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেন। উনি প্রতিদিন সকালের নাস্তা খাওয়ার আগে একবার এবং হাগার পরে একবার অন্নপূর্ণা ফোর পর্বতের ওপর থেকে ঘুরে আসেন! তবে মনে করে দেশ থেকে কিছু বৃত্ত এঁকে নিয়ে যাবেন ওনার জন্য!
৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১০ সন্ধ্যা ৭:০৩
ফিউশন ফাইভ বলেছেন: সবাক, আপনি জর্মনের কাসেল শহরের হিমু ভাইয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেন। উনি প্রতিদিন সকালের নাস্তা খাওয়ার আগে এবং পরে একবার অন্নপূর্ণা ফোর পর্বতের ওপর থেকে ঘুরে আসেন! তবে মনে করে দেশ থেকে কিছু বৃত্ত এঁকে নিয়ে যাবেন ওনার জন্য!
৪৭| ৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১০ দুপুর ১২:২৭
ক্লাউড নাইন বলেছেন: এই বিষয় নিয়ে এখনো আলোচনা চলমান? আমরা বাঙালিরা পারিও। আচ্ছা আমাদের কি আর কোন কাজ কাম (কাম শব্দটাকে অন্য অর্থে নিবেন না।) নাই? এই সংশ্লিষ্ট দেশি বিদেশি ওয়েবসাইট, সংবাদমাধ্যম, প্রতিষ্ঠানের কোন সন্দেহ নাই, আর আমাদের ব্লগারদেরই যত সন্দেহ। এখানকার ছবিগুলো দেখলেই তো বোঝা যায় এগুলো সবই এভারেস্ট টপের ছবি। এই ছবিগুলো দেখে ১৯৮১ সাল থেকে এভারেস্ট এবং পর্বতারোহন সংশ্লিষ্ট বিষয়ের সঙ্গে জড়িত এই সাইটের এডমিন এভারহার্ড জানিয়েছেন এগুলো অবশ্যই টপের ছবি। আর আমরা কোথাকার কোন জ্ঞানী আর বিশেষজ্ঞ এসেছি যে সব বুঝে ফেলছি।
ব্লগের দুই একজন বেকার চেষ্টা করছে মুসাকে নীচে নামানোর।এতে তাদের বেশ বানিজ্যিক লাভ হয়। আবার লাখ লাখ টাকা স্পন্সর পেতে পারেন। কোন লাভ নাই ভায়া। মুসা এখন অন্য উচচ্চতায়। হলুদ পাঞ্জাবীওয়ালা একজন তিন গোয়েন্দার মতো শিশুতোষ গোয়েন্দাগিরি করে হিরো সাজার চেষ্টা করছে। এসব না করে সবাই চলুন নিজেদের অন্য উচ্চতায় নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করি। যেন আমাদেরকে নিয়ে আমরা সবাই গর্ব করতে পারি। আর ধন্যবাদ ফিউশন ফাইভ। এইসব তথ্য সবার জানার খুব দরকার ছিল।
৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১০ সন্ধ্যা ৭:০৮
ফিউশন ফাইভ বলেছেন: আসলে একজন নেটিজেন হিসেবে আমার মনে হয়েছে, যে হারে নেটজগতে মুসার এভারেস্ট অভিযান নিয়ে প্রোপাগাণ্ডা চলছে, পুরো বিষয়টি সম্পর্কে একটি পোড়ামাটি অনুসন্ধান আসলেই জরুরি ছিল।
আপনাকেও ধন্যবাদ আলোচনায় অংশ নেওয়ার জন্য।
৪৮| ৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১০ বিকাল ৩:২৪
ইবনান বলেছেন: এই পোস্টের কমেন্টে কাদা মাটি জল বলেছেন: ভাই, আপনি তো এইসব বাঙ্গাল ব্যাংদের থামাতে পারবেন না, এরা ত পারলে ইউনুসের নোবেলও কেড়ে নেয়, এদের বলে কি লাভ?
একটা গালি না দিয়ে পারছিনা... মুর্খ যত্তোসব।
বাঙালি ব্যাংদের ঢাকনাছাড়া ড্রামে রাখলেই চলে, কারণ কোন বাঙ্গাল যদি ওপরে ওঠে, তো বাকি বাঙ্গাল ব্যাংরা তাকে টেনে নিচে নামাতেই চায়।
সহমত।
০৩ রা অক্টোবর, ২০১০ রাত ১১:৩৪
ফিউশন ফাইভ বলেছেন: কাদা মাটি জল পুরনো সেই তিক্ত সত্যটিই পুনর্বার উচ্চারণ করেছেন মাত্র।
৪৯| ৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১০ বিকাল ৩:৪২
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
তার কাছে এতো বড় প্রতারণা আশা করিনি।
০৩ রা অক্টোবর, ২০১০ রাত ১১:৩৫
ফিউশন ফাইভ বলেছেন: ঠিক কতোটুকু বড়ো হতে পারে এই প্রতারণা? পাল্লায় মেপে জানাবেন কি একটু? তার আগে জানিয়ে রাখি, চিলে কান নেয়নি। ভুল শুনেছেন।
৫০| ৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১০ সন্ধ্যা ৬:৫০
জাকির সজিব বলেছেন:
ভাইজানরা এইমাত্র মুসা ইব্রাহীম অামাকে মুঠোফোনে বলল সে মিথ্যা বলেছে মিডিয়াকে। অামি বললাম কেন অাপনি এমন করলেন, তিনি বললেন গত কয়েকবছর বাংলাদেশ দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ান হয়েছে , যেটা খুবই লজ্জাজনক এবং হতাশাজনক। তাই অামি দেশের মান সম্মান ফিরিয়ে অানার জন্য এটা করছি।
তো ভাইজানরা বলছিলাম কি অার নিজেদের মাঝে ঝগড়া-বিবাদ না করে দেশের সম্মান কিভাবে বাড়ানো যায় সেই চিন্তা করি।
০৩ রা অক্টোবর, ২০১০ রাত ১১:৩৫
ফিউশন ফাইভ বলেছেন: আপনার রসবোধ প্রশংসনীয়।
৫১| ৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১০ সন্ধ্যা ৬:৫৬
মুরুববী বলেছেন:
প্রথমেই বলি এই বিষয়ে সত্য মিথ্যায় কিছুই যায় আসে না। আমার তেমন আগ্রহও নাই। তাও মাঝে মাঝে কিছু কিছু পোষ্ট পড়ি কারন অনেক মন্তব্য পাওয়া যায়। একি কারনে এইটাও পড়লাম। এখন একটা মন্তব্য করি।
বাংগালী যে খারাপ, আরেকজনের ভালো দেখতে পারে না এটা নতুন না। মূসা ঠিক ঠিক ই উঠলে যারে তারে পার্সোনালি চিনে, মানে যাদের সাথে তার রেষারেষি আছে তারা তাকে বাশ দিবেই। এটা নরমাল ঘটনা আমাগো দেশে।
তবে, মুসারও কিছু লক্ষন খারাপ। আরে ব্যাটা যখন প্রথম কেউ চ্যালেন্জ করলো, তারে কানটা ধইরা ক্লিয়ার কইরা ঘটনা টার সত্যি ব্যাখ্যাটা দিলেই খেলা খতম হয়। তা না করে সে হেয়ালী করছে।
এইযে আপনি কি সুন্দর একটা হোয়াইট অফ থিউরি দিলেন, অনেকেই (আমিও ) জানতাম না এটা। তো এই জিনিশটা এত মাস পড়ে আপনে না বলইলা , মূসা যদি শুরুতঐ বলত যে,
"বাবা হোয়াইট অফ ছিল তাই ছবি এমন হইছে। এখন যাও গিয়া আব হাওয়া অফিসে খোজ নাও গা যদি সন্দেহ থাকে। "
তাইলেই ঘটনা মিমাংসা হয়। তা না। একেকজন কিছু দিন পরে পরে একেকটা প্রমান (পক্ষে / বিপক্ষে ) নিয়া হাজির হয়।
এই ব্লগে দুরন্ত পথচারী না কি জানি একজন মুসার কিছু ফেসবুক রিপ্লাই স্ক্রিনশটে দিয়েছিল। সেখানে দেখলাম মূসা মহা হেয়ালী করে আনসার দেয়। আরে এইসব কি? ব্যাটা এত বড় কাম করছস একটু ভদ্র ভাবে আনসার দিতে সমস্যা কোথায় ?? নাটক োদানোর কি দরকার ?
এখন কিছু মন্তব্যের আনসার দেই, এগুলা পড়লে হুদাই মিজাজটা বিলা হয়।
যেমন
ক্লাউড নাইন বলেছেন: আচ্ছা আমাদের কি আর কোন কাজ কাম (কাম শব্দটাকে অন্য অর্থে নিবেন না।) নাই? এই সংশ্লিষ্ট দেশি বিদেশি ওয়েবসাইট, সংবাদমাধ্যম, প্রতিষ্ঠানের কোন সন্দেহ নাই, আর আমাদের ব্লগারদেরই যত সন্দেহ।
আমাগো যে কাজ কাম একটু কম এইটা নতুন কিছু না। আমাগো দেশের রেকর্ডেই এটা স্পষ্ট। তবে দুইনম্বর কথা যেটা কইলেন সেটা একটা ভুয়া কথা। বিদেশী মানুষ সন্দেহ কম করে কারন ওগো দেশে মিথ্যুকের পরিমান আমাগো তুলনায় কম। এইজন্য ওরা বিশ্বাস বেশী করে। বাংগালিরে বিশ্বাস কম করে বাংগালীরাই , কারন আমরা জানি যে আমরা কত বড় মিথ্যুক জাতি।
ইবনান বলেছেন:
কয়েক ক্যান বিয়ারের বিনিময়ে যে কিনা নিজের দেশের জাতীয় অর্জনকে অবিশ্বাসের প্যাঁচে ফেলতে চায়, যে কিনা গোটা বিশ্বের সামনে বাংলাদেশকে হেয় করে, হাস্যকর করে
এইটাও একটা ফাউল কথা। মুসা এভারেস্টে চইরা কিংবা না চইরা এমন কিছু করে নাই যে দেশের মান ইজ্জত যাইব গিয়া। দেশের মান ইজ্জত ুইদা লালা কইরা ফেলাইছে রাজনিতীবিদরা মেলা আগেই। নতুন কইরা যাওনের আসনের কিছু নাই ।
বাই দ্যা ওয়ে, হিমু নামে যে ব্যাক্তির কথা বলা হইল, তার লেখার লিন্ক কোথাও পাওয়া যাবে, কেউ পারলে একটু দিয়েন।
০৩ রা অক্টোবর, ২০১০ রাত ১১:৩৫
ফিউশন ফাইভ বলেছেন: আপনার মন্তব্যে ভাবনার খোরাক আছে। ধন্যবাদ মুরুব্বী।
৫২| ৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১০ সন্ধ্যা ৭:২৬
সরল মানুষ বলেছেন:
০৩ রা অক্টোবর, ২০১০ রাত ১১:৩৬
ফিউশন ফাইভ বলেছেন: এই ইমোটিকন দিয়ে ঠিক কী প্রকাশ পায় বুঝতে পারছি না। তবু আপনাকে ধন্যবাদ জানাই।
৫৩| ৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১০ রাত ৮:০০
ক্লাউড নাইন বলেছেন: @মুরুববী এবং মুরুববীগ্রোত্রীয় লোকজন:
জনপ্রিয় ম্যাগাজিন অনুষ্ঠান ইত্যাদিতে (এখন দিন দিন ‘এগ্রিকালচার’ হচ্ছে) একবার দেখাইছিলো সুন্দর স্বাস্থের বিদেশি অনেকগুলা ছেলে মেয়ে বাংলাদেশে আসছে। তারা বিভিন্ন গ্রামে ঘুরে বেড়াচ্ছে-লুঙি পড়ে, সালোয়ার কামিজ, শাড়ি পড়ে। সম্ভবত তারা ছিল নেদারল্যান্ডের। বংলাদেশের মানুষ নাকি বিশ্বের সবচেয়ে সুখী মানুষ। এটা তখন বেশ প্রচার পাইছিল। সেটা সরেজমিনে বোঝার জন্যই তারা এখানে আসছিল। যাওয়ার আগে ইত্যাদিকে তারা বলে গেছিল, সত্যিই তাদের মনে হয়েছে এই দেশের মানুষ খুব সুখী।
এই খবর দেখে আমি তখন খুব অবাক হইছিলাম। কস কি মমিন, কেমনে কি! টিভিতে যে দেখি তারা সুন্দর বার্গার খায়, কাবে যাইয়া নাচানাচি করে, রাস্তাঘাটে ছেলেতে মেয়েতে জড়াজড়ি করে। তারপরও তারা সুখী না? আর আমগো খাওয়ার দৌড় টঙ্গের চায়ের দোকান, নাচানাচির কোন বালাই নাই, থাকলেও নাচানাচির জায়গায় দুইদিন পরে পরেই পুলিশ ধড়পাকড় করে আর রাস্তাঘাটে জড়াজড়িতো দুরের কথা আমাগো বিবাহিত পুরুষগুলাও যৌথ পরিবারে গভীর রাত ছাড়া বউকে জড়ায়া ধরার সুযোগও পায় না। তাইলে সুখীটা কেমনে? সুখটা তাদের আসে কোথা থেইকা? তখন বুঝি নাই কোথা থেইকা আসে সুখ। এখন বুঝছি সুখটা এই বাঙালির আসে কোথা থেইকা। অন্যের পা টাইনা ধরা থেকেই বাঙালির সুখ। হ্যাপিনেস কামস ফ্রম পুলিং ঠাঙ। দেশে যেহেতু বাঙালির অভাব নাই তাই পায়েরও অভাব নাই। মিনিমাম একেকটা বাঙালির দুইটা করে পা তো আছেই। তার উপর খেয়াল করে দেখলেই দেখা যায় অনেকের চারটা কইরা পা। যত পা তত টানাটানি, তত সুখ। কাজেই এই দেশের মানুষ সুখী হবে না তো কোন দেশের মানুষ সুখী হবে?
দেশে গণতন্ত্র (?) চললেও আমরা আসলে মনে মনে সবাই সমাজতন্ত্রে (কম্যুনিজম নাকি সোস্যালিজম?) বিশ্বাসী। কাউকে সামনে এগিয়ে যেতে দিব না। সবাই রব এক কাতারে। মুসা তুমি কেমনে আমাগো ছাইড়া ওইখানে উইঠা গেলা। তুমি কি তবে বাঙালি নও? ঠিক আছে, উঠছ ভালো কথা। এখন আমাদের ফ্যাভার কর। এখন আমরা সুখী হইতে চাই, তাই সবাই মিলিয়া তোমার পা টানিয়া ধরিব। প্লিজ তুমি আমাদের সুখ প্রাপ্তি থেকে বঞ্চিত করো না।
০৩ রা অক্টোবর, ২০১০ রাত ১১:৪০
ফিউশন ফাইভ বলেছেন: মজা পেলাম আপনার মন্তব্য পড়ে।
৫৪| ৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১০ রাত ৮:১৩
সাহসী বলেছেন: @ লুকার
ব্লগার হিসাবে এই পোস্ট লেখক স্বাধীন হতে পারে কিন্তু এই পোস্টের লেখক প্রথম আলোর রিসার্চ অ্যান্ড মার্কেটিং বিভাগে কাজ করেন, এ বিষয়ে নিশ্চিত থাকেন।
(ডিসক্লেইমার: মুসা যে সামিট করছেন এ বিষয়ে আমার কোনও সন্দেহ নাই। কারন, এভারেস্টের সব মাউন্টেনেয়ারিং প্লাটফর্মই তার সামিটকে রিকগনাইজ করছেন। আমি এমন কে যে ওইসব টেকনিকাল নো হাউ জানব? ফলে বিশেষ বিশেষ ক্ষেত্রে ওই ক্ষেত্রের সংশ্লিষ্ট লোকজন ও প্রতিষ্ঠানই ট্রাস্টেড রেফারেন্স। এখানে কমুনাল কাজীপাড়া রাইটার্স ফোরামের কিম্বা ফিউশন ফাইভ টাইপ পিআরের দরকার নাই।)
০৩ রা অক্টোবর, ২০১০ রাত ১১:৪০
ফিউশন ফাইভ বলেছেন: এটা ঠিকই বলেছেন যে, এভারেস্টের সব মাউন্টেনেয়ারিং প্লাটফর্মই যেখানে মুসা ইব্রাহীমের সামিটকে রিকগনাইজ করেছে, সেখানে এ নিয়ে ফাউ বিতর্কের অবকাশ নেই।
ধন্যবাদ আপনাকে।
৫৫| ৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১০ রাত ৮:৪৬
কৌশিক বলেছেন: জ্যামেতিক বিভিন্ন সিম্বল দেখছি ব্লগে ট্রেডমার্ক হয়ে যাচ্ছে। ত্রিভূজের পরে বৃত্ত....। এবং আশ্চর্যের বিষয় হলো আজকে যতবার আমি বৃত্ত আঁকতে গেলাম সব হয়ে গেলো ত্রিভূজ...তারমানে বৃত্তের মাত্রাগুলো একটু সরল করে দিলেই সেটা ত্রিভূজে রূপান্তরিত হবে। কিন্তু ত্রিভূজকে বৃত্তে পরিণত করতে হলে বেশ খানিকটা পেচাতে হবে।
০৩ রা অক্টোবর, ২০১০ রাত ১১:৪৩
ফিউশন ফাইভ বলেছেন: গুরুত্বপূর্ণ পর্যবেক্ষণ আপনার। আসুন বৃত্ত আঁকায় মনোযোগী হই বস।
৫৬| ৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১০ রাত ৯:০২
দূর্যোধন বলেছেন: হাহাহাহাহাহাহা!!!!
কমেন্ট নাযিল হৈছে পেচুক ত্যানা ,আরো পেচুক
আমরা আম-জনতা, কে এভারেস্টে উঠলো আর কে এর উপর উঠলো ,তা কয়দিন মনে থাকবো !!
যাউগ্গা , খেলা জইম্যা উঠছে , তার মানে হৈল, আম-জনতা আরো কনফিউসড হৈবো !
০৩ রা অক্টোবর, ২০১০ রাত ১১:৪৩
ফিউশন ফাইভ বলেছেন: না, এবার সব খোলাখুলি। কনফিউজড হওয়ার সুযোগ নেই।
৫৭| ০১ লা অক্টোবর, ২০১০ রাত ১২:৩৬
কথক পলাশ বলেছেন: মুসা ইব্রাহিম নিজেই ব্যাপারটা ঘোলা করেছেন। তিনি এ ব্যাপারে কোন স্পষ্ট কথা বলেন নি। আপনার কাছে আমার মাত্র ৩টা প্রশ্নঃ
১. চুলু ওয়েস্ট জয় না করেই মুসা সার্টিফিকেট পেল (এটা মুসা ইব্রাহিমের বক্তব্য)-তাহলে সার্টিফিকেটের মূল্য রইলো কই?
২. মুসা ইব্রাহিম কি তার পূর্ববর্তী পর্বতাভিজান গুলোতে সততার পরিচয় দিয়েছেন?
৩. 'হিমু সাহেব' যুক্তি দিয়ে লিখেছেন, ধরে নিলাম তিনি পর্বতারোহণে যাননি-বিধায়, উনার যুক্তিগুলো কী-বোর্ড নির্ভর এবং কফি খেতে খেতে বানানো। সে ক্ষেত্রে ফিউশন ফাইভের বাড়তি যোগ্যতাটা কি জানতে পারি-যার হাত ধরে তাঁর যুক্তি নির্ভরযোগ্য হবে?
হিমু সাহেব আর আপনার মধ্যে একটা মাত্র তফাৎ খুঁজে পাচ্ছি। সেটা হচ্ছে-হিমু সাহেব লিখেছেন "মুসা ইব্রাহিম সামিট করেন নি" এই সিদ্ধান্ত নিয়ে, আর আপনি লিখেছেন "মুসা ইব্রাহিম সামিট করেছেন" এই সিদ্ধান্ত নিয়ে।
এছাড়া কোন তফাৎ দুজনের মধ্যে দেখিনা।
০৩ রা অক্টোবর, ২০১০ রাত ১১:৪৭
ফিউশন ফাইভ বলেছেন: চুলু ওয়েস্ট জয় না করেই মুসা সার্টিফিকেট পেল (এটা মুসা ইব্রাহিমের বক্তব্য)-তাহলে সার্টিফিকেটের মূল্য রইলো কই?
পর্বতারোহণ অনেকটা যুদ্ধযাত্রার মতোই ব্যাপার। যুদ্ধক্ষেত্রে যেমন, পর্বতারোহণেও তেমনি দলনেতার সিদ্ধান্ত সব সময় মেনে চলতে হয়। সজল খালেদ ওই অভিযানে দলনেতা ছিলেন। অনুসন্ধান চালিয়ে আমি যেটুকু জেনেছি, তাতে দেখা গেছে, দলনেতা হিসেবে সজল খালেদ একাই সব সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। চুলু ওয়েস্ট 'বিজয়ে' সবার সার্টিফিকেট নেওয়ার সিদ্ধান্তও তার একক সিদ্ধান্তই ছিল। কিন্তু দলনেতা হলেও সজল খালেদের এই অপকর্ম মেনে নিতে পারেননি মুসা। তাই দেশে ফিরে এসে দলনেতার এই মিথ্যাচার ফাঁস করে দেন মুসা। সত্য প্রকাশ করে দেওয়ায় মুসার ওপর খেপে ওঠেন সজল। এর জের ধরে বিএমটিসি থেকে সুকৌশলে বের করে দেওয়া হয় মুসাকে। এই বিএমটিসি থেকে মুসা নিজের টাকা খরচ করে 'শিখর পেরিয়ে' নামে বাংলাদেশের প্রথম অ্যাডভেঞ্চার বুলেটিন বের করে, যার দায়িত্ব পরে সজল খালেদ নেন। তবে মুসা বেরিয়ে যাওয়ার পর থেকে সেটা অনিয়মিত হয়ে পড়ে।
আর বলে রাখা ভালো, চুলু ওয়েস্টের উচ্চতা যেহেতু সাত হাজার মিটারের কম, সে কারণে সেখানে কোনো অফিসিয়াল লিয়াজো অফিসার পর্বতারোহীদের সঙ্গে যান না। কিন্তু সাত হাজার মিটারের উঁচু পর্বতে লিয়াজো অফিসার থাকা বাধ্যতামূলক। সার্টিফিকেটও তাই বেশ কড়াকড়ি নিয়মের ভেতর দিয়ে পেতে হয়। কাজেই সেই সার্টিফিকেটের মূল্য আপনি আশা করি নিজ জ্ঞানে বুঝতে পারবেন।
মুসা ইব্রাহিম কি তার পূর্ববর্তী পর্বতাভিযানগুলোতে সততার পরিচয় দিয়েছেন?
নিজেই নিজের কাছে প্রশ্ন রাখুন, সততার পরিচয় না দিলে মুসা ইব্রাহীম তো চুলু ওয়েস্ট কেলেঙ্কারির পর ঢাকা এসে চুপ করেই থাকতেন। সাহস করে নিজেদের ব্যর্থতার কথা স্বীকার করতেন না, তাই নয় কি?
'হিমু সাহেব' যুক্তি দিয়ে লিখেছেন, ধরে নিলাম তিনি পর্বতারোহণে যাননি-বিধায়, উনার যুক্তিগুলো কী-বোর্ড নির্ভর এবং কফি খেতে খেতে বানানো। সে ক্ষেত্রে ফিউশন ফাইভের বাড়তি যোগ্যতাটা কি জানতে পারি-যার হাত ধরে তাঁর যুক্তি নির্ভরযোগ্য হবে?
এই লেখার শীর্ষদেশে তিনটি বৃত্ত এঁকেছি বটে, তবে যুক্তি-কুযুক্তি-ছিদ্রান্বেষণ করে প্রমাণ করার চেষ্টা করিনি যে, মুসা ইব্রাহীম এভারেস্ট চূড়োয় উঠেছেন। এই লেখাকে আপনি বলতে পারেন অনুসন্ধানী সাংবাদিকতা। এই লেখার লাইনে লাইনে আছে চুলচেরা অনুসন্ধানের ছোঁয়া। সাংবাদিকতার যোগ্যতা সম্ভবত আমার আছে, নইলে এতোটা বছর সাংবাদিকতা করে পেট চালাতে পারতাম না।
আর তফাৎ না দেখাটা একেবারেই দৃষ্টিহীনতার সমস্যা। এর সমাধান একটিই- দয়া করে আপনি আপনার দেখার পরিধিটি বাড়িয়ে নিন।
ধন্যবাদ আপনাকে।
৫৮| ০১ লা অক্টোবর, ২০১০ রাত ১:২১
ক্লাউড নাইন বলেছেন: একদম মনের কথাগুলোই বলেছেন নায়ীম হোসাইন। অসাধারন লেখা।
০৩ রা অক্টোবর, ২০১০ রাত ১১:৪৯
ফিউশন ফাইভ বলেছেন: ভালো হয়েছে নায়ীম হোসাইনের ওই লেখাটা।
৫৯| ০১ লা অক্টোবর, ২০১০ রাত ১:৩৫
ক্লাউড নাইন বলেছেন: মুসা ইব্রাহীমের এভারেস্ট অভিযানের গল্প শুনুন তার নিজের বয়ানে। এখানে।
৬০| ০১ লা অক্টোবর, ২০১০ রাত ১:৪৯
ইবনান বলেছেন: এই ব্লগ যারা পড়ছেন, তাদের জাস্ট দুইটা জিনিসের প্রতি ব্যাপকভাবে দৃষ্টি আকর্ষণ করছি
জিনিস নং ১
নটিপুত্র হিমু লিখেছেন,
তবে এম এ মুহিতের দেখা না দেখা আসলেই কোনো ব্যাপার না
ওরে চোদনা হিমু, মুসা যে এভারেস্টে উঠে নাই, এর সবচেয়ে বড় প্রমাণ হিসেবে তোর ভাই সজল খালেদ লিখেছিল, মুহিতের সাথে মুসা তো দেখা হয় নাই। এই ব্যাপারটা আসলেই অস্বাভাবিক ছিল। বাংলাদেশ থেকে একই সময়ে, একই রুট দিয়ে দুই বঙ্গ সন্তান গেল, অথচ মুহিত মুসাকে দেখল না, এটা স্পষ্ট প্রমাণ করে হয় মুসা নয়তো মুহিত মিথ্যা বলছে, নয়তো দুইজনের কেউ একজন গেছে , অপরজন যায় নাই।
খুব স্বাভাবিক কারণে এটা নিয়ে একটা কনফিউশন তৈরী হল। খুব কঠিন এবং ঘোলাটে কনফিউশন। পরবর্তীতে মুহিত স্বীকার করলো, তার সাথে মুসার দেখা হয়েছিল। ব্যাস ,এতে সকল দ্বিধা কেটে গেল। কিন্তু দ্বিধা কেটে গেল হিমুর ব্লগিং ক্যারিয়ারে ধ্বস নামবে। তাকে বিয়ারের পয়সা কে দেবে? অমনি হিমু লেখা শুরু করলো, তবে এম এ মুহিতের দেখা না দেখা আসলেই কোনো ব্যাপার না
কেন ব্যাপার না হিমু? কেন ব্যাপার না? দুইজন একই সময়ে , একই রুট দিয়ে , একই এভারেস্টে গেল...অথচ দুইজনের দেখা হল কি হল না, এটা কোনও ব্যাপার না কেন? তুই বিয়ার খেয়ে টাল, তাই বলে কি গোটা জাতি টাল হয়ে গেছে?মানুষকে তুই কী ভাবিস, তোর মতো রামপাঠা?
জিনিস নং ২
প্রিয় ব্লগার, আপনারা হিমুর ব্লগে যান, গিয়ে হিমুকে ওপরের প্রশ্নটা করুন। দেখবেন আপনার কমেন্ট প্রকাশিত হচ্ছে না। কারণ কোনো যুক্তি হিমুর বিপক্ষে গেলে হিমু সেটা পাবলিশড করেনা। হিমু যে নিজেই সচলায়তনের মডারেটর। পৃথিবীর কোথাও এত নিলর্জ্জ মডারেশন পাবেন না। স্বয়ং বিটিভির মডারেশনও এতো নিলর্জ্জ নয়। সচলায়তনের কয়েকজন নেতা আছেন,তাদের কোনও পোস্টের সমালোচনা করলে , সেটি ছাপা হয় না। বলা হয়, আপনার কমেন্ট অথবা লেখা মডারেশন কিউতে আছে। ওটি ওই কিউতেই আজীবন থাকবে। চরিত্রগত দিক থেকে সচলায়তন ব্লগ, যুবদল এবং যুবলীগের কেন্দ্রীয় নেতাদের মধ্যে কোনও পার্থক্য নেই।
এজন্য যুক্তি যখন হিমুর বিপক্ষে যায়,তখন সেই যুক্তি হিমু প্রকাশ করে না। অন্য ব্লগে সেই যক্তি প্রকাশ করলে হিমু বলে, তবে এম এ মুহিতের দেখা না দেখা আসলেই কোনো ব্যাপার না
পাবনার জেলা প্রশাসকরা কেদেছিলেন, সেই ছবি পেপারে প্রকাশিত হয়েছে, টিভিতেও দেখিয়েছে। অথচ আওয়ামী নেতারা জোর গলায় বলছেন, পাবনার ডিসিরা কাদেননি।
হিমুকে যে নটিপুত্র বললাম, সেটি কি এমনি?
০৩ রা অক্টোবর, ২০১০ রাত ১১:৫১
ফিউশন ফাইভ বলেছেন: আপনার কথায় যুক্তি আছে। তবে ভাষা ব্যবহারে একটু সংযত হওয়া উচিত বৈকি।
৬১| ০১ লা অক্টোবর, ২০১০ রাত ১:৫৬
পরিবেশবাদী ঈগলপাখি বলেছেন: বিশাল প্যাচ !!!!!!!!!!!!!!!!!!! এইসব দেখলে খুব খারাপ লাগে, ঐ হিমু ভদ্রলোক রে পাইলে জিগাইতাম , আচ্ছা ভাই মুসা না হয় উঠে নাই, আপনি এভারেস্ট না পারেন একটা মাটির টীলায় উইঠা ছবি তুলেন, এতো লেখে লেখে দেশ উদ্ধার করার চেয়ে
০৩ রা অক্টোবর, ২০১০ রাত ১১:৫২
ফিউশন ফাইভ বলেছেন: হাহাহাহাহা। হলুদ হিমু ভদ্রলোক রে পাইলে আমিও জিগাইতাম , আচ্ছা ভাই মুসা না হয় উঠে নাই, আপনি এভারেস্ট না পারেন একটা মাটির টীলায় উইঠা ছবি তুলেন, এতো লেখে লেখে দেশ উদ্ধার করার চেয়ে।
৬২| ০১ লা অক্টোবর, ২০১০ রাত ২:০৯
মুরুববী বলেছেন:
ক্লাউড নাইন, আপনের রিপ্লাই বুঝলাম না কিছুই। আমিতো আপনে রিপ্লাই এ যা লিখছেন তাই বলছিলাম। আমি ও তো সেটা স্বীকার করছি আগেই। নাকি ?
০৩ রা অক্টোবর, ২০১০ রাত ১১:৫২
ফিউশন ফাইভ বলেছেন: উনি মনে হয় আপনার মূল বক্তব্য বুঝতে পারেননি।
৬৩| ০১ লা অক্টোবর, ২০১০ রাত ২:২৮
অ্যামাটার বলেছেন: আচ্ছা, নেটিজেনরা নেট সাফ করে প্রমাণ করেই ফেলল, মুসার নেভারেস্ট জয়; ফায়দা? সচলায়তনের ব্যানারে কি এভারেস্টে বাংলাদেশের পতাকা উঠবে?
পর্বত তো দূরের কথা, একজন বিশিষ্ট ঘরকুনো হিসেবে মাটির ঢিবিও পাড়ি দিয়েছি বলে মনে পড়ে না কখনও। সেজন্যই এই বিষয়ে নাক গলাতে যাইনি আগে, এটা আমার বিষয়ও না। তারপরও অবাক হচ্ছি, মানুষের অযথা গায়েপড়ে অনর্থক পরশ্রীকাতরতায়! প্রথম যখন একজন ট্রেকার কিছু সঙ্গতিপূর্ণ প্রশ্ন তুলল, সে পর্যন্ত নাহয় জাস্টিফাই করা যায়। প্রফেশনাল জেলাসি থাকতেই পারে। সে ও যখন অভিনন্দিত করল মুসা কে, তারপর এটা নিয়ে আর প্রশ্ন কেন? আর দলিল-দস্তাবেজ জোগাড় করে স্যার অ্যাডমন্ড হিলারির এভারেস্ট জয়-ও খারিজ করে দেওয়া যায় হয়ত, যদি কেউ তর্কে সুখ পায়!
০৩ রা অক্টোবর, ২০১০ রাত ১১:৫৭
ফিউশন ফাইভ বলেছেন: আসলে অ্যামাটার, বাংলাদেশে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই সঠিক জায়গায় সঠিক লোকটি নেই। আবার কিছু কিছু জায়গায় সঠিক লোক থাকলেও তার ভুল ধরার জন্য সঠিক লোক নেই। সঠিক লোকের ভুল ধরে বেঠিক লোক। মুসার ব্যাপারটায় দেখুন, তার মতো একজন পর্বতারোহীর ভুল ধরতে আসছে হিমু-টিমু এরা। কী আর করবেন। আগামী বইমেলায় এইসব ত্যানা নিয়ে হিমু প্রণীত একটি চটিবইয়ের জন্য অপেক্ষায় থাকি বরং!
৬৪| ০১ লা অক্টোবর, ২০১০ রাত ২:৪৬
ইবনান বলেছেন: হিমুর সেই মুরোদ নাই @ পরিবেশবাদী ঈগলপাখি। ও নিজের দুই বিচি নিয়েই তিন কদম যাইতে পারে না , ওরে কইতাছেন টিলায় উঠতে। ওর মতো বামন বিছানায় শুয়ে শুয়ে নিজের উচ্চতা দিয়া অন্যের যোগ্যতা মাপতে চায়। ওর যোগ্যতা যতটুকু, ও শুধু ততটুকুই ভাবতে পারে।
আর খুব কম মানুষই নিজের অভিজ্ঞতার বাইরে যেতে পারে। হিমু গোটা জীবন ব্যর্থতা আর ফটকাবাজিতে ভরা। বিতার্কিক হইতে চাইছিলো, ওর যুক্তির ধার দেখে অন্য বির্তাকিকরা হেসেই কাত। ওর হাস্যকর বিতর্ক শুনে বুয়েটের ভাইরা উপদেশ দিয়েছিলো, হিমু তুমি বরং চানখারপুল বস্তিতে গিয়ে কলপাড়ের মহিলাদের সাথে তর্ক করো। ভার্সিটি লাইফের সেই ব্যর্থ বিতার্কিক এখন বিশিষ্ট যুক্তিবাদী ব্লগার।
বাংলাদেশের এমন কোনও পত্রিকা নাই যেখানে হিমু লেখা পাঠায় নাই। সাংবাদিক তো দূরের কথা জীবনে সে একজন ব্যর্থ কন্ট্রিবিউটরও হতে পারলো না। সেই হিমু এখন প্রসিদ্ধ অন লাইন জার্নালিস্ট।
তিন তিনবার বিসিএস দিয়ে প্রিলি পর্যায়ে ফেল করে ....মাহবুব আজাদ আজ হিমু নাম ধারণ করে জার্মানি বসে ব্লগিং করেন। নিজের ব্লগে লিখে রেথেছেন, তার পেশা তড়িত প্রকৌশলী ...যদিও জার্মানিতে কেউ তাকে একটা টিউব লাইট লাগানোর কাজ তাকে দিয়েছে বলে শোনা যায়নি।
এই বামন হিমুর পক্ষে এটা মেনে নেয়া খুবই কষ্টকর যে, কোনও মানুষ এভারেস্টে উঠতে পারে।
০৪ ঠা অক্টোবর, ২০১০ রাত ১২:০১
ফিউশন ফাইভ বলেছেন: এটাও আমিও শুনেছিলাম একজনের কাছ থেকে। বুয়েটে হিমুর হাস্যকর বিতর্ক শুনে সিনিয়র ভাইরা তাকে উপদেশ দিয়েছিলো, হিমু তুমি বরং চানখারপুল বস্তিতে গিয়ে কলপাড়ের মহিলাদের সাথে তর্ক করো। হাহাহা।
৬৫| ০১ লা অক্টোবর, ২০১০ রাত ৩:০৯
ইবনান বলেছেন: আজ গাভী হিমু একটা ঐতিহাসিক উক্তি প্রসব করেছেন,
অন্য লোকের পর্বতজয়ের ছবি ঝাপসা, অতএব আমার ঝাপসা ছবিও পর্বতজয়ের প্রমাণ, এই যুক্তিটা ফালতু হয়ে গেলো না? এমন কি হতে পারে না, তাদের পর্বতজয়ের দাবি নিয়েও প্রশ্ন তোলা যায়?
প্রিয় পাঠক, হিমুর ফ্যালাসিগুলা খিয়াল করেন। মুসাকে নিয়ে অপপ্রচারের শুরুতে, মুসা এভারেস্টে চূড়ার ছবি দিল। ছবিতে দেখা গেল, মুসার মুখ অক্সিজেন মাস্কে ঢাকা। হিমু কু ধরলেন, অক্সিজেন মাস্কের আড়ালে ওটি কার মুখ ?মুসার মুখ তো মনে হচ্ছে না।
বিয়ারের নেশা কেটে গেলে হিমু বুঝলেন, ওটি আসলে মুসার মুখ। সাথে সাথে হিমু নতুন পো ধরলেন, পর্বতশীর্ষে মুসার স্পষ্ট ছবি চাই। নতুন প্যাচ লাগানোর বদৌলতে হিমুকে বিয়ার সরবরাহ করা হল। বিয়ারের নেশায় মাতাল হিমু বাঙালিকে বুঝাতে চাইলেন, এভারেস্টে উঠার সময় লোকজন শুটিং পার্টি নিয়া ওঠে। একজন চীফ ক্যামেরাম্যান থাকে, তার সাথে থাকে দুইজন সহকারী অ্যাসিসট্যান্ট। সাথে একটি লাইট ইউনিট থাকে। লাইট ইউনিটে তিনজন লাইট ম্যান থাকে। এজন্য অন্য এভারেস্টজয়ীদের ছবি খুব স্পষ্ট থাকে,কিন্তু মুসার ছবি স্পষ্ট নয় কেন ?
এ সময় তাকে অন্য এভারেস্টজয়ীদের ছবি সরবরাহ করা হল। তাতে দেখা গেল,সবার ছবি প্রায় একই রকম। সেই ছবির সাথে মুসার ছবির হুবহু মিল। হিমুর নেশা পুনরায় কেটে যাবার জোগাড়। পাছে এই গাভীটি হতাশায় মরে যায়, এজন্য তাকে বিশেষ মহল থেকে পুনরায় বিয়ার জোগান দেয়া হল। সেই বিয়ারের সাথে মাউন্টেন ডিউ মিশিয়ে গতকাল রাতে হিমু লিখলেন সেই বালজয়ী থুড়ি কালজয়ী লাইন ...
অন্য লোকের পর্বতজয়ের ছবি ঝাপসা, অতএব আমার ঝাপসা ছবিও পর্বতজয়ের প্রমাণ, এই যুক্তিটা ফালতু হয়ে গেলো না? এমন কি হতে পারে না, তাদের পর্বতজয়ের দাবি নিয়েও প্রশ্ন তোলা যায়?
কাজেই হিমুর সংশয় এখন কেবল মুসাকে নিয়ে না। তার প্রশ্ন, সারা পৃথিবীর শত শত এভারেস্টজয়ীদের সততা নিয়ে। সবাই ফ্রড, মিথ্যাবাদী, কেবল পৃথিবীতে হিমু একলাই সত্যবাদী।
প্রিয় ব্লগারগণ, জাস্ট ঠান্ডা মাথায় ব্যাপারটা একবার চিন্তা করেন। এতদিন এই নটিপুত্র বলে আসছিল,মুসার সাথে অন্য পর্বতারোহীদের ছবির কোনও মিল নাই। যেই মিল পাওয়া গেল,তখন ও বলা শুরু করলো- অন্য পর্বতারোহীরাও ভুয়া।
আমি বিনয়ের সাথে সংশ্লিস্টদের এই মর্মে অনুরোধ করতে চাই, হিমুর কাছাকাছি যদি কেউ থেকে থাকেন, তাহলে জাতীয় স্বার্থে ওর পোঁদে একটা শক্ত লাথি মারেন। ওর নেশা কেটে যাবে। ওর নেশা কাটানো উচিত। কেবল জাতীয় স্বার্থে না, বৈশ্বিক স্বার্থেও।
০৪ ঠা অক্টোবর, ২০১০ রাত ১২:০১
ফিউশন ফাইভ বলেছেন: ভাষাগত অসংযম থাকলেও আপনার বক্তব্য যুক্তিপূর্ণ। ধন্যবাদ আপনাকে।
৬৬| ০১ লা অক্টোবর, ২০১০ রাত ৩:২২
ইবনান বলেছেন: হিমুর দ্বিতীয় ফ্যালাসিটা আরও মজার।
হিমুর গাদা খানেক লোককে ফোন দিচ্ছেন। রাত নেই, দিন নেই, ফোন দিয়েই যাচ্ছেন। তিনি মধ্যে তিনি কিছু প্রমাণ জোগাড় করেছেন। যেগুলো তিনি নেভারেস্ট ৩ পর্বে দেবেন বলে ঘোষণা দিয়েছেন। তিনি কয়েকজন কর্পোরেট লোকের সাক্ষাতকার নিয়েছেন। মুসাকে কোন এক বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান তাদের কোনও ইভেন্টে আমন্ত্রণ জানিয়ে ছিলেন, মুসা ৫ লাখ টাকা চাওয়ায়, মুসাকে সেই ইভেন্টে নেয়া হয়নি।
তো?
তো এতে প্রমাণিত হল, মুসা এভারেস্টে উঠে নাই। এই হচ্ছে হিমুর যুক্তি।
হিমু লাথিটা কে আগে মারবেন , একটু ঠান্ডা মাথায় ভাবুন। আরেকটু ঠান্ডা মাথায় চিন্তা করুন, লাথিটা ওর পোঁদে মারবেন নাকি সামনের দিকে কোনও দূর্বল পয়েন্টে ?
৬৭| ০১ লা অক্টোবর, ২০১০ রাত ৩:৩২
ত্রিভুজ বলেছেন: লেখাটা অনেক আগ্রহ নিয়ে পড়তে শুরু করেছিলাম, কিন্তু মাউন্টেইনারদের কেউ-ই এটা পড়ার আগ্রহ পাবে না 'অন্নপূর্ণা ফোর সামিট, হোয়াইট আউট এবং অন্যান্য' প্যারাটা পড়ার পর। ঐ অংশটা দিয়ে লেখাটা দুর্বল করে দিলেন... যুক্তি আর ভাষার চাতুর্য দিয়ে সত্যকে মিথ্যা বা মিথ্যাকে সত্য বানিয়ে দিয়ে ধরা খেয়ে গেলে বাদবাকী ভাল কথাগুলোও অর্থহীন হয়ে যায়, সন্দেহের অবকাশ তৈরি হয়। আপনি অনেক কিছু জানেন না..
বিঃদ্রঃ মুসা ইব্রাহীম এভারেস্ট জয় করেছেন এটা খুব তীব্রভাবে বিশ্বাস করতে চাওয়া কয়েকজন ব্লগারের ভেতরে আমি একজন। সুতরাং মন্তব্যের জবাব দিতে চাইলে গড়পড়তা কিছু লিখবেন না দয়া করে.. এই লেখাটা পড়তে পারেন (এটা তখনি লিখেছিলাম যখন ব্লগ জুড়ে মুসা ইব্রাহীমের নামে ছি ছি পড়ে গিয়েছিলো - Click This Link )
এনিওয়ে, প্রিয় পোস্টে গেল..
@সৌম্য দা
বাবু ভাই (মীর শামসুল আলম বাবু) বা অন্যরা চুপচাপ থাকতে চাননি বা এখনো চাইছেন না। মুসা ইব্রাহীম-ই কারো ধারধারেন না.. সুতরাং উনারা আগ বাড়িয়ে কিছু বলতে চাচ্ছেন না... উপরে দেয়া আমার লেখাটার একটা কপি আমার ফেসবুক নোটে আছে.. ওখানে বাবু ভাইয়ের মন্তব্য আছে, দেখতে পারেন।
০৪ ঠা অক্টোবর, ২০১০ রাত ১২:০৪
ফিউশন ফাইভ বলেছেন: এই লেখা মাউন্টেইনারদের জন্য লেখা নয়। তবে তারা পুরো সিরিজটি থেকে একটি গাইডলাইন পেতে পারেন। লেখাটি মূলত সাধারণ পাঠকদের জন্য, যারা ধারাবাহিক প্রপাগাণ্ডায় কিছুটা বিভ্রান্ত হয়ে পড়ছিলেন। 'অন্নপূর্ণা ফোর সামিট, হোয়াইট আউট এবং অন্যান্য' প্যারাটা আপনাকে কেন হতাশ করলো, সেটা একটু বলুন।
ধন্যবাদ।
৬৮| ০১ লা অক্টোবর, ২০১০ রাত ৩:৪১
ইবনান বলেছেন: @ ত্রিভুজ। আপনার পোস্টটা পড়লাম। খুবই সোজাসাপটা বিশ্লেষণ। এর বিপরীতে হিমুর জটিল ফ্যালাসির ব্যাপারে আপনার কী অভিমত?
৬৯| ০১ লা অক্টোবর, ২০১০ রাত ৩:৪৭
ত্রিভুজ বলেছেন: @ইবনান
এই বিষয়ে বিতর্ক আয়োজন করলে আমি পক্ষ-বিপক্ষ দু'টোতেই সমান পারফরমেন্স দেখাতে পারবো.. হিমুও পারবে, ফিউশন ফাইভ পারবে.. চাইলে আপনিও পারবেন। এইসব দিয়ে কিছু প্রমাণ হয় না। আমার লেখাটায় জটিল কোন যুক্তি বা বিশ্লেষণ ছিলো না কারণ দিল্লী আমার জন্য বহু দূর... তাই বাবু ভাইয়ের রেফারেন্সে কথা বলেছি। দিল্লী ফিফা বা হিমুর জন্যও বহু দূর... দেশে বসে দিল্লী বুঝার চেষ্টা করলে তো হবে না... দিল্লী যাওয়ার পথ-ঘাট ও এবিষয়ক ফ্যাক্টগুলো জানা থাকা জরুরী।
আমার পয়েন্ট আসলে একটাই... যেখানে বাবু ভাইয়ের মত অভিজ্ঞ লোক সরাসরি দাবী করে নাই বা করতে ইচ্ছুক না যে মুসা ইব্রাহীম এভারেস্ট জয় করেন নাই সেখানে আমরা যারা এভারেস্টের বেস ক্যাম্পে যাওয়ারও যোগ্যতা রাখি না তাদের বক্তব্য বা মনে করায় কিছু যায় আসে না।
৭০| ০১ লা অক্টোবর, ২০১০ ভোর ৪:১৯
ইবনান বলেছেন: আমি আমার সংকটের জায়গাটা আপনাকে বলি @ ত্রিভুজ।
আমি নিজে কখনও এই রকম পাহাড়ে উঠি নাই। আমি অভিযাত্রী না , ভেতো বাঙালি। তো আমি মুসা ইব্রাহীমের খবরটা পত্রিকায় পড়লাম। এই খবরটা পড়ে , অবিশ্বাস করতে হবে- এটা আমার মাথায় ঘূর্ণাক্ষরেও আসে নাই। আমি বিশ্বাস করলাম, মোটামুটি আনন্দিত হলাম।
তারপর সজল খালেদের ডাউটের কথা শুনলাম। মানুষ তো.... একটু কনফিউজড হলাম। নেটে সার্চ দিয়ে এভারেস্ট রিলেটেড কিছু সাইট পেলাম, সেখানে মুসার নাম যথাস্থানে পেয়ে স্বস্তি পেলাম।
মেজাজ বিলা হতে শুরু কল্লো হিমুর পোস্ট পড়ে। আরে বেটা তোর কাছে অকাট্য প্রমাণ থাকলে দে। ও সেটা না করে তেনা পেচাতে শুরু করলো। হুজুগে বাঙালির যা হয়। হিমুর ৪টা বৃত্তে কী লেথা আছে, ওগুলোর মানে কী, এটা পড়ে দেখার ধৈর্য্য অনেকেরই নেই। তারা শুধু চোখ বুলিয়ে যায়, আর হিমুর গদ্যের মারপ্যাচের চোটে ভাবে, আরে মুসা তো মস্ত বাটপারি করছে।
সংশয় খুব দ্রুত ছড়ায়। ভালো খবরের গতি কম। কুতসার গতি আলোর গতির চাইতে তীব্র। কাজেই অনলাইনের সংশয় দেখি, অফ লাইনেও বেশ সক্রিয়। আমি আমার বন্ধুদের অনেককে বলতে শুনেছি আরে মুসা শালায় তো বিরাট টাউট।
ক্ষতিটা কার হলো বলুন ত্রিভুজ?
এরপর আমি হিমু সম্পর্কে খোঁজ খবর নেয়ার চেষ্টা করি। আমার সীমিত সাধ্য দিয়ে যথাসম্ভব চেষ্টা করি। হিমুর আসল নাম যে মাহবুব আজাদ, এইটুকু তথ্য পেতেই আমার জান বের হয়ে যায়। আরও ভয়াবহ কিছু তথ্য পাই, যেগুলো আমার পক্ষে প্রমাণ করা সম্ভব না। যেমন, বুয়েটে পড়ার সময় হিমু শাহবাগে একবার পুলিশের হাতে নাজেহাল হয়েছিল, ওপেন গাজা টানার কারণে। তাকে বেশ কিছুক্ষণের জন্য থানায় আটকে রাথা হয়েছিল। আমি যদি সাংবাদিক হতাম, তাহলে সংশ্লিষ্ট থানায় গিয়ে হয়তো খোঁজ খবর করে ব্যাপারটা প্রমাণ করা যেত.... মাউন্টেন ডিউ , সজল খালেদ আর ব্লগার রাহা সম্পর্কে কিছু তথ্য পাচ্ছি। আরেকটু কিছু পেলে আমি তথ্যটা প্রকাশ করবো।
আর হিমুর র্কীতির শেষ নাই। মানুষ হিসেবে সে ইতর প্রাণীর চেয়ে নীচু।
৭১| ০১ লা অক্টোবর, ২০১০ ভোর ৪:২১
ইবনান বলেছেন: @ এই যে হিমু এতো কনফিউশন ছড়াচ্ছে= এতে আসলে লাভ কার হচ্ছে বলুন তো ????? এটাও একটা ইন্টারেস্টিং প্রশ্ন।
৭২| ০১ লা অক্টোবর, ২০১০ সকাল ১০:৩৯
মুনতাসির বলেছেন: শুধু একটি ছোট ইনফো দিলাম আমার সামিট প্রমান নিয়ে- ওয়েব লিংকা দেখবেন।
http://www.muntasirmamun.com/
মূল ছবিটার নিচে ফুট নোটে লিখা আছে ছবিটা কোথাকার আর কিভাবে তোলা।
যত খুড়বেন ততই ভাল। খুড়তে থাকুন Radfআর যদি RAW ফাইল নিয়ে বিশ্লেষন করতে চান সেটা আরো ভাল। আমার কাছে আসল ফাইলটাো আছে যাতে মেটা ডাটা আছে। আর আমার কোন সনদ নাই।
-মুনতাসির মামুন ইমরান
০৪ ঠা অক্টোবর, ২০১০ রাত ১২:০৬
ফিউশন ফাইভ বলেছেন: মুনতাসির মামুন ইমরান, আপনাকে একটি সরল প্রশ্ন করি, মুসার এতো ছবি দেখেও আপনি বিশ্বাস করতে পারছেন না, আর আপনি নিজেই হোয়াইট আউটমার্কা ছবি দিয়ে বলছেন, ওটাই আপনার প্রমাণ! আপনার সার্টিফিকেট নেই- নিজেই কবুল করছেন একথা। আপনার চেহারাও তো দেখা যায় না ছবিতে। যা হোক, আমি জানি না আপনি ওই পাহাড়চূড়ায় উঠেছেন কিনা, কিন্তু যথেষ্ট প্রমাণ ও ভিত্তি ছাড়া অহেতুক আপনার পিছনে লাগারও কোনো কারণ খুঁজে পাই না।
আর হ্যাঁ, খোঁড়াখুড়ি বিষয়ক পরামর্শটা পেয়ে ভালো লাগল। যতোটুকু জানি, আপনি নিজেও তো কম খোঁড়াখুড়ি করেননি এ যাবত। ডিওএইচএসের সেই বাসায় প্রজেক্টরে যখন মুসার এভারেস্ট অভিযানের ছবি দেখছিলেন, আপনার তখনকার চেহারা, মুসার ছবিতে বুদ্ধমূর্তি নেই দেখে 'প্যাঁচ কেমনে লাগাই দেখেন' বলে লাফিয়ে ওঠা- এইসব মনে পড়ছে হঠাৎ করে। সে যাক, কোস্টাল ক্লিনআপ কেমন চলছে আপনার? লাভজনক কি হয়ে উঠছে আস্তে আস্তে প্রজেক্টটা? আপনার সাফল্য কামনা করি।
ভালো কথা, মুসা ইব্রাহীমের ছবিগুলোরও র' ফাইল আছে। নিজেই দেখেছি মুসার কাছে।
৭৩| ০১ লা অক্টোবর, ২০১০ সকাল ১০:৪৩
নিশম বলেছেন: আমি বিশ্বাস করি মুসা এভারেস্ট জয় করেছেন। না করলে তা প্রমান হবার পরে বুঝা যাবে। আর বিশ্বাস করি বলেই আমি বাংলাদেশকে নিয়ে গর্ব করার মত আরো বিষয় খুজে পাই।
@লেখক - ভাইয়া, আপনার লিখায় তো কমেন্ট দিতেও ভয় করে ! আপনার যেই পঁচানী। হিমু ভাইকে যেভাবে পঁচাইতেসেন, গন্ধে তো টেকা যাবেনা দেখা যায়। সকালের নাস্তার পঁচানীটা তো সেই পর্যায়ের হয়েছে !
এত্তো কম লিখেন কেনো ব্লগে ! আপনার লিখা দেখলেই নড়েচড়ে বসি , আবার কি লিখলো !
০৪ ঠা অক্টোবর, ২০১০ বিকাল ৫:১৫
ফিউশন ফাইভ বলেছেন: না না, কী যে বলেন আপনি! আপনাদের প্রতিক্রিয়াগুলো ভালো লাগে। আর ভালো লাগে বাংলাদেশকে নিয়ে গর্ব করতে। ধন্যবাদ নিশম।
৭৪| ০১ লা অক্টোবর, ২০১০ দুপুর ১২:৫৮
ইবনান বলেছেন: নটিপুত্র হিমু দীর্ঘক্ষণ যাবত চুপ।
৭৫| ০১ লা অক্টোবর, ২০১০ দুপুর ১:৫৭
আরিফ বল্গ বলেছেন: প্লাস + প্রিয়তে..............
০৪ ঠা অক্টোবর, ২০১০ বিকাল ৫:১৫
ফিউশন ফাইভ বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে।
৭৬| ০১ লা অক্টোবর, ২০১০ সন্ধ্যা ৭:১৫
নিঝুম মজুমদার বলেছেন: পুরো লেখাটাই পড়লাম । হিমু'র লেখাও পড়েছি । চুপ চাপ দেখছি । দেখি কোথায় গিয়ে থামে । কিন্তু আপত্তি আছে কিছু যায়গায়,
যেমন এই লেখার মধ্যে মাঝে মধ্যে টুপ করে ইবনান নামের একজন তার মাথাখানি বের করে হিমু এই করেছে , সেই করেছে , বসিএস পরীক্ষায় ফেল করেছে,গাঁজা টেনে পুলিশের কাছে ধরা খেয়েছে, বিতার্কিক হতে পারেননি ইত্যাদি যত্তসব স্টুপিড কথাবার্তা শুরু করেছেন । হিমু বিসিএস পরীক্ষায় কি করেছে তা এই লেখায় বা এই প্রসঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ কেন ? আর হিমু যদি গাঁজা টানে তবে আপনার সমস্যা কোথায় ? হিমু তো আর আপনার পাছায় গাঁজা পুরে দিয়ে অপরাধ করেনি । হিমু তার মুখেই গাঁজা পুড়েছে । সুতরাং ইবনান কে এত অস্থির হতে নিষেধ করি । পুরো লেখাতে যারা যারা মন্তব্য করলেন তাদের মধ্যে আপনাকে মনে হলো সবচাইতে বড় আবাল । যে কিনা অল্পতেই অস্থির হয় ।
হিমুর লেখা পড়ে যতদূর বুঝেছি তিনি সব উপাত্ত ও এভিডেন্স যাচাই বাছাই করে মুসার সামিটে উঠবার সাথে ও সে বর্ণনাগুলোর প্রেক্ষিতে তার যুক্তি তুলে ধরেছেন । এমনটা উনি করতেই পারেন এবং উনার লেখাতে যঠেষ্ঠ যুক্তি আছে । আসলে মুসার পক্ষে ও বিপক্ষে অভিযোগ , সন্দেহ,পাল্টা অভিযোগ এই ক্ষেত্রে মুসার উচিত মিডিয়াতে এসে সব কিছুর প্রমাণ দেয়া এবং যথাযথ ছবি,উপাত্ত সব দেখানো । সেগুলো না করে মুসা একে তাকে উকিল ধরছেন কেন ঠিক বোধগম্য না । কালকে মাসকাওয়াথ হাসানকেও দেখলাম এই নিয়ে বেশ বুকডন মারছেন ।
এনিওয়ে , ফিউশনের পোস্ট পড়লাম আর হিমুর পোস্টও পড়েছি । দেখি যুক্তি তর্ক কতদূর যায় । বাট মন্তব্যের ঘরে ফিউশন ফাইভ মাস্কাওয়াথ হাসানের একটা কথা বার বার টেনে আনছেন ( যদিও তিনি কাকে কাকে যেন ধার করা মন্তব্য নিয়ে হালুম হুলুম করছিলেন) তা হলো ,
অদ্ভুত হিংসুটে কিছু বামন আছে, যারা নোবেল পুরস্কার পেলে সুদখোর হিসেবে কুৎসা রটাবে, এভারেস্টে উঠলে বলবে 'হেই বেডা ওডে নাই', বেকারতা আর আপাত বিতর্কিত তসলিমা নাসরিন ধরণের সস্তা খ্যাতির লোভে বামন শুয়ে শুয়ে নিজের ভাবনার উচ্চতা দিয়ে সফল মানুষদের উচ্চতা মাপে। আর আমাদের জীবন বিনোদনহীন, বামনের হিটলার কস্টিউমের সং যাত্রা দেখে হাততালি দিই। বামন আরো মজা পায়, বামন মিয়া বেকার- তাই বলে কি সাধ নাই তার পাহাড়গুলো ঢাকার!"
শোনেন , এই প্রসঙ্গে আপনাকে দুইটা কথা বলি , শেখ হাসিনা জীবনে বহু ডক্টরেট ডীগ্রি পাইসে কিংবা এইতো কিছুদিন আগেও পৃথিবীর সেরা নারী নেত্রীদের কাতারেও তার ঠাই হলো , আবার দুইদিন পর হয়ত খালেদা সেরা নেত্রী হিসেবে আমাদের সামনে আসবে কিংবা ধরেন নাজমুল হূদা সেরা ব্যাক্তি ।
আপনার বামন থিসিস অনুযায়ী এগুলো হজম করে যেতে হবে । মেনে নিতে হবে হাস্যকর সব ব্যাপার স্যাপার । সন্দেহ হলেও প্রশ্ন করা যাবে না । কেননা এইসকল পুরষ্কার আর উপাধি পেয়ে তারা বাঙালি কে ধন্য করেছেন ।
অপেক্ষায় আছি কবে হাজী সেলিম , পিন্টু আর মির্জা আব্বাস সেরা মানুষের উপাধি পাবে । সেদিন হাত টাত ফাটিয়ে তালি দেবার জন্য অপেক্ষা করে থাকব ।
০৪ ঠা অক্টোবর, ২০১০ বিকাল ৫:১৫
ফিউশন ফাইভ বলেছেন: ধন্যবাদ নিঝুম মজুমদার। লেখার বিষয়ে আপনার দ্বিমত থাকলে সুনির্দিষ্টভাবে বলবেন। যথাসম্ভব দ্রুত উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করবো। কারণ, বলেছি আগেই, সত্য উদঘাটনই এই অনুসন্ধানের মূল লক্ষ্য।
৭৭| ০১ লা অক্টোবর, ২০১০ রাত ১১:৩৫
কনফ্লিক্ট বলেছেন: সাথে আছি।
০৪ ঠা অক্টোবর, ২০১০ বিকাল ৫:১৫
ফিউশন ফাইভ বলেছেন: থ্যাঙ্কস, কনফ্লিক্ট।
৭৮| ০১ লা অক্টোবর, ২০১০ রাত ১১:৫৫
ইবনান বলেছেন: @ অচল কিংবা নিশ্চল নিঝুম মজুমদার।
দুটি সত্য কথা স্বীকার করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
প্রথমত হিমু আমার পাছায় গাজা ভরেন নি ( আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি, একথা পুরোপুরি সত্য।) , দ্বিতীয়ত, হিমু গাজা পুরেছে তার নিজের মুখেই (এটা আপনি নিজে বলেছেন। )
তবে এ কথাও যে সত্য যে হিমু গাজা আপনার পাছায় ভরেছে। এবং সেটাতে আপনার রাগমোচন হওয়ায়, আপনি যারপরনাই পুলকিত। এতোই পুলকিত যে , কি বলতে কি বলে ফেলছেন, নিজেও বুঝছেন না। আপনার রাগমোচন এতোই তীব্র যে, পৃথিবীতে একমাত্র হিমুর কথাতেই আপনি যুক্তি খুঁজে পাচ্ছেন। ফিফার কথা অয়ৌকিক্তক মনে হচ্ছে, মাসকাওয়াতের লেখাকে বুকডন বলছেন।
হিমু তো নিজেই অন্যের জন্য ভাড়া খাটে। সে আপনাকে ভাড়া করায় আপনি কিঞ্চিত বিস্মিত। আপনাদের দুজনের ভারি মিল দেখে ( ভাষায়, লেখায়) বেশ ভালো লাগল। হিমুকে আমার শুভেচ্ছা পৌছে দেবেন।
০৪ ঠা অক্টোবর, ২০১০ বিকাল ৫:১৬
ফিউশন ফাইভ বলেছেন: শ্রেফ সন্দেহের ভিত্তিতে এই ধরনের অহেতুক ট্যাগিং করা উচিত নয়।
৭৯| ০২ রা অক্টোবর, ২০১০ রাত ১২:৩৫
নিঝুম মজুমদার বলেছেন: @ইবনান, আপনাকে কষ্ট করে গাঁজা নিয়ে গাঁজুটেপনা না করবার জন্য অনুরোধ করা যাচ্ছে । আগেই বলেছি হিমু আপনার পাছায় গাঁজা ভরেনি সুতরাং বার বার পাছা খুলে পাছা দেখাবার কিছু নেই ।
আসলে আমার "রাগমোচন এতই তীব্র" যে , এইভাবে বার বার পাছা খুললে বার বার আপনাকে বাড়া না মারার গ্যারান্টি দিতে পারছি । রুচিতে না কুলোলে , পাছায় একটা লাথি গ্যারান্টেড জেনে রাখবেন ।
আপনি যে শুধু পাছা খুলে নাচানাচি করছেন তা নয় , বরং নাঙ্গু হবার পর ভুলে যাচ্ছেন কি বলছেন । আমি কোথায় লিখেছি যে ফিফার কথা অযৌক্তিক ? দেখাতে পারবেন ?
আমি বলেছি,
এনিওয়ে , ফিউশনের পোস্ট পড়লাম আর হিমুর পোস্টও পড়েছি । দেখি যুক্তি তর্ক কতদূর যায় ।
জানিনা হিমু আপনাকে কোথায় কবে কি করেছে । তবে ছাগুবান্ধব রিয়াজুদ্দিনকে হিমু প্রায়ই বেশ কষ্ট দিত । রিয়াজুদ্দিনের সেসব কষ্টে প্রাপ্ত বেদনার চিতকার শোনার জন্য আমাকে একজন দর্শক হতেই হতো । রিয়াজুদ্দিনকে দেখিনি কখনো । শুধু চিতকার শুনেছি ।
আজ আপনাকে দেখে ছাগুবান্ধব রিয়াজের কথাই মনে পড়ে যাচ্ছে ।
৮০| ০২ রা অক্টোবর, ২০১০ রাত ১২:৫১
ইবনান বলেছেন: @ নিঝুম ....আপনি বলেছেন,.............তবে ছাগুবান্ধব রিয়াজুদ্দিনকে হিমু প্রায়ই বেশ কষ্ট দিত ।..................
হিমু কবে, কখন, কাকে আহত করেছিলো, সেটি দেখি আপনার দিব্যি মনে আছে। বন্ধন খুব তীব্র মনে হচ্ছে। আবার মাসকাওয়াতের উপর আপনার আর হিমুর রাগের মাত্রাও দেখি এক।
কাম ওন হিমু, ক্যানো নিঝুম মজুমদার নিকে ব্লগিং করছো? হিমু নামেই আসো না। নিদেনপক্ষে মাহবুব নামে । লজ্জার কী, আমরা আমরাই তো। আমি ওয়েট করছি কিন্তু।
৮১| ০২ রা অক্টোবর, ২০১০ রাত ১:০৪
ইবনান বলেছেন: নিঝুম ওরফে হিমু , উত্তর দ্যান। মুসার এভারেস্টের ওঠার পর পরই যে আপনি প্রচার করলেন, মুহিতের সাথে মুসার দেখা হয়নি, কাজেই মুসা উঠে নাই। মুহিতের স্বীকারোত্তির পর, এখন কেন সেই পয়েন্ট থেকে সরে এসে বলছেন, মুহিতের সাথে দেখা হওয়া না হওয়াটা কোনো ব্যাপার না।
আমার এই প্রশ্নটার উত্তর দিন। কোনো গালাগালি কিংবা কাঁদা ছোড়াছুড়ি নয়, আসুন হিমু আপনার সাথে একটু কথা বলি। আমাদের কথার্বাতা হবে সম্পুর্ণ স্বচ্ছ এবং ওপেনলি এবং সকল ব্লগারদের সামনে। আমার ১ম প্রশ্ন, কেন আপনি এখন বলছেন মুহিতের সাথে দেখা না হওয়াটা কোনও ব্যাপার না?
এই প্রশ্নটার উত্তর দিন হিমু । তারপর আমরা ২য় প্রশ্নে যাবো, কেমন? লজ্জা লাগলে আপনি নিঝুম মজুমদার নিক থেকেও উত্তর দিতে পারেন। উত্তরটাই আসল। শুভ ব্লগিং, আমি অপেক্ষা করছি হিমু ...
৮২| ০২ রা অক্টোবর, ২০১০ রাত ২:১৪
ইবনান বলেছেন: হিম্ভাই , এইভাবে প্রশ্নের উত্তর না দিয়া চইলা গেলেন ?
৮৩| ০২ রা অক্টোবর, ২০১০ রাত ২:৪২
তাকা বলেছেন: পপকর্ন নিয়া গ্যালারিতে বইলাম!!!
বৃত্তে বৃত্তে বৃত্তাকার হইয়া যাইতাছে বাংলা ব্লগ দুনিয়া!!
খিকজ!!
০৪ ঠা অক্টোবর, ২০১০ বিকাল ৫:১৭
ফিউশন ফাইভ বলেছেন: হাহাহা! বৃত্তে বৃত্তে বৃত্তাকার বাংলা ব্লগ দুনিয়া।
৮৪| ০২ রা অক্টোবর, ২০১০ ভোর ৫:০৫
রুবাইয়্যাত বলেছেন: ভাবছিলাম ভাড়ামিতে ফিফা লিড দিবো। কাতারের প্রথমে কবর থেইকা উইঠা আসা ইবনান ছাগলরে দেইখা ভালো লাগল।
গু আহেড।
০৪ ঠা অক্টোবর, ২০১০ বিকাল ৫:১৭
ফিউশন ফাইভ বলেছেন: জগতের সকল প্রাণী সুখী হোক।
৮৫| ০২ রা অক্টোবর, ২০১০ ভোর ৬:৩৩
নিঝুম মজুমদার বলেছেন: @ইবনান, আপনার মাথা তো পুরোই গ্যাছে । হিমু সিন্ড্রোমে ভুগছেন আপনি । আমার নিঝুম মজুমদার নিকটা হিমুর হতে যাবে কেন ? আমি তো আজকে ধুম করে পয়দা হই নি । হিমু এবং আমি আলাদা ব্যাক্তি এটি ব্লগিং করেন অনেকদিন ধরে তারা সকলেই জানেন । অবশ্য এই ব্যাপারটা আপনাকে কি করে বোঝাই । আমি আর হিমু এক ব্যাক্তি এই চিন্তা করে যদি আপনার সুখ অনুভূত হয় তবে তাতে আর বাঁধা না দেই ।
আমি অবশ্য আপনার এই পোস্টে মন্তব্য দেখেই ঠাওর করে নিয়েছি যে আপনি একজন দৃড়চেতা আবাল । আর এখন আমাকে হিমুর ভূত হিসেবে কল্পনা করে যেরকম "খাটাশ সুখ" অনুভব করছেন , তাতে বাঁধা না দেই ।
তবে পাগল হলেও আপনাকে গারদে পোরার পক্ষে আমার মত থাকবে না । জেনে রাখবেন । দুই একটা যদি এদিক সেদিক না ছোটে , তবে , সব মজাই তো নষ্ট হয়ে যাবে ...
যাই হোক , হিমুর ভূত দেখে বেশী ভয় পেলে নীচের সাইট গুলো থেকে ঘুরে আসবেন-
http://www.nagorikblog.com/user/6
http://nijhoom.blogspot.com/
এটলিস্ট "নিঝুম ভূত" এর ভয় খানিকটা কেটে যাবে ।।
৮৬| ০২ রা অক্টোবর, ২০১০ দুপুর ১:২৭
পদ্মাচরের লাঠিয়াল বলেছেন: রুবাইয়্যাত বলেছেন: ভাবছিলাম ভাড়ামিতে ফিফা লিড দিবো। কাতারের প্রথমে কবর থেইকা উইঠা আসা ইবনান ছাগলরে দেইখা ভালো লাগল।
গু আহেড।
০৪ ঠা অক্টোবর, ২০১০ বিকাল ৫:১৭
ফিউশন ফাইভ বলেছেন: জগতের সকল প্রাণী সুখী হোক।
৮৭| ০২ রা অক্টোবর, ২০১০ দুপুর ২:১২
ইবনান বলেছেন: ঠিক আছে ,স্বীকার কল্লাম আমি পাগল,ছাগল, উন্মাদ, ছিটগ্রস্থ.... আর যা যা আছে সব। শুধু আপনি একটা প্রশ্নের উত্তর দিন, প্রথম প্রশ্ন.. @ নিঝুম......মুহিতের সাথে দেখা না হওয়াটা কেন ব্যাপার না।
আমার আর মাত্র অল্প কয়েকটা প্রশ্ন আছে। সেইসব প্রশ্নের উত্তর জানা খুব দরকার। তাতে হয় আমার মুখোশ খুলে নয়তো আপনাদের।
৮৮| ০২ রা অক্টোবর, ২০১০ দুপুর ২:১৪
ইবনান বলেছেন: তাতে হয় আমার মুখোশ খুলে যাবে,নয়তো আপনাদের ...
৮৯| ০২ রা অক্টোবর, ২০১০ রাত ৯:০৬
নিঝুম মজুমদার বলেছেন: @ এতক্ষণ তেনা না পেঁচিয়ে আর স্টুপিডের মত আচরণ না করে এই কথাগুলোই জিজ্ঞেশ করতে পারতেন । তা না করে একবার হিমুকে নটির পুত ডাকছেন আবার আরেক জায়গায় তার কাছে উত্তর চাইছেন । নটিরপুত কথাটি কতটুকু অপমানকর এই সম্পর্কে আসলে আপনার কোনো ধারনাই নেই কিংবা এই "নটিরপুত" ডাকটি আপনার জন্য খুব স্বাভাবিক একটি সম্বোধন কেননা শৈশব থেকেই হয়ত এই ডাকটি শুনে আসছেন । সে যাক ,
আপ্নি নিজেকে ছাগল,পাগল ইত্যাদি স্বীকার করে যত দ্রুত স্রোতে মিশে যেতে চাইলেন , দুঃখিত আমি অত দ্রুত আপনার সাথে ঝাঁকের কই হতে রাজি নই । যে লোক একজন মানুষকে কোনো কারন ছাড়াই "নটি" ডাকতে পারে তার সাথে কথা বলে বা তার কথা বা যুক্তির পালটা উত্তর দিয়ে আমি নিজেকে আপনার সমান পর্যায়ে আনতে চাইনা ।
হিমু যখন নেভারেস্ট ৩য় পর্ব লিখবে , আমি ভালো করেই জানি এসব সব কিছুর উত্তর সে দিবে । আপনি সেই পর্যন্ত পথ চেয়ে থাকেন ।
একজন বিকারগ্রস্থকে লাথি দেয়া চলে কিন্তু কথা-বার্তা চালানো চলে না ।
৯০| ০২ রা অক্টোবর, ২০১০ রাত ৯:২০
ক্লাউড নাইন বলেছেন: @কৌশিক ভাই, ইউক্লিডিয় জ্যামিতিতে, একটি নির্দিষ্ট বিন্দু (কেন্দ্র) থেকে একটি নির্দিষ্ট দূরত্বে (ব্যাসার্ধ) একই সমতলে অবস্থিত সমস্ত বিন্দুর সেটকে বৃত্ত বলা হয়। বৃত্ত একটি আবদ্ধ বক্ররেখা। আবারও বলছি খেয়াল করে দেখুন বৃত্ত একটি বক্ররেখা, জিনিসটা মোটেও সরল নয়। আর জায়গাটি খোলামেলা, দখিনা বাতাস যুক্তও নয়, আবদ্ধ। ফলে যাদের জীবন-যৌবন-যুক্তি বৃত্ত নির্ভর তারাও বক্রগামী এক আবদ্ধ যাপিত জীবনের অংশীদার (কী কঠিন একটা লাইন লেখলাম, আবার পড়তে গিয়ে নিজেকে একটা প্রতিভা বলে মনে হচ্ছে)। যাই হোক আপনার সুবিধার্তে নিম্নে একটি বৃত্তের দিয়ে দিলাম, এটা দেখে দেখে বৃত্ত আকার চেষ্টা করুন :
বৃত্ত বিষয়ে আরও জানতে এখানে ক্লিক করুন। আর আপনি ইংরেজিতে কাচা হলে এখানে ক্লিকাইতে পারেন।
৯১| ০২ রা অক্টোবর, ২০১০ রাত ৯:২৮
কৌশিক বলেছেন: ফলে যাদের জীবন-যৌবন-যুক্তি বৃত্ত নির্ভর তারাও বক্রগামী এক আবদ্ধ যাপিত জীবনের অংশীদার কিয়া বাত কিয়া বাত! পেন্নাম কর্তা!
৯২| ০২ রা অক্টোবর, ২০১০ রাত ১১:১৮
শেখ আমিনুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ
০৪ ঠা অক্টোবর, ২০১০ বিকাল ৫:১৮
ফিউশন ফাইভ বলেছেন: ধন্যবাদ আমিনুল।
৯৩| ০৩ রা অক্টোবর, ২০১০ রাত ১১:৪৩
সাজিদ বলেছেন: ফিফা, এই ঘটনা শুনে প্রথমত খুশি হয়েছিলাম। তবে আমাদের জাতীর জনয় বিরাট কোন অবদান মনে হয় নি যেমনটা মনে হয়েছিল ক্রিকেটের কিছু জয়ে বা ডঃ ইউনুসের নোবেল জয়ে। যাই হোক সেসব নিয়েও বিতর্ক হয়েছে এটা নিয়েও এক সময় বিতর্ক শুরু হলো। তখন একটা প্রশ্ন এসেছিল। জ্বনাব মুসা ইব্রাহিমকে দেখলাম লাইট কালারের জ্যাকেট পরে আছে। এরকম স্নোয়ের ক্ষেত্রে ব্রাইট কালার পরার কথা যাতে করে কোন তুষার ঝরে বা অন্য কারণে হারিয়ে গেলে উদ্ধারকারী দলের পক্ষে সুবিধা হয় খুজে বের করতে। তার যেসব ছবি দেখেছিলাম তাতে মুসা ইব্রাহিমকে এ্যাশ কালারের জ্যাকেট পরা দেখলাম। বাকি সবাই যদিও কমলা/লাল জ্যাকের পরা ছিল। এর কারণ কি?
আরেকটা কথা হলো এক ব্লগেরএকজনকে সেই ব্লগে জবাব না দিয়ে অন্য ব্লগে তাকে উদ্দেশ্য করে লেখাটা কতটা উচিৎ? এই লেখাগুলো কি সচলায়তনে লিখেছেন?
০৪ ঠা অক্টোবর, ২০১০ বিকাল ৫:২৫
ফিউশন ফাইভ বলেছেন:
ওপরের ছবি দুটি দেখুন, এই রঙের জ্যাকেট যদি আপনার কাছে লাইট কালারের জ্যাকেট বলে মনে হয়ে থাকে, তাহলে দুঃখই পাবো।
---
বলে রাখা ভালো, এই অনুসন্ধান সচলায়তনের কোনো ব্লগারের লেখার জবাব নয়। সামহোয়্যারইনসহ যেসব ছোট ব্লগে (সচলও আছে এর ভেতরে) প্রপাগাণ্ডা চলছে, তার সবগুলো নিয়েই একটি বিস্তারিত অনুসন্ধান।
আর এক ঘরের জবাব আরেকজনের ঘরে গিয়ে কিংবা এক ব্লগের জবাব অন্য ব্লগে দেওয়া উচিত কি অনুচিত - এই ধরনের চিন্তাভাবনা একেবারেই আঞ্চলিকতাদুষ্ট চিন্তাভাবনা। আপনার কথা মানলে প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে অভিযোগ কি তাহলে সরাসরি বঙ্গভবনের সামনে গিয়ে, আর খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে কিছু বলতে হলে বিএনপি অফিসের সামনে গিয়ে বলতে হবে? যে কেউ যে কোনো বিষয়ে তার পছন্দমতো ব্লগে স্বাধীনভাবে লিখতে পারে।
সচলায়তন একটি খুবই ছোট ব্লগ। লেখালেখি- সেটা যে বিষয়েই হোক না কেন, আমি বড়ো ব্লগে লিখতেই পছন্দ করি। বেশি মানুষ, বেশি ব্লগার- আমার লেখা পড়ুক এটা তো আমি চাইবোই। রাজনীতি, অর্থনীতি, সমাজনীতি- দুনিয়ার সব বিষয় নিয়ে ব্লগে লেখালেখি করা গেলে 'ব্লগ' বিষয়ে নয় কেন?
৯৪| ১০ ই অক্টোবর, ২০১০ সন্ধ্যা ৬:৪৫
সাজিদ বলেছেন: আপনি এই পোস্টে যে ছবিটা দিয়েছেন সেটি এবং ঐ জ্যাকেট পরা ছবিটি প্রথমে মিডিয়ায় এসেছিল, সেই জ্যাকেটটির রং সাদা। ব্যাপারটা হয়ত সামান্য তবে এই ধরনের অভিযানে ছোট খাট বিষয়গুলোও নিশ্চই নজরে আনা হয়।
৯৫| ২২ শে মার্চ, ২০১১ বিকাল ৩:৩৩
কবিতা পোস্ট বলেছেন: .
আপনার কাছে আমার নিচের প্রশ্ন গুলো ছিলঃ
১। মুসা কে আপনি কতদিন থেকে চিনেন ?
২। এই লাইনের আর কাকে কাকে চিনেন ? কতদিন থেকে চিনেন ?
৩। এই লাইনে আদো হেঁটেছেন কিনা ?
৪। হাঁটলে, কতদূর ? আর কতদিন ?
*** বলেন তো মুসার বরফে পা রাখা প্রথম ছবিটা কার তোলা ?
নিচের ছবিটা দেখেন ?
ভালো থাকবেন ।
৯৬| ২২ শে মার্চ, ২০১১ বিকাল ৩:৫২
আন্ডা মিয়া বলেছেন: সহকর্মীর জন্য অনেক কিছু করলেন এইতা দেখেন
Click This Link
৯৭| ২২ শে মার্চ, ২০১১ রাত ৮:২০
আন্ডা মিয়া বলেছেন: Click This Link
৯৮| ২৭ শে মার্চ, ২০১১ রাত ৮:১৮
কবিতা পোস্ট বলেছেন: ।
One Response “এবার লক্ষ্য মহাকাশ বিজয় : মুসা ইব্রাহিম” →
NASA and MUSA both made their own record.
No mater you believe or not!
Only NASA could made ‘offical’ record to land man on the moon,
Only MUSA made the ‘offical’ record of Everest Summit from BD.
1 .Did man ever gone to moon? ( pls search on the net , key word ” moon
hoax”)
2. Did 3 million ppl died in our fredom fight ?
( The Father of the nation was under arrest in Pak that time, how did he
know the figire?
Who told him? what was the source? There must be a report or counting before
reporting to the Father of the Nation.
Who did this reporting? Where is the document? )
3. GP Activate Bangladesh, 100 km, longest beach walk till now the largest
single event in Bangladesh outdoor activity.
Is it really 100km, or it is about 80%. So whats wrong if Musa go 80% of the
everest summit and claim?
4 . Is Bijoy highest peak of BD? Is it 5000 feet?
Who measured it? how?
Is there any peak named Bijoy? Is there any 5000 feet peak in BD?
But see what Bangla pedia writes!
Lot of questions are there in the world!
লিঙ্কঃ এবার লক্ষ্য মহাকাশ বিজয় : মুসা ইব্রাহিম
সত্যতা জানতে চাই !
আর, আমার আগের মন্তব্যের প্রশ্নগুলোর উত্তর জানতে চাই !!!
দিবেন তো !!!
৯৯| ২৭ শে মার্চ, ২০১১ রাত ৮:২৮
কবিতা পোস্ট বলেছেন: ।
এই response টা কি আপনার ?
সত্যতা জানতে চাই ! সত্য করে বলবেন ।
১০০| ০৮ ই এপ্রিল, ২০১১ সকাল ১০:৫২
বাপ্পী হায়াত বলেছেন: @ কবিতা পোস্ট
নতুন খবর পাইছেন? হিমু'দা কিন্তু দুনি্যার সবথেইক্যা ছোডো পাহাড় Mount Wycheproof আরোহনের ঘুষনা দিছে, আগামি বছরে উনি আবার Olympus Mons -এ উডবার পিলান করতাসে মুসারে বিট দেওনের লাইগা
আফনে দো্ওয়া কইরেন!
১০১| ২৫ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১০:৪০
সাইবার অভিযত্রী বলেছেন:
মুহিতের কিছু ছবিতে রয়েছে ফটো-এডিট করার জোড়াল অভিযোগ
©somewhere in net ltd.
১|
২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১০ রাত ১০:১২
বদরুল খান বলেছেন: একটু লেইট হয়া গেছে