![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
.
পুকুরপাড়ের এক কোণায় বিশাল একটি
বটগাছ।
বটগাছের নিচে একটি ছেলে বসে আছে।
একের পর এক সিগারেট টেনে যাচ্ছে।
সিগারেটের ধোঁয়াগুলো দূর আকাশে মিলিয়ে
না
গিয়ে তার আশেপাশেই উড়ছে। ছেলেটির
পরনে ধবধবে সাদা একটি শার্ট। শার্টটি
নীলা নামের
একটি মেয়ের কাছ থেকে পাওয়া জন্মদিনের
উপহার ছিল। এই শার্টটি সে সব সময় পরতো
না । শুধু
যখন নীলার সাথে দেখা করতে যেত তখন
পরতো ।আজও নীলার সাথে দেখা করেছিল
সে। কিন্তু সেই দেখাটা সুখের হয়নি। ব্রেক-
আপ
হলো আজ ওদের। দীর্ঘ দু'বছরের রিলেশন
একদিনেই শেষ। আসলে একটি সুন্দর সম্পর্ক
গড়ে উঠতে অনেক সময় লাগে। কিন্তু ভাঙতে
সময় লাগে না।
.
যে ছেলেটির কথা বলছি তার নাম আকাশ।
পড়াশুনা
করত কারমাইকেল কলেজে ব্যবস্থাপনা
বিষয়ে।
নীলা ছিল ওর ক্লাসমেট। প্রথমে দুজনের
মধ্যে
খুব ভাল বন্ধুত্ব গড়ে ওঠে। এই বন্ধুত্ব একসময়
প্রেমে পরিনত হয়।
দুই বছরের প্রেম যে একদিনেই শেষ হয়ে
যাবে তা কখনো কল্পনাও করেনি সে। আজ
ছিল
ওদের অ্যানিভারস্যারি। আজকের এইদিনে
দুজনে
শপথ নিয়েছিল কেউ কাউকে কখনো কষ্ট
দিবে
না ।শত বিপদেও তাদের বন্ধন থাকবে অটুট।
কিন্তু এ কী হল! নীলা কি ভুলে গেল সেই
শপথের কথা?
না । নীলা শপথ ভুলে যায়নি।
তবে পরিস্থিতি তাকে ভুলিয়ে দিয়েছে।
.
নীলা আজ আকাশের সাথে দেখা করতে
এসেছিল ।তবে একা আসেনি। বর কে সাথে
নিয়ে
এসেছিল । গতকাল নীলার বিয়ে হয়ে গেছে।
নীলার বর আবিদ ওর বাবার বন্ধুর ছেলে।সে
সোনালী ব্যাংকে জব করে।ছেলেটাকে
হ্যান্ডসামই বলা চলে। নীলাকে খুব সুন্দর
মানিয়েছিলো ওর সাথে। অনেক ছোটবেলায়
না
কী ওদের বিয়ে ঠিক করা ছিল। কিন্তু নীলা
এসবের কিছুই জানতো না।
.
সেদিন হঠাৎ নীলার বাবার হার্ট অ্যাটাক
করে।ডাক্তার
বলল যখন তখন কিছু একটা হয়ে যেতে পারে।
তাই
সুস্থ্য হওয়ামাত্র অন্য কোন চিন্তা না করেই
নীলার
বাবা আবিদের সাথে ওর বিয়ে দিয়ে দেয়।
বাবার
মুখের দিকে চেয়ে নীলা সেদিন কিছুই বলতে
পারেনি। নিরবে সব মেনে নিয়েছিল।
.
দু'প্যাকেট সিগারেট নিয়ে বসেছিল আকাশ।
এক
প্যাকেট শেষ হয়ে গেছে। পরের প্যাকেট
থেকে একটা সিগারেট বের করল সে। যখন
নীলা পাশে থাকত তখন সে নিজেই লাইটার
দিয়ে
আগুন ধরিয়ে দিত। আর বলত বিয়ের আগে তুমি
সিগারেট খাও আমি বাধা দেব না ।কিন্তু
বিয়ের পরে
নো সিগারেট।
নীলার সাথে কাটানো সময়গুলো কত না
মজার ছিল।
সেগুলো আজ শুধুই স্মৃতি। একে একে সব
আকাশের চোখের সামনে ভেসে ওঠে।
.
"প্রথম দর্শনেই ভালবাসা।" এই কথাটা আকাশ
বিশ্বাস
করতনা।
কিন্তু প্রথম যেদিন নীলাকে দেখেছিল
সেদিনই
ওর বিশ্বাসটা ভেঙ্গে যায়। প্রথম দেখাতেই
নীলাকে ভাল লেগে যায়।প্রেমে পড়ে যায়
ও।
নীলা খুব সুন্দরী একটা মেয়ে ।এক কথায়
রুপবতী বলা চলে। নীলাকে প্রচন্ড ভালবাসত
আকাশ। সারাক্ষণ ওর সাথে কথা বলত।
নীলাও
আকাশকে অনেক ভালবাসত। কত রাত না
ঘুমিয়েই
কাটিয়ে দিয়েছে দুজনে। নির্ঘুম চোখে রঙিন
স্বপ্ন দেখত ওরা। ছোট্ট একটা সংসার হবে
দুজনের। শহর থেকে একটু দূরে নিরিবিলি
জায়গায়
খুব সুন্দর একটা বাড়ি বানাবে। সেই বাড়ির
একপাশে
থাকবে ফুলের বাগান। তবে সেই বাগানে শুধুই
গোলাপ ফুল থাকবে। গোলাপের মতই
ভালবাসাটাকে ওরা চিরকাল রঙিন করে
রাখবে।
ফুটফুটেসুন্দর একটা ছেলে হবে ওদের।
সারাদিন
ওকে নিয়ে খুনসুটিতে মেতে থাকবে নীলা।
তারপর আকাশ অফিস ফিরলে ছেলেকে
কোলে
দিয়ে কৃত্রিম রাগ দেখাবে। বলবে তোমার
ছেলেকে তুমিই সামলাও ।আমি আর পারছি
না।
আরও অনেক স্বপ্ন দেখত ওরা।
.
বাদাম চিবোতো আর স্বপ্নের জাল বুনত ওরা।
বাদামের খোসার শব্দে স্বপ্নগুলো জীবন্ত
হয়ে উঠত।
খুব মনোযোগ দিয়ে নীলার স্বপ্নের
কথাগুলো শুনত আকাশ। আর বলত চলো আজই
বিয়ে করে ফেলি। তারপর ছয়মাসের মাথায়
একটা
বাচ্চা নিয়ে নিই। না না একটা না । আমাদের
অনেকগুলো বাচ্চা থাকবে।
আকাশের কথা শুনে নীলা হাসতে হাসতে
গড়িয়ে
পড়ত। আর বলত এই তুমি এত বোকা কেন
বলোতো! ছয়মাসে কারও বাচ্চা হয়। তারপর
দুষ্টুমি
মাখা চোখে বলত এসব স্বপ্ন ভাল না।
.
নীলার সাথে কাটানো সময়গুলো এখন শুধুই
স্মৃতি।
সব স্মৃতিই আজ চোখের সামনে ভেসে উঠছে।
নীলার সাথে ফুচকা খাওয়া, সিনেমা হলে
যাওয়া, রিকশায়
ঘুরে বেড়ানো, বকুলতলার আড্ডা সবই এখন
স্মৃতি ।
অতীতের সুখের মুহূর্তগুলোই আজ নিদারুন
কষ্টের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। আকাশ তার
এই
ছোট্ট বুকটাতে এত কষ্ট ধরে রাখবে
কীভাবে! নীলার সাথে কাটানো প্রতিটা
ক্ষণ তার
স্মৃতিতে গেঁথে আছে।
সময়ের কালস্রোতে হয়ত সে নীলাকে ভুলে
যেতে পারবে। কিন্তু নীলার সাথে কাটানো
সময়গুলোকে সে ভুলবে কীভাবে! মানুষ তার
অতীতকে কখনো মুছে ফেলতে পারেনা।
আকাশও পারবে না। দিনে দিনে বিন্দু বিন্দু
কষ্টগুলোই হৃদয়ে শক্ত আসন দখল করে নিবে।
.
সিগারেট প্রায় শেষ। সর্বশেষ সিগারেটে
আগুন
ধরায় আকাশ। জীবনটা এখন ওর জলন্ত
সিগারেটের
মতোই। টানলেও পুড়বে না টানলেও পুড়বে।
সিগারেটের শেষ টান দিয়ে উঠে দাঁড়ায় সে।
কিন্তু
দাঁড়াতে পারেনা।আবার বসে পড়ে সে ।বার
বার
নীলার কথাই মনে পড়ছে। ওকে ভুলে যেতে
হবে এটা ভাবতেই কষ্ট লাগছে আকাশের।
কিন্তু এই কলেজে এই শহরে থাকলে কী
নীলাকে ভুলতে পারবে সে? না । এখানে
থাকলে নীলাকে সে ভুলতে পারবে না।
ক্যাম্পাসের প্রতিটি জায়গায় নীলার স্মৃতি
জড়িয়ে
আছে। এখানে থাকলে এই স্মৃতিগুলো ওকে
পুড়ে পুড়ে খাবে। নীলাকে ভুলতে হলে
ওকে চলে যেতে হবে। হ্যাঁ চলে যেতে
হবে এই শহর ছেড়ে।
.
৫ বছর পরের ঘটনা-
.
বেশ কয়েকদিন থেকেই ঝুম বৃষ্টি হচ্ছে।
প্রচন্ড গরমে ঢাকা বাসীর জীবন অতিষ্ঠ হয়ে
উঠেছিল। এখন চারপাশে ঠান্ডা ঠান্ডা
অবস্থা।
রাস্তাগুলোয় এক হাঁটু পানি জমে উঠেছে।
অনেক
পথচারিই পথ চলতে গিয়ে ম্যানহোলে পড়ে
যাচ্ছে। ম্যানহোলের ঢাকনাগুলো চুরি
করাটা ইদানিং
চোরদের নেশায় পরিনত হয়েছে। যতবার
লাগানো হয় ততবারই চুরি হয়।
রিকশাওয়ালাদের বেশি
ভাড়া দিলেও তারা কোথায় যেতে রাজী
হচ্ছে না।
রিকশার হুড তুলে দিয়ে বসে আছে। আর
শুকনো
মুখে বিড়ি টানছে। দু'একটা প্রাইভেট কার
পানি সাঁতরে
চলে যাচ্ছে।
.
নীলা অনেকক্ষণ থেকে রিকশা খুঁজছে
বাসায়
ফেরার জন্য। কিন্তু কোন রিকশাই উত্তরা
যেতে
চাচ্ছে না।আজ সঙ্গে ছাতাও নিয়ে আসেনি
সে।
অফিসের কাজের চাপে আজকাল
প্রয়োজনীয়
জিনিষ সঙ্গে নিতেই ভুলে যায় সে। তাছাড়া
সকাল
বেলা বৃষ্টিও ছিল না। তাই ছাতা নেয়ার
কথা মনেই
আসে নি।
আজ ধ্রুবর জন্মদিন
ছেলেটা বাসায় নীলার জন্য অপেক্ষা করে
বসে
আছে। তাড়াতাড়ি বাসায় না ফিরলে ও
কেঁদে অস্থির
হয়ে যাবে। নীলার মা কিছুতেই ওকে
সামলাতে
পারবে না ।নীলা একটু টেনশনে পড়ে গেল।
.
হঠাৎ একটি প্রাইভেট কার নীলার পাশ ঘেঁষে
দাঁড়াল।
রাস্তার নোংরা পানি নীলার শাড়ি
ভিজিয়ে দিলো। স খুব
বিরক্ত হল। ভাবলো লোকটাকে কঠিন অপমান
করবে। বড়লোক তো কী হয়েছে! সেজন্য
দেখেশুনে গাড়ি চালাবে না। কিন্তু গাড়ি
থেকে যে
ভদ্রলোক নামলো তাকে দেখে নীলা হতভম্ব
হয়ে গেল। কারণ সেই লোকটি অন্য কেউ নয় ।
এ যে আকাশ ।
.
আকাশ নিজেও কিছুটা অবাক। দীর্ঘ পাঁচ বছর
পর
নীলার সাথে দেখা হল। হঠাৎ এভাবে নীলার
সাথে
দেখা হবে সে ভাবতেই পারে নি। এই পাঁচ
বছরে
অনেক কিছুই বদলে গেছে। নীলার সাথে
ব্রেক আপের পর সে ঢাকায় চলে আসে।
তারপর
নিজেকে ব্যস্ত রাখার জন্য প্রাইভেট
ফার্মে জব
শুরু করে। তাছড়া কাজের মধ্যে থাকলে কষ্ট
ভুলে থাকা যায় ।কষ্ট ভুলে থাকার উত্তম
উপায় হলো
নিজেকে ব্যস্ত রাখা।
ভাল কাজের জন্য আকাশ খুব দ্রুত প্রোমোশন
পেয়েছে। অফিস থেকে গাড়ি দিয়েছে।
থাকার
জন্য ফ্ল্যাট দিয়েছে। মোটামোটি ভালই
আছে
সে।
.
নীলা দেখতে ঠিক আগের মতই আছে। সেই
হালকা পাতলা চেহারা ,লম্বা নাক,
অভিমানী পাতলা ঠোঁট,
টানা টানা দুটি চোখ। সব কিছুই আকাশের
চেনা।
তারপরও নতুন করে মুগ্ধ হয়ে নীলাকে
দেখতে থাকে সে ।
.
আকাশের চোখের কোনে পানি জমতে শুরু
করেছে। হয়ত নির্লজ্জ চোখের জল এখনই
গড়িয়ে পড়ে বিব্রত অবস্থায় ফেলে দেবে
ওকে। খুব কষ্ট করে নিজেকে সামলে নিল
সে।
তারপর বলল, কেমন আছ নীলা? স্যরি
তোমাকে
ভিজিয়ে দিলাম। কিছু মনে করিও না।
আকাশের কথায় নীলার হতভম্ব ভাবটা কেটে
গেল। কিন্তু তারপরও ওর বুকটা ঢিপ ঢিপ
করছে।
কিছুটা স্থির হয়ে বলল , ভাল আছি।
অনেকদিন পর
তোমাকে দেখলাম। তেমন কেমন শুকিয়ে
গেছো। ঠিকমত খাওয়া দাওয়া কর না?
আকাশ কিছু বলল
না শুধু মলিনমুখে শুকনো হাসি দিলো। তারপর
বলল ,
চলো তোমাকে বাসায় পৌঁছে দেই। সন্ধ্যা
হয়ে
আসতেছে। তাছাড়া বৃষ্টির দিন। রিকশা ,সি
এন জি কিছুই
পাবে না।
.
গাড়ি এসে থামলো একটা আটতলা
বিল্ডিংয়ের সামনে।
এই বাড়ির ৩য় তলায় নীলা ভাড়া থাকে।
নীলা বলল,
বাসায় এসো ।আজ আমার ছেলের জন্মদিন।
আকাশ
কিছু বলল না। চুপচাপ নীলার পিছু পিছু গেল।
দরজায়
নক করার সাথে সাথেই নীলার মা দরজা
খুলে
দিলেন। নীলা আকাশের সাথে ওর মায়ের
পরিচয়
করিয়ে দিল।
.
নীলার মা বললেন, তুমি এসে ভাল করেছো
বাবা।
আজ ধ্রুবর জন্মদিন। অথচ তেমন কাউকেই
দাওয়াত
করা হয় নি।
তাছাড়া ঢাকায় আমাদের তেমন কোন
আত্মীয়
স্বজনও নেই।
নীলা আকাশকে বসিয়ে রেখে ফ্রেশ হওয়ার
জন্য চলে গেল।
.
.
এরপর থেকে প্রায়ই নীলার সাথে আকাশের
দেখা হত। একে একে অনেক কথাই জানতে
পারল
আকাশ। এই পাঁচ বছরে নীলার জীবনে অনেক
বড় ঝড় বয়ে গেছে। বিয়ের দু'মাসের মাথায়
আবিদ
বদলিহয়ে ঢাকায় আসে। ঢাকায় আসার
সপ্তাহখানেক
পরে নীলার বাবা হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে
মারা
যায়। তারপর নীলা রংপুর থেকে ওর মা কে
ঢাকায়
নিয়ে আসে।
.
কিন্তু নীলার জন্য আরো বড় ধরনের দুর্ঘটনা
অপেক্ষা করছিল।
ধ্রুবর জন্মের এক মাস আগে আবিদ রোড
একসিডেন্টে মারা যায় ।এই ঘটনায় নীলা
দিশেহারা
হয়ে পড়ে। কী করবে বুঝে উঠতে পারে না।
পরিস্থিতি সামলে নিতে অনেক সময় লাগে
ওর।
ব্যাংকে জমানো যে টাকা ছিল সেগুলোও
প্রায়
শেষ হয়ে যায়। বাধ্য হয়ে নীলা একটি
প্রাইভেট
কোম্পানী কম্পিউটার অপারেটর হিসেবে
কাজ
নেয়। তারপর এতদিন এভাবেই দুঃখ কষ্ট সহ্য
করে
সংসার চালাচ্ছে সে।
.
আকাশ নীলার দিকে বিস্ময়কর চোখ নিয়ে
তাকিয়ে
থাকে। জীবনে এত কষ্ট সহ্য করে কীভাবে
বেঁচে এই মেয়ে। ওকে দেখলে বোঝাই যায়
না যে ওর জীবনে এতবড় একটা ঝড় বয়ে
গেছে। আসলে অধিক শোকে মেয়েটা পাথর
হয়ে গেছে। চোখে জল জমা হতে হতে বরফ
হয়ে গেছে।
.
.
আজ শুক্রবার। ছুটির দিন।বিকেলে নীলার
সাথে
দেখা করার কথা। কিন্তু সকাল থেকেই
আকাশে
মেঘ জমে আছে।যেকোন মুহূর্তেই ঝুম বৃষ্টি
নামতে পারে। আকাশ নিজেকে নিয়ে ভাবে।
নীলার কথা ভাবে। নীলার সাথে দেখা
হওয়ার পর
থেকেই বার বার পুরোনো স্মৃতি গুলো
চোখের সামনে ভেসে উঠছে।নতুন করে
স্বপ্ন দেখা শুরু করেছে সে।এতদিন যে
ভালবাসা
সুপ্ত ছিল আজ সেটাই মাথা চাড়া দিয়ে
উঠেছে।আর
কোন বাধাই মনে হয় ওর এই ভালবাসাকে
দমিয়ে
রাখতে পারবে না।
সেদিন হঠাৎ করেই নীলা প্রশ্ন করে বসল ,
তুমি
এতদিন বিয়ে করো নি কেন? এই প্রশ্নের
জবাব
সেদিন আকাশ দিতে পারে নি। তবে এখন
মনে হয়
এই প্রশ্নের জবাব সে পেয়ে গেছে।
.
গোটা আকাশ কালো মেঘে ছেয়ে গেছে ।
বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা খুবই বেশি। পার্কের
এক
কোনায় একটা বেন্ঞ্চিতে বসে আছে আকাশ
আর নীলা।পাঁচ বছর পরে আকাশ আজ নীলার
দেয়া
সাদা শার্ট টা পরেছে।এতদিন খুব যত্ন করে
এই শার্ট
টা সে তুলে রেখেছিলো।
দু'এক ফোটা করে বৃষ্টি পড়তে শুরু করল।
আকাশ
বলল , অনেকদিন বৃষ্টিতে ভেজা হয় না।
আমার
সাথে বৃষ্টিতে ভিজবা নীলা?
নীলা কিছু বলল না ।শুধু আকাশের হাতটা শক্ত
চেপে ধরল।
আজ অনেকদিন পর নীলার অজান্তেই ওর চোখ
থেকে অশ্রু গড়িয়ে পড়ল।
.
ঝুম বৃষ্টি নেমেছে।আজ অনেক দিন পর
আকাশ-
নীলা বৃষ্টিতে ভিজছে।
.
২| ২৮ শে অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ৭:০৮
জ্ঞানহীন মহাপুরুষ বলেছেন: আন্তরিক ধন্যবাদ ।
৩| ২৮ শে অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৩:০৫
এহসান সাবির বলেছেন: বেশ!
৪| ২৯ শে অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ৭:০২
জ্ঞানহীন মহাপুরুষ বলেছেন: ধন্যবাদ
©somewhere in net ltd.
১|
২৭ শে অক্টোবর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৫৫
কিরমানী লিটন বলেছেন: অনবদ্য ...