।। মৃদধ্বনি___ শাফিক আফতাব।।

১২ ই জানুয়ারি, ২০১৪ সকাল ১০:৪৫

আজ অক্ষরবৃত্তের ভারি আবেগে থমথমে গাঢ় বেদনায় মনটা ভরে গেলো __

আজ তোমাকে কতদিন পর নিবিড় আর প্রগাঢ় করে মনে হলো __

আজ তোমাকে অনুভবে ঘন পুলকের ঘ্রাণে হৃদয়ের গহীনে পেলাম ;

বহুদিন পর, বহু বসন্তের বহু ফাগুনের আগুনে জ্বলে তোমার নিবিড় হলাম।



ঘন কুয়াসার ভেতরে আজ মেঘগুলো জমাট বেঁধেছে বেদনা ঝরাবে বলে __

সূর্যের হাসি নেই বলে আজ আকাশের মন খারাপ __

তুমি নেই বলে আজ আমার ভিতর অনেক বসন্তের ব্যথাতুর প্রলাপ ;

আমি, আকাশ আর মেঘ আজ সমার্থক শব্দের সারিতে খুঁজেফিরি আঁখিজলে।



মনের ছন্দ আজ উচ্ছল নৃত্য হয়, গভীর জলের বহতা নদীর মতোন ভারি __

অাজ আমার পায়ের ছন্দে পরাজিত মানুষের ধীরভঙ্গির হাঁটার তাল __

কোথায় কোন কালে কোন অরণ্যের গভীরে ছিলো আমার এক অভিসারী ?

কতকাল পরে আজ কেনো তা ভেসে এলো খনিজ আবিস্কারের ছলে।



আমি তো ভুলে গেছি, তবু কেনো দুঃখগুলো পিছু ডাকে ? চোখের জলে ভাসায় __

কতটুকু আর দিয়েছিলে, শুধু এতুটুকু স্পর্শে ? তাই আজ কাঁদায় হাসায় !!

১২.০১.২০১৪



অনন্তের বাণী শুনি, রাত্রির দুপুরে

------------------------

যা বলার বলেছি যা বাসার বেসেছি যা দেবার দিয়েছি,

এখন আমার বলার কিছু নেই, বাসার কিছু নেই, দেবার কিছু নেই,

হৃদয়ের গভীরে আমার যত ছিলো ভালোবাসাবাসি __

আজ কিছু নেই, নিঃস্বতার শূন্য আকাশ, বাস করি নির্জন ঘরেই।



জীবনে আর কতদিন থাকে ঝরঝরে রোদ্দুর, আলোর বিলাস আর সুখ

জীবন আর কদিনের, দেখতে দেখতে স্টেশনের কাছাকাছি এসে পড়ি,

এরই মাঝে মানুষের কত দ্বন্দ্ব, সংঘাত, ভালোবাসার সুশ্রী মুখ

এরই মাঝে মানুষ ঘুষ খায়, সুদ খায়, ইমারত গড়ায়, হরন করে নারী।



আমি দেখতে দেখতে আর দেখিনা, সমাজবদ্ধ মানুষর কুকুরকূটচাল,

অর্থ ক্ষমতা আর বিলাসের গ্যাসলাইট তারা কীভাবে জ্বালায় দিনদুপুরে,

আমি দেখেও দেখিনা, আমার সামনে দিয়েই যায় কত ভালোমানুষের পাল

আমি নির্জনে আমার হিসেব গুনি, অনন্তের বাণী শুনি, রাত্রির দুপুরে।



মানুষ যুদ্ধ বাধায় হরণ করে, হনন করে, অবৈধ প্রজননে জন্মায় শাবক __

মানুষই শান্তি আনে, কল্যাণ আনে, মানুষই রচনা করে কবিতা গান শ্লোক।

১২.০১.২০১৪

০ টি +০/-০