নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

এখন বিশ্ব আমার হাতের মুঠোয়

গাজী কামরুল ইসলাম

My name is Md. Kamrul Islam. I completed MBA from Stamford University of Bangladesh. Now I'm Officer of Eastern Bank Ltd.

গাজী কামরুল ইসলাম › বিস্তারিত পোস্টঃ

ফ্লাইং সসার ও এলিয়েন ----পর্ব-৪

১৩ ই নভেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৪:০৮

সকাল থেকে গ্রামের অনেকের মুখে মুখে একটা কথা রাস্তার মাথা থেকে দু’টো গরু কারা যেন নিয়ে গেছে। ঘটনা গতকাল সন্ধ্যার। দু’জন দোকানদার নাকি দেখেছে অদ্ভুত বিশাল আকৃতির কিছু প্রাণী গোলাকার বিমানের ভেতরে তাদের উঠিয়ে নিয়ে গেছে। দশ সেকেন্ডের ভিতরে এসব ঘটনা। দোকানদার দু’জন ভয়ে তাদের সামনে যেতে পারে নাই।
রানা ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখে গরু দু’টো যে খুটায় বাঁধা ছিল সেই খুটাতে কিছু রশি এখনও বাধাঁ আছে। রশি দুটো কাটা হয়েছে কোন রশ্মির রে দিয়ে।
বেলা বাড়ার সাথে সাথে মানুষের সমাগম বাড়ছে। সবার দৃষ্টি খুটার সাথে রশিটুকু। রশি যেভাবে কাটা হয়েছে তা মানুষের হতে পারে না। সবাই দোকানদারদের কাছে কি ঘটেছে জানতে চাচ্ছে। দোকানদারা চা-বিস্কুট বিক্রির তালে তালে আগ্রহ নিয়ে প্রশ্নের উত্তর দিচ্ছে।
সীমা দোকারদারদের জিজ্ঞাসা করলো, ‘ গরু দু’টো যেই যানটা দিয়ে নিয়ে গেছে সেটা কি আপনারা দেখেছেন?’
দোকানদারঃ ‘দেখেছি। আমাদের চোখের সামনেইতো সব ঘটনা ঘটলো। কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে গরু দু’টো একটা নীল রংয়ের বড় ডিসের ভেতরে ঢুকিয়ে সোজা আকাঁশের দিকে উড়ে গেল।’
আজগর মিয়ার গরু। সে ঘটনাস্থলে এসে কেঁদে দিল। তারপর সরাসরি চলে গেল চেয়ারম্যানের কাছে।
আজগর মিয়াঃ ‘চেয়ারম্যান সাহেব, আমার গরু চোরে নিয়েছে। আমি গরীব মানুষ। গরু দু’টোই আমার শেষ সম্ভল। এখন আমি কি করে খাব।’ এই বলে আবার হাউমাউ করে কেঁদে দিল। চেয়ারম্যানের অফিসে লোকে ভরা।
চেয়ারম্যানঃ ‘দুনিয়াতে বাঁচানোর মালিক আল্লাহ। রাখে আল্লাহ মারে কে? আমি তোর গরু বের করার ব্যবস্থা করছি। কাকে সন্দেহ হয় বল? সরাসরি ব্যবস্থা নিব।
আজগর মিয়াঃ চেয়রম্যান সাহেব আমার আসলাম মোল্লার উপড় সন্দেহ। সে গতবার ঈদের সময় আমার গরু দুইডা কিনতে গিয়েও কিনতে পারে নাই। বাজারে নিয়েছিলাম বেচার জন্য কিন্তু দাম কম বলায় বেচি নাই। আসলাম মোল্লা তিনবারে তিন হাজার টাকা বাড়িয়ে বললেও আমি সে সময় গরু বেচি নাই। সে রেগে গিয়ে বলেছিল তোর এই গরু রাখতে পারবি না, তার চেয়ে আমার কাছে বেচে যা।
চেয়ারম্যানঃ ‘ঠিক আছে, আমরা তদন্ত করে দেখি ব্যাপারটা কি, তারপর যথাযথ ব্যবস্থা নিব। তুমিও খোঁজ নিয়ে দেখ কোথায়ও গরু দু’টা পাওয়া যায় কিনা। হয়তবা খুডা উগলে কোথায়ও চলে যেতে পারে।
আজগর মিয়াঃ চেযারম্যান সাহেব খুডা ঠিকই আছে, খুডার সাথে কিছু দড়িও আছে।
চেয়ারম্যানঃ ‘ঠিক আছে, বিষয়টা আমি শুনে রাখলাম। যথাযথ ব্যবস্থা নিব। এখন যাও আমি একটা শালিসিতে আছি।
ঘটনাটা রানাদের কাছে খুব রহস্যময় মনে হলো। তারা এই ঘটনার তদন্ত করবে। গরু যদি খুঁজে পাওয়া না যায় তাবে মনে করতে হবে এখানে এলিয়েন ঘটিত কোন রহস্য আছে। তারা আজগর মিয়ার গোয়াল ঘরটা পর্যবেক্ষণে রাখছে।
সাকিবঃ ‘রানা, আমাদের ফ্লাইং সসার ও এলিয়েন রহস্য নিয়ে কাজ করে লাভ কি ?’
রানাঃ ‘তোর মাথায় শুধু লাভের চিন্তা, বাণিজ্য বিভাগে পড়িসতো। শোন সবকিছুর প্রত্যক্ষ লাভ হয় না। আমরা একটা বিষয় নিয়ে কাজ করছি যেটা নিয়ে দুনিয়াতে কিছু কল্পকাহিনী আছে। মানুষ বুঝতে পারছে না বিষয়টা সত্য না মিথ্যা। আমরা চেষ্টা করবো বিষয়টার একটা কুল-কিনারা করতে। বুঝেছিস?
সাকিবঃ বুঝেছি।

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ১৩ ই নভেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৪:৩০

কানিজ রিনা বলেছেন: আশ্চর্য গল্প

২| ১৩ ই নভেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৫:০৭

চাঁদগাজী বলেছেন:


ভিন্নতা আছে, ভালো

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.