নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সত্যকে সত্য আর মিথ্যাকে মিথ্যা বলি; বিবেকের কাছে স্বচ্ছ থেকে পথ চলি।

হালদার গৌতম

সত্যকে সত্য আর মিথ্যাকে মিথ্যা বলি। বিবেকের কাছে স্বচ্ছ থেকে পথ চলি।

হালদার গৌতম › বিস্তারিত পোস্টঃ

ক্রমাগত দূরে সরে যাচ্ছে রাষ্ট্রক্ষমতা !

১১ ই জুন, ২০১৫ দুপুর ২:৫৪

আধুনিক বিশ্বের দুই প্রতাপশালী কাবুলিওয়ালা ‘আইএমএফ’ আর ‘ডব্লিউবি’ এর বার্ষিক অর্থনৈতিক সূচকের উন্নয়ন প্রতিবেদন কাগজে এসেছে। প্রতিবেদনে দেখা যাচ্ছে বাংলাদেশের ব্যাপক উন্নতি ঘটেছে। আগের অবস্থান ৫৮তম থেকে বর্তমান অবস্থান ৪৪তম, অর্থাৎ বৈশ্বিক অর্থনৈতিক সূচকে বাংলাদেশ ১৪ ধাপ উন্নতি করতে সক্ষম হয়েছে।



এই উন্নয়ন নিঃসন্দেহে এ দেশের মানুষের অক্লান্ত পরিশ্রম আর আন্তরিক প্রচেষ্টার ফসল। দেশে গত প্রায় অর্ধ যুগ ধরে অনূন্য ৬ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জিত হয়েছে। সারা বিশ্বের অর্থনৈতিক শক্তিগুলো যখন “মহামন্দা জ্বরে” আক্রান্ত হয়ে হাজার হাজার কোটি ডলারের ‘বেইল আউট’ প্রোগ্রাম নিয়ে সুস্থ্য হয়ে উঠতে পেরেশান, আমাদের অর্থনীতি তখনও মজবুত; যা সকলের কাছেই ছিল বাংলাদেশের ঈর্ষনীয় সাফল্য।


একটু পিছনের দিকে তাকালে বুঝতে অসুবিধা হবে না, আমরা গত একটা বছর কীভাবে পার করেছি? তিন মাসেরও অধিক সময় দেশের অর্থনতি শুধু স্থবিরই থাকেনি, বরং বোমা, পেট্রোল বোমা আর অগ্নিসংযোগ থেকে বাঁচার জন্য শিশু থেকে বৃদ্ধ প্রতিটি মানুষ ছিলো জেরবার। মানুষ নিজের জীবন, পরিবার পরিজনের জীবন বাঁচানোর জন্য স্বেচ্ছাগৃহবন্দী থাকতে বাধ্য ছিল। সমস্ত ধরনের অর্থনৈতিক কর্মকান্ড ছিল স্তব্ধ।


এমন বিরূপ আর অন্তর্ঘাতমূলক পরিবেশ থাকার পরেও দেশের প্রতিটি মানুষের কঠোর পরিশ্রম আর আন্তরিক প্রচেষ্টার ফলেই এই “বিস্ময়কর অর্থনৈতিক উন্নয়ন” সম্ভব হয়েছে, সন্দেহ থাকার সুযোগ নেই। তবে একটি কথা না বললেই নয়, ডিকশনারি থেকে “মঙ্গা” শব্দটি “ডিলিট” করার পিছনে বর্তমান সরকারের ভুমিকা অস্বীকার করার কোনো উপায় নেই। মনে আছে ২০০১ সালের নির্বাচনের পরও মঙ্গা ছিলো উত্তর বঙ্গের, বিশেষ করে রংপুর অঞ্চলের মানুষের অনিবার্য দূর্ভাবনা। রংপুর বাসী আজ ভুলে গেছে সেই নিদারুন মঙ্গা’র কথা, মঙ্গা চলে গেছে ইতিহাসের পাতায়।


অন্য সব কিছু, শিক্ষা, যোগাযোগ, পরিবহন, সাস্থ্যসেবা’র কথা না হয় বাদ দেই, বিদ্যুত ব্যবস্থার পরিবর্তন চোখের সামনে থেকে ঘটে গেছে বলে বোধকরি আমাদের সকলের গা সওয়া হয়ে গেছে, পরিবর্তনটা চোখে পরছে না। তবে এই বিদ্যুতের দাবিতে আন্দোলন করতে গিয়ে মানুষের প্রাণ গেছে সেটা বোধ করি এত তারাতারি ভুলে যাবার মতো বিষয় নয়।


অবশেষে বলতে হয়, বৈশ্বিক অর্থনৈতিক উন্নয়নের এই বিস্ময়কর অগ্রগতির পিছনে আপামর জনসাধরণের কঠোর শ্রমকে শ্রদ্ধার সাথে উল্লেখ করার পাশাপাশি বর্তমান সরকারেরও প্রত্যেকটি ক্ষেত্রে সময়োচিত পদক্ষেপ আর সহযোগিতাকে বোধ করি চরম আওয়ামীলীগ বিরোধীরাও স্বীকার করতে বাধ্য।


কিন্তু মুশকিলটা হ’লো অন্য জায়গায়। হাজারো প্রতিবন্ধকতা আর নেতিবাচক কর্মকান্ডের মধ্যেও যদি জনগনের প্রচেষ্টায় দেশের শ্রীবৃদ্ধিসহ অর্থনীতির গতিশীলতা এভাবে চলতে থাকে, তাহলে অন্যপক্ষের রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা শুধু যে অধরাই থাকবে না, ক্রমাগত দূরে, নাগালের বাইরে চলে যাবে! তখন কী হবে অবস্থা!

মন্তব্য ২ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ১১ ই জুন, ২০১৫ বিকাল ৩:১৩

এম. মাসুদ আলম. বলেছেন: অন্য সব কিছু, শিক্ষা, যোগাযোগ, পরিবহন, সাস্থ্যসেবা’র কথা না হয় বাদ দেই, বিদ্যুত ব্যবস্থার পরিবর্তন চোখের সামনে থেকে ঘটে গেছে বলে বোধকরি আমাদের সকলের গা সওয়া হয়ে গেছে, পরিবর্তনটা চোখে পরছে না। তবে এই বিদ্যুতের দাবিতে আন্দোলন করতে গিয়ে মানুষের প্রাণ গেছে সেটা বোধ করি এত তারাতারি ভুলে যাবার মতো বিষয় নয়।
দারুন। ভালো লাগলো।
Welcome to write here

১১ ই জুন, ২০১৫ বিকাল ৩:১৭

হালদার গৌতম বলেছেন: আপনার মূল্যবান মতামতের জন্য আন্তরিক শুভকামনা .............................

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.