নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সত্যকে সত্য আর মিথ্যাকে মিথ্যা বলি; বিবেকের কাছে স্বচ্ছ থেকে পথ চলি।

হালদার গৌতম

সত্যকে সত্য আর মিথ্যাকে মিথ্যা বলি। বিবেকের কাছে স্বচ্ছ থেকে পথ চলি।

হালদার গৌতম › বিস্তারিত পোস্টঃ

প্রসঙ্গ: মহাসড়কে ধীরগতির যান চলাচল

১০ ই আগস্ট, ২০১৫ সকাল ১১:৫৫

সিএনজি ও ব্যাটারি চালিত অটোরিক্সা চলাচল প্রসঙ্গ মন্ত্রনালয়ের সাম্প্রতিক সিদ্ধান্ত হলো মহাসড়কে এই শ্রেনীর সকল যান বন্ধ থাকবে। সিএনজি মহাসড়কে চলবে অথবা চলবে না, কিংবা এই পেশার লোকেদের বিকল্প জীবিকার সন্ধান না করা অবধি এই সিদ্ধান্ত অবানবিক কিনা, সেসব নিয়ে মাসের পর মাস আলোচনা আর যুক্তি তক্কো করা যায়, এমন রসদ এই ইস্যুর মধ্যে আছে, সন্দেহ নাই। তবে এই ধীরগতির যানগুলো যে আমাদের মহাসড়কে স্বাভাবিক গতিময়তার ক্ষেত্রে বাঁধা সেবিষয়ে ভিন্নমত হয়তো খুব একটা বেশি নেই। অনেক ক্ষেত্রেই এইযানগুলোর কারণেই দুর্ঘটনায় পরে বড় যানগুলো, প্রাণ যায় অধিকাংশ ধীরগতির এইযানের যাত্রীদের তো বটেই, দুরপাল্লার বাসযাত্রীদেরও বাঁচার উপায় থাকেনা কখনও কখনও, সে বিষয়গুলোও আমাদের সকলের জানা।




সড়ক যোগাযোগ ও সেতু মন্ত্রনালয়ের মাননীয় মন্ত্রী জনাব ওবায়দুল কাদের দৃঢ়তার সাথে ঘোষণা করেছেন, তিনি বরং চাকরি ছেড়ে দিবেন তবু সিদ্ধান্তে অটল থাকবেন। সত্যি হাজারো দোষে দুষ্ট আমাদের রাজনীতিবিদদের মধ্যে খুব কম নেতাই আমরা পেয়েছি যারা শেষ অবধি নিজের অবস্থানে অটুট থাকেন। অধিকাংশ নেতাই চাপের মুখে পরাস্ত হন। জানিনা জনাব ওবায়দুল কাদের শেষ পর্যন্ত কোন অবস্থানে নিজেকে পরিচিত করবেন, তবে মন্ত্রী হওয়া থেকে তার এযাবতকাল অবধি বাতচিতে আশাহত হওয়ার মতো খুব একটা কারণ আছে বলে মনে হয় না।



কিছু লোক আছে সমাজে, যারা নিজেই বরের বাপ, আবার নিজেই কনের বাপ সাজার ভান করে। আদতে তারা কোনটাই হতে পারেন না। এই শ্রেনীর লোকেদের মহাসড়কে সিএনজি বন্ধের সিদ্ধান্তে এখন দরদ আর শরীরে ধরে না। আজ যারা মহাসড়কে সিএনজি বন্ধের ঘোষণায় এত দরদ দেখাচ্ছে, কাল তারাই তাদের কোনো লতায় পাতায় জড়ানো আত্মীয় যখন দুর্ঘটনার শিকার হবেন, আহত হবে কিংবা প্রাণ হারাবেন, তখন এই মন্ত্রীর চৌদ্দ গোষ্ঠী উদ্ধার করতে বিলম্ব করবেন না।


আবার এইসব হামদর্দিরাও মিটার রিডিং দুরে থাক, সম্ভাব্য ভাড়ার দুইগুণ তিনগুণ ভাড়া দিতে চেয়েও জরুরি প্রয়োজনে সিএনজি ড্রাইভারদের কাছ থেকে সেবাটি পান না, কিংবা যত্রতত্র আর এলোমেলো পার্কিংয়ের ফলে যানজটে ঘন্টার পর ঘন্টা বসে থেকে নাকাল হন, অথবা ড্রাইভারদের যোগসাজসে যখন ছিনতাইয়ের শিকারসহ আহত হন, তখনও আবার এই মন্ত্রীকে বা সরকারকেই তুলোধনা করতে কাল বিলম্ব করেন না। এটা বাঙালির চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যের দ্বৈত নীতিরই বহিপ্রকাশ, আসলে যা একধরনের মানসিক অস্থিরতা ছাড়া অন্য কিছু নয়।


সমাজের দৃঢ় চরিত্রের আর স্থির সিদ্ধান্তের মানুষগুলোর উচিত এইসব অস্থির চরিত্রের মানুষগুলোর লোকদেখানো মায়াকান্নায় আপ্লুত না হয়ে সঠিক আর অধিকতর জনহিতকর সিদ্ধান্তটি গ্রহণ করা আর তা সুষ্ঠুভাবে প্রয়োগ করা। আর কিছু সিদ্ধান্ত অমানবিক হলেই বৃহত্তর স্বার্থের কথা মাথায় নিয়েই গ্রহণ করতে হয়। এতে তাত্ক্ষণিক কিছু অসুবিধা তৈরী হলেও আখেরে লাভ হয় বৃহত্তর জনগোষ্ঠিরই। কারণ মানবিকতার কারণে কেউ নিজের আর পরিবারের লোকজনের জিবনঝুঁকি মেনে নেবেন, এমন ‘মহানুভবতা’ হয়তো খুব বেশি নেই সারা দুনিয়ায়।


আর এ প্রসঙ্গে মাননীয় মন্ত্রীকে সবিনয়ে আরও একটু বলতে হয়, তা হলো, শুধু মহাসড়কের দিকে তাকালেই হবে না, সিএনজি আর ব্যাটারি চালিত অটোরিক্সা সহ নসিমন-করিমন আর আলমসাধু শুধুমাত্র মহাসড়কে বন্ধ করলেই চলবেনা, শহরাভ্যন্তরে সিএনজি ড্রাইভারগণ যাতে নিয়মনীতি প্রতিপালন করে গাড়ি চালায়, ভাড়া নেয় সরকার ঘোষিত মাইল মিটার হিসেবে নির্ধারিত হারে, যাত্রীসেবা ঠিকঠাকমত প্রদান করে, সেটাও দেখতে হবে। বৃহত্তর স্বার্থে তাকাতে হবে শহরের দিকেও। সুশৃঙ্খল করতে হবে সমগ্র নগর পরিবহন ব্যবস্থাও।

হালদার গৌতম

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ১০ ই আগস্ট, ২০১৫ দুপুর ১:২২

এপোলো বলেছেন: ভাই, একবারও কি ভেবে দেখেছেন, বাংলাদেশে সিএনজি অটোরিকশা চালানোর জন্য বড় মহাসড়কের আশেপাশে অন্য কোন রাস্তা আছে কিনা?? যেসব আন্তঃজেলা সড়কের সমান্তরালে অন্য কোন আঞ্চলিক রাস্তা নাই, সেখানে মানুষ চলাফেরা করবে কিভাবে?? যেসব মহাসড়কের আশেপাশে বসতি আছে, সেখানের মানুষজন কিভাবে চলাফেরা করবে, সেটাও বিবেচ্য বিষয়।
আর বাংলাদেশের মত ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায় পর্যাপ্ত রাস্তার ব্যবস্থা করাও সময়সাপেক্ষ ব্যপার, সেক্ষেত্রে এই নিয়মটা চালু করার আগে একটু বেশি সময় নিয়ে বিশেষজ্ঞদের সাথে আলোচনা করলে কি আরও ফলপ্রসু সিদ্ধান্ত বেরিয়ে আসত না?
ভাড়া আর মিটারিং ঠিক করার জন্য তো গাড়িগুলো চালু রেখে ড্রাইভারকে বাধ্য করা যায়। মাথা ব্যথা হলে তো মাথা কেটে ফেলা তো কোন সমাধান না। ড্রাইভিং লাইসেন্সিংটা আরেকটু কড়াকড়ির ব্যপারটাও বিবেচনা করা যায়।

১১ ই আগস্ট, ২০১৫ সকাল ৯:৫৮

হালদার গৌতম বলেছেন: বিষয়টা একটু ভিন্নভাবে ভাবলে সমাধান আসবে বলে আশা করি-
আমরা বোধকরি দুরপাল্লার যাত্রাই হোক কিংবা আন্তজেলা যাত্রাই হোক কোনো ক্ষেত্রেই সিএনজি কিংবা নসিমন করিমনে যাত্রী হিসেবে চলাচল করতে রাজি হইনা। কারণ দূরপাল্লা এবং আন্তজেলা যাতায়াতের জন্য প্রচুর সংখ্যক বাস এদেশের "অধিকাংশ এলাকায়" এবং "অধিকাংশ রাস্তায়" পাওয়া যায়। কোনো কোনো ক্ষেত্রে, বিশেষ করে সময়ের হেরফেরে আর জরুরি প্রয়োজনে আন্তজেলা যাতায়াতের জন্য আন্তজেলা বাস পাওয়া না গেলেও ঐসব এলাকায় দুরপাল্লার বাস পাওয়া যায় এবং ঐসব এলাকার দুরপাল্লার বাসের ড্রাইভার-সুপারভাইজারগণ স্থানীয় আন্তজেলা যাত্রীদের বহন করে থাকেন, তাদের দুরপাল্লার যাত্রায়ও।

এই যদি অবস্থা হয়, তাহলে কী মহাসড়কে "নিয়ন্ত্রণে দুর্বল" এইসব ধীরগতির যান চলাচলের খুব বেশি প্রয়োজনীয়তা কী আছে? বোধ করি আছে। কারণ প্রয়োজনীয়তা যদি মোটে নাই থাকত, তাহলে এগুলো মহাসড়কে উঠবে কেন? প্রশ্নটা ভীষনভাবে যৌক্তিক, সন্দেহ নেই।
তবে বিষয়টি হলো সেই প্রয়োজনীয়তা কী এই ধরনের যান চলাচলে যে খুব বেশি দুর্ঘটনার ঝুঁকি থাকে, তার চেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ? বোধ করি সবাই সহমত হবেন, "না, দুর্ঘটনার ঝুঁকির চাইতে কোনভাবে বেশি গুরুত্বপূর্ণ নয় এ ধরনের যান মহাসড়কে চলাচল।"

আমার ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা থেকেই, যেহেতু বাংলাদেশের সবগুলো জেলা আর অধিকাংশ উপজেলা এমনকি কোনো কোনো ক্ষেত্রে ইউনিয়ন অবধি একাধিকবার গমনাগমনের সুযোগ হয়েছে, এবং মনে হয়েছে আসলে মহাসড়কে ধীরগতির যান চলাচল "খুব বেশি" প্রয়োজন নয়, সেখান থেকেই এই লেখা।

আপনার মতামতের জন্য অকুন্ঠ ধন্যবাদ। শুভকামনা নিরন্তর।

২| ১০ ই আগস্ট, ২০১৫ বিকাল ৩:৩৩

মাঘের নীল আকাশ বলেছেন: সহমত!

১১ ই আগস্ট, ২০১৫ সকাল ৯:৫৯

হালদার গৌতম বলেছেন: আপনার মতামতের জন্য ধন্যবাদ আর শুভকামনা নিরন্তর ......

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.