![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সত্যকে সত্য আর মিথ্যাকে মিথ্যা বলি। বিবেকের কাছে স্বচ্ছ থেকে পথ চলি।
'ঘুড়ির হাতে বাঁশের নাটাই উড়তে থাকে ছেলে
বড়শি দিয়ে মানুষ গাঁথে মাছেরা ছিপ ফেলে'
লাইন দু'টি মনে আছে। কে লিখেছিলেন, মনে নেই। সম্ভবত বাংলা সাহিত্যের বিখ্যাত ছড়াকার ও কবি সুকুমার রায়ের লেখা। কবে পড়েছিলাম, তা মনে নেই। কোথায় পড়েছিলাম তাও মনে নেই। তবে তা বেশ মনে আছে, ছড়াটি যে আমাদের দেশের কোনো শ্রেণীতেই পাঠ্য বইয়ের অন্তর্ভুক্ত ছিলনা। থাকবে কী করে? এখানে তো মানুষকে সরেষ আর সাহিত্যানুরাগী মানুষ বানানোর জন্য পাঠ্যপুস্তক প্রণয়ন করার সুযোগ নেই। বরং এখানে দরকার ধর্ম ব্যবসার প্রসারের কলাকৌশল সম্বলিত ধর্মীয় শিক্ষা ব্যবস্থা। সরকারকে তো তাই করতে হবে। জনচাহিদা বলে কথা!
এসব আবোল তাবোল পড়ে লাভ কী? এখানে না আছে নৈতিক শিক্ষার প্রয়োজন, না আছে উদারনৈতিক সাহিত্য আর মৌলিক শিক্ষার প্রয়োজন। এখনকার সময়ে আদর্শলিপি'র শিক্ষা "ঔ তে ঔদার্য্য অতি মহৎ গুণ" দেখানোর টাইম কই? তার বদলে "ক -তে কঠোর হও কসাইর মতো" মতো জীবনমুখী! ধর্মমুখী! বাস্তবমুখী! সৃজনশীল! কত কায়দার শিক্ষায় জাতি শিক্ষিত হচ্ছে!
যাক সে কথা, একটু ভাবলেই বোঝা যায় এদেশের বর্তমান প্রেক্ষাপটে, স্বাধীন দেশে স্বাধীনতাবিরোধী শক্তিগুলোর ক্ষমতা কেন্দ্রিক দুর্বৃত্তায়ন, দুর্নীতিগ্রস্থ আর সমাজবিরোধী অপশক্তিগুলির শক্তিমত্তা, আরও "প্রকাশযোগ্য নহে" এমন অসংখ্য অসংখ্য বিষয় বিবেচনায় নিলে শিশুতোষ আর মজার এ ছড়াটি এখন কী ভীষণ রকমের বাস্তব!
কথা একটাই, এর থেকে উত্তরণের আছে কী কোনো পথ?
গৌতম হালদার
©somewhere in net ltd.
১|
২৭ শে আগস্ট, ২০১৫ সকাল ১১:৪২
আল ইমরান বলেছেন: সুকুমার রায় সমগ্র কিনেছিলাম। আমার মেয়েকে মাঝে মাঝে ছড়া পড়ে শোনাই। এবং ছড়ার ভিতর লুকিয়ে থাকা শিক্ষাটাও দেয়ার চেষ্টা করি। ওরাই তো ভবিষ্যৎ প্রজন্ম। আমরা না শেখালে কে শেখাবে ওদের।