নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সত্যকে সত্য আর মিথ্যাকে মিথ্যা বলি; বিবেকের কাছে স্বচ্ছ থেকে পথ চলি।

হালদার গৌতম

সত্যকে সত্য আর মিথ্যাকে মিথ্যা বলি। বিবেকের কাছে স্বচ্ছ থেকে পথ চলি।

হালদার গৌতম › বিস্তারিত পোস্টঃ

একটি ছবি দু\'টি কথা

১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৫:৪৬

আবুল হোসেন নামের এই লোকটিতে মাদক ব্যবসার সাথে সম্পৃক্ততার অভিযোগে আটক হয়। দুই পা-ই শক্তিহীন মানুষটিকে দুই টুকরো কাঠকে অবলম্বন করে হাতের উপর ভর দিয়ে পথ চলতে হয়। দৌঁড়ে পালাতে পারে, সে সক্ষমতা তার নেই, দেখলেই বোঝা যায়।


ছবিটিতে দেখা যাচ্ছে পঙ্গু ব্যাক্তিটিকে পুলিশ পাহারারত অবস্থায়ও হাতকরা পরানো রয়েছে! কি প্রয়োজনে এই লোকটিকে হাতকড়া পড়ানো হয়েছে, সেটা এক বড় প্রশ্ন? তাহলে কী চলত্শক্তিহীন এই পঙ্গু লোকটি পুলিশ সদস্যদের পরাস্ত করে দৌঁড়ে পালিয়ে যেতে পারে, এই শংকায়! সেই শারীরিক সক্ষমতা যে লোকটির নেই, দেখলেই বোঝা যায়। তবে কী এটা পুলিশের কর্তব্যের বাধ্যবাধকতা? সে ও তো হতে পারে না। কারণ আবার তো দেখা যায় কখনও কখনও হাতকড়া ছাড়াও কোনো কোনো অভিযুক্তকে স্থানান্তর হতে!

তাহলে এটা কি অমানবিকতা নয়?

মন্তব্য ১৪ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১৪) মন্তব্য লিখুন

১| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৫:৫৩

এফেমেরাল ইটার্নিটি বলেছেন: কবে'র ঘটনা এটা?

১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:১৮

হালদার গৌতম বলেছেন: মাত্র ২/৩ দিন আগেকার ঘটনা। প্রথম আলোতে এসেছে।

২| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৫:৫৮

দ্রুবদা বলেছেন: দুঃখিত মনে কিছু করবেন না। আপনি হয়তো এই পঙ্গু প্রতিবন্ধি ব্যক্তিটির কষ্টের কথা ভাবছেন। কিন্তু এই ব্যাটারে চিনলে এতোটা মায়া আপনার কখেনোই লাগতো না।
এই হারামির দুইটা পা নাই। এই প্রতিবন্ধকতার সুযোগ ব্যবহার করে দিনে দুপুরে অফিস আদালতে গিয়ে গিয়ে মাদক সরবরাহ করতেছে। গাজা থেকে শুরু করে এমন কিছু নাই যা তার আওতার বাইরে।
আর হাত করার ব্যাপারটা পুলিশের নিতিমালা অনুযায়ী অবশ্যই ঠিক আছে কিন্তু কিছু কিছু সময় কিছু কিছু ব্যক্তির ক্ষেত্রে হাতকরা পরানো হয়না। ওইটা পুলিশের নিতীমালা বহির্ভুত।
** এই প্রতিবন্ধী উদ্ভাস্তুদের আসল রুপ দেখতে হলে ঢাকা হাই কোর্ট মাজার ও কোর্টর মূল গেটে আসুন। সব ক্লিয়ার বুঝতে পারবেন।

১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৫১

হালদার গৌতম বলেছেন: ব্যাটা বড়জোর একজন সাপ্লাইয়ার হবে! এর বেশি কিছু হতে পারে? আমার বুঝে আসেনা। তাই যদি হবে, তবে একে ধরে কি মাদক ব্যবসা বন্ধ করা যাবে? গডফাদারদের না ধরে চুনোপুটি ধরেই যদি মাদক ব্যবসার রাশ টানা যেত, তবে এদেশে মাদক কী ঢুকতে পারতো?
যদি আন্তরিকভাবেই আইন শৃঙ্খলা বাহিনী চায় দেশে মাদক না আসুক, তবে কোন তরীকায় মাদক আসে, কোথায় কোথায় বখরা দিতে হয়, সেগুলোকে বরং খুঁজে বের করুক।
আমরাও চাই মাদক ব্যবসা বন্ধ হোক, তবে ন্যুনতম মনুষ্যত্ববোধটাও যেন আমাদের থাকে!

৩| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:০০

অন্যরকম হিমু বলেছেন: আমাদের অবস্থা এর থেকে ভাল হবে কবে জানা নেই :-<

১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:১৯

হালদার গৌতম বলেছেন: সেটাই তো কথা!

৪| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:০৪

অভিমানীর আকাশ বলেছেন: সে যদি সত্যিই অপরাধী হয়ে থাকে তাহলে পুলিশ খারাপ কিছু করেনি,
তবে তার পঙ্গুত্বের কথা বিবেচনা করে
কিছুটা সহানুভূতি দেখান যেত

৫| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:১২

প্রামানিক বলেছেন: পঙ্গু হলেই যে সে ভাল মানুষ এটা ভাবা ঠিক না। এরকম অনেক পঙ্গুই আছেন যারা এই সুযোগ নিয়ে ভযাবহ মাদক ব্যবসার সাথে জড়িত। তাদের কারণে হাজার হাজার তরুণ তরুণী আজ মাদকাসক্ত। এক পঙ্গুকে সহমর্মিতা দেখাতে গিয়ে হাজার হাজার পরিবার মাদকের ছোবলে বিপদের মুখে।

পোষ্ট দাতার কাছে প্রশ্ন আপনি হাজার হাজার তরুণ তরুণী মাদাকের ছোবল থেকে ফিরে আসুক এটার পক্ষে না মাদক ব্যবসায়ী এই পঙ্গুর পক্ষে?

১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৪১

হালদার গৌতম বলেছেন: কথাটা হলো তার বিরুদ্ধে মাদক ব্যবসার অভিযোগ রয়েছে, তাই তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এই ধরনের অভিযোগ এই সমাজে হাজারও ভাবে উত্থাপিতি হতে পারে সেটা আমাদের সকলেরই জানা। আর অভিযোগ থাকা মানেই তিনি দোষী,সেটা কিন্তু নাও হতে পারে !
এবারে যদি বলি হাতকড়ার কথা। আমার জানামতে হাতকড়ার প্রয়োজন তখনই পরে যখন সম্ভাবনা থাকে অভিযুক্ত পালিয়ে যেতে পারে। দুর্ধর্ষ আসামীদের হাতকড়া-পা'কড়া বা ডান্ডাবেড়ি বা শিকলও পড়ানো হয়ে থাকে।
এই লোকটাকে ধরে নিলাম দুর্ধষ মাদক ব্যবসায়ী, তবুও কি সে দৌড়ে পালানো কিংবা এ জাতীয় কোনো ঘটনা ঘটাতে সক্ষম বলে মনে হয়?
আমার তো মনে হয় না। তাহলে হাতকড়া টি কেন? আর যদি হাতকড়া পড়াতেই হবে তবে একহাতে কেন? নাকি এক হাতে পরলেই সে আর পালাতে পারবে না, তাই।

৬| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:১৮

প্রামানিক বলেছেন: এখানে হাতকড়া পরানোর অর্থ হলো সে যে অভিযুক্ত সেটা বুঝানোর জন্য। সে যে পালাতে পারবে না সেটা পুলিশও জানে। অনেক সময় মাদক ব্যবসায়ীরা দল বেঁধে হামলা করে তাকে ছিনিয়ে নিতেও পারে। হাতকড়া অবস্থায় ছিনিয়ে নিলে পাবলিক হাতকড়া দেখলেই বুঝতে পারবে এ পুলিশের হাতে ধরাপড়া আসামী।

৭| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:২৭

প্রামানিক বলেছেন: তবে গৌতম হালদার মশায়ের কাছে অনুরোধ মাদক ব্যবসায়ীদের কখনও উৎসাহ দেয়ার জন্য কোন পোষ্ট দিবেন না। পঙ্গুর হাতে হাত কড়া দেখলে মানবিকতার কারণে খারাপ লাগে আবার মাদকের কারণে সমাজে যখন চুরি, ছিনতাই, ডাকাতি, রাহাজানির ঘটনা দেখি তখন খুব খারাপ লাগে। মাদকের ছোবলে পড়ে অনেক পরিবার ধ্বংস হয়েছে।

আমার স্বচক্ষে দেখেছি যে ছেলে বাবাকে দেবতার মত শ্রদ্ধা করতো সেই ছেলে মাদকের ছোবলে পড়ে মাদক কেনার পয়সার জন্য বাবার গলায় ছুরি ধরতে। বাবা ছেলের সাথে কুলোতে না পেরে রাগে দুখে তার পরিশ্রমের পয়সায় তিল তিল করে গড়ে তোলা দোতলা বাড়ি বিক্রি করে গ্রামে চলে গেছে।

আপনি যদি স্বচক্ষে এসব ঘটনা দেখতেন তাহলে ওদের মানবিক দিকে কখনই তাকাতেন না।

৮| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৩২

সামনে আগাও বলেছেন: আচ্ছা একজন অপরাধী হোক সে প্রতিবন্ধী বা সুস্হ অপরাধী সেতো অপরাধীই। কিন্তু যখন দেশের প্রখ্যাত আলেম ওলামা যারা সারা জিবন মানুষকে সত্য ও ন্যায়ের পথে ডেকেছেন রএক আল্লাহ ছাড়া কাউকে ভয় পাননি তাদের পায়ে পরানো হ্য় ডান্ডা বেড়ী এই হলো আমাদের দেশ।

৯| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:৩৭

কালীদাস বলেছেন: আমি লোক খারাপ, ক্রসফায়ারকেও সাপোর্ট করি। সেরকম একজন ইয়াবা সাপ্লায়ারের প্রতিও আলগা মহব্বত আমার আসে না কেন জানি। যে লোকের মানবতা হাজার হাজার মানুষের জীবন ধ্বংসকারী জিনিষের যোগান দিতে জাগ্রত হয়না, তার জন্য আমার মানবতা না দেখালে খুব একটা লস হবে বলে মনে হয় না।

১০| ১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সকাল ১০:৫৯

হালদার গৌতম বলেছেন: আমার লেখার কোন অংশ মাদক ব্যবসাকে উতসাহিত করতে পারে অথবা কোন অংশ মাদক ব্যবসায়ীদের পক্ষে যায় আমার বোধগম্য নয়।
এই লোকটির কথা ছেড়েই দিলাম। ধরে নিলাম সে মাদক ব্যবসায়ী আর যুবসমাজ তথা পুরো সমাজ ধংশের অনুঘটক। আমাদের সকলের মনে থাকার কথা, মাত্র কদিন আগে সাংবাদিক প্রবীর শিকদারকে এতক করার কথা। পঙ্গু সাংবাদিক প্রবীর শিকদার বোধ করি এই জঘন্য মাদক সরবরাহকারীর মত কোনো অপরাদের সঙ্গে যুক্ত নন। তাছাড়া সমাজে সবহারানো মুক্তিযোদ্ধা সন্তান হিসেবে তার যথেষ্ট সুখ্যাতি আছে। তাকে হাতকড়া পড়ানোর কোনো প্রয়োজন কী ছিল?

গতকালকেও কাগজে এসেছে পিতার অপরাধের দায়ে [জানিনা পিতা কতশত খুনের মামলায় অভিযুক্ত] ১১ মাস বয়সী শিশুপুত্রকে ১৯ ঘন্টা গরাদে আটক রাখে ঝিনাইদহের মহেশপুর থানা। খবে প্রকাশ, আমি কোট করছি-
"মহেশপুর উপজেলার ভালাইপুর গ্রামের আজব আলীর ছেলে রাজু আহম্মদের নামে একটি মামলা ছিল। কিছুদিন আগে আদালত থেকে জামিন নিয়ে বাড়িতে আসেন। বুধবার রাতে স্ত্রী ও সন্তান নিয়ে একই উপজেলার নাটিমা গ্রামে আব্দুল আজিজের বাড়িতে বেড়াতে যান তিনি। রাত ৮টার দিকে ওই বাড়িতে পুলিশ আসে। সেখান থেকে পালিয়ে যায় রাজু আহম্মদ। মহেশপুর থানার টিএসআই আমির হোসেনের নেতৃত্বে একদল পুলিশ তাকে তাড়া করে আটক করতে না পেরে তার স্ত্রী আর ১১ মাসের শিশুকে আটক করে থানায় নিয়ে যান। আটকের সময় তার স্ত্রীকে মারপিট করা হয়েছে বলে তিনি জানান। এরপর তাদের টেনেহেঁচড়ে গাড়িতে তুলে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়।"

সর্বশেষ টাঙ্গাইলের কালিহাতির ঘটনা। কালিহাতির ঘটনা কি প্রমান করে না যে মূলত এক শ্রেনীর পেশাজীবি মানুষের নীতি-আদর্শ বিবর্জিত অনৈতিক আর অত্যুতসাহী পদক্ষেপের কারণে তিনটি প্রাণ ঝড়ে গেল!



শেষে বলতে হয়, আমরা আসলে দিনে দিনে মনুষ্যত্ববোধকে জলাঞ্জলি দিয়ে ফেলছি। পরিনত হচ্ছি ন্যুনতম আবেগ-বিবেক বিবর্জিত আর একচোখা "না-মানুষ"-এ। এর ফলে সর্বত্র ছড়িয়ে হিংসা আর হানাহানি। আমরা ভুলে যাই হিংসা দিয়ে হিংসা পরাস্ত করা সম্ভব না, সম্ভব কেমল সহানুভুতি আর মানবিক মূল্যবোধ দিয়ে।

সবাইকে ধন্যবাদ চমতকার মতামতের জন্য।

শুভকামনা সবার জন্য।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.