নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

হাবীব_ফরিদপুর

হাবীব_ফরিদপুর › বিস্তারিত পোস্টঃ

শিবির ক্যাডার নাছিরের অস্রভান্ডারের কাহিনী ...

০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১০ বিকাল ৪:১৫



চট্টগ্রাম হাঠাজারী থানার মন্দাকিনি খালের পাড়ের কোটিপতি এলাহীবক্সের ২য় ছেলে নাছির । পারিবারিকভাবেই আজন্ম জামাত-শিবিরের লোক । তারা ৪ বোন ৭ ভাই । এর একভাই নাজিম নিহত হয় সন্ত্রাসী হামলায় । ১৯৮১ সাল থেকে শিবির ক্যাডার নাসির আন্ডারওয়ার্লডে প্রভাব বিস্তার শুরু করে ।



চট্টগ্রাম জেলা এবং সিএমপির তালিকা ভূক্ত শীর্ষ সন্ত্রাসী ৩৫ মামলার আসামী শিবির ক্যাডার নাছির ৭ আগষ্ট গ্রেপ্তারের পরে তার কাছে পাওয়া যায় -



- ১টা এম ১৬ রাইফেল

- ১টা ডিবিবিএল বন্দুক

- এম ১৬ এর ৩৭৩ রাউন্ড গুলি

- ৩টা ম্যাগাজিন ও এম১৬ এর সিলিং



র‌্যাব ৭ কে সহযোগিতা করে আরো ২ শিবির ক্যাডার জামাল মো: তুহিন এবং নাসিরূল ইসলাম শওকত যারা ১৮ ই মার্চ পতেংগা থেকে একটি হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার হয় । শিবির ক্যাডার জামাল মো: তুহিন হল ৬ মামলার পলাতক আসামী ছিল হত্যা মামলা সহ এবং শিবির ক্যাডার নাসিরূল ইসলাম শওকত ২ টি হত্যা মামলার পলাতক আসামী । এই ২ জনের স্বীকারোক্তির ভিত্তিতে যা পাওয়া যায় তা হল :-

- ২টি একে ৪৭ রাইফেলের গুলি

- ৩ রাউন্ড থ্রি নট থ্রি

- ৩ রাউন্ড এম ১৬ রাইফেলের গুলি

- একে ৪৭ রাইফেলের ম্যাগাজিন

- গুলি রাখার ৩ টি ব্যাগ

- ২টা ভুয়া পাসপোর্ট



নাছিরের ভান্ডারের এটা খুব বড় নমুনা না মনে হয় । নাছির বাহিনীর মাসিক ইনকাম ছিল ৪০ লাখ টাকা , পুরোটাই নিরেট চাদাবাজী ।

এই উপার্জনের থেকে ৪০ হাজার টাকা ব্যায় হয় হেরোইন / প্যাথেডিন ব্যাবহরের জন্য । এটা নাছিরের ডেইলি রিকয়ারমেন্টের রেজাল্ট ।



এম১৬ হল আর্মস ওয়ার্ল্ডে একটা হট কেক । মেড ইন ইউএসএ । আর তা যদি হয় আন্ডার ওয়ার্লডে !

১৮ই মার্চে শওকত জানায় যে তাদের কাছে একটি এম১৬ , একটি ডাবল ব্যারেল বন্দুক এবং ২টা একে ৪৭ তাদের ভান্ডারে আছে ।তারা অংগীকার করেছিল যে এই ভান্ডার র‌্যাবের হাতে তুলে দেবে কিন্তু তা করেনি ।



১৮ ই মার্চ সন্ধ্যায় সন্ত্রাসীদের নিয়ে রয়াব অভিযান চালালে ফটিকছরির পশ্চিম ভুজপুর ইউনিয়নের রোসাইংগাঘোনার একটি বাড়ীতে দক্ষিন-পশ্ছিম দেয়াল ঘেষে গর্ত খুরে একটি একে৪৭ পাওয়া যায় । নাসির শওকতের অজান্তে এম-১৬ সরিয়ে রেখেছিল । ঐদিন আর এম-১৬ পাওয়া যায়নি ।

শিবির ক্যাডার জামাল বলেছিল - " তৈয়ব বাহিনীর কালা মাহাবুবের মাধ্যমে এম-১৬ রাইফেলটি ৩ লাখ ৮০ হাজার টাকায় তৈয়ব বাহিনীর কাছে বিক্রি করে দিয়েছি । "

মধ্যপ্রাচ্যে পালিয়ে যাবার জন্য জামাল এবং নাসির শওকত যথাক্রমে মো :তুহিন এবং হূমায়ুন আজাদ এর কাছ থেকে নকল পাসপোর্ট সংগ্রহ করে ।



নাছির বাহিনীর অস্রের আসল হিসাব নাছির নিজে ছারা আর পরিষ্কার ভাবে জানেনা ।যতটুকু জানা গেছে টা হল :-



৫টি একে ৪৭

২টি এম১৬

২টি দোনালা বন্দুক

২টি শাটারগান

২টি এলএমজি সহ আরো গোলাবারূদের ভান্ডার ।



নাছইরের চাচতো ভাই মোজাম্মেলের কাছে একটি একে ৪৭ রয়েছে বলে জানা গেছে । র‌্যাব ৭ ের হাতে ভাগিনা রমজান ধরা পরার পর মোজাম্মেল দুবাই পালিয়ে যায় ।



নাসিরের বড় বোন লিলি আন্ডারওয়ার্লডে এবং শিবিরের ক্যাডারদের কাছে ফুলন দেবী নামে পরিচিত । অনেকে তাকে "লিলু আপা " নামে চেনে । "লিলু আপা " নামে সে চট্টগ্রাম সরকারী কলেজের পাশে ১৪ বছর যাৎ থাকে এবং যে বারঈতে থাকে সেই বাড়ীর মালিক আজপর্যন্ত বাড়ীর ভারা পাননি ।



এই নাছির এবং ভাগিনা রমজান ২ জনেই নিজামী এবং সাঈদির লোক এবং তারা স্বীকার করেছে যে নিজামী এবং সাঈদি ধর্মের নামে হত্যা ,সন্ত্রাস করে ।



এই কি -- " আল্লার আইন চাওয়া আর সৎ লোকের শাসন প্রতিষ্ঠা ? !! "







মন্তব্য ৩ টি রেটিং +৭/-২

মন্তব্য (৩) মন্তব্য লিখুন

১| ০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১০ বিকাল ৪:৫০

ফিরোজ-২ বলেছেন: শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।

২| ০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১০ বিকাল ৫:০৯

টি-ভাইরাস বলেছেন: আপনার এই পোস্ট তার সুত্র কি সেটা দেন . মানে কি ঠিকে এত কিছু আপনে জানতে পারলেন

০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১০ বিকাল ৫:১২

হাবীব_ফরিদপুর বলেছেন: hhhhmmmm............asking qsn to know or for doubt ?

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.