নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

হাবীব_ফরিদপুর

হাবীব_ফরিদপুর › বিস্তারিত পোস্টঃ

খুনী জিয়ার খুনের খতিয়ান - ২

১৭ ই মে, ২০১৪ রাত ২:১৭











১৯৭৫ থেকে ১৯৮১ সাল পর্যন্ত সশশ্রবাহীনিতে সংঘটিত হয়েছে একের পর এক হত্যা কান্ড ।হত্যাকান্ডগুলো করা হয়েছে সামরিক আদালতের বিচারে ।



১৫ আগষ্টের আরাই মাস পর একটা ক্যু হয় মুক্তিযোদ্ধা ব্রিগেডিয়ার খালেদ মোশারফ এর নেত্রিত্বে । ঠিক তার ৩ দিন পর কর্নেল তাহেরের নেত্রিত্বে সিপাহী বিপ্লব ঘটে ।ক্ষমতায় আসে জিয়া ।কর্নেল তাহের তখন বলত ‘জিয়া ইজ আন্ডার মাই ফুট ।’



কিন্ত জিয়া ক্ষমতায় বসে প্রথম যে কাজ করে তা হল ২৪ শে নভেম্বর কর্নেল তাহের কে আরেষ্ট করে । এবং সাথে আরো ৩৩ জন । অভিযোগ সবার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহ ।

সাদাত সায়েম ছিল প্রধান বিচারপতি , তাকে রাষ্ট্রপতি ও প্রধান সামরিক আইন প্রশাশক পদে নিয়োগ দেয় জিয়া । নিজে ছিল সেনাপ্রধান ও উপ-প্রধান সামরিক আইন প্রশাশক ।



১৪ ই জুন কর্নেল ইউসুফ হায়দারকে প্রেসিডেন্ট করে করা হয় বিশেষ সামরিক আদালত ।



২১ শে জুন কোর্টমার্শাল কর্তপক্ষ কাজ শুরু করে । রায় ঘোষনা করা হয় ১৭ ই জুলাই বিকাল ৩ টায় । রায় ছিল কর্নেল তাহেরের ম্রিত্যুদন্ড ,অধিকাংশ কে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদন্ড এবং কিছু বেকসুর খালাস ও দেয়া হয় ।



ঘটনা হল এই সামরিক আদালতের কোন আইন ছিল না । এমন কি কর্ণেল তাহেরকে যে আইনের আওতায় মৃত্যুদন্ড দেওয়া হয় সেই আইনে মৃত্যুদন্ডের বিধানই ছিল না। ফাঁসি হওয়ার পর এই বিধানটি যোগ করা হয়।

সব কিছুই করা হয়েছিল জিয়ার টিক মার্কে । ঠিক যেন কলম দিয়ে টিক চিহ্ন দিয়ে দাগ দিয়ে বলে দিচ্ছে কার কি রায়।



কর্নেল তাহের এবং তার সাংগ পাংগের উপর জিয়া এত ক্ষিপ্ত কেন ছিল । তার কারন ছিল এই সিপাহী বিপ্লবের পুরা গ্রাউন্ড তৈরিতে মুখ্য ভূমিকা পালন করেছিল কর্নেল তাহের ।বঙ্গবন্ধুর সাথে বিবাদ করে কর্নেল তাহের চাকরী ছেড়ে দিয়ে এসে ষড়যন্ত্রের কাথা বুনা শুরু করেছিল । আর তারই রেজাল্ট ছিল সিপাহী বিপ্লব ।খালেদা মোশারফ যখন বঙ্গবন্ধুর খুনীদের ক্যু করে ক্ষমতা নিল,সাথে সাথে ৩ দিনের মধ্যে কর্নেল তাহের ঝাপিয়ে পড়ল খালেদ মোশাররফের উপর । কিন্তু কেন ??



কারন খালেদ মোশাররফ তাহের পন্থী ছিলেন না । তাহের পন্থীছিলেন বঙ্গবন্ধুর খূনী জিয়া ।আর তাই তিনি সিপাহী বিপ্লব ঘটিয়ে সেনাপ্রধান করেছিলেন জিয়া কে, তার ওবিডীয়েন্ট হিসাবে । জিয়া অবশ্য তার ভাল উত্তর দিছে, বেঈমানের ঈমানদারীর উপর ভরসা না করে ।



২১ শে জুলাই কর্নেল তাহের কে ফাসি দেওয়া হয় । বাংলাদেশ সামরিক আদালতের প্রথম শিকার ছিলেন কর্নেল তাহের , আর শিকারী ? অবশ্যই জিয়া ।।

মন্তব্য ১৩ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১৩) মন্তব্য লিখুন

১| ১৭ ই মে, ২০১৪ রাত ২:৫৭

পংবাড়ী বলেছেন: আপনার লেখা পড়লে মনে হয়, আপনি মংগল গ্রহের আওয়ামী লীগ শাখার সভাপতি; একটা নভোচারী স্যুট যোগাড় করে নিয়ে আপনার ছবি দেবেন!

২| ১৭ ই মে, ২০১৪ রাত ৩:০৪

ইসপাত কঠিন বলেছেন: Just out of curiosity, কর্ণেল তাহেরকে কোন আইনের কোন ধারায় মৃত্যুদন্ড দেওয়া হয়েছিলো?

৩| ১৭ ই মে, ২০১৪ রাত ৩:৩০

ভুয়া প্রেমিক বলেছেন: আপনার পরিবারের কেউ ৭২-৭৫ এ কি রেইপ হয়েছিল? সেই রেইপের ফলে কি আপনার জন্ম হয়েছে? এতো চামচামির কারণ কি সেটাই?

৪| ১৭ ই মে, ২০১৪ রাত ৩:৪২

গোলক ধাঁধা বলেছেন: তাহৈলি অখন কি করিতে হইবেক ??

৫| ১৭ ই মে, ২০১৪ ভোর ৬:১১

মোঃ সাবিকুল ইসলাম (হৃদয়) বলেছেন: াজাকারের জন্ম দাতা

৬| ১৭ ই মে, ২০১৪ সকাল ৮:৪২

ফয়সাল আহমেদ ইমন বলেছেন: “সিপাহী সিপাহী ভাই ভাই, অফিসারদের রক্ত চাই” বলে বেশ কয়েকজন আর্মি অফিসার কে হত্যার ব্যাপারেও বলবেন কি????????? সেই অফিসারদের হত্যার দায় কার....... একটু বলবেন? আমার জ্ঞান সীমিত (বোধহয় সবারই, তবে তার মাঝে আমি একেবারেই কম), কেউই পারফেক্ট না। জিয়া যদি ন্যায় এর চেয়ে অন্যায় বেশী ই করে থাকে তবে সে তাঁর প্রতিদান পাবেন। কর্ণেল তাহের এর বিচার সম্পর্কে বলতে চাই, তিনি তো ফাঁসির আগ মূহুর্তেও তাঁর অনুভূতি বা দেশপ্রেম এর কথা বলে যেতে পেরেছেলিন, সিরাজ শিকদার কি তা পেরেছিলেন? যেখানে তৎকালীন রাষ্ট্রযন্ত্রের কর্ণধার আস্ফালন করেছিলেন “আমি লাল ঘোড়া দাবড়ায়ে দিছি, কোথায় সেই সিরাজ শিকদার?” যারা জ্ঞান ও প্রজ্ঞায় সামান্যতম জেষ্ঠ্য তাদের উচিত ইতিহাসের নির্মোহ বিশ্লেষন করে কনিষ্ঠদের জানিয়ে দেয়া, রাষ্ট্র এখানে সচেতনভাবেই ব্যর্থ বা বলা চলে মতলববাজ।

৭| ১৭ ই মে, ২০১৪ সকাল ৮:৫২

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
কু পালটা কুর নামে জিয়ার হাতে ১৪০০ মুক্তিযোদ্ধা অফিসার সহ প্রায় ২০০০ সামরিক সদস্য নিহত হয়েছিল। এদের বেশীরভাগই ছিল জিয়ার সহকর্মি বন্ধু।

৮| ১৭ ই মে, ২০১৪ সকাল ৯:২৭

ঢাকার কুতুব বলেছেন: পঁচাত্তরের মীরজাফর বাঙালিরা ভোলেনাই,
রক্ত হাতে চশমা চোখে খুনি কেমনে শহীদ হয়?

৯| ১৭ ই মে, ২০১৪ সকাল ১০:৩৮

সাইবার অভিযত্রী বলেছেন: ফয়সাল আহমেদ ইমন বলেছেন: “সিপাহী সিপাহী ভাই ভাই, অফিসারদের রক্ত চাই” বলে বেশ কয়েকজন আর্মি অফিসার কে হত্যার ব্যাপারেও বলবেন কি????????? সেই অফিসারদের হত্যার দায় কার....... একটু বলবেন?

পংবাড়ী বলেছেন: আপনার লেখা পড়লে মনে হয়, আপনি মংগল গ্রহের আওয়ামী লীগ শাখার সভাপতি; একটা নভোচারী স্যুট যোগাড় করে নিয়ে আপনার ছবি দেবেন!

১০| ১৭ ই মে, ২০১৪ দুপুর ১২:৫৮

ইসপাত কঠিন বলেছেন: হাসান কালবৈশাখী @ ১৪০০ 'অফিসার' মারা যাওয়ার বিষয়টি একটু ইতিহাস বিকৃতি হয়ে গেলো না? আপনি তো ইতিহাস বিকৃতির বিষয়ে বেশ ভালোই সোচ্চার।

১১| ১৮ ই মে, ২০১৪ সকাল ৯:৫১

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
আমার মন্তব্যের একটু সংসোধন -

১৯৭৫ থেকে ১৯৮১ পর্যন্ত কু পালটা কুর পরে বিচারের নামে জিয়ার সময়কালে ১৪০০ মুক্তিযোদ্ধা অফিসার সহ প্রায় ২০০০ সামরিক সদস্য নিহত হয়েছিল। এদের অনেকেই ছিল জিয়ার সহকর্মি বন্ধু।

সুত্র পেয়েছিলাম - ১৯৯৬ এর দিকের বহুল প্রচারিত (বর্তমানে বিলুপ্ত) 'আজকের কাগজ' এর একটি উপ সম্পাদকিয়তে।

১২| ১৮ ই মে, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:৪৮

ইসপাত কঠিন বলেছেন: হাসান কালবৈশাখী @ ১৯৭৫-৮১ সালে ১৪০০ তো দূরের কথা, ৪০০ অফিসার হারানোর ধকল সহ্য করার সুযোগ সেনাবাহিনীর ছিলো না। ১৪০০ অফিসার হারানোর ধকল সহ্য করার সক্ষমতা আজো সেনাবাহিনীর হয়ে ওঠেনি। অথচ আজকের সেনাবানীর আকার ১৯৮১ সালের প্রায় দ্বিগুণ। আপনার হারিয়ে যাওয়া সূত্র হয় ইতিহাস বিকৃতি করেছে, অথবা গন্জিকা সেবন করে লিখেছে।

১৩| ২০ শে মে, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:৫৫

াহো বলেছেন:
জিয়ার আমলে অভুত্থ্যান প্রচেষ্টার অজুহাতে সংক্ষিপ্ত সামরিক আদালত
20 Oct 1977 টাইমস সংবাদপত্র
লন্ডন যুক্তরাজ্য
02 Oct বাংলাদেশে অভ্যুত্থানের চক্রান্ত
37 মৃত্যুদন্ড কার্যকর ,20 জনের life-term কারাগার
মার্শাল ল ট্রাইব্যুনাল এ পর্যন্ত 460 জনের বিচার এবং 63 নির্দোষ বলে রায়
তিনটি রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধ









আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.