![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
জামায়াতে ইসলামী নেতা মীর কাশেম আলীর ফাঁসির রায় বহালে আপিল বিভাগের সিদ্ধান্তের পর গত বুধবার সারা দেশে হরতাল আহবান করেছিল জামায়াত। আইন-শৃংখলা বাহিনীর সতর্ক নজরদারীর কারনে সে হরতাল তেমন কোনো অঘটন ছাড়াই শেষ হয়। একাত্তরের মহান মুক্তিযুদ্ধকালে বন্দরনগরী চট্টগ্রামে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের লোকজনকে ধরে নিয়ে নির্যাতন এবং অসংখ্য হত্যাকান্ডের দায়ে অভিযুক্ত করে তাকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল মৃত্যুদন্ড দিয়েছিল। শুনেছি, মুক্তিযুদ্ধকালীন স্থানীয় লোকজন তাকে চট্টগ্রামের কশাই হিসেবেই জানতো। আমাদের বিশ্বাস, দ্রুতই এই রায়ের পূর্ণাঙ্গ কপি প্রকাশ করা হবে এবং উচ্চ আদালতের আদেশও দ্রুত বাস্তবায়িত হবে।
অনেকের মত আমিও ব্যক্তিগতভাবে শাস্তি হিসাবে মৃত্যুদন্ডাদেশের বিপক্ষে হলেও অন্তত যুদ্ধাপরাধের মত ভয়ংকর অপরাধের সাথে জড়িতদের ফাঁসির রায়কে যুগান্তকারী ও ঐতিহাসিক বলেই মনে করি। ২০০১ সালে আমি যখন দৈনিক জনকণ্ঠের সিলেট অফিসের স্টাফ রিপোর্টার হিসেবে কাজ করি, সে সময় পত্রিকাটিতে ‘সেই রাজাকার’ শিরোনামে শতাধিক প্রতিবেদন ছাড়া হয়েছিল। দেশের বিভিন্ন জেলায় কর্মরত সাংবাদিকদের মত আমিও সিলেটের বালাগঞ্জের বুরুঙ্গা ও আদিত্যপুরের পৃথক দুটি গণহত্যার ঘটনা এবং ফেঞ্চুগঞ্জের গণহত্যা নিয়ে প্রতিবেদন লিখেছিলাম। দৈনিক জনকণ্ঠের সেই প্রতিবেদনগুলোই বর্তমানে আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধকালীন গণহত্যার অন্যতম দলিল হিসেবে স্বীকৃতি লাভ করেছে। এছাড়া, একাত্তরে দৈনিক সংগ্রাম পত্রিকায় প্রকাশিত রাজকার, আল-বদর, আল-শামস্ বাহিনীর কর্মকান্ডের প্রশংসাসূচক প্রতিবেদনগুলোও যুদ্ধাপরাধীদের বিরুদ্ধে বড় প্রমাণ হিসেবে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে দাখিল হয়েছিল। দৈনিক সংগ্রামের ঐসব প্রতিবেদনগুলোতে অনেক যুদ্ধাপরাধীর বক্তব্য, মন্তব্যও প্রকাশিত হয়েছিল। তাই মানবতাবিরোধী যুদ্ধাপরাধে স্বীকৃত অপরাধীদের সর্বোচ্চ দন্ড নিয়ে তাদের অনুসারিদের সাফাই, প্রতিবাদ, অসন্তুষ্টি থাকলেও সাধারণ মানুষ প্রকৃত ঘটনা জানেন। তাই তারা আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের রায়ে এবং আপিল বিভাগের রায়ে সন্তুষ্ট। এতে দেশ বিচারহীনতার সংস্কৃতি থেকে মুক্তি পাবে।
জামায়াতে ইসলামীর আমীর মাওলানা মতিউর রহমান নিজামীর মামলার রায়ের বিরুদ্ধে আপিলের শুনানী ইতিমধ্যে শেষ হয়েছে। বর্তমানে আপিল বিভাগের রায় ঘোষণার অপেক্ষায় আছে মামলাটি। আমার বিশ্বাস, এই মামলাটিসহ যুদ্ধাপরাধের সকল মামলার নিষ্পত্তি বর্তমান সরকারের মেয়াদকালেই সম্পন্ন হবে।
২| ১১ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ৩:১৩
উপপাদ্য বলেছেন: টেনশন নিবেন না। আজ হোক কাল হোক এদেরকে ঝুলিয়ে দিবেই। যতদিন প্রয়োজন ততদিন এই কথিত যুদ্ধাপরাধ আদালতও থাকবে। আরো অনেক নিরীহ মানুষও এরকম বিশেষ বিশেষ আদালতের মাধ্যমে ঝুলতে থাকবে, অথবা ক্রসফায়ার তা নাহলে গুম। আর আপনারা যারা ঝুলানোর জন্য হা-পিত্যেশ করেন তাদের জন্য সরকার মাঝে মাঝে রক্তোৎসবের ব্যাবস্থা করবে, হোলি হবে, রক্তের হোলি। এই যেমন মাঝে মাঝে এদেশে হয়, ২৫ ফেব্রুয়ারী, ২৮ ফেব্রুয়ারী, ৫ মে এজাতীয় রক্তোৎসব। আপনারা যাতে সুস্থ থাকেন সেজন্য কখনো চার হাজার কোটি, কখনো ৮০০ কোটি কিংবা কখনো কখনো পুকুর চুরি সাগর চুরি করবে, বলবে হ্যাকিং করেছে। আপনারা বলবেন চেতনার সরকার যা করে ভালোই করে। আপনারাও নাচবেন, বানরের মতো নাচবেন দাদা। টেনশন নিবেন না। ভারত শেখ মুজিবের জন্মদিনে ২২০০ টন ডিজেল পাঠাবে, আবারো আপনারা নাচবেন ঐ টন টন ডিজেলের ঝাঁঝালো গন্ধের সাথে হাজারো মায়ের অশ্রুও থাকবে।
তারপর একদিন ঘুম থেকে উঠেই দেখবেন.. সবাই গাইছে বন্ধে মাতরম... আপনি আবারো বানরের মতো নাচবেন...
তারপর হয়তো আপনাকে একদিন বজরং দল রাস্থায় ফেলে পিঠাতে পিঠাতে মেরে ফেলবে কারন তারা সন্দেহ করেছে আপনি গোমাংস খেয়েছেন...
তখনও হয়তো আপনি নাচবেন.. চিৎকার করে বলবেন.. জয় হিন্দ.......।
এছাড়া তখন আর কোন পথ খোলা থাকবেনা.......।
আসুন ঝুলানোর অপেক্ষায় থাকি...........
৩| ১১ ই মার্চ, ২০১৬ ভোর ৫:৫১
নীল আকাশ ২০১৬ বলেছেন: আপনার মত এইসব জঘন্য কণ্ঠের স্টাফ রিপোর্টার ছাড়া আর কেউই বিচারের নামে এইসব বুজরুকি বিশ্বাস করেনা। সারা জীবন কর্ম উদ্যোগী এই লোকটিকে বিনা অপরাধে ফাঁসিতে লটকে আপনাদের কি যে আনন্দ হবে আমি জানিনা। কিন্তু ইন্ডিয়ান আর্মি যখন এদেশে ঢুকবে, তখন জঘন্য কণ্ঠের স্টাফ রিপোর্টার পরিচয় দিয়ে রেহাই পাবেন না। তাদের বেয়নেটের ফলা আপনাদের পশাদ্দেশেই আগে ঢুকবে। ১০০% গ্যারান্টি!
©somewhere in net ltd.
১|
১১ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ১:০৪
আতোভাইলু বলেছেন: যুদ্ধাপরাধের সঠিক বিচার আমরা সবাই চাই। আওয়ামী লীগ এবং বিএনপি থেকেও তাদের খুঁজে বের করা হোক ।