নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

হার্ড নাট

সভ্য সমাজের অসভ্য নাগরিক।

হার্ড নাট › বিস্তারিত পোস্টঃ

জাগ্রত কল্পনা বাস্তব করার লক্ষ্য।

০৭ ই মার্চ, ২০১৫ রাত ১০:০৩

রাত জাগতে জাগতে এমন হয়েছে প্রতি রাতেই
ইচ্ছা করে ফুটপাতে ঘুমিয়ে থাকা কাউকে তুলে এনে আমার
বিছানায় ঘুমাতে দেই। আর
আমি ফুটপাতে বসে রাতের স্নিগ্ধতা অনুভব করি।
আমার যেহেতু ঘুম আসে না সেহেতু বিছানা দখল
করে রেখে কি লাভ!!
অন্তত সারাদিন
খেটে খাওয়া মানুষটি শান্তিতে ঘুমাতে পারবে।
ইটের জায়গায় বালিশ মাথায় ঘুমাবে লোকটি।
সকালে আবার ফিরে যাবে নিজ গন্তব্যে।
হাসিমুখে কাজ করে রোজগার করবে।
সবকিছুতেই একটা কিন্তু থাকে। এখানেও আছে।
আমি মানুষটিকে ঘুমাতে দিলাম। চলে গেলাম
ফুটপাতে রাতের স্নিগ্ধতা পেতে।
সকালে এসে দেখবো হয়তো বিছানা আছে চাদর
নেই,হয়তো বিছানাও নেই কিংবা আমার ব্যাগ
নেই।
অপরিচিত কারো ওপর ভরসা করা কঠিন।
সমাজটাই এমন হয়ে গেছে। কারো ওপরই
কারো বিস্বাস নেই।আজকাল পরিচিত মানুষেও
বিস্বাস করা বোকামি।
নিজের এ ইচ্ছাটাকে বাক্সবন্দী করে দিলাম।
বাক্সবন্দী করে দিয়েছি বলে এমন নয়
যে একেবারে শেষ করে দিয়েছি।
নিজের বিছানায় জায়গা না দিলেও একদিন
কাউকে কিনেদিব একটি নতুন বিছানা। সে মাত্র
একরাত নয় অনেক রাত ঘুমাবে সেই বিছানায়।
ইট মাথায় ঘুমানো লোকটি তুলার
বিছানা পেয়ে কতটা শান্তিতে ঘুমায় এটা না হয়
তার পাশে বসেই দেখবো। আমার রাতের
স্নিগ্ধতা দেখা হবে ওই লোকটার পাশে বসেই।
আর উনার মাথার নিচের ইট কোন
বিত্তবানকে দান করে দেব, তার নতুন
অট্টালিকা তৈরিতে কাজে আসবে।
অনেকেই আছে যারা নিজ ঘরের
তাপমাত্রা রিমোটের সাহায্যে নিয়ন্ত্রণ করলেও
কাচের ভেতর দিয়ে ঠিকই ফুটপাতের
দিকে তাকিয়ে থাকে। ভাবে ওই মানুষগুলোর
কথা। কিন্তু করার কিছুই থাকেনা।
জনাব করার অনেক কিছুই আছে। ওদের এসির
বাতাস খাওয়ানো লাগবেনা। শুধু ঘুমানোর জন্য
যা দরকার তা পেলেই ওদের চলে।
প্রত্যেকটা ক্ষেত্রে এমন ছোট ছোট কিছু করার
মাধ্যমেই সমাজকে অনেকটা বদলে ফেলা যাবে।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.