![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
তমার ফোনে ঘুম ভাংলো। আজ নাকি ওর সাথে দেখাকরার কথা। অথচ আমার মনেই নাই। অনেকদিন পর দেখা। নিজের লুকটা অন্যরকম হওয়া চাই।
ঘুম ঘুম চোখে বেসিনের সামনে গেলাম।রুমমেট ইকু ঝিমাচ্ছে আর ব্রাশ করছে।ইকুর দিকে তাকিয়ে পাতলা একটা হাসি দিলাম। ব্রাশের বক্সে হাত দিয়ে মাথা ঘুরছে। আমার ব্রাশ খুজে পাচ্ছিনা।ব্রাশ মানুষের একান্ত ব্যাক্তিগত জিনিস। বউয়ের চেয়েও ব্যাক্তিগত।ব্রাশ খুজে পাবোনা এটা কোন স্বাভাবিক ঘটনা না। ঘুমের ঘোর কেটেগেছে। ইকুকে জিজ্ঞেস করবো ঠিক তখনই দেখি আমার ব্রাশ ইকুর মুখের মধ্যে। সে দেয়ালে হেলান দিয়ে ঝিমাচ্ছে আর ব্রাশ করছে। গাধাটা ঘুমের ঘোড়েই এমন করেছে। কে জানে এই ঘটনা আরও কতদিন ঘটাইছে। ভাবতেই গা গিদগিদ করছে।
এদিকে ফোন বেজেই যাচ্ছে। তমা বাসার সামনে রিক্সা নিয়ে দাড়িয়ে আছে।রিক্সাওয়ালার ভাড়াটা আমাকেই দেওয়া লাগবে। যত দেরি করবো তত ভাড়া বাড়বে। রিক্সাও এখন মিটারে চলে, তবে মিটারটা থাকে রিক্সাওয়ালার মাথায়। হুট করে তারা ভাড়া চেয়ে বসে। সরকারি নিয়ম অনুযায়ী সেই ভাড়াই প্রদান করতে হবে আর বিপরীতে রিক্সাওয়ালার সাথে ঝগড়া করতে হবে।
আমি আর তমা টং এ বসছি চা খাবো বলে। দোকানদার মামার ঠিক পাশেই আমি বসছি। হঠাত মামা উঠে সামনে গেলেন একলোকের সাথে কথাবলতে।মনেমনে ভাবছি দূর থেকে কেউ দেখলে এখন আমাকেই দোকানদার ভাববে, তাই পাশের বেঞ্চে বসা দরকার । ভাবনা শেষ হওয়ার আগেই একজন এসে বললো "ওই চা দে, দুধ চিনি বেশি। কেলা কত কইররা? " কিছু না বলে একবার নিজের পোশাকের দিকে তাকাচ্ছি একবার তমার দিকে তাকাচ্ছি। আমাকে দেখে দোকানদার মনেহয়! মনেমনে ভাবছি তমা এখন আমার উদ্দেশ্যে একটা ভাষন দিবে। রেগে গেলে ওর ভয়েসটা আমাদের প্রধানমন্ত্রীর মত মিস্টি হয়েযায়। ভাবনা শেষ হওয়ার আগেই তমা বলা শুরুকরলো "তোমারে সেদিনই বলছিলাম যে নিজের চয়েস পাল্টাও, এইগুলা কি ধরনের শার্ট পড়ো? মানুষ তো চাওয়ালা ভাবে আর আমার আব্বা তো তোমারে মুরগিওয়ালা ভাববে "।বাহ। মিস্টি ভাষন শেষে তমা বিদায় নিলেন। যাওয়ার আগে বলেগেল "দাত না মেজে আর কোনদিন দেখা করতে আসবা না "। বুঝলো ক্যামনে? আমিতো ওর মুখের কাছেই গেলাম না।
ও আচ্ছা রিক্সা থেকে নেমে যখন তমা ভাড়া দিচ্ছে তখন অতি উৎসাহে বলে ফেলেছিলাম "ইসস! তুমি ভাড়া দিবা জানলে নতুন ব্রাশ কিনে দাত ব্রাশ করেই আসতাম "।
২| ২৭ শে মার্চ, ২০১৫ বিকাল ৪:২২
আমি ময়ূরাক্ষী বলেছেন: ভাবছি দূর থেকে কেউ দেখলে এখন আমাকেই দোকানদার ভাববে, তাই পাশের বেঞ্চে বসা দরকার । ভাবনা শেষ হওয়ার আগেই একজন এসে বললো "ওই চা দে, দুধ চিনি বেশি। কেলা কত কইররা? "
দারুন রম্য
৩| ২৭ শে মার্চ, ২০১৫ বিকাল ৪:৫৫
দিশেহারা রাজপুত্র বলেছেন:
দারুন হইছে।
৪| ২৭ শে মার্চ, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৪৩
হার্ড নাট বলেছেন: ধন্যবাদ পাঠকদের।
৫| ২৭ শে মার্চ, ২০১৫ রাত ৮:০৩
আরণ্যক রাখাল বলেছেন: কি কান্ড| মন ভাল করে দিলেন| জোশ হইছে
৬| ২৯ শে মার্চ, ২০১৫ রাত ১০:০৬
আমি তুমি আমরা বলেছেন: সুন্দর গল্প। ভাল লেগেছে
৭| ৩১ শে মার্চ, ২০১৫ রাত ১:০৮
হার্ড নাট বলেছেন: স্বাগতম।
৮| ৩১ শে মার্চ, ২০১৫ রাত ১:০৯
হার্ড নাট বলেছেন: স্বাগতম।
©somewhere in net ltd.
১|
২৭ শে মার্চ, ২০১৫ বিকাল ৩:৪১
শতদ্রু একটি নদী... বলেছেন: