| নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
একদা এলাকার একজন নামকরা কবিরাজকে রাস্তাদিয়ে যেতে দেখে আমি মিছে মিছে বললাম। কাকা আমার ডানপায়ে হাটুর নিচে কিযেনো একটা কামড়েছিল। কাকা বল্লো দেখি হাত চালক দিয়ে ও আমাকে তার সামনে দাড়াতে বল্লো। আমার পায়ের সামনে সে তার ডান হাত রেখে কিছুক্ষন মন্ত্রপড়ে আমার বুকের উপর দিয়ে হাত উঠিয়ে নিয়ে বল্লো,বুক পর্যন্ত বিষ উঠেছে। আমি বল্লাম কি করনীয়। ৬০ বছর বয়সি কাকা আমাকে কিছুক্ষন ঝাড়িয়ে দিয়ে ও তিন টুকরা কাঠের গোড়া দিয়ে রস করে খেতে বল্লো। আমি বল্লাম কতটাকা দেব। ১০০ টাকা দাও। আমি বললাম আপনার ছেলেরাতো বেশ আয় করে,অবস্তাও বেশ ভাল জানা যায়,তো আপনি ২০ টাকা করে মানুশদের কাছথেকে নিলে কেমন হয়। কাকা বল্লো তা আমি বাপু কত নেব তা তুমি কেন বলবা। আমি বল্লাম না আসলে সারাদিন ধরে আপনার অনেক রুগী আসে,তাছাড়া এলাকার মানুশতো খুব একটা ধনী না-তাই বলছিলাম সবার কাছথেকে একটু কম নিতে।
কাকা রেগে গিয়ে বল্লো তুমি বাপু ১০০ টাক দাও,কার কাছ থেকে কত নেব সে আমি বুঝব। আমি তখন বল্লাম আমার তো কিছুই কামড়ায়নি-আমি এমনি আপনাকে একটু পরিক্ষা করছিলাম। আর এই যে কাঠের টুকরা আপনি আমাকে দিয়েছেন-সেটা খেলে পরবর্তিতে আমার ও আমার বংশধরদের কি কি কঠিন রোগে আক্রান্ত হতে হবে,সেটাতো ল্যাবে পরীক্ষা করা নেই। ফলে এটা মানুশকে খাওয়ানো মনে হয় আপনার ঠিক হবেনা। কাকা আমার মুখের দিকে হতভম্ব হয়ে তাকিয়ে-রাস্তার দিকে হু হু করে চলে গেল। মনে হয় সে বুঝতে পেরেছে যে তাকে ভুল করে ঝাড়ানো পড়েছে,বিধায় সে ধরা পড়ে গেছে।
দুদিন পরে দেখি কাকা রাস্তার উত্তর দিক থেকে আসছে আর আমি দক্ষিন দিক থেকে। আমি একটু মাথা নিচু করে আবার তাকাতেই দেখি কাকা নিখোজ। পরে একদিন দেখি কাকা আবার রস্তা দিয়ে আসছে-আমি ঠিক করলাম দেখি আজ কোন দিকে লুকায়। হটাৎ দেখি উনি আমার দিকে ভয়ের দৃষ্টিতে তাকিয়ে রাস্তা থেকে অন্য গলির মধ্যে তাড়াহুড়া করে ঢুকে গেল।
আমার মনে হয় উনার ৪০ বছর কবিরাজীর জীবনে আমার মত রুগীই প্রথম। কেননা কারো কিছু না হলে তো আর আমার মত মিথ্যা কথা বলে কোন কবিরাজের বোকা বানানোর কথা মনে করেনা। কাকাও ধরা পড়ে গেল যে তার কবিরাজী কতটা মজবুত।
এবার ভাবুন এমন ধরনের কবিরাজ আমাদের সমাজে কিভাবে ধোকা দিয়ে সাধারনের কাছ থেকে অবৈধভাবে টাকা নিয়ে,বুক ফুলিয়ে সৎ মানুশের মত নিজেদেরকে মনে করে ও অসৎভাবে ধর্ম পালন করে। না বল্লেই নয় আমাদের দেশের হিন্দু মুসলিম অধিকাংশ মানুশই ধর্মটাকে ভূল ব্যাখ্যা করে ও ভূল ভাবে পালন করে আসছে। প্রত্যেক ধর্মের মূল কথা সৎ পথে চলা ও অন্যায় না করা। এগুলো না মেনে-ভূলগুলো নিয়ে মাতামাতি। অর্থাত অক্ষরের মানে না বুঝে অক্ষরকে নিয়ে মাতামাতি। যার ফল কিনা জঙ্গি তৈরী করতে যথেষ্ট সাহায্য করে আসছে।
আসুন এরকম অন্যায় পথে বা ভূল পথে আমরা সুখ না খুজে,সহজ সত্য ও সঠিক পথে চলি। যেখানে কোন গোলযোগ থাকেনা ও সকলে মানব জাতী এক সাথে মিলিত হয়ে ক্ষনস্থায়ী নাট্যমঞ্চে সমান সুখ অনুভব করে। আসুন সেই পথে চলি যেখানে কোন রাষ্ট্র অন্য রাষ্ট্রকে শত্রু ভেবে অগাধ অর্থ অপচয় করে সৈন্য পালন না করে বরং হাতে হাত রেখে একে অন্যকে আপন করে,একই মানব জাতী থেকে উৎপত্তি মোরা সকল মানুশ এক ভেবে এক সাথে অপোষের মাঝে শান্তি ও সুখের সকল অপশনগুলো লুফে নেই।
আসুন এমন কোন ক্ষেত্র তৈরী করি যেখানে সকলেই মোরা জন্মানোর সাথে সাথে সরকারী কর্মচারী বা সরকারী মোটা বেতনের চাকুরী পেতে পারি। এবং সেভাবেই সবকিছু নিশ্চিৎ থাকবে। চাকুরীর সে অর্থ আমাদের মৌলীক চাহিদা মেটানোর পরও যথেষ্ট থেকে যাবে। ফলে কেউ হয়ত সহজেই দুর্নীতি করতে চাইবে না। অসৎ উপায় অবলম্বন করবেনা। ধর্মগুলোকে ভূল পথে নিয়ে ভাঙিয়ে খাওয়ার কথা ভাববে না বা জঙ্গী হতে যাবেনা। ধন্যবাদ।
©somewhere in net ltd.
১|
০৩ রা জুন, ২০১৭ সকাল ১০:০৮
ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: কাকা রেগে গিয়ে বল্লো তুমি বাপু ১০০ টাক দাও,কার কাছ থেকে কত নেব সে আমি বুঝব। আমি তখন বল্লাম আমার তো কিছুই কামড়ায়নি-আমি এমনি আপনাকে একটু পরিক্ষা করছিলাম। মজা পেলাম