নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সত্যের নির্ভিক সৈনিক

এইচ এম বিশ্বাস

যদি যায় জীবন চলে যাক আমি হবো নাকো ছলনার মিসদাক

এইচ এম বিশ্বাস › বিস্তারিত পোস্টঃ

কোনটা কষ্টকর? জাহান্নামের শাস্তি না সামান্য শীত?

০১ লা জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৫:১৫

মহান আল্লাহ পাক তিনি ও উনার রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনারা পর্দাকে নারী-পুরুষ উভয়ের জন্য ফরয করে দিয়েছেন। পবিত্র কুরআন শরীফ উনার মধ্যে পর্দা করার ব্যাপারে কঠোর আদেশ-নির্দেশ করা হয়েছে। মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, “হে হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! আপনি ঈমানদার নারীগণকে বলুন তারা যেন তাদের দৃষ্টিকে নত রাখে এবং তাদের ইজ্জত ও আবরু হিফাজত করে। তারা যেন তাদের সৌন্দর্য প্রকাশ না করে। তারা যেন এমনভাবে পদচারণা না করে যাতে তাদের চুপানো সৌন্দর্য প্রকাশ হয়ে পড়ে। হে মু’মিনগণ! তোমরা সকলেই মহান আল্লাহ পাক উনার কাছে তওবা কর, যাতে তোমরা সফলকাম হও।” (পবিত্র সূরা নূর শরীফ: পবিত্র আয়াত শরীফ ৩১)

মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, “হে মহিলারা! তোমরা তোমাদের ঘরের মধ্যে পর্দার সাথে অবস্থান করবে। আইয়্যামে জাহিলিয়াতের মতো সৌন্দর্য প্রদর্শন করে ঘরের বাইরে বের হয়ো না। অর্থাৎ বেপর্দা হয়ো না।” (পবিত্র সূরা আহযাব শরীফ: পবিত্র আয়াত শরীফ ৩৩)

সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিইয়ীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, “ মেয়েরা পর্দার অধীনে থাকবে। কেননা তারা যখন কোথাও বের হয়, তখন শয়তান উঁকিঝুকি দিতে থাকে কিভাবে তাদের দ্বারা পাপ কাজ সংঘটিত করা যায়।” (তিরমিযী শরীফ, মিশকাত শরীফ)

পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে, “হযরত বুরাইদা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, মহান আল্লাহ পাক উনার রসূল নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি হযরত আলী কাররামাল্লাহু ওয়াজহাহু আলাইহিস সালাম উনাকে উদ্দেশ্য করে বলেন, হে আলী আলাইহিস সালাম! দৃষ্টিকে অনুসরণ করবেন না। প্রথম দৃষ্টি (যা অনিচ্ছা সত্ত্বে পতিত হয় তা) ক্ষমা করা হবে; কিন্তু পরবর্তী দৃষ্টি ক্ষমা করা হবে না।” অর্থাৎ প্রতি দৃষ্টিতে একটি কবীরা গুনাহ লেখা হয়ে থাকে।

পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে আরো ইরশাদ মুবারক হয়েছে, হযরত হাসান বছরী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি মুরসাল সূত্রে বর্ণনা করেন, আমার নিকট এই হাদীছ শরীফ পৌঁছেছে, “যে দেখে এবং দেখায় উভয়ের প্রতি মহান আল্লাহ পাক উনার লা’নত।”

মহান আল্লাহ পাক তিনি উনার কালাম পাক এবং আল্লাহ পাক উনার হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি উনার হাদীছ শরীফ উনাদের দ্বারা সরাসরি পর্দাকে ফরয করে দিয়েছেন এবং এর বিপরীত আমল করা জাহান্নামী হওয়ার কারণ।

এই আয়াত শরীফ ও হাদীছ শরীফ উনাদের আলোকে রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম, হযরত আম্মা হুযূর ক্বিবলা আলাইহিস সালাম ও মহাসম্মানিত আহলে বাইত আলাইহিমুস সালাম উনারা ওয়াজ শরীফ, নছীহত শরীফ, দৈনিক আল ইহসান শরীফ, মাসিক আল বাইয়্যিনাত শরীফ, আল হিকমাহ ডট নেট, প্যালটক ইত্যাদির মাধ্যমে প্রতিনিয়ত নারীদেরকে পর্দা পালনের জন্য জোর তাগিদ দিয়ে যাচ্ছেন। কিন্তু অত্যন্ত আফসুস! উনাদের এই হিদায়াতের বাণী হক্ব বিমুখী তথাকথিত শিক্ষিত আধুনিক মনা (!) নারীদের কর্ণ কুহরে পৌঁছালেও তারা চরম হীনমন্যতার কারণে তা পালন করতে অক্ষম হচ্ছে। অথচ বেহায়াপনা, উলঙ্গপনা, বিবস্ত্র হয়ে কুকুর-শিয়ালের মতো ঘুরে বেড়াতে কোনো ধরনের লজ্জা অনুভব করে না এবং অক্ষমতাও প্রকাশ করে না। তারা মনে করে পর্দা করলে স্মার্ট হওয়া যায় না, লোকে কি বলবে ইত্যাদি (নাউযুবিল্লাহ)। অথচ সম্প্রতি ঢাকাসহ সারাদেশের সামান্য শীতে এই সকল নির্লজ্জ নারীদেরকে দেখা যাচ্ছে হাতমোজা, পা মোজা পড়ে, সমস্ত শরীর ঢেকে চলাচল করছে। এখন কিন্তু তাদের স্মার্টনেসে কোন সমস্যা হচ্ছে না। যত সমস্যা হলো পর্দা পালনে (নাউযুবিল্লাহ)। এই সকল নির্লজ্জ নারীদের প্রতি প্রশ্ন- বেপর্দার পরিণাম জাহান্নামের আযাব ভোগের চেয়ে সামান্য শীতের কষ্ট তোমাদের কাছে বেশি কষ্টকর মনে হচ্ছে? যখন আযাব শুরু হয়ে যাবে তখন কি করবে?







মন্তব্য ১ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ০১ লা জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৫:২৮

ভেজাল* বলেছেন: এদের কোন এক্সিডেন্ট হলে তাদের মেন্টর প্রভা আছে না।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.