| নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
কয়েক বছর পর বাংলাদেশ থেকে চিনি বিদেশে রপ্তানী শুরু হয়েছে। চিনি রপ্তানীর উপর থেকে সরকারি নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের পর দেশের কয়েকটি চিনি উৎপাদনকারি প্রতিষ্ঠান রপ্তানীতে আগ্রহী হয়ে উঠে। চিনির প্রথম চালান যাচ্ছে দুবাইতে। সংশ্লিষ্ট সুত্রে জানা যায়, বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সিটি সুগার ইন্ডাষ্ট্রিজ, আব্দুল মোমেন সুগার ও দেশবন্ধু সুগার মিলকে নির্দিষ্ট পরিমাণ চিনি রপ্তানীর অনুমতি দিয়েছে। সরকার ২০১০ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারী চিনি রপ্তানীর উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছিল। এরপর অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রীসভা কমিটি চিনি রপ্তানীর উপর থেকে নিষেধাজ্ঞ প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নেয়। গত অক্টোবর মাসে সরকার চিনি রপ্তানীর অনুমতি প্রদানের প্রজ্ঞাপন জারি করে। তবে ঢালাও অনুমতি দেওয়া হয়নি। কিছু শর্ত দেওয়া হয়েছে। রপ্তানীর আগে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অনুমতি নিতে হবে রপ্তানিকারি প্রতিষ্ঠানকে। রপ্তানিকারি প্রতিষ্ঠানের হাতে মজুত চিনির উল্লেখ করে ট্যারিফ কমিশনের কাছে রপ্তানিতে আগ্রহের পরিমান জানিয়ে আবেদন করতে হবে। ট্যারিফ কমিশনের যাচাই বাছাইয়ের পর সুপারিশ সাপেক্ষে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় অনুমতি দিবে। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অনুমতি পাওয়ার পর সংশ্লিষ্ঠ প্রতিষ্ঠান চিনি রপ্তানী করতে পারবে বলে জানা যায়। দেশে মজুত পরিস্থিতি, পাইপ লাইনে র-সুগার আমদানি পবিস্থিতি পর্যালোচনা শেষে ট্যারিফ কমিশন মন্ত্রণালয়কে চিনি রপ্তানীর অনুমতি দানের জন্য সুপারিশ করবে।
২০০৯-১২ এর রপ্তানী নীতির আওতায় অন্তত ১০ শতাংশ মূল্য সংযোজনের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠান গুলো চিনি রপ্তানী করতে পারবে। প্রথমে সিটি সুগার ইন্ডাসট্রিজ, দেশবন্ধু সুগার মিলস ও আব্দুল মোমেন সুগার মিল চিনি রপ্তানীর অনুমতি চেয়ে সরকারের কাছে আবেদন করে। রপ্তানীর আবেদনকারি প্রতিষ্ঠান গুলোর চিনি মজুত পরিস্থিতি, পাইপ লাইনে থাকা র-সুগার আমদানির পরিমান ও উৎপাদন ইত্যাদি পর্যালোচনা করে ট্যারিফ কমিশন চিনি রপ্তানীর সুপারিশ করেছে। এ সুপারিশের ভিত্তিতে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সিটি সুগারকে ৩৫ হাজার টন, দেশবন্ধু সুগার মিলসকে ৪৯ হাজার টন ও আব্দুল মোমেন সুগারকে ৪৩ হাজার টন চিনি রপ্তানীর অনুমতি দিয়েছে। সরকারি প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ চিনি শিল্প করপোরেশনের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ৫০ হাজার টন চিনি রপ্তানীর অনুমতি দিয়েছে বলে সংস্থার বিক্রয় বিভাগের প্রধান হাবিবুর রহমান জানান। তিনি জানান, দেশে করপোরেশনের ১৫ চিনি কলের উৎপাদিত চিনি থেকে রপ্তানী রকতে হবে। করপোরেশনের হাতে তাদের চিনিকল গুলোর উৎপাদিত ৫০ হাজার টন চিনি মজুত নেই। বর্তমানে চলতি বছরের চিনি উৎপাদন শুরু হয়েছে। মজুত চিনির সাথে নতুন উৎপাদিত চিনি মিলিয়ে ৫০ হাজার টন রপ্তানী কবা হবে। দেশে বেসরকারি চিনি উৎপাদনকারি রিফানিারি গুলো এবং চিনি শিল্প করপোরেশনের ১৫টি চিনিকল মিলিয়ে দেশে বার্ষিক মোট চিনির উৎপাদন ক্ষমতা ৩৪ লাখ টন।
গত মৌসুমে করপোরেশনের চিনিকল গুলো আখের অভাবে চিনি উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে পারে না। আখের অভাবে মাঝপথে মিল গুলো বন্ধ হয়ে যায়। ৬৯ হাজার ৪৬ টন চিনি উৎপাদন করে করপোরেশন। দেশে বর্তমানে চিনির বার্ষিক চাহিদা ১৫-১৬ লাখ টন। সিটি গ্রুপের মহাব্যবস্থাপক বিশ্বজিৎ সাহা জানায়, তারা প্রথম চালানে ২৫ হাজার টন চিনি দুবাইতে রপ্তানী করছে। এ চিনি শীপমেন্ট হয়ে গেছে। তাদের হাতে বর্তমানে এক লাখ ৬০ হাজার টন চিনি মজুত আছে। ৫০ হাজার টন র-সুগার আসার পথে রয়েছে। তারা আরো ৬০ হাজার টন চিনি রপ্তানীর অনুমতি চেয়ে আবেদন করেছে। সে জানায়, সিটি সুগারের দৈনিক উৎপাদন ক্ষমত ৫ হাজার টন। সুযোগ পেলে আরো বেশি পরিমান চিনি রপ্তানী করতে পারবে বলে সে জানায়। মেঘনা গ্রুপের ইউনাইটেড সুগার মিলের এক কর্মকর্তা জানান, তারা ২৫ হাজার টন চিনি রপ্তানীর অনুমতি চেয়ে আবেদন করেছেন।
View this link
©somewhere in net ltd.