| নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ছবিঃ কোরা
Breeding Slaves in Brazil, অজানা অধ্যায় : ১৭০০ থেকে ১৮০০ সালের মধ্যে ব্রাজিলে ১৭ লক্ষ আফ্রিকান দাস আমদানি করা হয়েছিল। ব্রাজিলের পাহাড়ি এলাকায় কফি চাষ করতে গিয়ে অনেক আফ্রিকান দাস মারা যেত। দাস কিনতে ভালো অঙ্কের অর্থ ব্যয় করতে হতো তাই তাদের মনিবরা সস্তায় নিয়মিত দাস পাওয়ার জন্য নতুন পদক্ষেপ গ্রহণ করে।
নতুন সিদ্ধান্ত অনুসারে আফ্রিকান কম বয়সী দাসী মেয়েদের আলাদা কোয়াটারে রাখা হতো। আফ্রিকান লম্বা এবং সুঠামদেহী সুস্থ-সবল কয়েকজন দাসকে সেই মেয়েদের গর্ভবতী করার জন্য নিয়োগ দেওয়া হতো। এ যেন কোন গবাদি পশু উৎপাদনের ফার্মের মত বিষয় ছিল যেখানে কফি এবং চিনি উৎপাদনকারী মনিবেরা সুস্থ-সবল দাস শিশুও উৎপাদনের ব্যবস্থা করত। ২ শতক ধরে চলা এমন দাস ব্রিডিং ফ্যাক্টরি ব্রাজিলিয়ান পার্লামেন্ট আইন করে ১৮৭১ সালে বন্ধ করে দেয়।
২.১ মিটার লম্বা সুস্থ দেহের অধিকারী পাটাসিকা সাও পাওলোতে একজন দাস ব্রিডার ছিল। তাকে দাসীদের কোয়াটারে নিয়মিত পাঠানো হতো যেন সে সুস্থ-সবল শিশু জন্মদানে ভূমিকা রাখতে পারে। তাকে কফি প্ল্যান্টেশনের শক্ত কাজ করতে দেওয়া হতো না, সে কেবলমাত্র ঘোড়া দেখাশোনা করত। তাছাড়া তাকে কফি ও চিনি ফার্মের মালিকরা যে উন্নতমানের খাবার খেত সেই সমস্ত খাবার দেওয়া হতো। ধারণা করা হয় সে ২১০টি শিশুর জন্মদানে ভূমিকা রেখেছিল। মনিবেরা তার কর্মের সন্তুষ্ট হয়ে তাকে বিয়ের অনুমতি দিয়েছিল যে বিয়েতে তার নয়টি সন্তান হয়েছিল। তবে বিয়ে হওয়ার পরেও মনিবদের নির্দেশে তাকে দাস ব্রিডার হিসাবে কাজ করতে হতো।
©somewhere in net ltd.
১|
৩১ শে মার্চ, ২০২৩ রাত ১১:৫৩
নিবর্হণ নির্ঘোষ বলেছেন: আরও বিস্তারিত হলে দারুণ হত ।
সূত্রের উল্লেখ করে দেবেন , তাতে লিখার মর্যাদা অনেকটাই বেড়ে যায় !
স্বাগতম হে নবীন শুভ হোক ব্লগযাত্রা !